নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে টানাপোড়েন নিরসনে প্রধান উপদেষ্টাকে নানা পরামর্শ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। একটি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত সংলাপ, সামরিক বাহিনীর আস্থাভাজন হওয়া এবং বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণসহ একাধিক প্রস্তাব এসেছে বৈঠকে। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাকে সহায়তা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করার আশ্বাস দিয়েছেন নেতারা।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে একটি প্রতিনিধিদল ঠিক করতে প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দিয়েছেন জানিয়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য টিম না করায় বিএনপির সঙ্গে আপনার টানাপোড়েন এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে টানাপোড়েন। এটা জাতির কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এবি পার্টির পক্ষ বলেছি, সমঝোতার জায়গা বা যেভাবে হোক, এটাকে সুবিধাজনক জায়গায় নিতে হবে।’
দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করার কথা জানিয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘আপনার ওপর যে বিভিন্ন রকমের মানসিক নির্যাতন চলছে, তা আমরা অনুভব করছি। আপনাকে যে সহজভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, তা-ও বুঝতে পারছি। আমরা উনাকে বলেছি, আপনি যদি পরাজিত হন, তাহলে আমরাও পরাজিত হবে। তবে মাঝপথে আপনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন, এটা কোনোভাবেই হতে পারে না, এটা আপনি মাথায় আনবেন না।’
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ২০২৬ সালের জুনের ৩০ তারিখের পরে তাঁদের কেউ থাকবেন না। ওনার সঙ্গে কথা বলে আমাদের ভেতর যে একটা ভয় ছিল, তা কেটে গেছে। পাশাপাশি আমরা বলেছি, যে বিষয়গুলোয় বিতর্ক সৃষ্টি হয়, সে বিষয়ে আপনারা সতর্ক হয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা অবাক হয়েছি, যে স্বৈরাচার সরকার হেফাজতের আন্দোলনের সময় হেফাজতের ওপর হামলা করে, তাদের নামেই মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ৯ মাসেও এসব মামলা প্রত্যাহার হয়নি। তাই আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আগামী ছয় মাসের মধ্যে যেন এই মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, কোরআন-সুন্নাহর বাইরে কোনো প্রস্তাবনা বাংলাদেশে পাস যেন না হয়।’
প্রধান উপদেষ্টাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ার কথা জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা যদি উনাকে সহযোগিতা করি, তাহলে তুমি উনি দেশ ও জাতিকে একটা গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে উনার দায়িত্ব শেষ করবেন। পাশাপাশি দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলের সবার কাছে তিনি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চান। উনি আমাদের কঠিনভাবে ব্যক্ত করেছেন, ২০২৬ সালের জুনের ৩০ তারিখের পর এক ঘণ্টাও উনি ক্ষমতায় থাকবেন না; এর আগেই তিনি নির্বাচন শেষ করবেন।’
মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা বলেছি শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে জুলাই বিপ্লব পর্যন্ত যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেখানে হাসিনাসহ তার প্রধান সহযোগীদের বিচার কার্যক্রম যেন দৃশ্যমানভাবে অগ্রগতি হয় আমরা বলেছি; উনিও আমাদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। অতি দ্রুত আমরা এ বিষয়ে একটু সুসংবাদ পাব। আমরা আশা করছি, অতি দ্রুত কার্যক্রমের ভেতর দু-একটা হলেও বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বা মানুষের সামনে দৃশ্যমান হবে।’
উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিলে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা পাবে উল্লেখ করে নুরুল হক নূর বলেন, ‘একটা মহল সামরিক বাহিনীসহ প্রশাসনকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আপনি সামরিক বাহিনীসহ প্রশাসনকে আস্থায় নিয়ে কাজ করবেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক ঘন ঘন হবে।’
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে টানাপোড়েন নিরসনে প্রধান উপদেষ্টাকে নানা পরামর্শ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। একটি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত সংলাপ, সামরিক বাহিনীর আস্থাভাজন হওয়া এবং বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণসহ একাধিক প্রস্তাব এসেছে বৈঠকে। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাকে সহায়তা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করার আশ্বাস দিয়েছেন নেতারা।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে একটি প্রতিনিধিদল ঠিক করতে প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দিয়েছেন জানিয়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য টিম না করায় বিএনপির সঙ্গে আপনার টানাপোড়েন এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে টানাপোড়েন। এটা জাতির কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এবি পার্টির পক্ষ বলেছি, সমঝোতার জায়গা বা যেভাবে হোক, এটাকে সুবিধাজনক জায়গায় নিতে হবে।’
দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করার কথা জানিয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘আপনার ওপর যে বিভিন্ন রকমের মানসিক নির্যাতন চলছে, তা আমরা অনুভব করছি। আপনাকে যে সহজভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, তা-ও বুঝতে পারছি। আমরা উনাকে বলেছি, আপনি যদি পরাজিত হন, তাহলে আমরাও পরাজিত হবে। তবে মাঝপথে আপনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন, এটা কোনোভাবেই হতে পারে না, এটা আপনি মাথায় আনবেন না।’
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ২০২৬ সালের জুনের ৩০ তারিখের পরে তাঁদের কেউ থাকবেন না। ওনার সঙ্গে কথা বলে আমাদের ভেতর যে একটা ভয় ছিল, তা কেটে গেছে। পাশাপাশি আমরা বলেছি, যে বিষয়গুলোয় বিতর্ক সৃষ্টি হয়, সে বিষয়ে আপনারা সতর্ক হয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা অবাক হয়েছি, যে স্বৈরাচার সরকার হেফাজতের আন্দোলনের সময় হেফাজতের ওপর হামলা করে, তাদের নামেই মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ৯ মাসেও এসব মামলা প্রত্যাহার হয়নি। তাই আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আগামী ছয় মাসের মধ্যে যেন এই মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, কোরআন-সুন্নাহর বাইরে কোনো প্রস্তাবনা বাংলাদেশে পাস যেন না হয়।’
প্রধান উপদেষ্টাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ার কথা জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা যদি উনাকে সহযোগিতা করি, তাহলে তুমি উনি দেশ ও জাতিকে একটা গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে উনার দায়িত্ব শেষ করবেন। পাশাপাশি দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলের সবার কাছে তিনি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চান। উনি আমাদের কঠিনভাবে ব্যক্ত করেছেন, ২০২৬ সালের জুনের ৩০ তারিখের পর এক ঘণ্টাও উনি ক্ষমতায় থাকবেন না; এর আগেই তিনি নির্বাচন শেষ করবেন।’
মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা বলেছি শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে জুলাই বিপ্লব পর্যন্ত যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেখানে হাসিনাসহ তার প্রধান সহযোগীদের বিচার কার্যক্রম যেন দৃশ্যমানভাবে অগ্রগতি হয় আমরা বলেছি; উনিও আমাদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। অতি দ্রুত আমরা এ বিষয়ে একটু সুসংবাদ পাব। আমরা আশা করছি, অতি দ্রুত কার্যক্রমের ভেতর দু-একটা হলেও বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বা মানুষের সামনে দৃশ্যমান হবে।’
উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিলে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা পাবে উল্লেখ করে নুরুল হক নূর বলেন, ‘একটা মহল সামরিক বাহিনীসহ প্রশাসনকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আপনি সামরিক বাহিনীসহ প্রশাসনকে আস্থায় নিয়ে কাজ করবেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক ঘন ঘন হবে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট কোন পদ্ধতিতে নেওয়া হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের মতামত নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্ধারিত সময় ১৫ মের মধ্যে মাত্র আটটি দল মতামত দিয়েছে, যার মধ্যে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বেশির ভাগ পুরোনো বড় দল নেই। সর্বশেষ গতকাল রোববার পর্যন্ত ১৩টি দলের
৩ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে দেশের ভেতরে ও বাইরে আরেকটি যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি বলেছেন, অভ্যুত্থানের পর দেশের অগ্রগতির পথ রুদ্ধ করার এবং সবকিছু ধসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, যাতে আমরা এগোতে না পারি।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, যখন সময় আসবে তিনি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হবে। জুলাই মাসের এক তারিখ যাবে না। রোববার (২৫ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এসব কথা বলেন।
৭ ঘণ্টা আগেআন্দোলন কর্মসূচিকে পাত্তা না দিয়ে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারির প্রতিবাদে আগামীকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন সরকারি কর্মচারীরা। চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়া শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করার বিধান রাখা হয়েছে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তই
৮ ঘণ্টা আগে