অনিক হোসেন, ঢাকা

পাসপোর্ট করা নিয়ে অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ নিয়ে অনেকেই কী করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন। আবার এর নানা ধাপে দালালের খপ্পরে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে ২০২০ সালে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট চালুর পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। ই-পাসপোর্ট করতে কখনোই কোনো দালালের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে দালালের কিছুই করার নেই। তাই নিজের ও পরিবারের ই-পাসপোর্ট নিজেই করতে পারবেন।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) থেকে ই-পাসপোর্ট করা, আর নতুনভাবে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম একই। এমআরপি পাসপোর্ট থাকলে শুধু এর ডেটাগুলো সঠিকভাবে নতুন আবেদনে উল্লেখ করতে হয়। একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, ই-পাসপোর্ট করতে যে ডকুমেন্টগুলো লাগে, তা অবশ্যই আবেদনের আগেই সংগ্রহে রাখুন, যেন কোনো অবস্থাতেই আপনার আবেদন পূরণ করতে ঝামেলায় পড়তে না হয়।
কী কী ডকুমেন্ট লাগবে
ই-পাসপোর্টের জন্য এসব কাগজের কোনো কিছুই সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই। তবে যেদিন অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখে আপনারা পাসপোর্ট অফিসে যাবেন, সেদিন এসব কপির মূল সেটটি অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে।
বর্তমানে নিম্নলিখিত পাসপোর্ট অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে: ১। আগারগাঁও ২। যাত্রাবাড়ী ৩। উত্তরা ৪। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ৫। বাংলাদেশ সচিবালয় ৬। গাজীপুর ৭। মনছুরাবাদ ৮। ময়মনসিংহ ৯। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১০। গাইবান্ধা ১১। গোপালগঞ্জ ১২। মানিকগঞ্জ ১৩। নরসিংদী ১৪। নোয়াখালী ১৫। ফেনী ১৬। চান্দগাঁও ১৭। কুমিল্লা ১৮। মুন্সিগঞ্জ ১৯। সিলেট ২০। মৌলভীবাজার ২১। সুনামগঞ্জ ২২। হবিগঞ্জ ২৩। যশোর ২৪। খুলনা ২৫। কুষ্টিয়া ২৬। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৭। রাজশাহী ২৮। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৯। বগুড়া ৩০। রংপুর ৩১। দিনাজপুর ৩২। নওগাঁ ৩৩। জয়পুরহাট ৩৪। বরিশাল ৩৫। পটুয়াখালী ৩৬। পাবনা ৩৭। সিরাজগঞ্জ ৩৮। কিশোরগঞ্জ ৩৯। নাটোর ৪০। মাগুরা ৪১। নড়াইল ৪২। লক্ষ্মীপুর ৪৩। টাঙ্গাইল ৪৪। জামালপুর ৪৫। শেরপুর ৪৬। নেত্রকোনা ৪৭। মাদারীপুর ৪৮। ফরিদপুর ৪৯। রাজবাড়ী ৫০। ঝিনাইদহ ৫১। সাতক্ষীরা ৫২। বাগেরহাট ৫৩। ভোলা ৫৪। বরগুনা ৫৫। চুয়াডাঙ্গা ৫৬। ঝালকাঠি ৫৭। কুড়িগ্রাম ৫৮। লালমনিরহাট ৫৯। মেহেরপুর ৬০। নীলফামারী ৬১। পঞ্চগড় ৬২। পিরোজপুর ৬৩। শরীয়তপুর ৬৪। ঠাকুরগাঁও ৬৫। বান্দরবান ৬৬। চাঁদপুর ৬৭। কক্সবাজার ৬৮। খাগড়াছড়ি ৬৯। নারায়ণগঞ্জ ৭০। রাঙামাটি
অনলাইনে আবেদন করবেন যেভাবে
সবকিছু ঠিক থাকলে ‘Confirm and Submit’ বাটনে ক্লিক করুন। ব্যস, আপনার আবেদনের কাজ শেষ। এই পর্যায়ে আপনি কবে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি তুলবেন, আঙুলের ছাপ দেবেন, চোখের আইরিশ দিতে পারবেন, তার অ্যাপয়েন্টমেন্টের শিডিউল চাইবে। তখন সুবিধামতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন। আর এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিটের একটি কপি প্রিন্ট করে নিন। এবার আপনার আবেদনের তিন পাতার মূল কপিটি প্রিন্ট করে রাখুন।
নাম লেখার ব্যাপারে অনেকেই একটা সমস্যায় ভোগেন, যেমন কারও নাম যদি A.Z.M. ZUBAIDUR RAHMAN হয়, তবে তিনি Sur Name এর ক্ষেত্রে লিখবেন RAHMAN আর Given Name-এ লিখবেন AZM ZUBAIDUR। এখানে কোনো ডট বা ফোঁটা ব্যবহার করা যাবে না।
মনে রাখবেন, শিক্ষা সনদে আপনার নাম যেভাবেই লেখা থাকুক, তাতে কিছুই আসে-যায় না। আবেদনে নাম লিখবেন আপনার এনআইডি অনুযায়ী।
এবার নির্দিষ্ট ব্যাংকে আপনার পাসপোর্টের ফি জমা দিন। মনে রাখবেন, আপনার আবেদনে যেভাবে নাম লিখেছেন, ব্যাংকের জমার স্লিপেও নাম হুবহু একই যেন হয়। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পর ব্যাংক আপনাকে একটা স্লিপ দেবে, যেখানে একটা রেফারেন্স নম্বর থাকবে। এই রেফারেন্স নম্বর আপনার মূল আবেদনের তৃতীয় পাতায় নির্ধারিত জায়গায় নির্ভুলভাবে লিখুন। একই পাতার নিচে আপনি স্বাক্ষর ও তারিখ দিন।
এবার পর্যায়ক্রমে ওপর থেকে নিচের দিকে ব্যাংক জমার স্লিপ, অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, মূল আবেদনপত্র, নিজের এনআইডির কপি, পুরোনো পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে), (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) স্বামী বা স্ত্রীর এনআইডি কপি, কাবিননামার ফটোকপি একসঙ্গে করে একটি সেট বানিয়ে পিনআপ করে সংরক্ষণ করুন, আর নিশ্চিন্তে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিনের জন্য অপেক্ষা করুন।
দ্বিতীয় ধাপ: আগে থেকে নির্ধারণ করা তারিখে পাসপোর্ট অফিসে দেখা করবেন প্রিন্ট করা পত্রগুলো ও ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ নিয়ে। পরে বিভিন্নভাবে আবেদনপত্রগুলো ও জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করে পত্রগুলোর ওপর সিল দিয়ে একটি কক্ষে যেতে বলা হবে। সেখানে যাওয়ার পর ছবি তোলা হবে, হাতের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেওয়া হবে। পরে পাসপোর্ট ডেলিভারির একটি স্লিপ দেওয়া হবে। এরপর বাড়িতে পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে।
ব্যাংক ফি
ই-পাসপোর্টের নির্ধারিত ফি যেকোনো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
ফির হার
পাসপোর্টের পাতার সংখ্যা বিবেচনায় ফির রকমফের আছে—
৪৮ পাতা ৫ বছর মেয়াদ
১৫-২১ কার্যদিবসের মধ্যে সাধারণ ডেলিভারিতে ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা।
৭-১০ কার্যদিবসের মধ্যে জরুরি ডেলিভারিতে ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।
২ কার্যদিবসের মধ্যে অতি জরুরি ডেলিভারিতে ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা।
৪৮ পাতা ১০ বছর মেয়াদ
১৫-২১ কার্যদিবসের মধ্যে সাধারণ ডেলিভারিতে ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
৭-১০ কার্যদিবসের মধ্যে জরুরি ডেলিভারিতে ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা।
২ কার্যদিবসের মধ্যে অতি জরুরি ডেলিভারিতে ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
৬৪ পাতা ৫ বছর মেয়াদ
১৫-২১ কার্যদিবসের মধ্যে সাধারণ ডেলিভারিতে ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।
৭-১০ কার্যদিবসের মধ্যে জরুরি ডেলিভারিতে ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা।
২ কার্যদিবসের মধ্যে অতি জরুরি ডেলিভারিতে ফি ১২ হাজার ৭৫ টাকা।
৬৪ পাতা ১০ বছর মেয়াদ
১৫-২১ কার্যদিবসের মধ্যে সাধারণ ডেলিভারিতে ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা।
৭-১০ কার্যদিবসের মধ্যে জরুরি ডেলিভারিতে ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
২ কার্যদিবসের মধ্যে অতি জরুরি ডেলিভারিতে ফি ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে আবেদন ফি
আবার বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে পাসপোর্ট করতে ভিন্ন হারে ফি দিতে হয়—
৪৮ পাতা ৫ বছর মেয়াদ
সাধারণ ডেলিভারি ফি ১০০ ডলার
জরুরি ডেলিভারি ফি ১৫০ ডলার
৪৮ পাতা ১০ বছর মেয়াদ
সাধারণ ডেলিভারি ফি ১২৫ ডলার
জরুরি ডেলিভারি ফি ১৭৫ ডলার
৬৪ পাতা ৫ বছর মেয়াদ
সাধারণ ডেলিভারি ফি ১৫০ ডলার
জরুরি ডেলিভারি ফি ২০০ ডলার
৬৪ পাতা ১০ বছর মেয়াদ
সাধারণ ডেলিভারি ফি ১৭৫ ডলার
জরুরি ডেলিভারি ফি ২২৫ ডলার
তৃতীয় ধাপ: পাসপোর্ট সংগ্রহ
পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপের তারিখ অনুযায়ী আবার পাসপোর্ট অফিসে দেখা করবেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট চেক করে ই-পাসপোর্ট বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
লক্ষণীয়
১) কোনো ভুল ও মিথ্যা তথ্য দেবেন না।
২) ভুল বা মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করবেন না।
৩) পাসপোর্ট-সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে দ্রুত পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করবেন।
৪) পুলিশ ভেরিফিকেশনে ঘুষ চাইলে পাসপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করুন।
৫) পাসপোর্ট অফিসে কোনো সমস্যা হলে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী বা অন্য কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করুন। তাঁরাই বলে দেবেন, আপনাকে কী করতে হবে, কোন কক্ষে যেতে হবে। সুতরাং কারও সঙ্গে অভদ্র আচরণ করবেন না।
পুলিশ ভেরিফিকেশনে যা দেখতে চাইতে পারে
১) আপনার ও আপনার বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র।
২) পাসপোর্ট আবেদনে যে পেশা দিয়েছেন তাঁর প্রমাণ। যেমন স্টুডেন্ট দিলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
৩) বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি বা বিদ্যুৎ বিল কার্ডে রিচার্জ করলে কার্ডের ফটোকপি।
সতর্কতা
ই-পাসপোর্ট করার ব্যাপারে এই প্রকল্পের পরিচালক মো. সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তি তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট করতে পারবেন। তবে ই-পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, এ ক্ষেত্রে যেকোনো তথ্য ভুল হলে আবেদন সম্পূর্ণ হবে না। এর জন্য কোনো দালালের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
সাইদুর রহমান বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে যেন দালালের শরণাপন্ন না হতে হয়, সে জন্য আমরা আবেদনের ফরমটি সত্যায়িত করার কোনো বিধান রাখিনি। কারণ, সত্যায়নের জন্য আগে মানুষ দালালদের দ্বারস্থ হতো। এ জন্য আমরা এই বিধান বাদ দিয়েছি। অনলাইনে আবেদন করলে এখন কোনো ধরনের সত্যায়নের প্রয়োজন নেই।’
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের এই পরিচালক বলেন, ‘আমাদের সিস্টেমে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মনিবন্ধনের সব নম্বর রয়েছে। কেউ তাঁর জন্মনিবন্ধন এবং এনআইডি নম্বর সাবমিট করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সিস্টেম থেকে ওই ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য দেখা যায়। এ জন্য এনআইডি এবং জন্মনিবন্ধনের তথ্য আর পাসপোর্টের তথ্য আলাদা হওয়ার সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি তাঁর পাসপোর্ট এবং এনআইডি ও জন্মনিবন্ধনের তথ্যে গরমিল করে, সে ক্ষেত্রে বিপত্তি বাধে। এ জন্য অনেকের পাসপোর্ট আটকে যায়। কারণ, আমাদের আবার ওই ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য ম্যানুয়ালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হয়। এতে গ্রাহক ও আমাদের—উভয়কেই জটিলতায় পড়তে হয়। তাই তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।’

পাসপোর্ট করা নিয়ে অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ নিয়ে অনেকেই কী করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন। আবার এর নানা ধাপে দালালের খপ্পরে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে ২০২০ সালে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট চালুর পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। ই-পাসপোর্ট করতে কখনোই কোনো দালালের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে দালালের কিছুই করার নেই। তাই নিজের ও পরিবারের ই-পাসপোর্ট নিজেই করতে পারবেন।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) থেকে ই-পাসপোর্ট করা, আর নতুনভাবে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম একই। এমআরপি পাসপোর্ট থাকলে শুধু এর ডেটাগুলো সঠিকভাবে নতুন আবেদনে উল্লেখ করতে হয়। একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, ই-পাসপোর্ট করতে যে ডকুমেন্টগুলো লাগে, তা অবশ্যই আবেদনের আগেই সংগ্রহে রাখুন, যেন কোনো অবস্থাতেই আপনার আবেদন পূরণ করতে ঝামেলায় পড়তে না হয়।
কী কী ডকুমেন্ট লাগবে
ই-পাসপোর্টের জন্য এসব কাগজের কোনো কিছুই সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই। তবে যেদিন অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখে আপনারা পাসপোর্ট অফিসে যাবেন, সেদিন এসব কপির মূল সেটটি অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে।
বর্তমানে নিম্নলিখিত পাসপোর্ট অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে: ১। আগারগাঁও ২। যাত্রাবাড়ী ৩। উত্তরা ৪। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ৫। বাংলাদেশ সচিবালয় ৬। গাজীপুর ৭। মনছুরাবাদ ৮। ময়মনসিংহ ৯। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১০। গাইবান্ধা ১১। গোপালগঞ্জ ১২। মানিকগঞ্জ ১৩। নরসিংদী ১৪। নোয়াখালী ১৫। ফেনী ১৬। চান্দগাঁও ১৭। কুমিল্লা ১৮। মুন্সিগঞ্জ ১৯। সিলেট ২০। মৌলভীবাজার ২১। সুনামগঞ্জ ২২। হবিগঞ্জ ২৩। যশোর ২৪। খুলনা ২৫। কুষ্টিয়া ২৬। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৭। রাজশাহী ২৮। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৯। বগুড়া ৩০। রংপুর ৩১। দিনাজপুর ৩২। নওগাঁ ৩৩। জয়পুরহাট ৩৪। বরিশাল ৩৫। পটুয়াখালী ৩৬। পাবনা ৩৭। সিরাজগঞ্জ ৩৮। কিশোরগঞ্জ ৩৯। নাটোর ৪০। মাগুরা ৪১। নড়াইল ৪২। লক্ষ্মীপুর ৪৩। টাঙ্গাইল ৪৪। জামালপুর ৪৫। শেরপুর ৪৬। নেত্রকোনা ৪৭। মাদারীপুর ৪৮। ফরিদপুর ৪৯। রাজবাড়ী ৫০। ঝিনাইদহ ৫১। সাতক্ষীরা ৫২। বাগেরহাট ৫৩। ভোলা ৫৪। বরগুনা ৫৫। চুয়াডাঙ্গা ৫৬। ঝালকাঠি ৫৭। কুড়িগ্রাম ৫৮। লালমনিরহাট ৫৯। মেহেরপুর ৬০। নীলফামারী ৬১। পঞ্চগড় ৬২। পিরোজপুর ৬৩। শরীয়তপুর ৬৪। ঠাকুরগাঁও ৬৫। বান্দরবান ৬৬। চাঁদপুর ৬৭। কক্সবাজার ৬৮। খাগড়াছড়ি ৬৯। নারায়ণগঞ্জ ৭০। রাঙামাটি
অনলাইনে আবেদন করবেন যেভাবে
সবকিছু ঠিক থাকলে ‘Confirm and Submit’ বাটনে ক্লিক করুন। ব্যস, আপনার আবেদনের কাজ শেষ। এই পর্যায়ে আপনি কবে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি তুলবেন, আঙুলের ছাপ দেবেন, চোখের আইরিশ দিতে পারবেন, তার অ্যাপয়েন্টমেন্টের শিডিউল চাইবে। তখন সুবিধামতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন। আর এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিটের একটি কপি প্রিন্ট করে নিন। এবার আপনার আবেদনের তিন পাতার মূল কপিটি প্রিন্ট করে রাখুন।
নাম লেখার ব্যাপারে অনেকেই একটা সমস্যায় ভোগেন, যেমন কারও নাম যদি A.Z.M. ZUBAIDUR RAHMAN হয়, তবে তিনি Sur Name এর ক্ষেত্রে লিখবেন RAHMAN আর Given Name-এ লিখবেন AZM ZUBAIDUR। এখানে কোনো ডট বা ফোঁটা ব্যবহার করা যাবে না।
মনে রাখবেন, শিক্ষা সনদে আপনার নাম যেভাবেই লেখা থাকুক, তাতে কিছুই আসে-যায় না। আবেদনে নাম লিখবেন আপনার এনআইডি অনুযায়ী।
এবার নির্দিষ্ট ব্যাংকে আপনার পাসপোর্টের ফি জমা দিন। মনে রাখবেন, আপনার আবেদনে যেভাবে নাম লিখেছেন, ব্যাংকের জমার স্লিপেও নাম হুবহু একই যেন হয়। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পর ব্যাংক আপনাকে একটা স্লিপ দেবে, যেখানে একটা রেফারেন্স নম্বর থাকবে। এই রেফারেন্স নম্বর আপনার মূল আবেদনের তৃতীয় পাতায় নির্ধারিত জায়গায় নির্ভুলভাবে লিখুন। একই পাতার নিচে আপনি স্বাক্ষর ও তারিখ দিন।
এবার পর্যায়ক্রমে ওপর থেকে নিচের দিকে ব্যাংক জমার স্লিপ, অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, মূল আবেদনপত্র, নিজের এনআইডির কপি, পুরোনো পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে), (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) স্বামী বা স্ত্রীর এনআইডি কপি, কাবিননামার ফটোকপি একসঙ্গে করে একটি সেট বানিয়ে পিনআপ করে সংরক্ষণ করুন, আর নিশ্চিন্তে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিনের জন্য অপেক্ষা করুন।
দ্বিতীয় ধাপ: আগে থেকে নির্ধারণ করা তারিখে পাসপোর্ট অফিসে দেখা করবেন প্রিন্ট করা পত্রগুলো ও ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ নিয়ে। পরে বিভিন্নভাবে আবেদনপত্রগুলো ও জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করে পত্রগুলোর ওপর সিল দিয়ে একটি কক্ষে যেতে বলা হবে। সেখানে যাওয়ার পর ছবি তোলা হবে, হাতের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেওয়া হবে। পরে পাসপোর্ট ডেলিভারির একটি স্লিপ দেওয়া হবে। এরপর বাড়িতে পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে।
ব্যাংক ফি
ই-পাসপোর্টের নির্ধারিত ফি যেকোনো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
ফির হার
পাসপোর্টের পাতার সংখ্যা বিবেচনায় ফির রকমফের আছে—
৪৮ পাতা ৫ বছর মেয়াদ
১৫-২১ কার্যদিবসের মধ্যে সাধারণ ডেলিভারিতে ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা।
৭-১০ কার্যদিবসের মধ্যে জরুরি ডেলিভারিতে ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।
২ কার্যদিবসের মধ্যে অতি জরুরি ডেলিভারিতে ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা।
৪৮ পাতা ১০ বছর মেয়াদ
১৫-২১ কার্যদিবসের মধ্যে সাধারণ ডেলিভারিতে ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
৭-১০ কার্যদিবসের মধ্যে জরুরি ডেলিভারিতে ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা।
২ কার্যদিবসের মধ্যে অতি জরুরি ডেলিভারিতে ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
৬৪ পাতা ৫ বছর মেয়াদ
১৫-২১ কার্যদিবসের মধ্যে সাধারণ ডেলিভারিতে ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।
৭-১০ কার্যদিবসের মধ্যে জরুরি ডেলিভারিতে ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা।
২ কার্যদিবসের মধ্যে অতি জরুরি ডেলিভারিতে ফি ১২ হাজার ৭৫ টাকা।
৬৪ পাতা ১০ বছর মেয়াদ
১৫-২১ কার্যদিবসের মধ্যে সাধারণ ডেলিভারিতে ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা।
৭-১০ কার্যদিবসের মধ্যে জরুরি ডেলিভারিতে ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
২ কার্যদিবসের মধ্যে অতি জরুরি ডেলিভারিতে ফি ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে আবেদন ফি
আবার বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে পাসপোর্ট করতে ভিন্ন হারে ফি দিতে হয়—
৪৮ পাতা ৫ বছর মেয়াদ
সাধারণ ডেলিভারি ফি ১০০ ডলার
জরুরি ডেলিভারি ফি ১৫০ ডলার
৪৮ পাতা ১০ বছর মেয়াদ
সাধারণ ডেলিভারি ফি ১২৫ ডলার
জরুরি ডেলিভারি ফি ১৭৫ ডলার
৬৪ পাতা ৫ বছর মেয়াদ
সাধারণ ডেলিভারি ফি ১৫০ ডলার
জরুরি ডেলিভারি ফি ২০০ ডলার
৬৪ পাতা ১০ বছর মেয়াদ
সাধারণ ডেলিভারি ফি ১৭৫ ডলার
জরুরি ডেলিভারি ফি ২২৫ ডলার
তৃতীয় ধাপ: পাসপোর্ট সংগ্রহ
পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপের তারিখ অনুযায়ী আবার পাসপোর্ট অফিসে দেখা করবেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট চেক করে ই-পাসপোর্ট বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
লক্ষণীয়
১) কোনো ভুল ও মিথ্যা তথ্য দেবেন না।
২) ভুল বা মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করবেন না।
৩) পাসপোর্ট-সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে দ্রুত পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করবেন।
৪) পুলিশ ভেরিফিকেশনে ঘুষ চাইলে পাসপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করুন।
৫) পাসপোর্ট অফিসে কোনো সমস্যা হলে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী বা অন্য কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করুন। তাঁরাই বলে দেবেন, আপনাকে কী করতে হবে, কোন কক্ষে যেতে হবে। সুতরাং কারও সঙ্গে অভদ্র আচরণ করবেন না।
পুলিশ ভেরিফিকেশনে যা দেখতে চাইতে পারে
১) আপনার ও আপনার বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র।
২) পাসপোর্ট আবেদনে যে পেশা দিয়েছেন তাঁর প্রমাণ। যেমন স্টুডেন্ট দিলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
৩) বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি বা বিদ্যুৎ বিল কার্ডে রিচার্জ করলে কার্ডের ফটোকপি।
সতর্কতা
ই-পাসপোর্ট করার ব্যাপারে এই প্রকল্পের পরিচালক মো. সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তি তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট করতে পারবেন। তবে ই-পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, এ ক্ষেত্রে যেকোনো তথ্য ভুল হলে আবেদন সম্পূর্ণ হবে না। এর জন্য কোনো দালালের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
সাইদুর রহমান বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে যেন দালালের শরণাপন্ন না হতে হয়, সে জন্য আমরা আবেদনের ফরমটি সত্যায়িত করার কোনো বিধান রাখিনি। কারণ, সত্যায়নের জন্য আগে মানুষ দালালদের দ্বারস্থ হতো। এ জন্য আমরা এই বিধান বাদ দিয়েছি। অনলাইনে আবেদন করলে এখন কোনো ধরনের সত্যায়নের প্রয়োজন নেই।’
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের এই পরিচালক বলেন, ‘আমাদের সিস্টেমে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মনিবন্ধনের সব নম্বর রয়েছে। কেউ তাঁর জন্মনিবন্ধন এবং এনআইডি নম্বর সাবমিট করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সিস্টেম থেকে ওই ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য দেখা যায়। এ জন্য এনআইডি এবং জন্মনিবন্ধনের তথ্য আর পাসপোর্টের তথ্য আলাদা হওয়ার সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি তাঁর পাসপোর্ট এবং এনআইডি ও জন্মনিবন্ধনের তথ্যে গরমিল করে, সে ক্ষেত্রে বিপত্তি বাধে। এ জন্য অনেকের পাসপোর্ট আটকে যায়। কারণ, আমাদের আবার ওই ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য ম্যানুয়ালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হয়। এতে গ্রাহক ও আমাদের—উভয়কেই জটিলতায় পড়তে হয়। তাই তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।’

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ মিনিট আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

ই-পাসপোর্ট করতে কখনোই কোনো দালালের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে দালালের কিছুই করার নেই। তাই নিজের ও পরিবারের ই-পাসপোর্ট নিজেই করতে পারবেন। জেনে নিন ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম...
২১ ডিসেম্বর ২০২১
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

ই-পাসপোর্ট করতে কখনোই কোনো দালালের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে দালালের কিছুই করার নেই। তাই নিজের ও পরিবারের ই-পাসপোর্ট নিজেই করতে পারবেন। জেনে নিন ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম...
২১ ডিসেম্বর ২০২১
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ মিনিট আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

ই-পাসপোর্ট করতে কখনোই কোনো দালালের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে দালালের কিছুই করার নেই। তাই নিজের ও পরিবারের ই-পাসপোর্ট নিজেই করতে পারবেন। জেনে নিন ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম...
২১ ডিসেম্বর ২০২১
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ মিনিট আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
১ ঘণ্টা আগে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে আজ রোববার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির পর সকাল সোয়া ৭টার দিকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর সেখানে তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবিচল সাহস ও দৃঢ় অবস্থান দেশের ইতিহাসে অনন্য ও চিরস্মরণীয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাতে দেওয়া এক বাণীতে তিনি আরও বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সেসব সূর্যসন্তান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীকে, যাঁদের আত্মদান আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছে। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম রূপকার।’
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুঃখজনক ও কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। শোকাবহ এই দিনে আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করি।’
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা। বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা এসব দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক, রাজনৈতিক ও চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে গুম ও হত্যা করে। এ পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে একটি ব্যর্থ জাতিতে পরিণত করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমগ্র জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তেমনই একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আমৃত্যু লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলি উন্নত, সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ।’
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছিল, তবে ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে একযোগে ধরে নেওয়া হয় বহু বুদ্ধিজীবীকে। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে। এ দিনটিকে তাই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে জাতি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে আজ রোববার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির পর সকাল সোয়া ৭টার দিকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর সেখানে তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবিচল সাহস ও দৃঢ় অবস্থান দেশের ইতিহাসে অনন্য ও চিরস্মরণীয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাতে দেওয়া এক বাণীতে তিনি আরও বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সেসব সূর্যসন্তান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীকে, যাঁদের আত্মদান আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছে। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম রূপকার।’
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুঃখজনক ও কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। শোকাবহ এই দিনে আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করি।’
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা। বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা এসব দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক, রাজনৈতিক ও চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে গুম ও হত্যা করে। এ পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে একটি ব্যর্থ জাতিতে পরিণত করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমগ্র জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তেমনই একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আমৃত্যু লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলি উন্নত, সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ।’
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছিল, তবে ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে একযোগে ধরে নেওয়া হয় বহু বুদ্ধিজীবীকে। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে। এ দিনটিকে তাই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে জাতি।

ই-পাসপোর্ট করতে কখনোই কোনো দালালের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে দালালের কিছুই করার নেই। তাই নিজের ও পরিবারের ই-পাসপোর্ট নিজেই করতে পারবেন। জেনে নিন ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম...
২১ ডিসেম্বর ২০২১
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ মিনিট আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে