নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অনলাইন জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জরুরি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্মবান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি-সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর পরিপন্থী। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ধারা ২০(১) অনুযায়ী, সাইবার স্পেসে জুয়া বা বেটিং-সম্পর্কিত পোর্টাল, অ্যাপস বা কনটেন্ট তৈরি, পরিচালনা, প্রচার, বিজ্ঞাপন প্রকাশ বা উৎসাহ প্রদান করা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইভাবে ধারা ২৫(১) অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক কনটেন্ট প্রচার, প্রচারে সহায়তা বা প্রচারের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন প্রকাশও অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের কার্যকলাপ তরুণ সমাজের নৈতিক বিকাশ, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক বন্ধনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রাষ্ট্রীয় নৈতিক কাঠামোর জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।
এতে বলা হয়, আইনি ভিত্তির আলোকে সরকার ও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি অনলাইন জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার প্রতিরোধে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।
সেখানে দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশের সব পত্রিকা অনলাইন সংবাদপত্র, নিউজ পোর্টালসহ যেকোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্তৃপক্ষকে জানানো যাচ্ছে, তাদের ডিফল্ট সাইট/অ্যাপ্লিকেশন, ব্রাউজারভিত্তিক বিজ্ঞাপনের অংশবিশেষ বা গুগল অ্যাডসেন্স ও অন্যান্য বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মে বা কাস্টমাইজ করা বিজ্ঞাপন অংশে কোনোভাবেই পর্নোগ্রাফি, জুয়া বা গ্যাম্বলিং-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন না। এটি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় পড়বে।
মিডিয়া সেলিব্রিটি, ইনফ্লুয়েন্সার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সেলিব্রিটি, ইনফ্লুয়েন্সার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে, তাঁরা যেন জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক কোনো পণ্য, সেবা বা ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনাল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া বা প্রচারে সহায়তা করা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। জনস্বার্থে নৈতিক ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে একটি সুস্থ ডিজিটাল সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
দেশি ও বিদেশি ওয়েবসাইট/অ্যাপ্লিকেশনের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশে পরিচালিত বা বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য কোনো দেশি বা বিদেশি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কোনো কনটেন্ট, অ্যাড বা লিংক প্রচার বা প্রচারে সহায়তা করা যাবে না। জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এ ধরনের কনটেন্ট মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এবং প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে ব্লকিং, জরিমানা বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্সে না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে; যাতে জুয়া, পর্নো, গ্যাম্বলিং এবং এ-সংক্রান্ত গেমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে এবং এ ব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।
সরকার মনে করে, একটি নৈতিক, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে সরকারি সংস্থা, মিডিয়া, প্রযুক্তি কোম্পানি ও নাগরিক সমাজের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বা কনটেন্ট দেখতে পেলে [email protected] ঠিকানায় রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যৌথভাবে কাজ করছে।
অনলাইন জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জরুরি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্মবান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি-সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর পরিপন্থী। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ধারা ২০(১) অনুযায়ী, সাইবার স্পেসে জুয়া বা বেটিং-সম্পর্কিত পোর্টাল, অ্যাপস বা কনটেন্ট তৈরি, পরিচালনা, প্রচার, বিজ্ঞাপন প্রকাশ বা উৎসাহ প্রদান করা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইভাবে ধারা ২৫(১) অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক কনটেন্ট প্রচার, প্রচারে সহায়তা বা প্রচারের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন প্রকাশও অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের কার্যকলাপ তরুণ সমাজের নৈতিক বিকাশ, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক বন্ধনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রাষ্ট্রীয় নৈতিক কাঠামোর জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।
এতে বলা হয়, আইনি ভিত্তির আলোকে সরকার ও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি অনলাইন জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার প্রতিরোধে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।
সেখানে দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশের সব পত্রিকা অনলাইন সংবাদপত্র, নিউজ পোর্টালসহ যেকোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্তৃপক্ষকে জানানো যাচ্ছে, তাদের ডিফল্ট সাইট/অ্যাপ্লিকেশন, ব্রাউজারভিত্তিক বিজ্ঞাপনের অংশবিশেষ বা গুগল অ্যাডসেন্স ও অন্যান্য বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মে বা কাস্টমাইজ করা বিজ্ঞাপন অংশে কোনোভাবেই পর্নোগ্রাফি, জুয়া বা গ্যাম্বলিং-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন না। এটি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় পড়বে।
মিডিয়া সেলিব্রিটি, ইনফ্লুয়েন্সার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সেলিব্রিটি, ইনফ্লুয়েন্সার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে, তাঁরা যেন জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক কোনো পণ্য, সেবা বা ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনাল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া বা প্রচারে সহায়তা করা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। জনস্বার্থে নৈতিক ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে একটি সুস্থ ডিজিটাল সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
দেশি ও বিদেশি ওয়েবসাইট/অ্যাপ্লিকেশনের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশে পরিচালিত বা বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য কোনো দেশি বা বিদেশি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কোনো কনটেন্ট, অ্যাড বা লিংক প্রচার বা প্রচারে সহায়তা করা যাবে না। জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এ ধরনের কনটেন্ট মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এবং প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে ব্লকিং, জরিমানা বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্সে না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে; যাতে জুয়া, পর্নো, গ্যাম্বলিং এবং এ-সংক্রান্ত গেমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে এবং এ ব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।
সরকার মনে করে, একটি নৈতিক, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে সরকারি সংস্থা, মিডিয়া, প্রযুক্তি কোম্পানি ও নাগরিক সমাজের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বা কনটেন্ট দেখতে পেলে [email protected] ঠিকানায় রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যৌথভাবে কাজ করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অনলাইন জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জরুরি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্মবান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি-সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর পরিপন্থী। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ধারা ২০(১) অনুযায়ী, সাইবার স্পেসে জুয়া বা বেটিং-সম্পর্কিত পোর্টাল, অ্যাপস বা কনটেন্ট তৈরি, পরিচালনা, প্রচার, বিজ্ঞাপন প্রকাশ বা উৎসাহ প্রদান করা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইভাবে ধারা ২৫(১) অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক কনটেন্ট প্রচার, প্রচারে সহায়তা বা প্রচারের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন প্রকাশও অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের কার্যকলাপ তরুণ সমাজের নৈতিক বিকাশ, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক বন্ধনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রাষ্ট্রীয় নৈতিক কাঠামোর জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।
এতে বলা হয়, আইনি ভিত্তির আলোকে সরকার ও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি অনলাইন জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার প্রতিরোধে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।
সেখানে দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশের সব পত্রিকা অনলাইন সংবাদপত্র, নিউজ পোর্টালসহ যেকোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্তৃপক্ষকে জানানো যাচ্ছে, তাদের ডিফল্ট সাইট/অ্যাপ্লিকেশন, ব্রাউজারভিত্তিক বিজ্ঞাপনের অংশবিশেষ বা গুগল অ্যাডসেন্স ও অন্যান্য বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মে বা কাস্টমাইজ করা বিজ্ঞাপন অংশে কোনোভাবেই পর্নোগ্রাফি, জুয়া বা গ্যাম্বলিং-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন না। এটি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় পড়বে।
মিডিয়া সেলিব্রিটি, ইনফ্লুয়েন্সার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সেলিব্রিটি, ইনফ্লুয়েন্সার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে, তাঁরা যেন জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক কোনো পণ্য, সেবা বা ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনাল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া বা প্রচারে সহায়তা করা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। জনস্বার্থে নৈতিক ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে একটি সুস্থ ডিজিটাল সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
দেশি ও বিদেশি ওয়েবসাইট/অ্যাপ্লিকেশনের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশে পরিচালিত বা বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য কোনো দেশি বা বিদেশি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কোনো কনটেন্ট, অ্যাড বা লিংক প্রচার বা প্রচারে সহায়তা করা যাবে না। জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এ ধরনের কনটেন্ট মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এবং প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে ব্লকিং, জরিমানা বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্সে না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে; যাতে জুয়া, পর্নো, গ্যাম্বলিং এবং এ-সংক্রান্ত গেমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে এবং এ ব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।
সরকার মনে করে, একটি নৈতিক, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে সরকারি সংস্থা, মিডিয়া, প্রযুক্তি কোম্পানি ও নাগরিক সমাজের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বা কনটেন্ট দেখতে পেলে [email protected] ঠিকানায় রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যৌথভাবে কাজ করছে।
অনলাইন জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জরুরি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্মবান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি-সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর পরিপন্থী। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ধারা ২০(১) অনুযায়ী, সাইবার স্পেসে জুয়া বা বেটিং-সম্পর্কিত পোর্টাল, অ্যাপস বা কনটেন্ট তৈরি, পরিচালনা, প্রচার, বিজ্ঞাপন প্রকাশ বা উৎসাহ প্রদান করা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইভাবে ধারা ২৫(১) অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক কনটেন্ট প্রচার, প্রচারে সহায়তা বা প্রচারের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন প্রকাশও অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের কার্যকলাপ তরুণ সমাজের নৈতিক বিকাশ, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক বন্ধনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রাষ্ট্রীয় নৈতিক কাঠামোর জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।
এতে বলা হয়, আইনি ভিত্তির আলোকে সরকার ও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি অনলাইন জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার প্রতিরোধে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।
সেখানে দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশের সব পত্রিকা অনলাইন সংবাদপত্র, নিউজ পোর্টালসহ যেকোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্তৃপক্ষকে জানানো যাচ্ছে, তাদের ডিফল্ট সাইট/অ্যাপ্লিকেশন, ব্রাউজারভিত্তিক বিজ্ঞাপনের অংশবিশেষ বা গুগল অ্যাডসেন্স ও অন্যান্য বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মে বা কাস্টমাইজ করা বিজ্ঞাপন অংশে কোনোভাবেই পর্নোগ্রাফি, জুয়া বা গ্যাম্বলিং-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন না। এটি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় পড়বে।
মিডিয়া সেলিব্রিটি, ইনফ্লুয়েন্সার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সেলিব্রিটি, ইনফ্লুয়েন্সার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে, তাঁরা যেন জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক কোনো পণ্য, সেবা বা ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনাল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া বা প্রচারে সহায়তা করা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। জনস্বার্থে নৈতিক ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে একটি সুস্থ ডিজিটাল সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
দেশি ও বিদেশি ওয়েবসাইট/অ্যাপ্লিকেশনের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশে পরিচালিত বা বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য কোনো দেশি বা বিদেশি ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কোনো কনটেন্ট, অ্যাড বা লিংক প্রচার বা প্রচারে সহায়তা করা যাবে না। জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এ ধরনের কনটেন্ট মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এবং প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে ব্লকিং, জরিমানা বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্সে না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে; যাতে জুয়া, পর্নো, গ্যাম্বলিং এবং এ-সংক্রান্ত গেমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে এবং এ ব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।
সরকার মনে করে, একটি নৈতিক, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে সরকারি সংস্থা, মিডিয়া, প্রযুক্তি কোম্পানি ও নাগরিক সমাজের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বা কনটেন্ট দেখতে পেলে [email protected] ঠিকানায় রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যৌথভাবে কাজ করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ সাত মাস সংলাপের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার পরে জমকালো অনুষ্ঠানে সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রতিনিধিদের জুলাই সনদে সই করার কথা। এ জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ।
৩৭ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের পুনর্গঠন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দলটির প্রভাবশালী নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রেহানা হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৫ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য পৃথক এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সময় সংসদ এলাকায় কোনো প্রকার ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ সাত মাস সংলাপের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার পরে জমকালো অনুষ্ঠানে সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রতিনিধিদের জুলাই সনদে সই করার কথা। এ জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। কিন্তু বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা, নোট অব ডিসেন্টসহ (আপত্তি) কয়েকটি বিষয় অমীমাংসিত থেকে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদে সব দলের স্বাক্ষর করা নিয়ে সংশয় ও অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
এরই মধ্যে বাস্তবায়ন আদেশ ও আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নোট অব ডিসেন্টসহ সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে চার বাম দল। জামায়াতে ইসলামী বলেছে, তারা অনুষ্ঠানে যাবে, কিন্তু সনদে সই করবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেয়নি। বাস্তবায়নের সুপারিশ দেখেই সনদে স্বাক্ষর করবে তারা। আর বিএনপি জুড়ে দিয়েছে অঙ্গীকারনামায় নোট অব ডিসেন্ট যুক্ত করার শর্ত। এমন এক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে আজ সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
জুলাই সনদে বিএনপি স্বাক্ষর করবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক পথসভায় বলেন, ‘আগামী দিন আপনারা জানতে পারবেন, বিএনপি স্বাক্ষর (সনদে) করবে কি না। এত অস্থির হইয়েন না, একটু টেনশন থাকা ভালো।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি সংস্কার ইস্যুতে অত্যন্ত ইতিবাচক। অবশ্যই সনদে স্বাক্ষর করব, আমরা যে কথাগুলো বলেছি, সেগুলো যদি লিপিবদ্ধ করা হয়, অঙ্গীকারনামায় নোট অব ডিসেন্ট রাখা হয়। গণভোট তো মেনে নিয়েছি...নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে। সুতরাং আমরা এখন পর্যন্ত অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছি।’
৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে সনদের অঙ্গীকারনামায় নোট অব ডিসেন্টের বিষয়টি উল্লেখ করার দাবি করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। কিন্তু ১৪ অক্টোবর দেওয়া চূড়ান্ত সনদের অঙ্গীকারনামায় বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। ফলে সনদ স্বাক্ষরের আগে এ নিয়ে চাপ দিচ্ছে দলটি।
গত ২০ মার্চ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে ৮৪টি প্রস্তাবে আপত্তিসহ ঐকমত্যে পৌঁছায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে তারা। সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি গত মঙ্গলবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়। ৮৪ প্রস্তাবের মধ্যে ৪৩টি সংবিধান সংশোধন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন করতে হবে। বাকি ৪১টি অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি বিষয় ও বাস্তবায়নের সাত দফা অঙ্গীকারনামার ভিত্তিতে আজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার কথা সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর। দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের দুজন করে প্রতিনিধিকে সনদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে কমিশন আমন্ত্রণ জানিয়েছে; যার মধ্যে বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিএনপির সমমনাসহ ২০টি রাজনৈতিক দল ও জোট স্বাক্ষরের বিষয়ে ইতিবাচক। জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া দেখেই সনদে স্বাক্ষর করতে চায় বলে জানা গেছে। বাস্তবায়ন আদেশের বিষয়বস্তু না থাকায় সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি। আপত্তিসহ সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে সিপিবি, বাসদ, বাংলাদেশ জাসদ ও বাসদ (মার্ক্সবাদী)।
এদিকে তিনটি বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে এনসিপি। গতকাল সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা তিনটি বিষয় নিশ্চিত হতে চাই। এক. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের “টেক্সট” এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে আগেই জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে। দুই. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। তিন. গণভোটের মাধ্যমে জনগণ যদি জুলাই সনদে রায় দেয়, তবে “নোট অব ডিসেন্ট”-এর কোনো কার্যকরিতা থাকবে না। গণভোটের রায় অনুযায়ী আগামী নির্বাচিত সংসদ তাদের ওপর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংবিধান সংস্কার করবে। সংস্কারকৃত সংবিধানের নাম হবে—বাংলাদেশ সংবিধান, ২০২৬।’ নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া অর্ডারে স্বাক্ষর করা মূল্যহীন হবে। সেই বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনুষ্ঠানে অংশীদার হব না।’
এনসিপির এমন অনড় অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের রাজি করাতে গতকাল রাত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ভিত্তিতে সনদ তৈরিকে বাংলাদেশের ৫৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে মাইলফলক বলে মনে করেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ প্রচেষ্টার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো একযোগে কাজ করেছে, সে ক্ষেত্রে ভিন্নমত থাকার কথা। তদুপরি একটা পথরেখা তৈরি করা হচ্ছে। এটাকে সম্পূর্ণ বা পূর্ণাঙ্গ দাবি করা যাবে না। কিন্তু যতটুকু অর্জিত হয়েছে, গত ৫৪ বছরে আমরা ততটুকু অর্জন করতে পারিনি। রাষ্ট্র সংস্কারের আরও অনেক কাজ থাকবে, সেই প্রক্রিয়া রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক। জনপ্রতিনিধিদের সে দায়িত্ব নিতে হবে। ’
গুরুত্বপূর্ণ যেসব বিষয়ে মতানৈক্য
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারবেন না বলা আছে। বিএনপি দলীয় প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী করার পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের নেতার সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বাছাই কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে কমিশন। কমিটি ব্যর্থ হলে তাদের সঙ্গে বিচার বিভাগের দুজন প্রতিনিধি যুক্ত হবেন, যাঁরা গোপন ব্যালটে
র্যাংকড চয়েজ (ক্রমভিত্তিক) পদ্ধতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নির্বাচন করবেন। কিন্তু বিএনপি র্যাংকড চয়েজের বিরুদ্ধে, সংসদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নির্বাচনের পক্ষে। কমিশন সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিলেও তা চায় না বিএনপি। তারা আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ চায়। অন্যদিকে সিপিবি, বাসদসহ কয়েকটি বাম দল উচ্চকক্ষের বিপক্ষে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল এবং আস্থা ভোট ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোটদানের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের। বিএনপি এ দুটির সঙ্গে সংবিধান সংশোধন ও জাতীয় নিরাপত্তা (যুদ্ধ পরিস্থিতি) যুক্ত করার পক্ষে।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব করেছে কমিশন। তবে জ্যেষ্ঠতম দুই বিচারপতি হতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের কথা নির্বাচনী ইশতেহারে রাখা দল বিজয়ী হলে, সেটি করতে পারবে। বিএনপি নির্বাচনী ইশতেহারে সেটি রাখবে। ন্যায়পাল, সরকারি কর্ম কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়োগের বিধান সংবিধানে যুক্ত করার বিপক্ষে বিএনপি।
সনদের ঐকমত্য হওয়া ৫ নম্বর সুপারিশে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০(২) বিলুপ্ত করা হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট ৫ম, ৬ষ্ঠ এবং ৭ম তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। বিষয়টিতে বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলো একমত। বর্তমান সংবিধানের ৫ম তফসিলে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, ৬ষ্ঠ তফসিলে ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ৭ম তফসিলে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আছে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ দেওয়ার সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বিষয়টি বিবেচনা করে শুধু ৫ম ও ৬ষ্ঠ তফসিল সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ রেখেছে শেষ পর্যন্ত।
প্রস্তুত অনুষ্ঠানস্থল
সরকারের পক্ষ থেকে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে এরই মধ্যে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণমুখী এই মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টা, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য, ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের দুজন করে প্রতিনিধির বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জুলাই সনদের একটি ‘মাস্টারপিস’ থাকবে, যার তিনটি অংশ থাকবে সংস্কার উদ্যোগের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটসহ ভূমিকা, সংস্কার প্রস্তাবের তালিকা এবং একটি অঙ্গীকারনামা। অঙ্গীকারনামার ৩০টি কপি দলীয় প্রতিনিধিদের স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপন করা হবে। পরে প্রতিনিধিরা ‘মাস্টারপিস’-এ স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রায় দুই হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান মাগরিবের আগেই শেষ হবে। নামাজের বিরতির পরে দ্বিতীয় পর্বের প্রজেকশন ম্যাপিংয়ে সনদ তৈরির পটভূমি ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। প্রজেকশন ম্যাপিংয়ের স্ক্রিন হিসেবে জাতীয় সংসদ ভবনকে ব্যবহার করা হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ সাত মাস সংলাপের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার পরে জমকালো অনুষ্ঠানে সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রতিনিধিদের জুলাই সনদে সই করার কথা। এ জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। কিন্তু বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা, নোট অব ডিসেন্টসহ (আপত্তি) কয়েকটি বিষয় অমীমাংসিত থেকে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদে সব দলের স্বাক্ষর করা নিয়ে সংশয় ও অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
এরই মধ্যে বাস্তবায়ন আদেশ ও আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নোট অব ডিসেন্টসহ সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে চার বাম দল। জামায়াতে ইসলামী বলেছে, তারা অনুষ্ঠানে যাবে, কিন্তু সনদে সই করবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেয়নি। বাস্তবায়নের সুপারিশ দেখেই সনদে স্বাক্ষর করবে তারা। আর বিএনপি জুড়ে দিয়েছে অঙ্গীকারনামায় নোট অব ডিসেন্ট যুক্ত করার শর্ত। এমন এক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে আজ সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
জুলাই সনদে বিএনপি স্বাক্ষর করবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক পথসভায় বলেন, ‘আগামী দিন আপনারা জানতে পারবেন, বিএনপি স্বাক্ষর (সনদে) করবে কি না। এত অস্থির হইয়েন না, একটু টেনশন থাকা ভালো।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি সংস্কার ইস্যুতে অত্যন্ত ইতিবাচক। অবশ্যই সনদে স্বাক্ষর করব, আমরা যে কথাগুলো বলেছি, সেগুলো যদি লিপিবদ্ধ করা হয়, অঙ্গীকারনামায় নোট অব ডিসেন্ট রাখা হয়। গণভোট তো মেনে নিয়েছি...নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে। সুতরাং আমরা এখন পর্যন্ত অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছি।’
৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে সনদের অঙ্গীকারনামায় নোট অব ডিসেন্টের বিষয়টি উল্লেখ করার দাবি করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। কিন্তু ১৪ অক্টোবর দেওয়া চূড়ান্ত সনদের অঙ্গীকারনামায় বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। ফলে সনদ স্বাক্ষরের আগে এ নিয়ে চাপ দিচ্ছে দলটি।
গত ২০ মার্চ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে ৮৪টি প্রস্তাবে আপত্তিসহ ঐকমত্যে পৌঁছায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে তারা। সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি গত মঙ্গলবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়। ৮৪ প্রস্তাবের মধ্যে ৪৩টি সংবিধান সংশোধন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন করতে হবে। বাকি ৪১টি অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি বিষয় ও বাস্তবায়নের সাত দফা অঙ্গীকারনামার ভিত্তিতে আজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার কথা সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর। দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের দুজন করে প্রতিনিধিকে সনদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে কমিশন আমন্ত্রণ জানিয়েছে; যার মধ্যে বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিএনপির সমমনাসহ ২০টি রাজনৈতিক দল ও জোট স্বাক্ষরের বিষয়ে ইতিবাচক। জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া দেখেই সনদে স্বাক্ষর করতে চায় বলে জানা গেছে। বাস্তবায়ন আদেশের বিষয়বস্তু না থাকায় সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি। আপত্তিসহ সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে সিপিবি, বাসদ, বাংলাদেশ জাসদ ও বাসদ (মার্ক্সবাদী)।
এদিকে তিনটি বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে এনসিপি। গতকাল সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা তিনটি বিষয় নিশ্চিত হতে চাই। এক. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের “টেক্সট” এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে আগেই জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে। দুই. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। তিন. গণভোটের মাধ্যমে জনগণ যদি জুলাই সনদে রায় দেয়, তবে “নোট অব ডিসেন্ট”-এর কোনো কার্যকরিতা থাকবে না। গণভোটের রায় অনুযায়ী আগামী নির্বাচিত সংসদ তাদের ওপর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংবিধান সংস্কার করবে। সংস্কারকৃত সংবিধানের নাম হবে—বাংলাদেশ সংবিধান, ২০২৬।’ নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া অর্ডারে স্বাক্ষর করা মূল্যহীন হবে। সেই বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনুষ্ঠানে অংশীদার হব না।’
এনসিপির এমন অনড় অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের রাজি করাতে গতকাল রাত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ভিত্তিতে সনদ তৈরিকে বাংলাদেশের ৫৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে মাইলফলক বলে মনে করেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ প্রচেষ্টার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো একযোগে কাজ করেছে, সে ক্ষেত্রে ভিন্নমত থাকার কথা। তদুপরি একটা পথরেখা তৈরি করা হচ্ছে। এটাকে সম্পূর্ণ বা পূর্ণাঙ্গ দাবি করা যাবে না। কিন্তু যতটুকু অর্জিত হয়েছে, গত ৫৪ বছরে আমরা ততটুকু অর্জন করতে পারিনি। রাষ্ট্র সংস্কারের আরও অনেক কাজ থাকবে, সেই প্রক্রিয়া রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক। জনপ্রতিনিধিদের সে দায়িত্ব নিতে হবে। ’
গুরুত্বপূর্ণ যেসব বিষয়ে মতানৈক্য
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারবেন না বলা আছে। বিএনপি দলীয় প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী করার পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের নেতার সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বাছাই কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে কমিশন। কমিটি ব্যর্থ হলে তাদের সঙ্গে বিচার বিভাগের দুজন প্রতিনিধি যুক্ত হবেন, যাঁরা গোপন ব্যালটে
র্যাংকড চয়েজ (ক্রমভিত্তিক) পদ্ধতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নির্বাচন করবেন। কিন্তু বিএনপি র্যাংকড চয়েজের বিরুদ্ধে, সংসদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নির্বাচনের পক্ষে। কমিশন সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিলেও তা চায় না বিএনপি। তারা আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ চায়। অন্যদিকে সিপিবি, বাসদসহ কয়েকটি বাম দল উচ্চকক্ষের বিপক্ষে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল এবং আস্থা ভোট ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোটদানের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের। বিএনপি এ দুটির সঙ্গে সংবিধান সংশোধন ও জাতীয় নিরাপত্তা (যুদ্ধ পরিস্থিতি) যুক্ত করার পক্ষে।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব করেছে কমিশন। তবে জ্যেষ্ঠতম দুই বিচারপতি হতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের কথা নির্বাচনী ইশতেহারে রাখা দল বিজয়ী হলে, সেটি করতে পারবে। বিএনপি নির্বাচনী ইশতেহারে সেটি রাখবে। ন্যায়পাল, সরকারি কর্ম কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়োগের বিধান সংবিধানে যুক্ত করার বিপক্ষে বিএনপি।
সনদের ঐকমত্য হওয়া ৫ নম্বর সুপারিশে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০(২) বিলুপ্ত করা হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট ৫ম, ৬ষ্ঠ এবং ৭ম তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। বিষয়টিতে বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলো একমত। বর্তমান সংবিধানের ৫ম তফসিলে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, ৬ষ্ঠ তফসিলে ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ৭ম তফসিলে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আছে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ দেওয়ার সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বিষয়টি বিবেচনা করে শুধু ৫ম ও ৬ষ্ঠ তফসিল সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ রেখেছে শেষ পর্যন্ত।
প্রস্তুত অনুষ্ঠানস্থল
সরকারের পক্ষ থেকে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে এরই মধ্যে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণমুখী এই মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টা, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য, ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের দুজন করে প্রতিনিধির বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জুলাই সনদের একটি ‘মাস্টারপিস’ থাকবে, যার তিনটি অংশ থাকবে সংস্কার উদ্যোগের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটসহ ভূমিকা, সংস্কার প্রস্তাবের তালিকা এবং একটি অঙ্গীকারনামা। অঙ্গীকারনামার ৩০টি কপি দলীয় প্রতিনিধিদের স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপন করা হবে। পরে প্রতিনিধিরা ‘মাস্টারপিস’-এ স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রায় দুই হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান মাগরিবের আগেই শেষ হবে। নামাজের বিরতির পরে দ্বিতীয় পর্বের প্রজেকশন ম্যাপিংয়ে সনদ তৈরির পটভূমি ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। প্রজেকশন ম্যাপিংয়ের স্ক্রিন হিসেবে জাতীয় সংসদ ভবনকে ব্যবহার করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্মবান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ
১২ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের পুনর্গঠন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দলটির প্রভাবশালী নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রেহানা হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৫ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য পৃথক এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সময় সংসদ এলাকায় কোনো প্রকার ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দলটির প্রভাবশালী নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রেহানা হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করা হবে। দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদি হয়ে মামলাটি।দায়ের করবেন।
দুদকের অনুমোদিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবের হোসেন চৌধুরী ১৯৮৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ১২ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকার বেশি সম্পদ অর্জন করেন এবং ২১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১২৪ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেন করেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা অনুযায়ী মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, সাবের হোসেনের স্ত্রী রেহানা হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ২৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে ৩টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১৫০ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন বলে দুদক জানিয়েছে। এই মামলায় সাবের হোসেনকেও সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দুদকের অনুসন্ধানে তাদের সম্পদ ও লেনদেনের উৎসে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে পৃথক এক মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তিনি জামিনে মুক্তি পান। দুদকের নতুন এই মামলাগুলোর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি তদন্ত আরও বিস্তৃত হলো বলে মনে করছে সংস্থাটি।
আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দলটির প্রভাবশালী নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রেহানা হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করা হবে। দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদি হয়ে মামলাটি।দায়ের করবেন।
দুদকের অনুমোদিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবের হোসেন চৌধুরী ১৯৮৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ১২ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকার বেশি সম্পদ অর্জন করেন এবং ২১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১২৪ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেন করেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা অনুযায়ী মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, সাবের হোসেনের স্ত্রী রেহানা হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ২৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে ৩টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১৫০ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন বলে দুদক জানিয়েছে। এই মামলায় সাবের হোসেনকেও সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দুদকের অনুসন্ধানে তাদের সম্পদ ও লেনদেনের উৎসে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে পৃথক এক মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তিনি জামিনে মুক্তি পান। দুদকের নতুন এই মামলাগুলোর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি তদন্ত আরও বিস্তৃত হলো বলে মনে করছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্মবান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ
১২ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ সাত মাস সংলাপের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার পরে জমকালো অনুষ্ঠানে সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রতিনিধিদের জুলাই সনদে সই করার কথা। এ জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ।
৩৭ মিনিট আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য পৃথক এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সময় সংসদ এলাকায় কোনো প্রকার ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য পৃথক এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন দলের চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আজ রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার হাতে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। খালেদা জিয়া হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে আমন্ত্রণপত্র পড়ে দেখেন।
এ সময় বদিউল আলম মজুমদার, মনির হায়দার ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার ও মনির হায়দার। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিতে ও প্রধান উপদেষ্টার সালাম জানাতে আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছে এসেছিলাম। তিনি দাওয়াত গ্রহণ করেছেন এবং অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করেছেন।’
আমন্ত্রণ পেয়ে খালেদা জিয়া অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন বলে জানান মনির হায়দার। তিনি বলেন, জুলাই সনদকে খালেদা জিয়া স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটা মাইলফলক। বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টিতে এই সনদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় জুলাই সনদ স্বাক্ষর নিয়ে মনির হায়দার বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের ইতিহাসের বড় বড় রাজনৈতিক ঘটনার একটি। গত ৫৪ বছরে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ এর আগে কখনো নেওয়া হয়নি। সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবিসংবাদিত নেতা খালেদা জিয়ার উপস্থিতি খুবই স্বাভাবিক একটা চাওয়া। তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন বা না পারেন, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো একটা অবধারিত বিষয়। প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ গুরুত্বসহকারে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমাদের পাঠিয়েছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন, তাঁর শরীর ভালো থাকলে অবশ্যই তিনি সেখানে সশরীরে যেতেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে মনির হায়দার বলেন, ‘সনদ স্বাক্ষর নিয়ে আমরা নেতিবাচক কোনো কিছু ভাবতে চাই না, ভাবার অবকাশও দেখছি না। আমরা আশা করি, সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হবেন এবং স্বাক্ষর করবেন। এই সনদ অনুযায়ী বাংলাদেশ নতুন এক গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা শুরু করবে।’
আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘জাতীয় জুলাই সনদ, ২০২৫’-এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এদিন বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আয়োজনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন। সে সঙ্গে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা ও উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য পৃথক এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন দলের চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আজ রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার হাতে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। খালেদা জিয়া হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে আমন্ত্রণপত্র পড়ে দেখেন।
এ সময় বদিউল আলম মজুমদার, মনির হায়দার ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার ও মনির হায়দার। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিতে ও প্রধান উপদেষ্টার সালাম জানাতে আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছে এসেছিলাম। তিনি দাওয়াত গ্রহণ করেছেন এবং অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করেছেন।’
আমন্ত্রণ পেয়ে খালেদা জিয়া অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন বলে জানান মনির হায়দার। তিনি বলেন, জুলাই সনদকে খালেদা জিয়া স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটা মাইলফলক। বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টিতে এই সনদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় জুলাই সনদ স্বাক্ষর নিয়ে মনির হায়দার বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের ইতিহাসের বড় বড় রাজনৈতিক ঘটনার একটি। গত ৫৪ বছরে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ এর আগে কখনো নেওয়া হয়নি। সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবিসংবাদিত নেতা খালেদা জিয়ার উপস্থিতি খুবই স্বাভাবিক একটা চাওয়া। তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন বা না পারেন, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো একটা অবধারিত বিষয়। প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ গুরুত্বসহকারে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমাদের পাঠিয়েছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন, তাঁর শরীর ভালো থাকলে অবশ্যই তিনি সেখানে সশরীরে যেতেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে মনির হায়দার বলেন, ‘সনদ স্বাক্ষর নিয়ে আমরা নেতিবাচক কোনো কিছু ভাবতে চাই না, ভাবার অবকাশও দেখছি না। আমরা আশা করি, সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হবেন এবং স্বাক্ষর করবেন। এই সনদ অনুযায়ী বাংলাদেশ নতুন এক গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা শুরু করবে।’
আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘জাতীয় জুলাই সনদ, ২০২৫’-এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এদিন বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আয়োজনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন। সে সঙ্গে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা ও উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্মবান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ
১২ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ সাত মাস সংলাপের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার পরে জমকালো অনুষ্ঠানে সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রতিনিধিদের জুলাই সনদে সই করার কথা। এ জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ।
৩৭ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের পুনর্গঠন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দলটির প্রভাবশালী নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রেহানা হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৫ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সময় সংসদ এলাকায় কোনো প্রকার ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সময় সংসদ এলাকায় কোনো প্রকার ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আলী রীয়াজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আলী রীয়াজ বলেন, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। নিরাপত্তার কারণে এ সময় কোনো প্রকার ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ সময় আলী রীয়াজ বলেন, ‘নোট অব ডিসেন্টসহ ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সনদ প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই সনদই শুক্রবার স্বাক্ষর হবে। বিভিন্ন রকমের মতভিন্নতা সত্ত্বেও আমরা আশা করি, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, সেই দলগুলোর নেতারা উপস্থিত থাকবেন। তাঁরা সনদে স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে আরেকটি পর্যায়ে আমরা অগ্রসর হতে পারব।’
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সময় সংসদ এলাকায় কোনো প্রকার ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আলী রীয়াজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আলী রীয়াজ বলেন, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। নিরাপত্তার কারণে এ সময় কোনো প্রকার ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ সময় আলী রীয়াজ বলেন, ‘নোট অব ডিসেন্টসহ ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সনদ প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই সনদই শুক্রবার স্বাক্ষর হবে। বিভিন্ন রকমের মতভিন্নতা সত্ত্বেও আমরা আশা করি, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, সেই দলগুলোর নেতারা উপস্থিত থাকবেন। তাঁরা সনদে স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে আরেকটি পর্যায়ে আমরা অগ্রসর হতে পারব।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্মবান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ
১২ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ সাত মাস সংলাপের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার পরে জমকালো অনুষ্ঠানে সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রতিনিধিদের জুলাই সনদে সই করার কথা। এ জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ।
৩৭ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের পুনর্গঠন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দলটির প্রভাবশালী নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রেহানা হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৫ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য পৃথক এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগে