নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভাগ্য ফেরার আশায় বিদেশে পাড়ি দিয়ে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হচ্ছে নারী কর্মীদের। দেশে ফেরা এই নারীদের ২৩ শতাংশই এক বছরের কম সময় বিদেশে অবস্থান করেছেন। আর ১৮ শতাংশ নারী এক বছরের সামান্য বেশি সময় থেকেছেন। এ ছাড়া দেশে ফেরা এই নারী কর্মীদের ৬০ শতাংশই থাকছেন বেকার।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিল্স) ‘দেশে ফিরে আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিল্স সেমিনার হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। চট্টগ্রাম, যশোর এবং ফরিদপুরের ৩২৩ জন প্রত্যাবাসী অভিবাসী নারী কর্মীর ওপর জরিপ চালিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিলস।
তবে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাকিল আখতার চৌধুরী জানিয়েছেন, কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমাকে ভিত্তি ধরে এই গবেষণাটি করা হয়নি। যে ৩২৩ জনের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে তাঁদের কেউ কেউ ১০ বছর আগে দেশে ফিরেছেন, কেউ ফিরেছেন দুই বছর আগে।
বিল্সের গবেষণায় দেখা যায়, দেশে ফেরত আসা প্রতি ৩ জন নারী শ্রমিকের মধ্যে ১ জনের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। ৮৫ শতাংশ বর্তমান কাজ নিয়ে হতাশ এবং ৫৭ শতাংশ তাঁদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে চিন্তিত।
জরিপে অংশ নেওয়া ৫২ শতাংশ জানিয়েছেন তাঁরা বিদেশে জবরদস্তিমূলক শ্রমের শিকার হয়েছেন। ৬১ শতাংশ খাদ্য ও পানির অভাবে ভুগেছেন। ৭ শতাংশ যৌন এবং ৩৮ শতাংশ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বিদেশ ফেরত নারী কর্মীদের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ কর্মীর নিয়মিত মাসিক কোনো আয় নেই। ৬১ শতাংশ এখনো ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন। ৭৫ শতাংশের কোনো সঞ্চয় নেই। আর ৭৩ শতাংশ পরিবারের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন।
বিদেশ ফেরত নারী কর্মীদের শারীরিক স্বাস্থ্যের অবস্থাও নাজুক। ৫৫ শতাংশ অসুস্থ, ২৯ শতাংশের মানসিক অসুস্থতা রয়েছে এবং ৮৭ শতাংশ কর্মী মানসিক অসুস্থতার কোনো চিকিৎসা পাননি।
বিল্সের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদেশ ফেরত নারী কর্মীরা সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। পরিবারেও বৈরী এবং অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছেন। ৩৮ শতাংশ নারী কর্মী বলছেন, সমাজে তাঁদের নিচু শ্রেণির চরিত্রহীন নারী বলে গণ্য করা হয়।
তবে এর মধ্যে কিছু নারী অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা ভালো পরিবেশে কাজ করেন, ভালো রেমিট্যান্স আয় করেছেন এবং ভালো সঞ্চয় রয়েছে। তাঁদের এখন নিয়মিত আয়ের উৎস রয়েছে। তাঁরা শারীরিক এবং মানসিকভাবেও সুস্থ।
বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিকদের উন্নয়নে বিলস্-এর গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-প্রত্যাবাসী নারী কর্মীদের জন্য উপযুক্ত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা; উপযুক্ত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দেওয়া; সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের পাশাপাশি উপযুক্ত বাণিজ্যিক পরামর্শ দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিল্স গবেষণা বিভাগের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিলস্ নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাকিল আখতার চৌধুরী, আব্দুল ওয়াহেদ এবং পূলক রঞ্জন ধর, বিল্স পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন, উপপরিচালক এমএ মজিদ প্রমুখ।
ভাগ্য ফেরার আশায় বিদেশে পাড়ি দিয়ে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হচ্ছে নারী কর্মীদের। দেশে ফেরা এই নারীদের ২৩ শতাংশই এক বছরের কম সময় বিদেশে অবস্থান করেছেন। আর ১৮ শতাংশ নারী এক বছরের সামান্য বেশি সময় থেকেছেন। এ ছাড়া দেশে ফেরা এই নারী কর্মীদের ৬০ শতাংশই থাকছেন বেকার।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিল্স) ‘দেশে ফিরে আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিল্স সেমিনার হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। চট্টগ্রাম, যশোর এবং ফরিদপুরের ৩২৩ জন প্রত্যাবাসী অভিবাসী নারী কর্মীর ওপর জরিপ চালিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিলস।
তবে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাকিল আখতার চৌধুরী জানিয়েছেন, কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমাকে ভিত্তি ধরে এই গবেষণাটি করা হয়নি। যে ৩২৩ জনের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে তাঁদের কেউ কেউ ১০ বছর আগে দেশে ফিরেছেন, কেউ ফিরেছেন দুই বছর আগে।
বিল্সের গবেষণায় দেখা যায়, দেশে ফেরত আসা প্রতি ৩ জন নারী শ্রমিকের মধ্যে ১ জনের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। ৮৫ শতাংশ বর্তমান কাজ নিয়ে হতাশ এবং ৫৭ শতাংশ তাঁদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে চিন্তিত।
জরিপে অংশ নেওয়া ৫২ শতাংশ জানিয়েছেন তাঁরা বিদেশে জবরদস্তিমূলক শ্রমের শিকার হয়েছেন। ৬১ শতাংশ খাদ্য ও পানির অভাবে ভুগেছেন। ৭ শতাংশ যৌন এবং ৩৮ শতাংশ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বিদেশ ফেরত নারী কর্মীদের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ কর্মীর নিয়মিত মাসিক কোনো আয় নেই। ৬১ শতাংশ এখনো ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন। ৭৫ শতাংশের কোনো সঞ্চয় নেই। আর ৭৩ শতাংশ পরিবারের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন।
বিদেশ ফেরত নারী কর্মীদের শারীরিক স্বাস্থ্যের অবস্থাও নাজুক। ৫৫ শতাংশ অসুস্থ, ২৯ শতাংশের মানসিক অসুস্থতা রয়েছে এবং ৮৭ শতাংশ কর্মী মানসিক অসুস্থতার কোনো চিকিৎসা পাননি।
বিল্সের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদেশ ফেরত নারী কর্মীরা সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। পরিবারেও বৈরী এবং অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছেন। ৩৮ শতাংশ নারী কর্মী বলছেন, সমাজে তাঁদের নিচু শ্রেণির চরিত্রহীন নারী বলে গণ্য করা হয়।
তবে এর মধ্যে কিছু নারী অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা ভালো পরিবেশে কাজ করেন, ভালো রেমিট্যান্স আয় করেছেন এবং ভালো সঞ্চয় রয়েছে। তাঁদের এখন নিয়মিত আয়ের উৎস রয়েছে। তাঁরা শারীরিক এবং মানসিকভাবেও সুস্থ।
বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিকদের উন্নয়নে বিলস্-এর গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-প্রত্যাবাসী নারী কর্মীদের জন্য উপযুক্ত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা; উপযুক্ত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দেওয়া; সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের পাশাপাশি উপযুক্ত বাণিজ্যিক পরামর্শ দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিল্স গবেষণা বিভাগের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিলস্ নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাকিল আখতার চৌধুরী, আব্দুল ওয়াহেদ এবং পূলক রঞ্জন ধর, বিল্স পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন, উপপরিচালক এমএ মজিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রশাসন বিভাগের উপপরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব আমজাদ হোসেনকে দুর্নীতি-অসদাচরণের অভিযোগে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মাধ্যমে ভোটের ট্রেন চালু করে দিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার রোডম্যাপ ঘোষণা করেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে রদবদল পদোন্নতির ঘটনা তত বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে সহকারী সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার ২৬৮ জন কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারী ব্যক্তিদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে এবার ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এই ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রধান থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম। এর আগে গতকাল প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারী ব্যক্তিদের পেশাগত দাবির...
৫ ঘণ্টা আগে