নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদকে অবৈধ মোবাইল ফোনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে বলেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে ‘দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’—শীর্ষক সেমিনারে এ নির্দেশ দেন তিনি।
সেমিনারে মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে একই আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) নম্বর দিয়ে দেড় লাখের বেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট চলছে। নামীদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে অবৈধ মোবাইল ফোন। দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদকেরা জানান, অবৈধভাবে কর ফাঁকি দিয়ে লাগেজ-ব্যাগেজে আনা মোবাইল ফোনের বাজারজাত বন্ধ না হলে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হবে হ্যান্ডসেট উৎপাদকদের।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী পলক সেমিনারে উপস্থিত ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের উদ্দেশে বলেন, ‘অবৈধ মোবাইল ফোন আমরা বন্ধ করব না। কিন্তু অবৈধ হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ করতে হবে। আমি গোয়েন্দাপ্রধানকে (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ বা ডিবি) বলব, যেন বাজারে থাকা অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এদিকে আমাদের নজর আছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে মোবাইল আনা হচ্ছে। রাজধানীর মোতালেব প্লাজা, গুলিস্তান পাতাল মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কসহ নামীদামি মার্কেটে দেদার বিক্রি হচ্ছে কর ফাঁকির ফোন। যার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদনকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব কাজ হচ্ছে। আমরা সেসব জায়গাও অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হচ্ছি। ইন্ডিয়াতে খুন করলেও আমরা ধরে ফেলি। ওমানে অপরাধ করলেও ধরে আনি।’
সেমিনারে জানানো হয়, হ্যান্ডসেট সংযোজনে বর্তমানে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান। ১৬ হাজার কোটি টাকার হ্যান্ডসেটের বাজারের প্রায় ৪০ শতাংশ লাগেজ-ব্যাগেজে আনা অবৈধ মোবাইল ফোনের দখলে। এতে বছরে ১ হাজার কোটি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। টিকতে না পেরে স্মার্ট ও ফিচার ফোন মিলিয়ে উৎপাদন সক্ষমতার ৩০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকছে।
দেশের টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) আয়োজনে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা–অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচ এম সফিকুজ্জামান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আইএমইআইয়ের পুরো অর্থ হলো, দ্য ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল স্টেশন ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি। প্রতিটা মোবাইল ফোনেই ১৫ ডিজিটের একটি ইউনিক নম্বর থাকে। বিশ্বের যেকোনো ফোনকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয় এই নম্বর। ফোন ছাড়াও টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকে এ রকম ডিভাইস যেমন পিসিএমসিআইএ ওয়্যারলেস ইন্টারনেট কার্ড ব্যবহার করা থ্রিজি/ফোরজি ট্যাবলেট, ল্যাপটপেও থাকে এই নম্বরটি।
আরও খবর পড়ুন:
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদকে অবৈধ মোবাইল ফোনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে বলেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে ‘দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’—শীর্ষক সেমিনারে এ নির্দেশ দেন তিনি।
সেমিনারে মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে একই আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) নম্বর দিয়ে দেড় লাখের বেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট চলছে। নামীদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে অবৈধ মোবাইল ফোন। দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদকেরা জানান, অবৈধভাবে কর ফাঁকি দিয়ে লাগেজ-ব্যাগেজে আনা মোবাইল ফোনের বাজারজাত বন্ধ না হলে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হবে হ্যান্ডসেট উৎপাদকদের।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী পলক সেমিনারে উপস্থিত ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের উদ্দেশে বলেন, ‘অবৈধ মোবাইল ফোন আমরা বন্ধ করব না। কিন্তু অবৈধ হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ করতে হবে। আমি গোয়েন্দাপ্রধানকে (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ বা ডিবি) বলব, যেন বাজারে থাকা অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এদিকে আমাদের নজর আছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে মোবাইল আনা হচ্ছে। রাজধানীর মোতালেব প্লাজা, গুলিস্তান পাতাল মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কসহ নামীদামি মার্কেটে দেদার বিক্রি হচ্ছে কর ফাঁকির ফোন। যার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদনকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব কাজ হচ্ছে। আমরা সেসব জায়গাও অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হচ্ছি। ইন্ডিয়াতে খুন করলেও আমরা ধরে ফেলি। ওমানে অপরাধ করলেও ধরে আনি।’
সেমিনারে জানানো হয়, হ্যান্ডসেট সংযোজনে বর্তমানে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান। ১৬ হাজার কোটি টাকার হ্যান্ডসেটের বাজারের প্রায় ৪০ শতাংশ লাগেজ-ব্যাগেজে আনা অবৈধ মোবাইল ফোনের দখলে। এতে বছরে ১ হাজার কোটি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। টিকতে না পেরে স্মার্ট ও ফিচার ফোন মিলিয়ে উৎপাদন সক্ষমতার ৩০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকছে।
দেশের টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) আয়োজনে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা–অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচ এম সফিকুজ্জামান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আইএমইআইয়ের পুরো অর্থ হলো, দ্য ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল স্টেশন ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি। প্রতিটা মোবাইল ফোনেই ১৫ ডিজিটের একটি ইউনিক নম্বর থাকে। বিশ্বের যেকোনো ফোনকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয় এই নম্বর। ফোন ছাড়াও টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকে এ রকম ডিভাইস যেমন পিসিএমসিআইএ ওয়্যারলেস ইন্টারনেট কার্ড ব্যবহার করা থ্রিজি/ফোরজি ট্যাবলেট, ল্যাপটপেও থাকে এই নম্বরটি।
আরও খবর পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল ১০ বছরের বিষয়ে জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল একমত হলেও বিএনপিসহ তিনটি দল দ্বিমত পোষণ করেছ বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের পঞ্চম দিনের মুলতবি শেষে
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৯ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই দি
৫ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি।’
৭ ঘণ্টা আগে