নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখে কয়েক দশক ধরে প্রচলিত ও ইউনেসকো স্বীকৃত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তনের চিন্তা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার ‘নতুন রঙে’ শোভাযাত্রা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ রোববার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে এ কথা জানান তিনি। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্য জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে জাতীয়ভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক নববর্ষ উদ্যাপন নিয়ে এই সভা হয়।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এবারের শোভাযাত্রা শুধু বাঙালিদের না; এ শোভাযাত্রা বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারো—প্রত্যেকের। প্রত্যেকেই তাদের নিজস্বতা নিয়ে সেখানে অংশগ্রহণ করবে। আমাদের দেখতে হবে, আমরা এমন একটা নাম না দিই, যেটা শুধু আমাদেরই হয়, ওরা আর অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে। ওরা যেন ব্র্যাকেটে না পড়ে যায়।’
ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়া ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম পাল্টানোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘ইউনেসকো এই শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউনেসকো আগামীবার জানবে, এ শোভাযাত্রা আরও বড় হয়েছে, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। ইউনেসকোর এটাতে খুশি হওয়ার কারণ হবে। আপত্তি করার কোনো কারণ নেই। আমরা বরং এত দিন অনেকগুলো জাতি-গোষ্ঠীকে মাইনাস করে এসেছিলাম। আমরা এটাকে সংশোধন করছি।’
তিনি বলেন, ‘এই শোভাযাত্রা প্রথমে আনন্দ শোভাযাত্রা নামে শুরু হয়েছিল। সেখান থেকে হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। যে নাম একবার পরিবর্তিত হয়েছে, সবাই যদি সর্বসম্মত হয়, তবে আবার পরিবর্তন হতে পারে। আর যদি সবাই সর্বসম্মত হয় বহাল রাখার (আগের নাম), তবে পরিবর্তন না-ও হতে পারে।’
মঙ্গল শোভাযাত্রার বদলে নতুন নাম কী হবে জানতে চাইলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘কী নামে শোভাযাত্রা হবে, আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সভা আছে, সেখানে ঠিক হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হবে, সেখানে আপনারা সত্যিকার অর্থেই নতুন জিনিস দেখবেন। আপনাদের চোখেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন অনেক। আসলেই (শোভাযাত্রায়) নতুন কিছু দেখতে পাবেন। নতুন রং দেখবেন, নতুন গন্ধ পাবেন, নতুন সুর পাবেন। এখন আমরা বিস্তারিত বলছি না।’
বাংলাদেশে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন আয়োজন ঢাকার চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় চারুকলা থেকে এই শোভাযাত্রার শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। তখনকার সেই শোভাযাত্রার মধ্যে রাজনৈতিক বার্তা ছিল।
২০১৬ সালে এই উৎসব ইউনেসকোর ‘অপরিমেয় বিশ্ব সংস্কৃতি’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। স্বীকৃতির পর এটি আরও ব্যাপকভাবে উদ্যাপন করা হয়েছে। এই উদ্যোগ নিয়ে বরাবরই আপত্তি করেছে কিছু ধর্মভিত্তিক সংগঠনসহ একটি বিশেষ গোষ্ঠী।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখে কয়েক দশক ধরে প্রচলিত ও ইউনেসকো স্বীকৃত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তনের চিন্তা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার ‘নতুন রঙে’ শোভাযাত্রা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ রোববার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে এ কথা জানান তিনি। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্য জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে জাতীয়ভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক নববর্ষ উদ্যাপন নিয়ে এই সভা হয়।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এবারের শোভাযাত্রা শুধু বাঙালিদের না; এ শোভাযাত্রা বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারো—প্রত্যেকের। প্রত্যেকেই তাদের নিজস্বতা নিয়ে সেখানে অংশগ্রহণ করবে। আমাদের দেখতে হবে, আমরা এমন একটা নাম না দিই, যেটা শুধু আমাদেরই হয়, ওরা আর অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে। ওরা যেন ব্র্যাকেটে না পড়ে যায়।’
ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়া ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম পাল্টানোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘ইউনেসকো এই শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউনেসকো আগামীবার জানবে, এ শোভাযাত্রা আরও বড় হয়েছে, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। ইউনেসকোর এটাতে খুশি হওয়ার কারণ হবে। আপত্তি করার কোনো কারণ নেই। আমরা বরং এত দিন অনেকগুলো জাতি-গোষ্ঠীকে মাইনাস করে এসেছিলাম। আমরা এটাকে সংশোধন করছি।’
তিনি বলেন, ‘এই শোভাযাত্রা প্রথমে আনন্দ শোভাযাত্রা নামে শুরু হয়েছিল। সেখান থেকে হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। যে নাম একবার পরিবর্তিত হয়েছে, সবাই যদি সর্বসম্মত হয়, তবে আবার পরিবর্তন হতে পারে। আর যদি সবাই সর্বসম্মত হয় বহাল রাখার (আগের নাম), তবে পরিবর্তন না-ও হতে পারে।’
মঙ্গল শোভাযাত্রার বদলে নতুন নাম কী হবে জানতে চাইলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘কী নামে শোভাযাত্রা হবে, আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সভা আছে, সেখানে ঠিক হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হবে, সেখানে আপনারা সত্যিকার অর্থেই নতুন জিনিস দেখবেন। আপনাদের চোখেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন অনেক। আসলেই (শোভাযাত্রায়) নতুন কিছু দেখতে পাবেন। নতুন রং দেখবেন, নতুন গন্ধ পাবেন, নতুন সুর পাবেন। এখন আমরা বিস্তারিত বলছি না।’
বাংলাদেশে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন আয়োজন ঢাকার চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় চারুকলা থেকে এই শোভাযাত্রার শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। তখনকার সেই শোভাযাত্রার মধ্যে রাজনৈতিক বার্তা ছিল।
২০১৬ সালে এই উৎসব ইউনেসকোর ‘অপরিমেয় বিশ্ব সংস্কৃতি’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। স্বীকৃতির পর এটি আরও ব্যাপকভাবে উদ্যাপন করা হয়েছে। এই উদ্যোগ নিয়ে বরাবরই আপত্তি করেছে কিছু ধর্মভিত্তিক সংগঠনসহ একটি বিশেষ গোষ্ঠী।
আরও খবর পড়ুন:
রেলযাত্রা নিয়ে মানুষের ভোগান্তির গল্পের শেষ নেই। সময়মতো ট্রেন না ছাড়া, দরকারি টিকিট না পাওয়া, অপরিচ্ছন্ন আসন, নোংরা প্ল্যাটফর্ম— এমন অভিযোগের দীর্ঘ তালিকা রয়েছে যাত্রী-মনে। ট্রেনে ও স্টেশনে সেসব অভিযোগ জানানোর জন্য রয়েছে বড় আকারের রুলটানা খাতা, যার সরকারি নাম ‘কমপ্লেইন রেজিস্ট্রার বুক’।
১৯ মিনিট আগেঅবশেষে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড কেনার জট খুলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের (সেপ্টেম্বর) প্রথম সপ্তাহ থেকে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড হাতে পাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার কার্ড কিনছে...
২ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে, যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমরা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের...
৮ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
১ দিন আগে