নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। দেশের টাকায় কানাডায় ‘বেগমপাড়া’ তৈরির বিষয়টি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও স্বীকার করেছেন। এতে আমলা ও রাজনীতিবিদেরা জড়িত বলেও জানান তিনি। অর্থ পাচারকারীর সঠিক তথ্য জানতে কমিশন গঠনের দাবি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে ‘ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য বিল, ২০২১’ উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে জনমত যাচাই ও বাছাইয়ের প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কানাডাসহ অনেক দেশে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ অনেকেই টাকা পাচার করছেন বলে অভিযোগ আছে। আন্তর্জাতিক অনেক প্রতিবেদনে এসেছে, বাংলাদেশ থেকে অনেক টাকা পাচার হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংসদে বারবার আমরা অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি তদন্ত করার জন্য।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এই অভিযোগ সত্য না মিথ্যা, আমরা জানি না। কিন্তু বদনাম হয়। আমলাদের বদনাম হয়, রাজনীতিবিদদের বদনাম হয়। একটা কমিশন করে তদন্ত করে একটা রিপোর্ট আসা উচিত। আসলেই টাকা পাচার হয় কিনা। হলে কে করে, কারা করে। দেশের আমলা, রাজনীতিবিদ—সবার স্বার্থে সমাধান হওয়া উচিত।’
একই বিষয়ে বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আজ সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত আছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে লিস্ট আছে আমলারা বেশি টাকা পাচার করে। এখন কারা পাচার করে, কী পাচার করে, কত পাচার করে—এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী যদি একটা পরিষ্কার তথ্য দেন, তাহলে এ রকম ঢালাও মন্তব্য থেকে আমরা রাজনীতিবিদেরা মুক্ত থাকতে পারি। যেসব আমলা সৎভাবে কাজ করেন, তাঁরাও মুক্ত থাকতে পারেন।’
বিএনপির সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, বড় বড় রাঘববোয়াল দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়ে পাচার করে। বড়লোকেরা চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে সাম্রাজ্য গড়েছে। কিন্তু গরিব মানুষ ঋণ পায় না। তারা ভোগান্তিতে পড়ে। তিনি বলেন, দেশের গরিব কৃষকেরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না। ব্যাংক থেকে একটা নোটিশ পাঠালে দশবার পুলিশ যায়। কিন্তু যারা ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে, এখান থেকে হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে টাকা পাচার করে বিদেশে নিয়ে গেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, কিন্তু সেটা আলোর মুখ দেখেনি।’
সংসদের আলোচনায় উঠে আসে ই-কমার্স কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গও। ই-কমার্সের নামে দেশে লুটপাট হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশিদ বলেন, হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। সেই তথ্যানুসারে ইভ্যালির ৩৬টি ব্যাংক হিসাব থেকে ৩ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে ই-কমার্সের নামে কয়েক শ প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলছেন, তাঁর দায় নাই। তাহলে কে দায় নেবে? ডিজিটাল আইন করবেন, কিন্তু তার মাধ্যমে যে টাকা পাচার হয়ে যায়, তাহলে ভোক্তারা যাবে কোথায়?’
বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। দেশের টাকায় কানাডায় ‘বেগমপাড়া’ তৈরির বিষয়টি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও স্বীকার করেছেন। এতে আমলা ও রাজনীতিবিদেরা জড়িত বলেও জানান তিনি। অর্থ পাচারকারীর সঠিক তথ্য জানতে কমিশন গঠনের দাবি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে ‘ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য বিল, ২০২১’ উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে জনমত যাচাই ও বাছাইয়ের প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কানাডাসহ অনেক দেশে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ অনেকেই টাকা পাচার করছেন বলে অভিযোগ আছে। আন্তর্জাতিক অনেক প্রতিবেদনে এসেছে, বাংলাদেশ থেকে অনেক টাকা পাচার হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংসদে বারবার আমরা অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি তদন্ত করার জন্য।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এই অভিযোগ সত্য না মিথ্যা, আমরা জানি না। কিন্তু বদনাম হয়। আমলাদের বদনাম হয়, রাজনীতিবিদদের বদনাম হয়। একটা কমিশন করে তদন্ত করে একটা রিপোর্ট আসা উচিত। আসলেই টাকা পাচার হয় কিনা। হলে কে করে, কারা করে। দেশের আমলা, রাজনীতিবিদ—সবার স্বার্থে সমাধান হওয়া উচিত।’
একই বিষয়ে বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আজ সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত আছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে লিস্ট আছে আমলারা বেশি টাকা পাচার করে। এখন কারা পাচার করে, কী পাচার করে, কত পাচার করে—এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী যদি একটা পরিষ্কার তথ্য দেন, তাহলে এ রকম ঢালাও মন্তব্য থেকে আমরা রাজনীতিবিদেরা মুক্ত থাকতে পারি। যেসব আমলা সৎভাবে কাজ করেন, তাঁরাও মুক্ত থাকতে পারেন।’
বিএনপির সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, বড় বড় রাঘববোয়াল দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়ে পাচার করে। বড়লোকেরা চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে সাম্রাজ্য গড়েছে। কিন্তু গরিব মানুষ ঋণ পায় না। তারা ভোগান্তিতে পড়ে। তিনি বলেন, দেশের গরিব কৃষকেরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না। ব্যাংক থেকে একটা নোটিশ পাঠালে দশবার পুলিশ যায়। কিন্তু যারা ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে, এখান থেকে হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে টাকা পাচার করে বিদেশে নিয়ে গেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, কিন্তু সেটা আলোর মুখ দেখেনি।’
সংসদের আলোচনায় উঠে আসে ই-কমার্স কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গও। ই-কমার্সের নামে দেশে লুটপাট হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশিদ বলেন, হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। সেই তথ্যানুসারে ইভ্যালির ৩৬টি ব্যাংক হিসাব থেকে ৩ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে ই-কমার্সের নামে কয়েক শ প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলছেন, তাঁর দায় নাই। তাহলে কে দায় নেবে? ডিজিটাল আইন করবেন, কিন্তু তার মাধ্যমে যে টাকা পাচার হয়ে যায়, তাহলে ভোক্তারা যাবে কোথায়?’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
৭ ঘণ্টা আগেশীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকার কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি। এসব যানের ভাড়া ঠিক করছেন পরিবহনের মালিকেরা। দূরপাল্লার এসি বাসে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ। এ অবস্থায় এসি বাস ও পণ্যবাহী যানের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জাতীয় সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতামত গ্রহণ এবং কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন শেষে দু-এক দিনের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত...
১৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
১৫ ঘণ্টা আগে