নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরেই সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৫১২ জন। আহত হয়েছেন প্রায় আটশো জন। শুধু ডিসেম্বর মাসেই ৫১৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। ৯টি জাতীয় দৈনিক,৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৫৯ নারী ও ৬৪ শিশু। সবচেয়ে নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ২১৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২০১ জন। অন্যান্য যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন। এসব দুর্ঘটনায় ১১৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডিসেম্বর মাসে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত, ১৪ জন আহত এবং ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন। ট্রলার ডুবিতে ৩৩টি গরুর মৃত্যু ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২০১ জন, বাস যাত্রী ৯ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ড্রামট্রাক-রোলার মেশিন গাড়ি আরোহী ২৬ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-পাজেরো জিপ আরোহী ১৫ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটো ভ্যান-লেগুনা) ১০১ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-চান্দের গাড়ি-টমটম-মাহেন্দ্র-পাখি ভ্যান-টাফি গাড়ি) ৩০ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশা ভ্যান আরোহী ১৬ জন নিহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬২টি জাতীয় মহাসড়কে, ২৩৮টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৭টি গ্রামীণ সড়কে, ৩৭টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৩টি সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে সংস্থাটি বলছে, এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ভোরে ২ দশমিক ২২ শতাংশ, সকালে ৩০ দশমিক ৩৬ শতাংশ, দুপুরে ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ, বিকেলে ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং রাতে ১৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১২৩টি দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৯টি দুর্ঘটনায় ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর জেলায়। সেখানে ৩টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
শুধু তাই নয় কোন বিভাগে কী পরিমাণ দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটিরও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়—ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, প্রাণহানি ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ; খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, প্রাণহানি ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ; সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, প্রাণহানি ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ; রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১১ দশমিক ২ শতাংশ, প্রাণহানি ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ঘটেছে ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরেই সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৫১২ জন। আহত হয়েছেন প্রায় আটশো জন। শুধু ডিসেম্বর মাসেই ৫১৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। ৯টি জাতীয় দৈনিক,৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৫৯ নারী ও ৬৪ শিশু। সবচেয়ে নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ২১৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২০১ জন। অন্যান্য যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন। এসব দুর্ঘটনায় ১১৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডিসেম্বর মাসে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত, ১৪ জন আহত এবং ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন। ট্রলার ডুবিতে ৩৩টি গরুর মৃত্যু ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২০১ জন, বাস যাত্রী ৯ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ড্রামট্রাক-রোলার মেশিন গাড়ি আরোহী ২৬ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-পাজেরো জিপ আরোহী ১৫ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটো ভ্যান-লেগুনা) ১০১ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-চান্দের গাড়ি-টমটম-মাহেন্দ্র-পাখি ভ্যান-টাফি গাড়ি) ৩০ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশা ভ্যান আরোহী ১৬ জন নিহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬২টি জাতীয় মহাসড়কে, ২৩৮টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৭টি গ্রামীণ সড়কে, ৩৭টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৩টি সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে সংস্থাটি বলছে, এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ভোরে ২ দশমিক ২২ শতাংশ, সকালে ৩০ দশমিক ৩৬ শতাংশ, দুপুরে ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ, বিকেলে ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং রাতে ১৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১২৩টি দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৯টি দুর্ঘটনায় ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর জেলায়। সেখানে ৩টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
শুধু তাই নয় কোন বিভাগে কী পরিমাণ দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটিরও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়—ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, প্রাণহানি ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ; খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, প্রাণহানি ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ; সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, প্রাণহানি ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ; রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১১ দশমিক ২ শতাংশ, প্রাণহানি ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ঘটেছে ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্স প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জেনারেল এ এল এম ফজলুর রহমান সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, সরকার তা সমর্থন করে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
২ ঘণ্টা আগে‘ভাবি’ শব্দটা পুরুষতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘আপনারা একে অপরকে ভাবি ভাবি করছেন। ভাবি শব্দটা কিছুটা পুরুষতান্ত্রিক। মানে আমি একটা পুরুষের মাধ্যমে ভাবি হচ্ছি। আপনারা ভাবি শব্দটাকে পরে ইতিবাচক কিছু করতে পারলে খুব ভালো হয়।’
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনবিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও তাঁর স্ত্রী ১১ থেকে ১২ মে জাপান সফরে যাচ্ছেন। আজ শুক্রবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই খবর জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি নোটাম (নোটিশ টু এয়ারম্যান) না মানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের (বিমান) একটি ফ্লাইটকে শেষ মুহূর্তে গন্তব্য পরিবর্তন করতে হয়েছে। মদিনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়া বিমানে একটি ফ্লাইট শেষ পর্যন্ত সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে