নিজস্ব প্রতিবেদক ও কুমিল্লা প্রতিনিধি
আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ রোববার সকালে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতেই রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী নির্বাচনী আচরণবিধি তুলে ধরে বক্তব্য দেন। পরে সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা বক্তব্য দেন। তাঁরা সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন। সভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ছাড়া বাকি চার মেয়র পদপ্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অধিকাংশ প্রার্থী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ না মেলার জটিলতার কথা জানান। প্রার্থীরা ভোট গ্রহণ দ্রুত করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি ও ঠিকানা মিলিয়ে ভোট নেওয়ার অনুরোধ করেন।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের কয়েকজন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপপ্রচার ছড়ানোর অভিযোগ করেন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোট শেষ পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও ভোট পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার না করার অনুরোধ করেন।
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রার্থীরা নির্বাচনে কূটকৌশলের আশ্রয় নিলে প্রয়োজনে ভোট স্থগিত রাখা হবে। আর ফলাফল প্রকাশের পরে তা প্রমাণ হলে ভোট বাতিল করা হবে।’
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন কোনো যুদ্ধ নয়, এটি প্রতিযোগিতা। অহিংস নির্বাচনে সহিংসতা করা যাবে না।’ কেউ যদি সমস্যা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে অহিংসভাবে প্রতিরোধ করার অনুরোধ করেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে যুদ্ধের কূটকৌশল নেবেন না। এখন মিডিয়ার যুগ। আমরা মিডিয়ায় খবর পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি তাও না হয়, ব্যক্তিগতভাবে কেউ ভিডিও পাঠালে, প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে নির্বাচন স্থগিত করব। ফল ঘোষণার পর এমন কিছু হলে ফলাফল বাতিল করা হবে, এমনকি নির্বাচনও বাতিল হতে পারে।’
আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নির্বাচনে কোনো প্রশ্ন উঠলে তার পুরো দায়ভার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) নিতে হবে উল্লেখ করে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সফল হলে প্রশংসা তাঁদের। তাই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখতে হবে।’
ভোটে বুথে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি যেন না থাকে, সেটিও নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গোপন বুথ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে প্রথমবারের মতো সিসিটিভি ক্যামেরা থাকার কথা জানান সিইসি।
তিনি বলেন, ‘কোনো কারণে যদি কোনো কেন্দ্রে ইভিএম নষ্ট হয়, কেউ নষ্ট করে ফেলে, সে ক্ষেত্রে কোনো ভোটার যদি বিকেল ৪টার আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হন তাদের জন্য রাত ১০টা হলেও ভোটগ্রহণ করা হবে। বয়স্ক কিংবা অসুস্থ ভোটারদের জন্য বাড়ি গিয়ে ভোট কাস্ট করার একটা পরিকল্পনা আছে নির্বাচন কমিশনের।’
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন—নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নাবী চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার ও কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহাম্মদ।
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ রোববার সকালে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতেই রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী নির্বাচনী আচরণবিধি তুলে ধরে বক্তব্য দেন। পরে সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা বক্তব্য দেন। তাঁরা সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন। সভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ছাড়া বাকি চার মেয়র পদপ্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অধিকাংশ প্রার্থী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ না মেলার জটিলতার কথা জানান। প্রার্থীরা ভোট গ্রহণ দ্রুত করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি ও ঠিকানা মিলিয়ে ভোট নেওয়ার অনুরোধ করেন।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের কয়েকজন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপপ্রচার ছড়ানোর অভিযোগ করেন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোট শেষ পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও ভোট পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার না করার অনুরোধ করেন।
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রার্থীরা নির্বাচনে কূটকৌশলের আশ্রয় নিলে প্রয়োজনে ভোট স্থগিত রাখা হবে। আর ফলাফল প্রকাশের পরে তা প্রমাণ হলে ভোট বাতিল করা হবে।’
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন কোনো যুদ্ধ নয়, এটি প্রতিযোগিতা। অহিংস নির্বাচনে সহিংসতা করা যাবে না।’ কেউ যদি সমস্যা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে অহিংসভাবে প্রতিরোধ করার অনুরোধ করেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে যুদ্ধের কূটকৌশল নেবেন না। এখন মিডিয়ার যুগ। আমরা মিডিয়ায় খবর পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি তাও না হয়, ব্যক্তিগতভাবে কেউ ভিডিও পাঠালে, প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে নির্বাচন স্থগিত করব। ফল ঘোষণার পর এমন কিছু হলে ফলাফল বাতিল করা হবে, এমনকি নির্বাচনও বাতিল হতে পারে।’
আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নির্বাচনে কোনো প্রশ্ন উঠলে তার পুরো দায়ভার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) নিতে হবে উল্লেখ করে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সফল হলে প্রশংসা তাঁদের। তাই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখতে হবে।’
ভোটে বুথে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি যেন না থাকে, সেটিও নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গোপন বুথ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে প্রথমবারের মতো সিসিটিভি ক্যামেরা থাকার কথা জানান সিইসি।
তিনি বলেন, ‘কোনো কারণে যদি কোনো কেন্দ্রে ইভিএম নষ্ট হয়, কেউ নষ্ট করে ফেলে, সে ক্ষেত্রে কোনো ভোটার যদি বিকেল ৪টার আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হন তাদের জন্য রাত ১০টা হলেও ভোটগ্রহণ করা হবে। বয়স্ক কিংবা অসুস্থ ভোটারদের জন্য বাড়ি গিয়ে ভোট কাস্ট করার একটা পরিকল্পনা আছে নির্বাচন কমিশনের।’
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন—নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নাবী চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার ও কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহাম্মদ।
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৪০ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে