রাহুল শর্মা, ঢাকা

দেশের শিক্ষাক্রম ‘পরিমার্জন’ করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ‘পরিমার্জিত’ শিক্ষাক্রম তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই করা হচ্ছে। এ কাজে যুক্ত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের তালিকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনসিটিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সূত্র বলেছে, ২০২৭ সালে পরিমার্জিত এ শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হতে পারে। এ জন্য নানা কিছু যাচাইয়ের কাজ (অ্যাসেসমেন্ট) শুরু হয়েছে। প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। পরে ধাপে ধাপে তা অন্য শ্রেণিতেও চালু করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ইতিমধ্যে ‘নতুন স্বপ্ন ও পরিকল্পনার’ ভিত্তিতে সংশোধিত শিক্ষাক্রম তৈরির নীতিগত আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ‘প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তি দায়, দরদ, ইনসাফ’ ইত্যাদি বিবেচনায় থাকবে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়ে উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, এ জন্য ‘বর্তমানের যে শিক্ষাক্রম তার থেকে মুক্তচিন্তা করতে হবে। সেটা যেন করা সম্ভব হয়, তার জন্য নিজেদের ও অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা এবং জাতীয় ঐকমত্যের বোধ হয় একটা প্রয়োজন রয়েছে।’
সূত্র বলছে, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম প্রণয়নের বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বা কোন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে, তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যতম কারণ দেশে রাজনৈতিক সরকার নেই। জুন মাসে শিক্ষাক্রম বিষয়ে একটি কর্মশালা হওয়ার কথা ছিল, তা পিছিয়ে চলতি মাসে করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে ২০২৩ সাল থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। পরের বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা চালু হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালুর মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই সেই নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তবে প্রাথমিকে কার্যত নতুন শিক্ষাক্রমই বহাল রাখা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৭ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চালুর। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে প্রথমে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের। পরে ধাপে ধাপে অন্য শ্রেণিতে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
২০২৭ সাল থেকে চালু হতে যাওয়া পরিকল্পিত শিক্ষাক্রমকে ‘পরিমার্জিত’ বলা হচ্ছে কেন—এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষাক্রম আরেকটি শিক্ষাক্রমের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হয়। তাই চালু হতে যাওয়া শিক্ষাক্রমকে পরিমার্জিত বলাই শ্রেয়।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘২০২৭ সালে যাতে ষষ্ঠ শ্রেণি নতুন (পরিমার্জিত) শিক্ষাক্রমের আওতায় আসে, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। একসঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা সুচিন্তিত নয়। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আওতায় যাবে।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষাক্রম তৈরির বিষয়টি মূলত নির্ভর করে রাজনৈতিক সরকারের ওপর। কেননা শিক্ষাক্রমের অনেক কিছুই নির্ভর করে সরকারের প্রত্যাশা ও নির্দেশনার ওপর। এ জন্য ধীরে চলো নীতি নিয়েছে এনসিটিবি। তাঁরা আরও বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে নানা আলোচনা আর কর্মশালা হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে তা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না। কারণ শিক্ষাক্রম প্রণয়নের বিষয়ে অনেক সিদ্ধান্তই হয় রাজনৈতিক সরকারের প্রত্যাশার ভিত্তিতে।
পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম তৈরির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘নানা কারণে আগের সরকারের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন সেই ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী চলছে পাঠদান। সামাজিক প্রেক্ষাপট, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনসহ নানা কারণে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন জরুরি। সবকিছু চিন্তা করে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে।’
শিক্ষাবিষয়ক এ বিশেষজ্ঞ এ-ও বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন ঠিক নয়, যা শেষ শিক্ষাক্রমে করা হয়েছিল, সে পরিবর্তনটা টেকসই হয়নি। সুতরাং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

দেশের শিক্ষাক্রম ‘পরিমার্জন’ করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ‘পরিমার্জিত’ শিক্ষাক্রম তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই করা হচ্ছে। এ কাজে যুক্ত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের তালিকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনসিটিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সূত্র বলেছে, ২০২৭ সালে পরিমার্জিত এ শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হতে পারে। এ জন্য নানা কিছু যাচাইয়ের কাজ (অ্যাসেসমেন্ট) শুরু হয়েছে। প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। পরে ধাপে ধাপে তা অন্য শ্রেণিতেও চালু করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ইতিমধ্যে ‘নতুন স্বপ্ন ও পরিকল্পনার’ ভিত্তিতে সংশোধিত শিক্ষাক্রম তৈরির নীতিগত আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ‘প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তি দায়, দরদ, ইনসাফ’ ইত্যাদি বিবেচনায় থাকবে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়ে উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, এ জন্য ‘বর্তমানের যে শিক্ষাক্রম তার থেকে মুক্তচিন্তা করতে হবে। সেটা যেন করা সম্ভব হয়, তার জন্য নিজেদের ও অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা এবং জাতীয় ঐকমত্যের বোধ হয় একটা প্রয়োজন রয়েছে।’
সূত্র বলছে, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম প্রণয়নের বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বা কোন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে, তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যতম কারণ দেশে রাজনৈতিক সরকার নেই। জুন মাসে শিক্ষাক্রম বিষয়ে একটি কর্মশালা হওয়ার কথা ছিল, তা পিছিয়ে চলতি মাসে করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে ২০২৩ সাল থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। পরের বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা চালু হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালুর মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই সেই নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তবে প্রাথমিকে কার্যত নতুন শিক্ষাক্রমই বহাল রাখা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৭ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চালুর। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে প্রথমে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের। পরে ধাপে ধাপে অন্য শ্রেণিতে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
২০২৭ সাল থেকে চালু হতে যাওয়া পরিকল্পিত শিক্ষাক্রমকে ‘পরিমার্জিত’ বলা হচ্ছে কেন—এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষাক্রম আরেকটি শিক্ষাক্রমের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হয়। তাই চালু হতে যাওয়া শিক্ষাক্রমকে পরিমার্জিত বলাই শ্রেয়।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘২০২৭ সালে যাতে ষষ্ঠ শ্রেণি নতুন (পরিমার্জিত) শিক্ষাক্রমের আওতায় আসে, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। একসঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা সুচিন্তিত নয়। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আওতায় যাবে।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষাক্রম তৈরির বিষয়টি মূলত নির্ভর করে রাজনৈতিক সরকারের ওপর। কেননা শিক্ষাক্রমের অনেক কিছুই নির্ভর করে সরকারের প্রত্যাশা ও নির্দেশনার ওপর। এ জন্য ধীরে চলো নীতি নিয়েছে এনসিটিবি। তাঁরা আরও বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে নানা আলোচনা আর কর্মশালা হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে তা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না। কারণ শিক্ষাক্রম প্রণয়নের বিষয়ে অনেক সিদ্ধান্তই হয় রাজনৈতিক সরকারের প্রত্যাশার ভিত্তিতে।
পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম তৈরির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘নানা কারণে আগের সরকারের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন সেই ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী চলছে পাঠদান। সামাজিক প্রেক্ষাপট, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনসহ নানা কারণে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন জরুরি। সবকিছু চিন্তা করে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে।’
শিক্ষাবিষয়ক এ বিশেষজ্ঞ এ-ও বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন ঠিক নয়, যা শেষ শিক্ষাক্রমে করা হয়েছিল, সে পরিবর্তনটা টেকসই হয়নি। সুতরাং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
রাহুল শর্মা, ঢাকা

দেশের শিক্ষাক্রম ‘পরিমার্জন’ করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ‘পরিমার্জিত’ শিক্ষাক্রম তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই করা হচ্ছে। এ কাজে যুক্ত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের তালিকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনসিটিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সূত্র বলেছে, ২০২৭ সালে পরিমার্জিত এ শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হতে পারে। এ জন্য নানা কিছু যাচাইয়ের কাজ (অ্যাসেসমেন্ট) শুরু হয়েছে। প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। পরে ধাপে ধাপে তা অন্য শ্রেণিতেও চালু করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ইতিমধ্যে ‘নতুন স্বপ্ন ও পরিকল্পনার’ ভিত্তিতে সংশোধিত শিক্ষাক্রম তৈরির নীতিগত আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ‘প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তি দায়, দরদ, ইনসাফ’ ইত্যাদি বিবেচনায় থাকবে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়ে উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, এ জন্য ‘বর্তমানের যে শিক্ষাক্রম তার থেকে মুক্তচিন্তা করতে হবে। সেটা যেন করা সম্ভব হয়, তার জন্য নিজেদের ও অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা এবং জাতীয় ঐকমত্যের বোধ হয় একটা প্রয়োজন রয়েছে।’
সূত্র বলছে, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম প্রণয়নের বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বা কোন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে, তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যতম কারণ দেশে রাজনৈতিক সরকার নেই। জুন মাসে শিক্ষাক্রম বিষয়ে একটি কর্মশালা হওয়ার কথা ছিল, তা পিছিয়ে চলতি মাসে করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে ২০২৩ সাল থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। পরের বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা চালু হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালুর মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই সেই নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তবে প্রাথমিকে কার্যত নতুন শিক্ষাক্রমই বহাল রাখা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৭ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চালুর। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে প্রথমে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের। পরে ধাপে ধাপে অন্য শ্রেণিতে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
২০২৭ সাল থেকে চালু হতে যাওয়া পরিকল্পিত শিক্ষাক্রমকে ‘পরিমার্জিত’ বলা হচ্ছে কেন—এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষাক্রম আরেকটি শিক্ষাক্রমের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হয়। তাই চালু হতে যাওয়া শিক্ষাক্রমকে পরিমার্জিত বলাই শ্রেয়।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘২০২৭ সালে যাতে ষষ্ঠ শ্রেণি নতুন (পরিমার্জিত) শিক্ষাক্রমের আওতায় আসে, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। একসঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা সুচিন্তিত নয়। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আওতায় যাবে।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষাক্রম তৈরির বিষয়টি মূলত নির্ভর করে রাজনৈতিক সরকারের ওপর। কেননা শিক্ষাক্রমের অনেক কিছুই নির্ভর করে সরকারের প্রত্যাশা ও নির্দেশনার ওপর। এ জন্য ধীরে চলো নীতি নিয়েছে এনসিটিবি। তাঁরা আরও বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে নানা আলোচনা আর কর্মশালা হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে তা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না। কারণ শিক্ষাক্রম প্রণয়নের বিষয়ে অনেক সিদ্ধান্তই হয় রাজনৈতিক সরকারের প্রত্যাশার ভিত্তিতে।
পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম তৈরির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘নানা কারণে আগের সরকারের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন সেই ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী চলছে পাঠদান। সামাজিক প্রেক্ষাপট, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনসহ নানা কারণে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন জরুরি। সবকিছু চিন্তা করে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে।’
শিক্ষাবিষয়ক এ বিশেষজ্ঞ এ-ও বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন ঠিক নয়, যা শেষ শিক্ষাক্রমে করা হয়েছিল, সে পরিবর্তনটা টেকসই হয়নি। সুতরাং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

দেশের শিক্ষাক্রম ‘পরিমার্জন’ করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ‘পরিমার্জিত’ শিক্ষাক্রম তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই করা হচ্ছে। এ কাজে যুক্ত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের তালিকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনসিটিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সূত্র বলেছে, ২০২৭ সালে পরিমার্জিত এ শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হতে পারে। এ জন্য নানা কিছু যাচাইয়ের কাজ (অ্যাসেসমেন্ট) শুরু হয়েছে। প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। পরে ধাপে ধাপে তা অন্য শ্রেণিতেও চালু করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ইতিমধ্যে ‘নতুন স্বপ্ন ও পরিকল্পনার’ ভিত্তিতে সংশোধিত শিক্ষাক্রম তৈরির নীতিগত আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ‘প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তি দায়, দরদ, ইনসাফ’ ইত্যাদি বিবেচনায় থাকবে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়ে উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, এ জন্য ‘বর্তমানের যে শিক্ষাক্রম তার থেকে মুক্তচিন্তা করতে হবে। সেটা যেন করা সম্ভব হয়, তার জন্য নিজেদের ও অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা এবং জাতীয় ঐকমত্যের বোধ হয় একটা প্রয়োজন রয়েছে।’
সূত্র বলছে, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম প্রণয়নের বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বা কোন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে, তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যতম কারণ দেশে রাজনৈতিক সরকার নেই। জুন মাসে শিক্ষাক্রম বিষয়ে একটি কর্মশালা হওয়ার কথা ছিল, তা পিছিয়ে চলতি মাসে করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে ২০২৩ সাল থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। পরের বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা চালু হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালুর মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই সেই নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তবে প্রাথমিকে কার্যত নতুন শিক্ষাক্রমই বহাল রাখা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৭ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চালুর। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে প্রথমে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের। পরে ধাপে ধাপে অন্য শ্রেণিতে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
২০২৭ সাল থেকে চালু হতে যাওয়া পরিকল্পিত শিক্ষাক্রমকে ‘পরিমার্জিত’ বলা হচ্ছে কেন—এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষাক্রম আরেকটি শিক্ষাক্রমের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হয়। তাই চালু হতে যাওয়া শিক্ষাক্রমকে পরিমার্জিত বলাই শ্রেয়।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘২০২৭ সালে যাতে ষষ্ঠ শ্রেণি নতুন (পরিমার্জিত) শিক্ষাক্রমের আওতায় আসে, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। একসঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা সুচিন্তিত নয়। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আওতায় যাবে।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষাক্রম তৈরির বিষয়টি মূলত নির্ভর করে রাজনৈতিক সরকারের ওপর। কেননা শিক্ষাক্রমের অনেক কিছুই নির্ভর করে সরকারের প্রত্যাশা ও নির্দেশনার ওপর। এ জন্য ধীরে চলো নীতি নিয়েছে এনসিটিবি। তাঁরা আরও বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে নানা আলোচনা আর কর্মশালা হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে তা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না। কারণ শিক্ষাক্রম প্রণয়নের বিষয়ে অনেক সিদ্ধান্তই হয় রাজনৈতিক সরকারের প্রত্যাশার ভিত্তিতে।
পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম তৈরির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘নানা কারণে আগের সরকারের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন সেই ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী চলছে পাঠদান। সামাজিক প্রেক্ষাপট, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনসহ নানা কারণে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন জরুরি। সবকিছু চিন্তা করে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে।’
শিক্ষাবিষয়ক এ বিশেষজ্ঞ এ-ও বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন ঠিক নয়, যা শেষ শিক্ষাক্রমে করা হয়েছিল, সে পরিবর্তনটা টেকসই হয়নি। সুতরাং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৩ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৪ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

দেশের শিক্ষাক্রম ‘পরিমার্জন’ করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ‘পরিমার্জিত’ শিক্ষাক্রম তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই করা হচ্ছে।
০৫ জুলাই ২০২৫
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৩ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

দেশের শিক্ষাক্রম ‘পরিমার্জন’ করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ‘পরিমার্জিত’ শিক্ষাক্রম তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই করা হচ্ছে।
০৫ জুলাই ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৩ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

দেশের শিক্ষাক্রম ‘পরিমার্জন’ করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ‘পরিমার্জিত’ শিক্ষাক্রম তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই করা হচ্ছে।
০৫ জুলাই ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

দেশের শিক্ষাক্রম ‘পরিমার্জন’ করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ‘পরিমার্জিত’ শিক্ষাক্রম তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই করা হচ্ছে।
০৫ জুলাই ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৩ ঘণ্টা আগে