নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানিতে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বা স্বার্থের সংঘাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলা প্রশ্ন আইনের অপব্যাখ্যার শামিল বলে জানিয়েছে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় এক বিবৃতিতে এমনটি জানায়।
চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানায়, সম্প্রতি মহামান্য আপিল বিভাগে জনাব এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলা শুনানি করার ক্ষেত্রে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ (স্বার্থের সংঘাত) নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু বক্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা বাস্তবতাবিবর্জিত, অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও আইনের অপব্যাখ্যার শামিল। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের সদস্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও বিদ্বেষমূলক কিছু বক্তব্য দৃশ্যমান হয়েছে, যা শিষ্টাচারবহির্ভূত ও মানহানিকর।
এ প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের বক্তব্য হলো, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ চিফ প্রসিকিউটর অতীতে ট্রাইব্যুনালে এ টি এম আজহারুল ইসলামের ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছিলেন বিধায় এই মামলার প্রথম দিনই আপিল বিভাগে বিষয়টি উল্লেখ করে শুনানিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। এরপর এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অংশগ্রহণ করেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক এবং প্রসিকিউশনের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন বিজ্ঞ প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী ও মো. মামুনুর রশীদ, যাঁদের কেউই ইতিপূর্বে এ টি এম আজহারুল ইসলামের পক্ষে কোনো প্রকার মামলা পরিচালনা করেননি।
শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষ (অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস) ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন মহামান্য আপিল বিভাগে তাঁদের বক্তব্য ও বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ ও প্রযোজ্যতা সম্পর্কে ডিফেন্সের দেওয়া বক্তব্যের বিরোধিতা করে প্রসিকিউশন যুক্তি উত্থাপন করে। প্রসিকিউশন কর্তৃক বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনালে দেওয়া বক্তব্য কিংবা উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ সম্পর্কে মহামান্য আপিল বিভাগ প্রদত্ত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে, এই মর্মে আপিল বিভাগে প্রসিকিউশন বক্তব্য দেন।
সুনির্দিষ্ট কোনো মামলায় একজন ব্যক্তি দুটি বিবদমান পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন না। কিন্তু একই ধরনের অপরাধে বা একই দলের বা গোষ্ঠীর কোনো ব্যক্তির পক্ষে ডিফেন্স করেছেন বলে একজন আইনজীবী সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনো ব্যক্তির প্রসিকিউশন করতে পারবেন না, এমন কোনো আইনগত বাধা-নিষেধ পৃথিবীর কোথাও নেই।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বর্তমান প্রসিকিউটর জনাব করিম খান বর্তমান দায়িত্বে আসার আগে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট চার্লস টেইলর, কেনিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো, লিবিয়ার গাদ্দাফির পুত্র সাইফ গাদ্দাফিসহ বহু অভিযুক্তের ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে খোদ আইসিসিতেই কাজ করেছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সর্বজনশ্রদ্ধেয় মরহুম সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ব্যক্তিদের ডিফেন্সের প্রধান আইনজীবী হিসেবে তিনি প্রশ্নাতীত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন।
সর্বোপরি, মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের অফিস ও তদন্ত সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনের অপব্যাখ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা অসত্য যেকোনো বক্তব্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের উদ্যোগকে ব্যাহত করবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা ও সহযোগিতা কাম্য।
মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানিতে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বা স্বার্থের সংঘাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলা প্রশ্ন আইনের অপব্যাখ্যার শামিল বলে জানিয়েছে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় এক বিবৃতিতে এমনটি জানায়।
চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানায়, সম্প্রতি মহামান্য আপিল বিভাগে জনাব এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলা শুনানি করার ক্ষেত্রে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ (স্বার্থের সংঘাত) নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু বক্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা বাস্তবতাবিবর্জিত, অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও আইনের অপব্যাখ্যার শামিল। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের সদস্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও বিদ্বেষমূলক কিছু বক্তব্য দৃশ্যমান হয়েছে, যা শিষ্টাচারবহির্ভূত ও মানহানিকর।
এ প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের বক্তব্য হলো, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ চিফ প্রসিকিউটর অতীতে ট্রাইব্যুনালে এ টি এম আজহারুল ইসলামের ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছিলেন বিধায় এই মামলার প্রথম দিনই আপিল বিভাগে বিষয়টি উল্লেখ করে শুনানিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। এরপর এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অংশগ্রহণ করেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক এবং প্রসিকিউশনের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন বিজ্ঞ প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী ও মো. মামুনুর রশীদ, যাঁদের কেউই ইতিপূর্বে এ টি এম আজহারুল ইসলামের পক্ষে কোনো প্রকার মামলা পরিচালনা করেননি।
শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষ (অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস) ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন মহামান্য আপিল বিভাগে তাঁদের বক্তব্য ও বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ ও প্রযোজ্যতা সম্পর্কে ডিফেন্সের দেওয়া বক্তব্যের বিরোধিতা করে প্রসিকিউশন যুক্তি উত্থাপন করে। প্রসিকিউশন কর্তৃক বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনালে দেওয়া বক্তব্য কিংবা উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ সম্পর্কে মহামান্য আপিল বিভাগ প্রদত্ত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে, এই মর্মে আপিল বিভাগে প্রসিকিউশন বক্তব্য দেন।
সুনির্দিষ্ট কোনো মামলায় একজন ব্যক্তি দুটি বিবদমান পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন না। কিন্তু একই ধরনের অপরাধে বা একই দলের বা গোষ্ঠীর কোনো ব্যক্তির পক্ষে ডিফেন্স করেছেন বলে একজন আইনজীবী সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনো ব্যক্তির প্রসিকিউশন করতে পারবেন না, এমন কোনো আইনগত বাধা-নিষেধ পৃথিবীর কোথাও নেই।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বর্তমান প্রসিকিউটর জনাব করিম খান বর্তমান দায়িত্বে আসার আগে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট চার্লস টেইলর, কেনিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো, লিবিয়ার গাদ্দাফির পুত্র সাইফ গাদ্দাফিসহ বহু অভিযুক্তের ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে খোদ আইসিসিতেই কাজ করেছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সর্বজনশ্রদ্ধেয় মরহুম সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ব্যক্তিদের ডিফেন্সের প্রধান আইনজীবী হিসেবে তিনি প্রশ্নাতীত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন।
সর্বোপরি, মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের অফিস ও তদন্ত সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনের অপব্যাখ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা অসত্য যেকোনো বক্তব্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের উদ্যোগকে ব্যাহত করবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা ও সহযোগিতা কাম্য।
দেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে।
১ ঘণ্টা আগেবিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
৭ ঘণ্টা আগেইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এই আহ্বান জানান।
১১ ঘণ্টা আগেচীনের কুনমিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিনিয়োগ, অবকাঠামো, প্রযুক্তিসহ পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বলা হয়।
১১ ঘণ্টা আগে