মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের অনেকের ব্যাপক আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প নিয়েছিল তৎকালীন কে এম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সেই নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। ইভিএম কোথায় রাখা হবে, প্রকল্পে তা ছিল না। এ কারণে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) ওয়্যারহাউসের (গুদাম) বকেয়া ভাড়ার টাকাও দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইভিএম বুঝে নিয়ে ওয়্যারহাউস খালি করতে ইসিকে চিঠি দিয়েছে সেনাবাহিনী পরিচালিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ।
এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর পরও প্রকল্পটির সময় শেষ হয়ে গেছে গত ৩০ জুন। অব্যবহৃত রয়ে গেছে প্রকল্পের ১১৬ কোটি টাকা, যা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বিএমটিএফের দাবি, ভাড়া বাবদ ইসির কাছে তারা ৬০ কোটি টাকা পায়। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং প্রকল্প পরিচালক বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্পটি নেওয়ায় রাষ্ট্রের বিপুল অঙ্কের অর্থ কার্যকর ব্যবহার হয়নি।
বিএমটিএফ ওয়্যারহাউস খালি করতে বললেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের পদ শূন্য থাকায় ইসি সচিবালয় কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরেকবার বাড়াতে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয়বার পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন ইসি সচিব শফিউল আজিম। প্রসঙ্গত, বর্ধিত মেয়াদ শেষের চার দিন আগে গত ২৬ জুনও একই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল ইসি।
ইভিএম প্রকল্প নিয়ে কথা হলে সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টা শেষ করতে চাচ্ছি। আমাকে প্রকল্পটি বুঝে নিতে হবে। এ কথাগুলোই আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। বিএমটিএফের গুদামের ভাড়ার বিষয়টি সেটেল (ফয়সালা) করতে হবে। আমি দেব কীভাবে?’
বকেয়া ভাড়ার জন্য তাগাদা এবং ওয়্যারহাউস খালি করার চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন শফিউল আজিম।
তিনি জানান, পরিকল্পনা কমিশনে লেখা চিঠিতে তাঁরা ব্যয় না বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর জন্য বলেছেন। এখন এটি সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়।
সচিব বলেন, ইসির নিজস্ব ওয়্যারহাউস থাকলে সেখানে ইভিএমগুলো রাখা যেত। তিনি বলেন, ইসির ১০ অঞ্চলের ডিসিদের ওয়্যারহাউসের জায়গা বরাদ্দের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এগুলো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
প্রকল্পের আওতায় কেনা দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৮৬ হাজার ৫৭৮টি বিএমটিএফে, ৬২ হাজার ৭৬৩টি ইসির মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ে এবং ৬৫৯টি নির্বাচন ভবনের কাস্টমাইজ সেন্টারে সংরক্ষিত আছে। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএমগুলো সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকল্প দপ্তরকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ না থাকায় এগুলো বুঝে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিছু অডিট আপত্তিও রয়েছে, যা প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই নিষ্পন্ন করা প্রয়োজন ছিল। কিছু ইভিএম নষ্ট অবস্থায় রয়েছে, যা মেরামতযোগ্য। কিছু ইভিএম একেবারে অচল। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন না থাকায় ইভিএমগুলোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
ইভিএমের সোর্স কোড ক্রেডেনশিয়াল সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর সামগ্রী বুঝে নেওয়ার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী কর্তৃক ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। প্রকল্পের আওতায় অনিয়মিত শ্রমিক মজুরি বাবদ কিছু বিল পরিশোধ বাকি রয়েছে। কর্মকর্তারা এসব কারণে ব্যয় না বাড়িয়ে হলেও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে বলছেন। তাঁরা এ-ও বলছেন, প্রয়োজনে প্রকল্পের খরচ না হওয়া আনুমানিক ১১৬ কোটি টাকায় বাড়তি মেয়াদের ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে।
গুদামের ভাড়া বাবদ ৬০ কোটি টাকা বকেয়া হওয়ার কথা নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ইভিএম প্রকল্পটি পরিকল্পিতভাবে নেওয়া হয়নি। যদি অল্প সময়ের মধ্যে নেওয়া হয়েও থাকে, পরে অনেক সময় ছিল তা ঠিক করার। আগের ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রকল্প শেষ করে দেবেন বললেও এর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরে বর্তমান সচিব এসে ব্যয় না বাড়িয়ে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। সাবেক সরকারের পক্ষ থেকে মেয়াদ বাড়ানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, আগামীতে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি না, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনবিষয়ক সংস্কার কমিশন থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি। তবে সুষ্ঠু, কারচুপিমুক্তভাবে দেশের প্রত্যেক মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইভিএমের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। সোর্স কোড দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই প্রকল্প ইসিকে বুঝিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ইভিএমের অবস্থা এবং প্রকল্পের ভবিষ্যৎ
প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ‘গত জুন পর্যন্ত যে নির্বাচন হয়েছে, তখনকার হিসাবে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মেশিন ওয়ার্কিং কন্ডিশনে (কার্যোপযোগী) ছিল। ২০-৩০ হাজার ব্যবহারের অনুপযোগী, যেগুলো আর ঠিক করা যাবে না। আর বাকিগুলোর বেশির ভাগের টাইমারে সমস্যা, সেগুলোর সমাধান আমরা পেয়েছি। এ ছাড়া ব্যালট ইউনিটের সমস্যার বিষয়ে বিএমটিএফকে জিজ্ঞেস করতে হবে, মেরামতের খরচ কী রকম আসে।’
প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়ানো হলে রাষ্ট্রের টাকা একপ্রকার গচ্চা গেল মনে করেন কি না, এ প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘এই টাকা তো আর কোনো কিছুতে কার্যকরভাবে লাগেনি। এতে আসলে সেই অর্থে কোনো উপকার পাওয়া যায়নি।’
কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান আরও বলেন, প্রায় চার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি পরিকল্পনার পর ঠিকঠাক করে রাখার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত কেউই দেয়নি। এটি নিয়ে কারও কোনো উৎসাহ নেই, কেউ জানতে চায় না।
তাহলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ হবে কি না, এটি জানতে চাইলে রাকিবুল হাসান বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ালে যদি এক-দেড় মাসের মধ্যে টাকা দেয়, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু এগুলো আমলাতান্ত্রিক বিষয়। চিঠি যাবে, অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে টাকা আসবে, টাকা কবে দেবে—এসব করতে করতে আরও লম্বা সময় লাগবে। আমার মনে হয় কোনো লাভ নেই।’
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা লাগবে বলে বিএমটিএফ জানিয়েছে।
ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভাবনা কী অথবা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সচিব শফিউল আজিম বলেন, ‘আমাদের এখনকার ভাবনা হচ্ছে প্রকল্পটি বুঝে নেওয়া। একটি প্রকল্প শেষ হলে তা বুঝে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। নতুন কমিশন এলেও কমপক্ষে ছয় মাস লাগবে এটি বুঝে নিতে। যন্ত্রগুলো রাখবে, না ফেলে দেবে; তা সরকার বা কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আপাতত আমরা শুধু প্রকল্পটা বুঝে নিতে চাচ্ছি।’

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের অনেকের ব্যাপক আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প নিয়েছিল তৎকালীন কে এম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সেই নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। ইভিএম কোথায় রাখা হবে, প্রকল্পে তা ছিল না। এ কারণে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) ওয়্যারহাউসের (গুদাম) বকেয়া ভাড়ার টাকাও দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইভিএম বুঝে নিয়ে ওয়্যারহাউস খালি করতে ইসিকে চিঠি দিয়েছে সেনাবাহিনী পরিচালিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ।
এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর পরও প্রকল্পটির সময় শেষ হয়ে গেছে গত ৩০ জুন। অব্যবহৃত রয়ে গেছে প্রকল্পের ১১৬ কোটি টাকা, যা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বিএমটিএফের দাবি, ভাড়া বাবদ ইসির কাছে তারা ৬০ কোটি টাকা পায়। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং প্রকল্প পরিচালক বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্পটি নেওয়ায় রাষ্ট্রের বিপুল অঙ্কের অর্থ কার্যকর ব্যবহার হয়নি।
বিএমটিএফ ওয়্যারহাউস খালি করতে বললেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের পদ শূন্য থাকায় ইসি সচিবালয় কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরেকবার বাড়াতে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয়বার পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন ইসি সচিব শফিউল আজিম। প্রসঙ্গত, বর্ধিত মেয়াদ শেষের চার দিন আগে গত ২৬ জুনও একই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল ইসি।
ইভিএম প্রকল্প নিয়ে কথা হলে সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টা শেষ করতে চাচ্ছি। আমাকে প্রকল্পটি বুঝে নিতে হবে। এ কথাগুলোই আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। বিএমটিএফের গুদামের ভাড়ার বিষয়টি সেটেল (ফয়সালা) করতে হবে। আমি দেব কীভাবে?’
বকেয়া ভাড়ার জন্য তাগাদা এবং ওয়্যারহাউস খালি করার চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন শফিউল আজিম।
তিনি জানান, পরিকল্পনা কমিশনে লেখা চিঠিতে তাঁরা ব্যয় না বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর জন্য বলেছেন। এখন এটি সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়।
সচিব বলেন, ইসির নিজস্ব ওয়্যারহাউস থাকলে সেখানে ইভিএমগুলো রাখা যেত। তিনি বলেন, ইসির ১০ অঞ্চলের ডিসিদের ওয়্যারহাউসের জায়গা বরাদ্দের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এগুলো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
প্রকল্পের আওতায় কেনা দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৮৬ হাজার ৫৭৮টি বিএমটিএফে, ৬২ হাজার ৭৬৩টি ইসির মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ে এবং ৬৫৯টি নির্বাচন ভবনের কাস্টমাইজ সেন্টারে সংরক্ষিত আছে। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএমগুলো সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকল্প দপ্তরকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ না থাকায় এগুলো বুঝে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিছু অডিট আপত্তিও রয়েছে, যা প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই নিষ্পন্ন করা প্রয়োজন ছিল। কিছু ইভিএম নষ্ট অবস্থায় রয়েছে, যা মেরামতযোগ্য। কিছু ইভিএম একেবারে অচল। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন না থাকায় ইভিএমগুলোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
ইভিএমের সোর্স কোড ক্রেডেনশিয়াল সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর সামগ্রী বুঝে নেওয়ার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী কর্তৃক ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। প্রকল্পের আওতায় অনিয়মিত শ্রমিক মজুরি বাবদ কিছু বিল পরিশোধ বাকি রয়েছে। কর্মকর্তারা এসব কারণে ব্যয় না বাড়িয়ে হলেও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে বলছেন। তাঁরা এ-ও বলছেন, প্রয়োজনে প্রকল্পের খরচ না হওয়া আনুমানিক ১১৬ কোটি টাকায় বাড়তি মেয়াদের ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে।
গুদামের ভাড়া বাবদ ৬০ কোটি টাকা বকেয়া হওয়ার কথা নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ইভিএম প্রকল্পটি পরিকল্পিতভাবে নেওয়া হয়নি। যদি অল্প সময়ের মধ্যে নেওয়া হয়েও থাকে, পরে অনেক সময় ছিল তা ঠিক করার। আগের ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রকল্প শেষ করে দেবেন বললেও এর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরে বর্তমান সচিব এসে ব্যয় না বাড়িয়ে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। সাবেক সরকারের পক্ষ থেকে মেয়াদ বাড়ানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, আগামীতে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি না, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনবিষয়ক সংস্কার কমিশন থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি। তবে সুষ্ঠু, কারচুপিমুক্তভাবে দেশের প্রত্যেক মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইভিএমের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। সোর্স কোড দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই প্রকল্প ইসিকে বুঝিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ইভিএমের অবস্থা এবং প্রকল্পের ভবিষ্যৎ
প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ‘গত জুন পর্যন্ত যে নির্বাচন হয়েছে, তখনকার হিসাবে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মেশিন ওয়ার্কিং কন্ডিশনে (কার্যোপযোগী) ছিল। ২০-৩০ হাজার ব্যবহারের অনুপযোগী, যেগুলো আর ঠিক করা যাবে না। আর বাকিগুলোর বেশির ভাগের টাইমারে সমস্যা, সেগুলোর সমাধান আমরা পেয়েছি। এ ছাড়া ব্যালট ইউনিটের সমস্যার বিষয়ে বিএমটিএফকে জিজ্ঞেস করতে হবে, মেরামতের খরচ কী রকম আসে।’
প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়ানো হলে রাষ্ট্রের টাকা একপ্রকার গচ্চা গেল মনে করেন কি না, এ প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘এই টাকা তো আর কোনো কিছুতে কার্যকরভাবে লাগেনি। এতে আসলে সেই অর্থে কোনো উপকার পাওয়া যায়নি।’
কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান আরও বলেন, প্রায় চার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি পরিকল্পনার পর ঠিকঠাক করে রাখার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত কেউই দেয়নি। এটি নিয়ে কারও কোনো উৎসাহ নেই, কেউ জানতে চায় না।
তাহলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ হবে কি না, এটি জানতে চাইলে রাকিবুল হাসান বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ালে যদি এক-দেড় মাসের মধ্যে টাকা দেয়, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু এগুলো আমলাতান্ত্রিক বিষয়। চিঠি যাবে, অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে টাকা আসবে, টাকা কবে দেবে—এসব করতে করতে আরও লম্বা সময় লাগবে। আমার মনে হয় কোনো লাভ নেই।’
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা লাগবে বলে বিএমটিএফ জানিয়েছে।
ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভাবনা কী অথবা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সচিব শফিউল আজিম বলেন, ‘আমাদের এখনকার ভাবনা হচ্ছে প্রকল্পটি বুঝে নেওয়া। একটি প্রকল্প শেষ হলে তা বুঝে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। নতুন কমিশন এলেও কমপক্ষে ছয় মাস লাগবে এটি বুঝে নিতে। যন্ত্রগুলো রাখবে, না ফেলে দেবে; তা সরকার বা কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আপাতত আমরা শুধু প্রকল্পটা বুঝে নিতে চাচ্ছি।’
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের অনেকের ব্যাপক আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প নিয়েছিল তৎকালীন কে এম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সেই নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। ইভিএম কোথায় রাখা হবে, প্রকল্পে তা ছিল না। এ কারণে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) ওয়্যারহাউসের (গুদাম) বকেয়া ভাড়ার টাকাও দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইভিএম বুঝে নিয়ে ওয়্যারহাউস খালি করতে ইসিকে চিঠি দিয়েছে সেনাবাহিনী পরিচালিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ।
এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর পরও প্রকল্পটির সময় শেষ হয়ে গেছে গত ৩০ জুন। অব্যবহৃত রয়ে গেছে প্রকল্পের ১১৬ কোটি টাকা, যা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বিএমটিএফের দাবি, ভাড়া বাবদ ইসির কাছে তারা ৬০ কোটি টাকা পায়। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং প্রকল্প পরিচালক বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্পটি নেওয়ায় রাষ্ট্রের বিপুল অঙ্কের অর্থ কার্যকর ব্যবহার হয়নি।
বিএমটিএফ ওয়্যারহাউস খালি করতে বললেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের পদ শূন্য থাকায় ইসি সচিবালয় কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরেকবার বাড়াতে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয়বার পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন ইসি সচিব শফিউল আজিম। প্রসঙ্গত, বর্ধিত মেয়াদ শেষের চার দিন আগে গত ২৬ জুনও একই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল ইসি।
ইভিএম প্রকল্প নিয়ে কথা হলে সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টা শেষ করতে চাচ্ছি। আমাকে প্রকল্পটি বুঝে নিতে হবে। এ কথাগুলোই আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। বিএমটিএফের গুদামের ভাড়ার বিষয়টি সেটেল (ফয়সালা) করতে হবে। আমি দেব কীভাবে?’
বকেয়া ভাড়ার জন্য তাগাদা এবং ওয়্যারহাউস খালি করার চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন শফিউল আজিম।
তিনি জানান, পরিকল্পনা কমিশনে লেখা চিঠিতে তাঁরা ব্যয় না বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর জন্য বলেছেন। এখন এটি সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়।
সচিব বলেন, ইসির নিজস্ব ওয়্যারহাউস থাকলে সেখানে ইভিএমগুলো রাখা যেত। তিনি বলেন, ইসির ১০ অঞ্চলের ডিসিদের ওয়্যারহাউসের জায়গা বরাদ্দের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এগুলো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
প্রকল্পের আওতায় কেনা দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৮৬ হাজার ৫৭৮টি বিএমটিএফে, ৬২ হাজার ৭৬৩টি ইসির মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ে এবং ৬৫৯টি নির্বাচন ভবনের কাস্টমাইজ সেন্টারে সংরক্ষিত আছে। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএমগুলো সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকল্প দপ্তরকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ না থাকায় এগুলো বুঝে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিছু অডিট আপত্তিও রয়েছে, যা প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই নিষ্পন্ন করা প্রয়োজন ছিল। কিছু ইভিএম নষ্ট অবস্থায় রয়েছে, যা মেরামতযোগ্য। কিছু ইভিএম একেবারে অচল। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন না থাকায় ইভিএমগুলোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
ইভিএমের সোর্স কোড ক্রেডেনশিয়াল সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর সামগ্রী বুঝে নেওয়ার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী কর্তৃক ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। প্রকল্পের আওতায় অনিয়মিত শ্রমিক মজুরি বাবদ কিছু বিল পরিশোধ বাকি রয়েছে। কর্মকর্তারা এসব কারণে ব্যয় না বাড়িয়ে হলেও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে বলছেন। তাঁরা এ-ও বলছেন, প্রয়োজনে প্রকল্পের খরচ না হওয়া আনুমানিক ১১৬ কোটি টাকায় বাড়তি মেয়াদের ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে।
গুদামের ভাড়া বাবদ ৬০ কোটি টাকা বকেয়া হওয়ার কথা নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ইভিএম প্রকল্পটি পরিকল্পিতভাবে নেওয়া হয়নি। যদি অল্প সময়ের মধ্যে নেওয়া হয়েও থাকে, পরে অনেক সময় ছিল তা ঠিক করার। আগের ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রকল্প শেষ করে দেবেন বললেও এর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরে বর্তমান সচিব এসে ব্যয় না বাড়িয়ে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। সাবেক সরকারের পক্ষ থেকে মেয়াদ বাড়ানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, আগামীতে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি না, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনবিষয়ক সংস্কার কমিশন থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি। তবে সুষ্ঠু, কারচুপিমুক্তভাবে দেশের প্রত্যেক মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইভিএমের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। সোর্স কোড দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই প্রকল্প ইসিকে বুঝিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ইভিএমের অবস্থা এবং প্রকল্পের ভবিষ্যৎ
প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ‘গত জুন পর্যন্ত যে নির্বাচন হয়েছে, তখনকার হিসাবে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মেশিন ওয়ার্কিং কন্ডিশনে (কার্যোপযোগী) ছিল। ২০-৩০ হাজার ব্যবহারের অনুপযোগী, যেগুলো আর ঠিক করা যাবে না। আর বাকিগুলোর বেশির ভাগের টাইমারে সমস্যা, সেগুলোর সমাধান আমরা পেয়েছি। এ ছাড়া ব্যালট ইউনিটের সমস্যার বিষয়ে বিএমটিএফকে জিজ্ঞেস করতে হবে, মেরামতের খরচ কী রকম আসে।’
প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়ানো হলে রাষ্ট্রের টাকা একপ্রকার গচ্চা গেল মনে করেন কি না, এ প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘এই টাকা তো আর কোনো কিছুতে কার্যকরভাবে লাগেনি। এতে আসলে সেই অর্থে কোনো উপকার পাওয়া যায়নি।’
কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান আরও বলেন, প্রায় চার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি পরিকল্পনার পর ঠিকঠাক করে রাখার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত কেউই দেয়নি। এটি নিয়ে কারও কোনো উৎসাহ নেই, কেউ জানতে চায় না।
তাহলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ হবে কি না, এটি জানতে চাইলে রাকিবুল হাসান বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ালে যদি এক-দেড় মাসের মধ্যে টাকা দেয়, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু এগুলো আমলাতান্ত্রিক বিষয়। চিঠি যাবে, অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে টাকা আসবে, টাকা কবে দেবে—এসব করতে করতে আরও লম্বা সময় লাগবে। আমার মনে হয় কোনো লাভ নেই।’
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা লাগবে বলে বিএমটিএফ জানিয়েছে।
ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভাবনা কী অথবা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সচিব শফিউল আজিম বলেন, ‘আমাদের এখনকার ভাবনা হচ্ছে প্রকল্পটি বুঝে নেওয়া। একটি প্রকল্প শেষ হলে তা বুঝে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। নতুন কমিশন এলেও কমপক্ষে ছয় মাস লাগবে এটি বুঝে নিতে। যন্ত্রগুলো রাখবে, না ফেলে দেবে; তা সরকার বা কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আপাতত আমরা শুধু প্রকল্পটা বুঝে নিতে চাচ্ছি।’

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের অনেকের ব্যাপক আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প নিয়েছিল তৎকালীন কে এম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সেই নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। ইভিএম কোথায় রাখা হবে, প্রকল্পে তা ছিল না। এ কারণে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) ওয়্যারহাউসের (গুদাম) বকেয়া ভাড়ার টাকাও দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইভিএম বুঝে নিয়ে ওয়্যারহাউস খালি করতে ইসিকে চিঠি দিয়েছে সেনাবাহিনী পরিচালিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ।
এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর পরও প্রকল্পটির সময় শেষ হয়ে গেছে গত ৩০ জুন। অব্যবহৃত রয়ে গেছে প্রকল্পের ১১৬ কোটি টাকা, যা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বিএমটিএফের দাবি, ভাড়া বাবদ ইসির কাছে তারা ৬০ কোটি টাকা পায়। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং প্রকল্প পরিচালক বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্পটি নেওয়ায় রাষ্ট্রের বিপুল অঙ্কের অর্থ কার্যকর ব্যবহার হয়নি।
বিএমটিএফ ওয়্যারহাউস খালি করতে বললেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের পদ শূন্য থাকায় ইসি সচিবালয় কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরেকবার বাড়াতে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয়বার পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন ইসি সচিব শফিউল আজিম। প্রসঙ্গত, বর্ধিত মেয়াদ শেষের চার দিন আগে গত ২৬ জুনও একই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল ইসি।
ইভিএম প্রকল্প নিয়ে কথা হলে সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টা শেষ করতে চাচ্ছি। আমাকে প্রকল্পটি বুঝে নিতে হবে। এ কথাগুলোই আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। বিএমটিএফের গুদামের ভাড়ার বিষয়টি সেটেল (ফয়সালা) করতে হবে। আমি দেব কীভাবে?’
বকেয়া ভাড়ার জন্য তাগাদা এবং ওয়্যারহাউস খালি করার চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন শফিউল আজিম।
তিনি জানান, পরিকল্পনা কমিশনে লেখা চিঠিতে তাঁরা ব্যয় না বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর জন্য বলেছেন। এখন এটি সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়।
সচিব বলেন, ইসির নিজস্ব ওয়্যারহাউস থাকলে সেখানে ইভিএমগুলো রাখা যেত। তিনি বলেন, ইসির ১০ অঞ্চলের ডিসিদের ওয়্যারহাউসের জায়গা বরাদ্দের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এগুলো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
প্রকল্পের আওতায় কেনা দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৮৬ হাজার ৫৭৮টি বিএমটিএফে, ৬২ হাজার ৭৬৩টি ইসির মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ে এবং ৬৫৯টি নির্বাচন ভবনের কাস্টমাইজ সেন্টারে সংরক্ষিত আছে। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএমগুলো সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকল্প দপ্তরকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ না থাকায় এগুলো বুঝে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিছু অডিট আপত্তিও রয়েছে, যা প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই নিষ্পন্ন করা প্রয়োজন ছিল। কিছু ইভিএম নষ্ট অবস্থায় রয়েছে, যা মেরামতযোগ্য। কিছু ইভিএম একেবারে অচল। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন না থাকায় ইভিএমগুলোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
ইভিএমের সোর্স কোড ক্রেডেনশিয়াল সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর সামগ্রী বুঝে নেওয়ার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী কর্তৃক ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। প্রকল্পের আওতায় অনিয়মিত শ্রমিক মজুরি বাবদ কিছু বিল পরিশোধ বাকি রয়েছে। কর্মকর্তারা এসব কারণে ব্যয় না বাড়িয়ে হলেও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে বলছেন। তাঁরা এ-ও বলছেন, প্রয়োজনে প্রকল্পের খরচ না হওয়া আনুমানিক ১১৬ কোটি টাকায় বাড়তি মেয়াদের ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে।
গুদামের ভাড়া বাবদ ৬০ কোটি টাকা বকেয়া হওয়ার কথা নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ইভিএম প্রকল্পটি পরিকল্পিতভাবে নেওয়া হয়নি। যদি অল্প সময়ের মধ্যে নেওয়া হয়েও থাকে, পরে অনেক সময় ছিল তা ঠিক করার। আগের ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রকল্প শেষ করে দেবেন বললেও এর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরে বর্তমান সচিব এসে ব্যয় না বাড়িয়ে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। সাবেক সরকারের পক্ষ থেকে মেয়াদ বাড়ানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, আগামীতে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি না, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনবিষয়ক সংস্কার কমিশন থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি। তবে সুষ্ঠু, কারচুপিমুক্তভাবে দেশের প্রত্যেক মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইভিএমের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। সোর্স কোড দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই প্রকল্প ইসিকে বুঝিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ইভিএমের অবস্থা এবং প্রকল্পের ভবিষ্যৎ
প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ‘গত জুন পর্যন্ত যে নির্বাচন হয়েছে, তখনকার হিসাবে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মেশিন ওয়ার্কিং কন্ডিশনে (কার্যোপযোগী) ছিল। ২০-৩০ হাজার ব্যবহারের অনুপযোগী, যেগুলো আর ঠিক করা যাবে না। আর বাকিগুলোর বেশির ভাগের টাইমারে সমস্যা, সেগুলোর সমাধান আমরা পেয়েছি। এ ছাড়া ব্যালট ইউনিটের সমস্যার বিষয়ে বিএমটিএফকে জিজ্ঞেস করতে হবে, মেরামতের খরচ কী রকম আসে।’
প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়ানো হলে রাষ্ট্রের টাকা একপ্রকার গচ্চা গেল মনে করেন কি না, এ প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘এই টাকা তো আর কোনো কিছুতে কার্যকরভাবে লাগেনি। এতে আসলে সেই অর্থে কোনো উপকার পাওয়া যায়নি।’
কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান আরও বলেন, প্রায় চার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি পরিকল্পনার পর ঠিকঠাক করে রাখার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত কেউই দেয়নি। এটি নিয়ে কারও কোনো উৎসাহ নেই, কেউ জানতে চায় না।
তাহলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ হবে কি না, এটি জানতে চাইলে রাকিবুল হাসান বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ালে যদি এক-দেড় মাসের মধ্যে টাকা দেয়, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু এগুলো আমলাতান্ত্রিক বিষয়। চিঠি যাবে, অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে টাকা আসবে, টাকা কবে দেবে—এসব করতে করতে আরও লম্বা সময় লাগবে। আমার মনে হয় কোনো লাভ নেই।’
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা লাগবে বলে বিএমটিএফ জানিয়েছে।
ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভাবনা কী অথবা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সচিব শফিউল আজিম বলেন, ‘আমাদের এখনকার ভাবনা হচ্ছে প্রকল্পটি বুঝে নেওয়া। একটি প্রকল্প শেষ হলে তা বুঝে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। নতুন কমিশন এলেও কমপক্ষে ছয় মাস লাগবে এটি বুঝে নিতে। যন্ত্রগুলো রাখবে, না ফেলে দেবে; তা সরকার বা কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আপাতত আমরা শুধু প্রকল্পটা বুঝে নিতে চাচ্ছি।’

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৬ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৭ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের অনেকের ব্যাপক আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)
১৪ নভেম্বর ২০২৪
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৬ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের অনেকের ব্যাপক আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)
১৪ নভেম্বর ২০২৪
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৬ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের অনেকের ব্যাপক আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)
১৪ নভেম্বর ২০২৪
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের অনেকের ব্যাপক আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)
১৪ নভেম্বর ২০২৪
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৬ ঘণ্টা আগে