নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাকিয়া তাবাস্সুম জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ‘আজকে সংসদ অধিবেশনে সবার আলোচনা শুনে মনে হয়েছে আমরা একটা পরিবারে বাস করছি।’
আজ রোববার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে তৃতীয় দিনে বক্তব্য রাখেন ২৯ সংসদ সদস্য। এর মধ্যে চারজন ছাড়া সবাই পারিবারিক ত্যাগ নিয়ে কথা বলেন।
এ সময় নিজের বক্তব্যে জাকিয়া তাবাস্সুম বলেন, ‘আমার এতখানি অভিজ্ঞতা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী কতখানি মহান, কতখানি উদার। আমাদের বাবারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, তাঁদের ছেলে–মেয়েদের নিয়ে এসেছেন। আজকে আমি কৃতজ্ঞ তিনি আমাকেও নিয়ে এসেছেন।’
জাকিয়া তাবাস্সুম জানান, তাঁর পিতা দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্রাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুমমেট ছিলেন। এ সময় এক মিনিটের বেশি সময় বাবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন তিনি।
জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার থেকে। গত শুক্রবার স্মারক বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওই দিন ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত তিন দিন এ নিয়ে ৫০ জনের বেশি সংসদ সদস্য বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে ছিলেন গণপরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদের মতো বর্ষীয়ান নেতা। এর মধ্যে দাদা, বাবা এমন কী চাচার-আওয়ামী লীগের জন্য অবদান কী ছিল, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক কী ছিল তা তুলে ধরে আজ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন অন্তত দুই ডজন সংসদ সদস্য।
আজ শুরুতে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি। বক্তব্যে তিনি তাঁর প্রয়াত পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ময়েজউদ্দিনকে স্মরণ করে কথা বলেন।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী বলেন, ‘আমি আজকে বক্তৃতার সুযোগ পেয়েছি আমার বাবার কারণে। আমার বাবা মরহুম কাজী হেদায়েত হোসেন ১৯৬২ সালে এমসিই ও ১৯৭০ সালের গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর পিতাকে স্নেহ করতেন জানিয়ে কেরামত আলী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৮ আগস্ট তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু যেমনিভাবে আমার পিতাকে ভালোবাসতেন, স্নেহ করতেন, ঠিক তেমনিভাবে শেখ হাসিনা আমাকেও ভালোবাসেন, স্নেহ করেন। সেই জন্য তিনি আমাকে সাতবার মনোনয়ন দিয়েছেন। আমার সংসদের বয়স ২৩ বছর।’
আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই সংসদে আমার শ্রদ্ধেয় চাচা আনিসুল হক চৌধুরী ১৯৭৩ সালে জাতির পিতার সঙ্গে কাজ করেছেন। জাতির পিতা এই সংসদকে জনগণের অধিকার আদায়ে কথা বলার জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের অধিকার আদায়ে কাজ করেছেন সংসদে। যে সংসদে আমার চাচা একদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কাজ করেছিলেন। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে কাজ করবার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমার বাবাও গোপালগঞ্জ জেলা (মহকুমা হবে) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি।’ তাঁর বাবার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতার কথা তুলে ধরে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ১৯৬০ সালে তাঁর বাবা মারা যান।
এর আগে গতকাল শনিবার সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, নাতি কোটায় আমাকে অল্প একটু সময় বাড়িয়ে দেবেন, প্লিজ মাননীয় স্পিকার।’ তানভীর শাকিল জয়ের দাদা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর কারাগারে বিপথগামী সেনাদের হাতে নিহত হন। জয়ের বাবা মোহাম্মদ নাসিম সরকারের মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
গত শুক্রবার জাতীয় সংসদের স্মারক বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমার নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় যখন দেখি যে বর্তমান সংসদেও গণপরিষদ ও প্রথম জাতীয় সংসদে আমি যাঁদের সঙ্গে সদস্য ছিলাম তাঁদের অনেকের ছেলে–মেয়ে এমনকি নাতিরাও সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।’
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাকিয়া তাবাস্সুম জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ‘আজকে সংসদ অধিবেশনে সবার আলোচনা শুনে মনে হয়েছে আমরা একটা পরিবারে বাস করছি।’
আজ রোববার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে তৃতীয় দিনে বক্তব্য রাখেন ২৯ সংসদ সদস্য। এর মধ্যে চারজন ছাড়া সবাই পারিবারিক ত্যাগ নিয়ে কথা বলেন।
এ সময় নিজের বক্তব্যে জাকিয়া তাবাস্সুম বলেন, ‘আমার এতখানি অভিজ্ঞতা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী কতখানি মহান, কতখানি উদার। আমাদের বাবারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, তাঁদের ছেলে–মেয়েদের নিয়ে এসেছেন। আজকে আমি কৃতজ্ঞ তিনি আমাকেও নিয়ে এসেছেন।’
জাকিয়া তাবাস্সুম জানান, তাঁর পিতা দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্রাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুমমেট ছিলেন। এ সময় এক মিনিটের বেশি সময় বাবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন তিনি।
জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার থেকে। গত শুক্রবার স্মারক বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওই দিন ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত তিন দিন এ নিয়ে ৫০ জনের বেশি সংসদ সদস্য বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে ছিলেন গণপরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদের মতো বর্ষীয়ান নেতা। এর মধ্যে দাদা, বাবা এমন কী চাচার-আওয়ামী লীগের জন্য অবদান কী ছিল, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক কী ছিল তা তুলে ধরে আজ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন অন্তত দুই ডজন সংসদ সদস্য।
আজ শুরুতে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি। বক্তব্যে তিনি তাঁর প্রয়াত পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ময়েজউদ্দিনকে স্মরণ করে কথা বলেন।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী বলেন, ‘আমি আজকে বক্তৃতার সুযোগ পেয়েছি আমার বাবার কারণে। আমার বাবা মরহুম কাজী হেদায়েত হোসেন ১৯৬২ সালে এমসিই ও ১৯৭০ সালের গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর পিতাকে স্নেহ করতেন জানিয়ে কেরামত আলী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৮ আগস্ট তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু যেমনিভাবে আমার পিতাকে ভালোবাসতেন, স্নেহ করতেন, ঠিক তেমনিভাবে শেখ হাসিনা আমাকেও ভালোবাসেন, স্নেহ করেন। সেই জন্য তিনি আমাকে সাতবার মনোনয়ন দিয়েছেন। আমার সংসদের বয়স ২৩ বছর।’
আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই সংসদে আমার শ্রদ্ধেয় চাচা আনিসুল হক চৌধুরী ১৯৭৩ সালে জাতির পিতার সঙ্গে কাজ করেছেন। জাতির পিতা এই সংসদকে জনগণের অধিকার আদায়ে কথা বলার জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের অধিকার আদায়ে কাজ করেছেন সংসদে। যে সংসদে আমার চাচা একদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কাজ করেছিলেন। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে কাজ করবার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমার বাবাও গোপালগঞ্জ জেলা (মহকুমা হবে) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি।’ তাঁর বাবার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতার কথা তুলে ধরে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ১৯৬০ সালে তাঁর বাবা মারা যান।
এর আগে গতকাল শনিবার সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, নাতি কোটায় আমাকে অল্প একটু সময় বাড়িয়ে দেবেন, প্লিজ মাননীয় স্পিকার।’ তানভীর শাকিল জয়ের দাদা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর কারাগারে বিপথগামী সেনাদের হাতে নিহত হন। জয়ের বাবা মোহাম্মদ নাসিম সরকারের মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
গত শুক্রবার জাতীয় সংসদের স্মারক বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমার নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় যখন দেখি যে বর্তমান সংসদেও গণপরিষদ ও প্রথম জাতীয় সংসদে আমি যাঁদের সঙ্গে সদস্য ছিলাম তাঁদের অনেকের ছেলে–মেয়ে এমনকি নাতিরাও সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।’
গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
২৯ মিনিট আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফরে ১১ আগস্ট মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারপ্রধানের এটি ফিরতি সফর। আনোয়ার ইব্রাহিম গত অক্টোবরে মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বন্ধুত্বপূর্ণ ও কল্যাণকর উদ্যোগের জন্য চীনের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, চীন সব সময় বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে দুর্যোগ ও সংকটময় সময়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দ
৪ ঘণ্টা আগে