অনলাইন ডেস্ক
মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভরত রেলওয়ে রানিং স্টাফরা আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রেল ভবনে রেলওয়ে মহাপরিচালকের সঙ্গে সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণে বারবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁরা আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা করছে না। তাঁরা বারবার সময় চাইছে। আমরা আজকের সভা শেষে আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে তাঁরা যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে ২৮ তারিখ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে।’
রেলের রানিং স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন—লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) এবং সাব-লোকোমাস্টার (এসএলএম)।
৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এ জন্য তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ। মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিকের সমপরিমাণ টাকা বেশি পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিন ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই-তিন মাসের সমপরিমাণ। তাঁদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করে। এর পর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছে।
কর্মঘণ্টার অধিক সময় ধরে কাজ করতে হয় বলে অনেক রানিং স্টাফ চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। রানিং স্টাফ পদে এতে ২ হাজার ২৩৫ জন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও এখন ১ হাজার ১৩৫ জন কাজ করছেন। এতে রানিং স্টাফরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না, যাতে নিরাপদ চলাচল নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন খোদ রানিং স্টাফরা।
সেখানে সংকটের শেষ নয়। ২০২২ সালের পরে যে ৩০০ জন রেলের রানিং স্টাফ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের নিয়োগপত্রে কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ রয়েছে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ১৫৮ জন রানিং স্টাফ অব্যাহতি নেন। এতে রেলে রানিং স্টাফের সংকট আরও প্রকট হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি মো. সাঈদুর রহমান।
এর আগেও মাইলেজের দাবিতে রেলের রানিং স্টাফরা আংশিক কর্মবিরতি পালন করেছেন। এতে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় শুরু হয়, ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। চলতি ডিসেম্বর মাসে রানিং স্টাফদের কর্মসূচিতে বেশ কয়েকটি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। এবার দেশব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভরত রেলওয়ে রানিং স্টাফরা আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রেল ভবনে রেলওয়ে মহাপরিচালকের সঙ্গে সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণে বারবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁরা আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা করছে না। তাঁরা বারবার সময় চাইছে। আমরা আজকের সভা শেষে আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে তাঁরা যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে ২৮ তারিখ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে।’
রেলের রানিং স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন—লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) এবং সাব-লোকোমাস্টার (এসএলএম)।
৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এ জন্য তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ। মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিকের সমপরিমাণ টাকা বেশি পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিন ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই-তিন মাসের সমপরিমাণ। তাঁদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করে। এর পর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছে।
কর্মঘণ্টার অধিক সময় ধরে কাজ করতে হয় বলে অনেক রানিং স্টাফ চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। রানিং স্টাফ পদে এতে ২ হাজার ২৩৫ জন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও এখন ১ হাজার ১৩৫ জন কাজ করছেন। এতে রানিং স্টাফরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না, যাতে নিরাপদ চলাচল নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন খোদ রানিং স্টাফরা।
সেখানে সংকটের শেষ নয়। ২০২২ সালের পরে যে ৩০০ জন রেলের রানিং স্টাফ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের নিয়োগপত্রে কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ রয়েছে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ১৫৮ জন রানিং স্টাফ অব্যাহতি নেন। এতে রেলে রানিং স্টাফের সংকট আরও প্রকট হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি মো. সাঈদুর রহমান।
এর আগেও মাইলেজের দাবিতে রেলের রানিং স্টাফরা আংশিক কর্মবিরতি পালন করেছেন। এতে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় শুরু হয়, ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। চলতি ডিসেম্বর মাসে রানিং স্টাফদের কর্মসূচিতে বেশ কয়েকটি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। এবার দেশব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। আজ বুধবার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার বেঞ্চ। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন।
৩১ মিনিট আগেআদালতে দুদকের করা আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নসরুল হামিদ তাঁর স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির আগে বর্ণিত সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে তদন্তের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী পালিত হবে মহান মে দিবস। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত শ্রমিকদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে মে দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগেবহু বঞ্চনার শিকার হওয়া অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আনসার উদ্দিন খান পাঠানকে অবশেষে দুই বছর মেয়াদে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থায় কো-অর্ডিনেটর হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে