কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান পেতে দেশটির আইন মেনে নিতে হবে বাংলাদেশকে। মার্কিন সামরিক সহায়তা পেতে এ বিষয়ে বাংলাদেশও নীতিগতভাবে সম্মত। তবে এতে কিছু শর্ত জুড়ে দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের উৎস জানতে চাইবে ঢাকা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘লিহে আইন’ নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। পররাষ্ট্রসচিবের সভাপতিত্বে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানেরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন কোনো অভিযোগ করে, তখন তারা বলে তাদের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ তথ্য রয়েছে। সেই তথ্যের উৎস এখন থেকে জানতে চাইবে ঢাকা, যাতে উৎস কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য, তা নিরূপণ করা যায়। এতে আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সময় ও তথ্য দেওয়া যাবে। তথ্যের সত্যতা খোঁজার থেকে উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা কেন প্রাধান্য পাচ্ছে—এমন প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান সেই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে ‘লিহে আইন’ নামে ১৯৬১ সালের একটি আইন রয়েছে। এ আইন অনুযায়ী, কোনো দেশকে সামরিক খাতে সহযোগিতা করলে তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সেই দেশকে দিতে হবে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ আইন যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর হবে।
লিহে আইনের কোন বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের অসম্মতি রয়েছে—জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে। কোনো সুনির্দিষ্ট সংস্থার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অভিযোগ থাকলে বাংলাদেশ সে বিষয়ে আলোচনা চায়। যুক্তরাষ্ট্র যদি বলে, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইবে। বাংলাদেশ আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে পর্যাপ্ত সময় চাইবে। কোন অভিযোগে বাংলাদেশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যার পর্যাপ্ত সময় চাওয়া হবে।’
‘লিহে আইন’-এ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে যুক্ত করতে চায় জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে। এর আগে একটি বৈঠক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা খাতে যে সহযোগিতাগুলো রয়েছে, ভবিষ্যতে কীভাবে এ সহযোগিতা ব্যবহৃত হবে, বাংলাদেশ কোথায় এ অর্থ ব্যবহার করবে—এগুলোই এর মূল বিষয়। এ অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আগেই জানিয়ে দেবে। এগুলোই এ আইনে রয়েছে।
আইনটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে বাংলাদেশের কী লাভ, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মৌলিক যে নীতিগুলো রয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক কি-না, তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জঙ্গিবাদসহ অন্য ভয়ংকর অপরাধগুলোর বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্য সহযোগী দেশগুলোর নীতি একই। সে বিষয়গুলো টেনে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কীভাবে সংযুক্ত হবে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আরেকটি বৈঠক হয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশ লিহে আইন নিয়ে পর্যবেক্ষণগুলো দেবে।
এ সম্পর্কিত আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন ও পরিস্থিতি অগ্রাধিকার পাবে।’ পূর্বের অনুদানের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আগের হিসাব নয়, ভবিষ্যতের হিসাব দিতে হবে। ভবিষ্যতে যে প্রশিক্ষণ, অনুশীলন এবং সামরিক কেনাকাটা রয়েছে, তার বিষয়ে আইনটি কার্যকর হবে।’
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তির সময় নিয়ে প্রশ্ন করলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এটা ঠিক চুক্তি না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উত্তরের জন্য ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল, তা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্মতি দিতে। একটি ধারণা পাওয়া গেছে। বর্তমানে এর ভাষাগত বিষয়ের ওপর কাজ চলছে, যাতে বাংলাদেশ নিজ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। শুধু বাংলাদেশ নয়, আরও অনেক দেশই একই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। র্যাবের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে লিহে আইনের কোনো সংযোগ দেখি না।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সাধারণভাবে এর সম্মতি চায়। তবে বাংলাদেশ সুরক্ষাগুলো নিশ্চিত করে এর উত্তর দেবে।’
বাংলাদেশের সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান পেতে দেশটির আইন মেনে নিতে হবে বাংলাদেশকে। মার্কিন সামরিক সহায়তা পেতে এ বিষয়ে বাংলাদেশও নীতিগতভাবে সম্মত। তবে এতে কিছু শর্ত জুড়ে দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের উৎস জানতে চাইবে ঢাকা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘লিহে আইন’ নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। পররাষ্ট্রসচিবের সভাপতিত্বে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানেরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন কোনো অভিযোগ করে, তখন তারা বলে তাদের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ তথ্য রয়েছে। সেই তথ্যের উৎস এখন থেকে জানতে চাইবে ঢাকা, যাতে উৎস কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য, তা নিরূপণ করা যায়। এতে আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সময় ও তথ্য দেওয়া যাবে। তথ্যের সত্যতা খোঁজার থেকে উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা কেন প্রাধান্য পাচ্ছে—এমন প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান সেই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে ‘লিহে আইন’ নামে ১৯৬১ সালের একটি আইন রয়েছে। এ আইন অনুযায়ী, কোনো দেশকে সামরিক খাতে সহযোগিতা করলে তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সেই দেশকে দিতে হবে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ আইন যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর হবে।
লিহে আইনের কোন বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের অসম্মতি রয়েছে—জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে। কোনো সুনির্দিষ্ট সংস্থার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অভিযোগ থাকলে বাংলাদেশ সে বিষয়ে আলোচনা চায়। যুক্তরাষ্ট্র যদি বলে, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইবে। বাংলাদেশ আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে পর্যাপ্ত সময় চাইবে। কোন অভিযোগে বাংলাদেশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যার পর্যাপ্ত সময় চাওয়া হবে।’
‘লিহে আইন’-এ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে যুক্ত করতে চায় জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে। এর আগে একটি বৈঠক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা খাতে যে সহযোগিতাগুলো রয়েছে, ভবিষ্যতে কীভাবে এ সহযোগিতা ব্যবহৃত হবে, বাংলাদেশ কোথায় এ অর্থ ব্যবহার করবে—এগুলোই এর মূল বিষয়। এ অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আগেই জানিয়ে দেবে। এগুলোই এ আইনে রয়েছে।
আইনটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে বাংলাদেশের কী লাভ, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মৌলিক যে নীতিগুলো রয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক কি-না, তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জঙ্গিবাদসহ অন্য ভয়ংকর অপরাধগুলোর বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্য সহযোগী দেশগুলোর নীতি একই। সে বিষয়গুলো টেনে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কীভাবে সংযুক্ত হবে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আরেকটি বৈঠক হয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশ লিহে আইন নিয়ে পর্যবেক্ষণগুলো দেবে।
এ সম্পর্কিত আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন ও পরিস্থিতি অগ্রাধিকার পাবে।’ পূর্বের অনুদানের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আগের হিসাব নয়, ভবিষ্যতের হিসাব দিতে হবে। ভবিষ্যতে যে প্রশিক্ষণ, অনুশীলন এবং সামরিক কেনাকাটা রয়েছে, তার বিষয়ে আইনটি কার্যকর হবে।’
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তির সময় নিয়ে প্রশ্ন করলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এটা ঠিক চুক্তি না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উত্তরের জন্য ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল, তা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্মতি দিতে। একটি ধারণা পাওয়া গেছে। বর্তমানে এর ভাষাগত বিষয়ের ওপর কাজ চলছে, যাতে বাংলাদেশ নিজ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। শুধু বাংলাদেশ নয়, আরও অনেক দেশই একই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। র্যাবের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে লিহে আইনের কোনো সংযোগ দেখি না।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সাধারণভাবে এর সম্মতি চায়। তবে বাংলাদেশ সুরক্ষাগুলো নিশ্চিত করে এর উত্তর দেবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
১ মিনিট আগেশীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকার কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি। এসব যানের ভাড়া ঠিক করছেন পরিবহনের মালিকেরা। দূরপাল্লার এসি বাসে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ। এ অবস্থায় এসি বাস ও পণ্যবাহী যানের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জাতীয় সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতামত গ্রহণ এবং কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন শেষে দু-এক দিনের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত...
৭ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
৮ ঘণ্টা আগে