ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর পুলিশ প্রশাসনে সংস্কারের লক্ষ্যে কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সফর রাজ হোসেন।
গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশন প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বিস্তারিত পরিচিতি দেওয়া হয়নি।
এই ছয় জনের মধ্যে সফর রাজ হোসেন সম্পর্কে খুব কম তথ্য পাওয়া যায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, লিংকডইন প্রোফাইলসহ বিভিন্ন উৎস থেকে তাঁর পরিচয় তুলে ধরা হলো।
সফর রাজ হোসেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত সংস্থাপন (জনপ্রশাসন) সচিব এবং পরে ২০০৭ সাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭৭ সালের বিসিএস ব্যাচের এই কর্মকর্তা ২০০১ সালে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) কুমিল্লার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে সফর রাজ হোসেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ছিলেন।
সফর রাজ হোসেন মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করেছেন বগুড়া জিলা স্কুল থেকে। তিনি ১৯৭১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৩ সালে আইনে স্নাতক ডিগ্রি নেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে জনপ্রশাসন ও অর্থনীতির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইউএসএআইডির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১০ সালে তিনি ডেসকোর পরিচালক ছিলেন। তিনি সেন্টার ফর রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (সিআরডিএস) নামে একটি গবেষণা সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
বর্তমানে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন সফর রাজ হোসেন।
এ ছাড়া নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক দায়িত্ব পালন করবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এর আগে দায়িত্ব নেওয়ার ১৭ দিন পর গত ২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই ভাষণে দেশের সংকটকালে ছাত্রদের আহ্বানে দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা জানান ইউনূস।
আরও খবর পড়ুন:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর পুলিশ প্রশাসনে সংস্কারের লক্ষ্যে কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সফর রাজ হোসেন।
গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশন প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বিস্তারিত পরিচিতি দেওয়া হয়নি।
এই ছয় জনের মধ্যে সফর রাজ হোসেন সম্পর্কে খুব কম তথ্য পাওয়া যায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, লিংকডইন প্রোফাইলসহ বিভিন্ন উৎস থেকে তাঁর পরিচয় তুলে ধরা হলো।
সফর রাজ হোসেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত সংস্থাপন (জনপ্রশাসন) সচিব এবং পরে ২০০৭ সাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭৭ সালের বিসিএস ব্যাচের এই কর্মকর্তা ২০০১ সালে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) কুমিল্লার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে সফর রাজ হোসেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ছিলেন।
সফর রাজ হোসেন মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করেছেন বগুড়া জিলা স্কুল থেকে। তিনি ১৯৭১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৩ সালে আইনে স্নাতক ডিগ্রি নেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে জনপ্রশাসন ও অর্থনীতির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইউএসএআইডির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১০ সালে তিনি ডেসকোর পরিচালক ছিলেন। তিনি সেন্টার ফর রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (সিআরডিএস) নামে একটি গবেষণা সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
বর্তমানে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন সফর রাজ হোসেন।
এ ছাড়া নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক দায়িত্ব পালন করবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এর আগে দায়িত্ব নেওয়ার ১৭ দিন পর গত ২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই ভাষণে দেশের সংকটকালে ছাত্রদের আহ্বানে দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা জানান ইউনূস।
আরও খবর পড়ুন:
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৩৭ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে