নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। ফলে আমরা গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গেলে তাদের কারণে সেটি আটকে যায়। তবে আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আশা করছি আমরা খুব শিগগিরই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে যাব। এ জন্য আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। গণহত্যা নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ আমরা গবেষণা করছি। অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের নেতৃত্বে এই গবেষণা চলছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার বধ্যভূমি চিহ্নিত করেছি। এখন পর্যন্ত যে তথ্য আমরা পাচ্ছি, তাতে গণহত্যার শিকার মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি হবে। সুতরাং সংখ্যা নিয়ে যাঁরা বিতর্ক করছেন, তাঁদের ধারণা অমূলক। সুস্পষ্ট তথ্উ-পাত্ত আমাদের কাছে আছে।’
বাংলাদেশের গণহত্যার একজন প্রত্যক্ষদর্শী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কে বলেছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়নি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল ও জগন্নাথ হলে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সবাইকে হত্যা করা হয়। গণহত্যা আমি আমার নিজের চোখে দেখেছি। আমার নির্বাচনী এলাকা মুক্তাগাছার কাছে ব্রহ্মপুত্র নদীর চরে হত্যার শিকার কয়েক শ মৃতদেহ দেখেছি। সেখানে হত্যার শিকার আমার বন্ধু রমজানের মৃতদেহের হাড়গোড় একটা কাপড়ে বেঁধে তার রিকশাওয়ালা বাবা দৌড়াতে দৌড়াতে চিৎকার করেছে এই তো আমার রমজান। আমার রমজানরে পাইছি। আমি সেই দৃশ্য নিজের চোখে দেখেছি। সুতরাং কারা বলে গণহত্যা হয়নি? গণহত্যা হয়েছে।’
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লন্ডন, ব্রিসবেনহ বিভিন্ন শহরে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গণহত্যা নিয়ে অধিকাংশ লেখা বাংলায়। এটি ইংরেজি, ফরাসি ও ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করা দরকার।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, অনেকে প্রশ্ন তোলেন, ৯ মাসে কীভাবে এত মানুষকে হত্যা করা সম্ভব? আসলে বাংলাদেশের জনঘনত্ব এত বেশি যে এ কারণেই এত বেশি মানুষকে হত্যা করা সম্ভব হয়েছিল। সুতরাং সংখ্যাটা আসলেই বেশি ছিল।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্যসচিব মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, রেভারেন্ট মার্টিন অধিকারীসহ অন্যরা।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। ফলে আমরা গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গেলে তাদের কারণে সেটি আটকে যায়। তবে আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আশা করছি আমরা খুব শিগগিরই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে যাব। এ জন্য আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। গণহত্যা নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ আমরা গবেষণা করছি। অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের নেতৃত্বে এই গবেষণা চলছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার বধ্যভূমি চিহ্নিত করেছি। এখন পর্যন্ত যে তথ্য আমরা পাচ্ছি, তাতে গণহত্যার শিকার মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি হবে। সুতরাং সংখ্যা নিয়ে যাঁরা বিতর্ক করছেন, তাঁদের ধারণা অমূলক। সুস্পষ্ট তথ্উ-পাত্ত আমাদের কাছে আছে।’
বাংলাদেশের গণহত্যার একজন প্রত্যক্ষদর্শী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কে বলেছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়নি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল ও জগন্নাথ হলে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সবাইকে হত্যা করা হয়। গণহত্যা আমি আমার নিজের চোখে দেখেছি। আমার নির্বাচনী এলাকা মুক্তাগাছার কাছে ব্রহ্মপুত্র নদীর চরে হত্যার শিকার কয়েক শ মৃতদেহ দেখেছি। সেখানে হত্যার শিকার আমার বন্ধু রমজানের মৃতদেহের হাড়গোড় একটা কাপড়ে বেঁধে তার রিকশাওয়ালা বাবা দৌড়াতে দৌড়াতে চিৎকার করেছে এই তো আমার রমজান। আমার রমজানরে পাইছি। আমি সেই দৃশ্য নিজের চোখে দেখেছি। সুতরাং কারা বলে গণহত্যা হয়নি? গণহত্যা হয়েছে।’
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লন্ডন, ব্রিসবেনহ বিভিন্ন শহরে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গণহত্যা নিয়ে অধিকাংশ লেখা বাংলায়। এটি ইংরেজি, ফরাসি ও ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করা দরকার।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, অনেকে প্রশ্ন তোলেন, ৯ মাসে কীভাবে এত মানুষকে হত্যা করা সম্ভব? আসলে বাংলাদেশের জনঘনত্ব এত বেশি যে এ কারণেই এত বেশি মানুষকে হত্যা করা সম্ভব হয়েছিল। সুতরাং সংখ্যাটা আসলেই বেশি ছিল।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্যসচিব মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, রেভারেন্ট মার্টিন অধিকারীসহ অন্যরা।
দেশের স্থানীয় পর্যায়ে গ্রামীণ, পানিসম্পদ ও নগর অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এসব অবকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে সেটি ভারত পছন্দ করেনি। এ কারণে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগেশাকসবজি ও ফল সংরক্ষণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিবেশবান্ধব সৌর প্রযুক্তির সহায়তায় ১০০টি ‘ফারমার্স মিনি কোল্ডস্টোরেজ’ স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। চলতি বছরে এগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেলের র্যাপিড পাস কার্ড এবার থেকে অনলাইনেই রিচার্জ করতে পারবে যাত্রীরা। তারা ঘরে বসেই র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে সহজে রিচার্জ করতে পারবে। ফলে যাত্রীদের আর স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রিচার্জ করার ধকল পোহাতে হবে না।
৯ ঘণ্টা আগে