নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে প্রস্তাব
অনলাইন ডেস্ক
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি, পৃথক ক্যাডার প্রতিষ্ঠাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে গতকাল সোমবার প্রস্তাবগুলো জমা দিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বর্তমানে সিইসির পদমর্যাদা উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান এবং নির্বাচন কমিশনারদের পদমর্যাদা হাইকোর্টের বিচারপতির সমান। নির্বাচনীব্যবস্থার ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব বাড়াতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সিইসির পদমর্যাদা মন্ত্রীর চেয়ে বেশি চাইছেন। পাশাপাশি তাঁরা অন্য নির্বাচন কমিশনারদের মর্যাদা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সমান করার প্রস্তাব করেছেন। একই সঙ্গে সরকারের অন্য কর্মকর্তাদের মতো পৃথক ক্যাডার বা সার্ভিস চান তাঁরা।
সংস্কার কমিশনে দেওয়া ইসি কর্মকর্তাদের সংস্কার প্রস্তাবের কয়েকটি অংশ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও), প্রশাসনিক দিক, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, ইসির অবকাঠামো, ইসির কর্মচারী নিয়োগ ইত্যাদি বিষয়।
আরপিওর ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাবে ব্যালট পেপার জালিয়াতি প্রতিরোধে ব্যালট বইয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা বা জলছাপ রাখা; আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা; প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে ‘না’ ভোট বেশি হলে নতুন তফসিল ঘোষণা, মনোনয়ন-বাণিজ্য কমাতে প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার বিধান বাতিল করা, অনিয়মের কারণে ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার ভোট বন্ধ করে ইসিকে অবহিত করা, ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করায় ফলাফল নির্ধারণ করা না গেলে সেখানে নতুনভাবে ভোট গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া; দুই বা ততোধিক প্রার্থী সমান ভোট পেলে আবার ভোট গ্রহণের তফসিল ঘোষণা; কেউ নির্বাচনী কাজে অবহেলা বা কমিশনের আদেশ পালনে শৈথিল্য দেখালে কমিশনের তিরস্কারের ক্ষমতা থাকা, তিরস্কৃত ব্যক্তির পরবর্তী পাঁচ বছর পদোন্নতি না পাওয়া, তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফল গেজেটে প্রকাশের দিন পর্যন্ত জনপ্রশাসন, অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা, ইসি যদি মনে করে বলপ্রয়োগ, চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যাবে না, তাহলে যেকোনো ভোটকেন্দ্র বা ক্ষেত্রমতো সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় যেকোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা।
প্রশাসনিক সংস্কারের অংশে ইসির সক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসি কর্মকর্তাদের জন্য নির্বাচন ক্যাডার বা সার্ভিস কমিশন গঠন; সিইসি ও অন্যান্য কমিশনারের পদমর্যাদা বৃদ্ধি; মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের গ্রেড উন্নীতকরণ ও পদের নাম পরিবর্তন; ইসির নিজস্ব জনবল থেকে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ দেওয়া; নির্বাচনের সময় কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ইত্যাদি।
নির্বাচনীব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়ানোসংক্রান্ত প্রস্তাবে সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ; রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আয়-ব্যয় ও আচরণ মনিটরিং; দল নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও দলের কার্যক্রম তদারকি; ‘না’ ভোটের বিধান আবার চালু করা; অনলাইন ও অফলাইন উভয়ভাবে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা করা; রিটার্নিং কর্মকর্তার আচরণবিধি প্রণয়ন করা ইত্যাদি।
নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে ‘অর্থবহ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ করা সংক্রান্ত প্রস্তাবে রয়েছে নাগরিক ও ভোটারদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ; প্রচারণা নৈতিক ও সমতাভিত্তিক করা; তরুণ প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা; রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, মিডিয়া ও পর্যবেক্ষক সংস্থাসহ অন্য অংশীজনদের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা সহজ করার কথা।
ইসির অবকাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে ইসি সচিবালয়, ইটিআই ও মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ের অর্গানোগ্রাম সংস্কার; আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা; নির্বাচনী মালামাল সংরক্ষণের জন্য আঞ্চলিক ও জেলা পর্যায়ে ওয়্যারহাউস স্থাপন এবং মাঠপর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য নিরাপদ যানবাহনের ব্যবস্থা করা।
কর্মকর্তাদের প্রস্তাবে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় এবং ইসি কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালায়ও সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ এবং ইমেইলের মাধ্যমে সর্বসাধারণের জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রস্তাব পাঠানোর সুযোগ রেখেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি, পৃথক ক্যাডার প্রতিষ্ঠাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে গতকাল সোমবার প্রস্তাবগুলো জমা দিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বর্তমানে সিইসির পদমর্যাদা উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান এবং নির্বাচন কমিশনারদের পদমর্যাদা হাইকোর্টের বিচারপতির সমান। নির্বাচনীব্যবস্থার ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব বাড়াতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সিইসির পদমর্যাদা মন্ত্রীর চেয়ে বেশি চাইছেন। পাশাপাশি তাঁরা অন্য নির্বাচন কমিশনারদের মর্যাদা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সমান করার প্রস্তাব করেছেন। একই সঙ্গে সরকারের অন্য কর্মকর্তাদের মতো পৃথক ক্যাডার বা সার্ভিস চান তাঁরা।
সংস্কার কমিশনে দেওয়া ইসি কর্মকর্তাদের সংস্কার প্রস্তাবের কয়েকটি অংশ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও), প্রশাসনিক দিক, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, ইসির অবকাঠামো, ইসির কর্মচারী নিয়োগ ইত্যাদি বিষয়।
আরপিওর ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাবে ব্যালট পেপার জালিয়াতি প্রতিরোধে ব্যালট বইয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা বা জলছাপ রাখা; আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা; প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে ‘না’ ভোট বেশি হলে নতুন তফসিল ঘোষণা, মনোনয়ন-বাণিজ্য কমাতে প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার বিধান বাতিল করা, অনিয়মের কারণে ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার ভোট বন্ধ করে ইসিকে অবহিত করা, ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করায় ফলাফল নির্ধারণ করা না গেলে সেখানে নতুনভাবে ভোট গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া; দুই বা ততোধিক প্রার্থী সমান ভোট পেলে আবার ভোট গ্রহণের তফসিল ঘোষণা; কেউ নির্বাচনী কাজে অবহেলা বা কমিশনের আদেশ পালনে শৈথিল্য দেখালে কমিশনের তিরস্কারের ক্ষমতা থাকা, তিরস্কৃত ব্যক্তির পরবর্তী পাঁচ বছর পদোন্নতি না পাওয়া, তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফল গেজেটে প্রকাশের দিন পর্যন্ত জনপ্রশাসন, অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা, ইসি যদি মনে করে বলপ্রয়োগ, চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যাবে না, তাহলে যেকোনো ভোটকেন্দ্র বা ক্ষেত্রমতো সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় যেকোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা।
প্রশাসনিক সংস্কারের অংশে ইসির সক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসি কর্মকর্তাদের জন্য নির্বাচন ক্যাডার বা সার্ভিস কমিশন গঠন; সিইসি ও অন্যান্য কমিশনারের পদমর্যাদা বৃদ্ধি; মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের গ্রেড উন্নীতকরণ ও পদের নাম পরিবর্তন; ইসির নিজস্ব জনবল থেকে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ দেওয়া; নির্বাচনের সময় কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ইত্যাদি।
নির্বাচনীব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়ানোসংক্রান্ত প্রস্তাবে সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ; রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আয়-ব্যয় ও আচরণ মনিটরিং; দল নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও দলের কার্যক্রম তদারকি; ‘না’ ভোটের বিধান আবার চালু করা; অনলাইন ও অফলাইন উভয়ভাবে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা করা; রিটার্নিং কর্মকর্তার আচরণবিধি প্রণয়ন করা ইত্যাদি।
নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে ‘অর্থবহ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ করা সংক্রান্ত প্রস্তাবে রয়েছে নাগরিক ও ভোটারদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ; প্রচারণা নৈতিক ও সমতাভিত্তিক করা; তরুণ প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা; রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, মিডিয়া ও পর্যবেক্ষক সংস্থাসহ অন্য অংশীজনদের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা সহজ করার কথা।
ইসির অবকাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে ইসি সচিবালয়, ইটিআই ও মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ের অর্গানোগ্রাম সংস্কার; আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা; নির্বাচনী মালামাল সংরক্ষণের জন্য আঞ্চলিক ও জেলা পর্যায়ে ওয়্যারহাউস স্থাপন এবং মাঠপর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য নিরাপদ যানবাহনের ব্যবস্থা করা।
কর্মকর্তাদের প্রস্তাবে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় এবং ইসি কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালায়ও সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ এবং ইমেইলের মাধ্যমে সর্বসাধারণের জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রস্তাব পাঠানোর সুযোগ রেখেছে।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভুয়া প্রোফাইল খুলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সতর্ক করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৩৪ মিনিট আগেদফায় দফায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে ছয় জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কয়েকটি স্থানে ইতিমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে পানি। এতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও ফসলের খেত। বাধ্য হয়ে অনেকে কাঁচা ধান কেটে ঘরে তুলছে। অনেকেই পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে নিরাপদ স্থানে।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তিতে ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর সাত দিন পর গত মঙ্গলবার বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কার্যকলাপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
৩ ঘণ্টা আগেড্রোন শো পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশ থেকে চীনে যাচ্ছেন ১১ তরুণ গণমাধ্যমকর্মী। এক মাসের এ প্রশিক্ষণ চীনের সাংহাই ও গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার চীনা দূতাবাসে ড্রোন প্রশিক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও প্রেস কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান
৩ ঘণ্টা আগে