নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে যাতে কোথাও কোনো ধরনের নিরাপত্তা-হুমকি তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
যমুনায় ১০ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, গত কয়েক দিন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এর আলোকে বৈঠকটি হয়। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশের বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। এর নেপথ্যে যাঁরা সক্রিয় রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শফিকুল আলম বলেন, দেশ যতই নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে এবং জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত এগোচ্ছে, ততই পতিত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি মরিয়া ও বেপরোয়া হয়ে পড়ছে। তারা দেশের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে সব শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, এটা এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নয়, এটা জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈঠকে বলা হয়, দেশের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে কাউকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার মনে করে, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন যে করেই হোক ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই এই নির্বাচনকে ঠেকানোর। নির্বাচন হবেই। সে জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে, সব নেওয়া হচ্ছে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, গত বছর দুর্গাপূজার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিল। গত বছরের অভিজ্ঞতাকে এ বছর কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য দেশের সব ধর্মভিত্তিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা অতি শিগগির বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি মনিটর করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনকে আগাম প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ডাকসু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে হয়, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিষয়ে সরকারের দুটি কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বদলিকৃতদের আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত আদেশগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাই পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতির প্রয়োজন নেই।
দেশবিরোধী শক্তি পল্লী বিদ্যুৎ-সংক্রান্ত আন্দোলনে ইন্ধন জোগাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিষয়ে সরকার সহনশীল। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ বা গ্রাহকসেবা ব্যাহত হলে সরকার কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
রাজবাড়ীর ঘটনার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সাতজনের মধ্যে অন্তত দুজন স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, যারাই এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে যাতে কোথাও কোনো ধরনের নিরাপত্তা-হুমকি তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
যমুনায় ১০ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, গত কয়েক দিন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এর আলোকে বৈঠকটি হয়। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশের বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। এর নেপথ্যে যাঁরা সক্রিয় রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শফিকুল আলম বলেন, দেশ যতই নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে এবং জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত এগোচ্ছে, ততই পতিত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি মরিয়া ও বেপরোয়া হয়ে পড়ছে। তারা দেশের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে সব শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, এটা এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নয়, এটা জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈঠকে বলা হয়, দেশের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে কাউকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার মনে করে, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন যে করেই হোক ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই এই নির্বাচনকে ঠেকানোর। নির্বাচন হবেই। সে জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে, সব নেওয়া হচ্ছে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, গত বছর দুর্গাপূজার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিল। গত বছরের অভিজ্ঞতাকে এ বছর কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য দেশের সব ধর্মভিত্তিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা অতি শিগগির বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি মনিটর করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনকে আগাম প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ডাকসু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে হয়, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিষয়ে সরকারের দুটি কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বদলিকৃতদের আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত আদেশগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাই পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতির প্রয়োজন নেই।
দেশবিরোধী শক্তি পল্লী বিদ্যুৎ-সংক্রান্ত আন্দোলনে ইন্ধন জোগাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিষয়ে সরকার সহনশীল। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ বা গ্রাহকসেবা ব্যাহত হলে সরকার কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
রাজবাড়ীর ঘটনার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সাতজনের মধ্যে অন্তত দুজন স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, যারাই এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। তবে এই বিষয়ে সরকার থেকে বার্তা পেলেও এখনো নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পায়নি সেনাবাহিনী।
১৮ মিনিট আগেসারা দেশে ৩৩ হাজার মণ্ডপে এ বছর দুর্গাপূজা উদ্যাপন হবে। এসব পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় অ্যাপ তৈরি করছে সরকার। প্রতিটা মন্দিরের একজন আনসার সদস্যের কাছে থাকবে এই অ্যাপের দায়িত্ব।
৪৪ মিনিট আগেআসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় সারা দেশে ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। এসব মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী-পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি তিন লাখ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আজ সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে আবারও ডাকসু নির্বাচনে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিয়ে এ কথা জানিয়েছে। সেনাবাহিনী এ বিষয়টি এর আগেও বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে