নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অপহৃত জাতিসংঘের কর্মকর্তা বাংলাদেশি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনাম বলেছেন, অপহরণের পর তাঁকে কখনো পাহাড়ে আবার কখনো মরুভূমিতে নিয়ে রাখা হয়েছে। এই পুরো সময়টাতেই কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে রেখেছিলেন অপহরণকারীরা।
আজ বুধবার দেশে ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন সুফিউল আনাম। এর আগে দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে গ্রহণ করেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) শীর্ষ কর্মকর্তারা।
১৮ মাস আগে ইয়েমেনে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত হন সুফিউল আনাম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এনএসআইয়ের তৎপরতায় তাঁকে গতকাল মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়। তাঁর উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান।
আজ দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে সুফিউল আনাম বলেন, ‘অপহরণের পর ১৮ মাসে ১৮ বার স্থান পরিবর্তন করা হয়। খাওয়াদাওয়াতে সমস্যা করেনি, শারীরিক নির্যাতন করেনি। তবে ভাবতে পারিনি বেঁচে ফিরব। প্রতি মুহূর্তে মনে হয়েছে মেরে ফেলবে আমাদের।’
সুফিউল আনাম আরও বলেন, ‘আমি জানতাম না, আমাকে উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছে। আমাকে দিয়ে একবার ভিডিও বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলতে বলা হয়, আমাকে উদ্ধারে যেন দাবি পূরণ করা হয়। কিন্তু সেটা যে ৩০ লাখ ডলার ছিল এসব আমি জানতাম না।’
সুফিউল আনাম ভেবেছিলেন তাঁকে সবাই ভুলে গেছে। তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম সবাই আমাকে ভুলে গেছে। অপহরণের এক বছর ছয় মাস পূরণ হবে কাল। পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার সময় আমাকে অপহরণ করা হয়। অবর্ণনীয় দিন কেটেছে। প্রতিটি দিন ছিল মৃত্যুর ভয়।’
তিনি জানান, তাঁকে চার সহযোগীসহ উদ্ধার করা হয়। বাকি চারজন ছিলেন ইয়েমেনি।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুফিউল আনাম বলেন, ‘এনএসআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর মনে হলো আমাকে ভোলেনি তারা। তাদের এই দায়িত্ব পালনের কথা ভুলব না। ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। সিনেমায় দেখা যায় এসব। ফেরার পথে অস্ত্রের মুখে অপহরণ। ভাগ্য ভালো নির্যাতন করেনি। অপহরণকারীদের টাকা শেষ হলে চাপে ছিলাম। জাতিসংঘে কাজ করি বলে টার্গেট করেছিল মনে হয়। অপহরণকারীরা ভিডিও করেছিল, তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে। নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুফিউল আনাম বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সাবেক সামরিক কর্মকর্তা আমি। দেশের প্রয়োজনে অবশ্যই চ্যালেঞ্জ নেব।’
এনএসআইয়ের পরিচালক ইমরুল মাবুদ বলেন, ‘দীর্ঘদিনের চেষ্টায় পর আল-কায়েদার হাত থেকে স্যারকে উদ্ধার করতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল। আমরা ধৈর্য ধরে লেগেছিলাম।’
তবে কীভাবে উদ্ধার করা হলো, নিরাপত্তার স্বার্থে সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি ইমরুল মাবুদ। তিনি জানান, সুফিউলকে উদ্ধারে মুক্তিপণের কোনো টাকা দিতে হয়নি।
ইমরুল মাবুদ বলেন, ‘এটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রধানমন্ত্রী আস্থা রেখেছিলেন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল। দেড় বছরের চেষ্টায় এই সফলতা। ৩০ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছিলেন অপহরণকারীরা। কিন্তু কোনো টাকাপয়সা দিতে হয়নি তাঁকে মুক্ত করতে।’
বিমানবন্দরে এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক বদরুল হাসান চৌধুরি ও উপপরিচালক বদরুল হাসান বিদ্যুৎ প্রমুখ।
অপহৃত জাতিসংঘের কর্মকর্তা বাংলাদেশি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনাম বলেছেন, অপহরণের পর তাঁকে কখনো পাহাড়ে আবার কখনো মরুভূমিতে নিয়ে রাখা হয়েছে। এই পুরো সময়টাতেই কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে রেখেছিলেন অপহরণকারীরা।
আজ বুধবার দেশে ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন সুফিউল আনাম। এর আগে দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে গ্রহণ করেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) শীর্ষ কর্মকর্তারা।
১৮ মাস আগে ইয়েমেনে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত হন সুফিউল আনাম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এনএসআইয়ের তৎপরতায় তাঁকে গতকাল মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়। তাঁর উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান।
আজ দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে সুফিউল আনাম বলেন, ‘অপহরণের পর ১৮ মাসে ১৮ বার স্থান পরিবর্তন করা হয়। খাওয়াদাওয়াতে সমস্যা করেনি, শারীরিক নির্যাতন করেনি। তবে ভাবতে পারিনি বেঁচে ফিরব। প্রতি মুহূর্তে মনে হয়েছে মেরে ফেলবে আমাদের।’
সুফিউল আনাম আরও বলেন, ‘আমি জানতাম না, আমাকে উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছে। আমাকে দিয়ে একবার ভিডিও বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলতে বলা হয়, আমাকে উদ্ধারে যেন দাবি পূরণ করা হয়। কিন্তু সেটা যে ৩০ লাখ ডলার ছিল এসব আমি জানতাম না।’
সুফিউল আনাম ভেবেছিলেন তাঁকে সবাই ভুলে গেছে। তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম সবাই আমাকে ভুলে গেছে। অপহরণের এক বছর ছয় মাস পূরণ হবে কাল। পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার সময় আমাকে অপহরণ করা হয়। অবর্ণনীয় দিন কেটেছে। প্রতিটি দিন ছিল মৃত্যুর ভয়।’
তিনি জানান, তাঁকে চার সহযোগীসহ উদ্ধার করা হয়। বাকি চারজন ছিলেন ইয়েমেনি।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুফিউল আনাম বলেন, ‘এনএসআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর মনে হলো আমাকে ভোলেনি তারা। তাদের এই দায়িত্ব পালনের কথা ভুলব না। ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। সিনেমায় দেখা যায় এসব। ফেরার পথে অস্ত্রের মুখে অপহরণ। ভাগ্য ভালো নির্যাতন করেনি। অপহরণকারীদের টাকা শেষ হলে চাপে ছিলাম। জাতিসংঘে কাজ করি বলে টার্গেট করেছিল মনে হয়। অপহরণকারীরা ভিডিও করেছিল, তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে। নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুফিউল আনাম বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সাবেক সামরিক কর্মকর্তা আমি। দেশের প্রয়োজনে অবশ্যই চ্যালেঞ্জ নেব।’
এনএসআইয়ের পরিচালক ইমরুল মাবুদ বলেন, ‘দীর্ঘদিনের চেষ্টায় পর আল-কায়েদার হাত থেকে স্যারকে উদ্ধার করতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল। আমরা ধৈর্য ধরে লেগেছিলাম।’
তবে কীভাবে উদ্ধার করা হলো, নিরাপত্তার স্বার্থে সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি ইমরুল মাবুদ। তিনি জানান, সুফিউলকে উদ্ধারে মুক্তিপণের কোনো টাকা দিতে হয়নি।
ইমরুল মাবুদ বলেন, ‘এটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রধানমন্ত্রী আস্থা রেখেছিলেন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল। দেড় বছরের চেষ্টায় এই সফলতা। ৩০ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছিলেন অপহরণকারীরা। কিন্তু কোনো টাকাপয়সা দিতে হয়নি তাঁকে মুক্ত করতে।’
বিমানবন্দরে এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক বদরুল হাসান চৌধুরি ও উপপরিচালক বদরুল হাসান বিদ্যুৎ প্রমুখ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ভবন নির্মাণে অনিয়ম পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। ১৬০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এসব ভবন নির্মাণে কোনো প্রকল্প করা হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও নেওয়া হয়নি। খরচ করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের ‘ইচ্ছেমতো’। নিরীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে দুই অর্থবছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি অনিয়মে
৬ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে আর্থিক সুবিধা প্রদান এবং আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে অধ্যাদেশ হচ্ছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তরকে এই আইনের আওতায় আনা হবে। এই অধিদপ্তরের মাধ্যমেই শহীদদের পরিবারকে
৬ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি-নিয়ন্ত্রিত রাখাইনে বাংলাদেশ হয়ে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর কোনো ধরনের ব্যবস্থা চায় না। আবার অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে যে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করতে চায়, তাতেও জান্তার আপত্তি আছে।
৬ ঘণ্টা আগেহেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা ২০৩টি মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য থানাগুলোতে তদন্ত শুরু হয়েছে, দেওয়া হবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন। যেসব মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়ে
৭ ঘণ্টা আগে