বিশ্ব নৌ দিবস আজ
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে ঠিক কতগুলো এবং কত ধরনের নৌযান চলাচল করে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। শুধু যেসব নৌযান নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে, সেগুলোই নথিভুক্ত। এর বাইরে ছোট-বড় নানা ধরনের নৌযান প্রতিদিন নদীতে চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই অধিদপ্তরের কাছে। ফলে নিবন্ধনের বাইরে অবৈধভাবে চলা এসব নৌযান থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পায় না।
নৌপরিবহন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নৌযানের সঠিক সংখ্যা জানতে হলে নৌযান জরিপ বা নৌশুমারি করা প্রয়োজন। অথচ স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে কোনো নৌযান জরিপ হয়নি। ফলে দেশের নৌপথে কত ধরনের কতসংখ্যক নৌযান চলাচল করছে, তার সঠিক চিত্র জানা সম্ভব নয়।
অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার (চলতি দায়িত্ব) মো. গিয়াসউদ্দীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ নৌযানের কোনো হিসাব নেই। তবে যেগুলো বিদেশগামী, সেগুলোর হিসাব আমাদের কাছে আছে। অভ্যন্তরীণ নৌযানের ডেটাবেইস তৈরির কাজ চলছে, খুব শিগগিরই তা হয়ে যাবে।’
তবে বৈধ উপায়ে নৌযান চালাতে হলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নিবন্ধনের সনদ থাকা বাধ্যতামূলক। অধিদপ্তর নৌযান সার্ভে করে সবকিছু ঠিক আছে কি না যাচাই করার পর নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেয়। অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ধরনের নৌযান নিবন্ধিত রয়েছে। কিন্তু এর বাইরে দেশের বিভিন্ন নৌপথে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের অসংখ্য নৌযান নিয়মিত চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
অনিবন্ধিত নৌযান বন্ধে কার্যকর নজরদারি বা মনিটরিং কম। ফলে ফিটনেসবিহীন ও জোড়াতালির নৌযান অবাধে চলাচল করছে। এতে নৌযান ও নৌপথের নিরাপত্তা যে ঘাটতির মধ্যে রয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এমন বাস্তবতায় আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নৌ দিবস পালন করছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২০ হাজার ৫৫২টি নৌযান নিবন্ধন করা হয়েছে। নিবন্ধিত ২২ প্রকার নৌযানের মধ্যে রয়েছে—যাত্রীবাহী লঞ্চ ৮৫৩টি, যাত্রীবাহী বোট ৭০০টি, মালবাহী ৩ হাজার ৮৩৮টি, তেলবাহী ৪২৫টি, বালুবাহী ৭ হাজার ৯৩৩টি, ড্রেজার ২ হাজার ২০২টি, কাটার সাকসন ড্রেজার ৬৯টি, পণ্যবাহী ১ হাজার ৯০৯টি, ট্যাগ বোট ২১৮টি, স্পিড বোট ১ হাজার ২৮১টি, ফেরি ৫০টি, ওয়ার্ক বোট ১৭১টি, পরিদর্শন বোট ৩৩টি, ট্যুরিস্ট লঞ্চ ৩২টি, বার্জ ৬৪৬টি, হাউস বোট ২০টি, ওয়াটার ট্যাক্সি ১৬টি, ফ্লোটিং পাম্প ৩১টি, পন্টুন ১৫টি, ক্রেন বোট ৩২টি, ট্যুরিস্ট বোট ৭টি, ফ্লোটিং হাসপাতাল ৭টি এবং অন্যান্য ৬৪টি নৌযান।
নৌশুমারির জট খুলছে
দেশে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে মোট নৌযানের সংখ্যা নির্ধারণে ২০১৬ সালে নৌযান শুমারি প্রকল্প নেওয়া হলেও দীর্ঘদিনেও তার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন পায়নি। প্রায় আট বছর ঝুলে থাকার পর প্রকল্পটি ২০২৫ সালের এপ্রিলে একনেকে অনুমোদন পায়।
প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এবং ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। এর আওতায় একটি জাতীয় নৌযান ডেটাবেইস তৈরি হবে, যেখানে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত নৌযান আলাদা করা যাবে। অনিবন্ধিত নৌযানগুলো নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করা হবে।
জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. শফিউল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌযানের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে ডেটাবেইস তৈরির প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সঙ্গে এমওইউ সই হয়েছে। বিবিএস কাজও শুরু করেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রতিটি নৌযানের তথ্য ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্ত হবে। সেখানে নৌযানের নাম, নিবন্ধন, ইঞ্জিনের বৈশিষ্ট্য, কার্বন নিঃসরণ ও পরিবেশদূষণের মাত্রা—সবকিছুই থাকবে। ধারণা করা হয়, বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ হাজার নৌযান নিবন্ধনবিহীনভাবে চলাচল করছে। ডেটাবেইস তৈরি হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে এবং অবৈধ নৌযান চলাচল বন্ধ হবে।’
নৌ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ
নৌ-সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাত সম্ভাবনাময় হলেও নানা ঘাটতি রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা নদীর নাব্যতা সংকট। পর্যাপ্ত ড্রেজিং (পুনঃখনন) না হওয়ায় অনেক জায়গায় নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়। অবকাঠামোগত দুর্বলতা, আধুনিক ঘাট ও টার্মিনালের অভাব, পুরোনো যাত্রীবাহী ও মালবাহী নৌযান, নিরাপত্তা সরঞ্জামের ঘাটতি—সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
এ ছাড়া নীতি প্রণয়নে সমন্বয়ের অভাব, দক্ষ জনবলের ঘাটতি ও প্রযুক্তি ব্যবহারে ধীরগতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা কমে যাওয়া, নদী দখল ও দূষণও নৌপথ সংকুচিত করছে। যাত্রীসেবার সীমাবদ্ধতা ও আধুনিকায়নে ধীরগতি নৌপরিবহন খাতকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে নৌপরিবহন খাতে অপার সম্ভাবনা থাকলেও নানা ঘাটতি রয়েছে। নানা সমস্যা আমাদের নৌপরিবহন খাতকে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে দিচ্ছে। সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া সরকারের পক্ষে কার্যকর নীতি প্রণয়ন সম্ভব নয়। তাই জরুরি ভিত্তিতে নৌশুমারি করা, অনিবন্ধিত নৌযান নিয়ন্ত্রণ, ড্রেজিং বাড়ানো এবং আধুনিকায়নে জোর দেওয়া এখন সময়ের দাবি। এ ছাড়া নৌপরিবহন খাতে সরকারের বাজেট নিতান্তই অপ্রতুল। বাজেট বাড়িয়ে সঠিক পরিকল্পনা করে সড়কপথের ওপর চাপ কমিয়ে নৌপথে টেকসই উপায়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করা করা সম্ভব।’

দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে ঠিক কতগুলো এবং কত ধরনের নৌযান চলাচল করে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। শুধু যেসব নৌযান নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে, সেগুলোই নথিভুক্ত। এর বাইরে ছোট-বড় নানা ধরনের নৌযান প্রতিদিন নদীতে চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই অধিদপ্তরের কাছে। ফলে নিবন্ধনের বাইরে অবৈধভাবে চলা এসব নৌযান থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পায় না।
নৌপরিবহন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নৌযানের সঠিক সংখ্যা জানতে হলে নৌযান জরিপ বা নৌশুমারি করা প্রয়োজন। অথচ স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে কোনো নৌযান জরিপ হয়নি। ফলে দেশের নৌপথে কত ধরনের কতসংখ্যক নৌযান চলাচল করছে, তার সঠিক চিত্র জানা সম্ভব নয়।
অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার (চলতি দায়িত্ব) মো. গিয়াসউদ্দীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ নৌযানের কোনো হিসাব নেই। তবে যেগুলো বিদেশগামী, সেগুলোর হিসাব আমাদের কাছে আছে। অভ্যন্তরীণ নৌযানের ডেটাবেইস তৈরির কাজ চলছে, খুব শিগগিরই তা হয়ে যাবে।’
তবে বৈধ উপায়ে নৌযান চালাতে হলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নিবন্ধনের সনদ থাকা বাধ্যতামূলক। অধিদপ্তর নৌযান সার্ভে করে সবকিছু ঠিক আছে কি না যাচাই করার পর নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেয়। অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ধরনের নৌযান নিবন্ধিত রয়েছে। কিন্তু এর বাইরে দেশের বিভিন্ন নৌপথে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের অসংখ্য নৌযান নিয়মিত চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
অনিবন্ধিত নৌযান বন্ধে কার্যকর নজরদারি বা মনিটরিং কম। ফলে ফিটনেসবিহীন ও জোড়াতালির নৌযান অবাধে চলাচল করছে। এতে নৌযান ও নৌপথের নিরাপত্তা যে ঘাটতির মধ্যে রয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এমন বাস্তবতায় আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নৌ দিবস পালন করছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২০ হাজার ৫৫২টি নৌযান নিবন্ধন করা হয়েছে। নিবন্ধিত ২২ প্রকার নৌযানের মধ্যে রয়েছে—যাত্রীবাহী লঞ্চ ৮৫৩টি, যাত্রীবাহী বোট ৭০০টি, মালবাহী ৩ হাজার ৮৩৮টি, তেলবাহী ৪২৫টি, বালুবাহী ৭ হাজার ৯৩৩টি, ড্রেজার ২ হাজার ২০২টি, কাটার সাকসন ড্রেজার ৬৯টি, পণ্যবাহী ১ হাজার ৯০৯টি, ট্যাগ বোট ২১৮টি, স্পিড বোট ১ হাজার ২৮১টি, ফেরি ৫০টি, ওয়ার্ক বোট ১৭১টি, পরিদর্শন বোট ৩৩টি, ট্যুরিস্ট লঞ্চ ৩২টি, বার্জ ৬৪৬টি, হাউস বোট ২০টি, ওয়াটার ট্যাক্সি ১৬টি, ফ্লোটিং পাম্প ৩১টি, পন্টুন ১৫টি, ক্রেন বোট ৩২টি, ট্যুরিস্ট বোট ৭টি, ফ্লোটিং হাসপাতাল ৭টি এবং অন্যান্য ৬৪টি নৌযান।
নৌশুমারির জট খুলছে
দেশে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে মোট নৌযানের সংখ্যা নির্ধারণে ২০১৬ সালে নৌযান শুমারি প্রকল্প নেওয়া হলেও দীর্ঘদিনেও তার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন পায়নি। প্রায় আট বছর ঝুলে থাকার পর প্রকল্পটি ২০২৫ সালের এপ্রিলে একনেকে অনুমোদন পায়।
প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এবং ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। এর আওতায় একটি জাতীয় নৌযান ডেটাবেইস তৈরি হবে, যেখানে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত নৌযান আলাদা করা যাবে। অনিবন্ধিত নৌযানগুলো নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করা হবে।
জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. শফিউল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌযানের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে ডেটাবেইস তৈরির প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সঙ্গে এমওইউ সই হয়েছে। বিবিএস কাজও শুরু করেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রতিটি নৌযানের তথ্য ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্ত হবে। সেখানে নৌযানের নাম, নিবন্ধন, ইঞ্জিনের বৈশিষ্ট্য, কার্বন নিঃসরণ ও পরিবেশদূষণের মাত্রা—সবকিছুই থাকবে। ধারণা করা হয়, বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ হাজার নৌযান নিবন্ধনবিহীনভাবে চলাচল করছে। ডেটাবেইস তৈরি হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে এবং অবৈধ নৌযান চলাচল বন্ধ হবে।’
নৌ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ
নৌ-সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাত সম্ভাবনাময় হলেও নানা ঘাটতি রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা নদীর নাব্যতা সংকট। পর্যাপ্ত ড্রেজিং (পুনঃখনন) না হওয়ায় অনেক জায়গায় নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়। অবকাঠামোগত দুর্বলতা, আধুনিক ঘাট ও টার্মিনালের অভাব, পুরোনো যাত্রীবাহী ও মালবাহী নৌযান, নিরাপত্তা সরঞ্জামের ঘাটতি—সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
এ ছাড়া নীতি প্রণয়নে সমন্বয়ের অভাব, দক্ষ জনবলের ঘাটতি ও প্রযুক্তি ব্যবহারে ধীরগতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা কমে যাওয়া, নদী দখল ও দূষণও নৌপথ সংকুচিত করছে। যাত্রীসেবার সীমাবদ্ধতা ও আধুনিকায়নে ধীরগতি নৌপরিবহন খাতকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে নৌপরিবহন খাতে অপার সম্ভাবনা থাকলেও নানা ঘাটতি রয়েছে। নানা সমস্যা আমাদের নৌপরিবহন খাতকে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে দিচ্ছে। সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া সরকারের পক্ষে কার্যকর নীতি প্রণয়ন সম্ভব নয়। তাই জরুরি ভিত্তিতে নৌশুমারি করা, অনিবন্ধিত নৌযান নিয়ন্ত্রণ, ড্রেজিং বাড়ানো এবং আধুনিকায়নে জোর দেওয়া এখন সময়ের দাবি। এ ছাড়া নৌপরিবহন খাতে সরকারের বাজেট নিতান্তই অপ্রতুল। বাজেট বাড়িয়ে সঠিক পরিকল্পনা করে সড়কপথের ওপর চাপ কমিয়ে নৌপথে টেকসই উপায়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করা করা সম্ভব।’
বিশ্ব নৌ দিবস আজ
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে ঠিক কতগুলো এবং কত ধরনের নৌযান চলাচল করে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। শুধু যেসব নৌযান নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে, সেগুলোই নথিভুক্ত। এর বাইরে ছোট-বড় নানা ধরনের নৌযান প্রতিদিন নদীতে চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই অধিদপ্তরের কাছে। ফলে নিবন্ধনের বাইরে অবৈধভাবে চলা এসব নৌযান থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পায় না।
নৌপরিবহন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নৌযানের সঠিক সংখ্যা জানতে হলে নৌযান জরিপ বা নৌশুমারি করা প্রয়োজন। অথচ স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে কোনো নৌযান জরিপ হয়নি। ফলে দেশের নৌপথে কত ধরনের কতসংখ্যক নৌযান চলাচল করছে, তার সঠিক চিত্র জানা সম্ভব নয়।
অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার (চলতি দায়িত্ব) মো. গিয়াসউদ্দীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ নৌযানের কোনো হিসাব নেই। তবে যেগুলো বিদেশগামী, সেগুলোর হিসাব আমাদের কাছে আছে। অভ্যন্তরীণ নৌযানের ডেটাবেইস তৈরির কাজ চলছে, খুব শিগগিরই তা হয়ে যাবে।’
তবে বৈধ উপায়ে নৌযান চালাতে হলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নিবন্ধনের সনদ থাকা বাধ্যতামূলক। অধিদপ্তর নৌযান সার্ভে করে সবকিছু ঠিক আছে কি না যাচাই করার পর নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেয়। অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ধরনের নৌযান নিবন্ধিত রয়েছে। কিন্তু এর বাইরে দেশের বিভিন্ন নৌপথে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের অসংখ্য নৌযান নিয়মিত চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
অনিবন্ধিত নৌযান বন্ধে কার্যকর নজরদারি বা মনিটরিং কম। ফলে ফিটনেসবিহীন ও জোড়াতালির নৌযান অবাধে চলাচল করছে। এতে নৌযান ও নৌপথের নিরাপত্তা যে ঘাটতির মধ্যে রয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এমন বাস্তবতায় আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নৌ দিবস পালন করছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২০ হাজার ৫৫২টি নৌযান নিবন্ধন করা হয়েছে। নিবন্ধিত ২২ প্রকার নৌযানের মধ্যে রয়েছে—যাত্রীবাহী লঞ্চ ৮৫৩টি, যাত্রীবাহী বোট ৭০০টি, মালবাহী ৩ হাজার ৮৩৮টি, তেলবাহী ৪২৫টি, বালুবাহী ৭ হাজার ৯৩৩টি, ড্রেজার ২ হাজার ২০২টি, কাটার সাকসন ড্রেজার ৬৯টি, পণ্যবাহী ১ হাজার ৯০৯টি, ট্যাগ বোট ২১৮টি, স্পিড বোট ১ হাজার ২৮১টি, ফেরি ৫০টি, ওয়ার্ক বোট ১৭১টি, পরিদর্শন বোট ৩৩টি, ট্যুরিস্ট লঞ্চ ৩২টি, বার্জ ৬৪৬টি, হাউস বোট ২০টি, ওয়াটার ট্যাক্সি ১৬টি, ফ্লোটিং পাম্প ৩১টি, পন্টুন ১৫টি, ক্রেন বোট ৩২টি, ট্যুরিস্ট বোট ৭টি, ফ্লোটিং হাসপাতাল ৭টি এবং অন্যান্য ৬৪টি নৌযান।
নৌশুমারির জট খুলছে
দেশে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে মোট নৌযানের সংখ্যা নির্ধারণে ২০১৬ সালে নৌযান শুমারি প্রকল্প নেওয়া হলেও দীর্ঘদিনেও তার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন পায়নি। প্রায় আট বছর ঝুলে থাকার পর প্রকল্পটি ২০২৫ সালের এপ্রিলে একনেকে অনুমোদন পায়।
প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এবং ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। এর আওতায় একটি জাতীয় নৌযান ডেটাবেইস তৈরি হবে, যেখানে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত নৌযান আলাদা করা যাবে। অনিবন্ধিত নৌযানগুলো নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করা হবে।
জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. শফিউল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌযানের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে ডেটাবেইস তৈরির প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সঙ্গে এমওইউ সই হয়েছে। বিবিএস কাজও শুরু করেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রতিটি নৌযানের তথ্য ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্ত হবে। সেখানে নৌযানের নাম, নিবন্ধন, ইঞ্জিনের বৈশিষ্ট্য, কার্বন নিঃসরণ ও পরিবেশদূষণের মাত্রা—সবকিছুই থাকবে। ধারণা করা হয়, বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ হাজার নৌযান নিবন্ধনবিহীনভাবে চলাচল করছে। ডেটাবেইস তৈরি হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে এবং অবৈধ নৌযান চলাচল বন্ধ হবে।’
নৌ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ
নৌ-সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাত সম্ভাবনাময় হলেও নানা ঘাটতি রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা নদীর নাব্যতা সংকট। পর্যাপ্ত ড্রেজিং (পুনঃখনন) না হওয়ায় অনেক জায়গায় নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়। অবকাঠামোগত দুর্বলতা, আধুনিক ঘাট ও টার্মিনালের অভাব, পুরোনো যাত্রীবাহী ও মালবাহী নৌযান, নিরাপত্তা সরঞ্জামের ঘাটতি—সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
এ ছাড়া নীতি প্রণয়নে সমন্বয়ের অভাব, দক্ষ জনবলের ঘাটতি ও প্রযুক্তি ব্যবহারে ধীরগতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা কমে যাওয়া, নদী দখল ও দূষণও নৌপথ সংকুচিত করছে। যাত্রীসেবার সীমাবদ্ধতা ও আধুনিকায়নে ধীরগতি নৌপরিবহন খাতকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে নৌপরিবহন খাতে অপার সম্ভাবনা থাকলেও নানা ঘাটতি রয়েছে। নানা সমস্যা আমাদের নৌপরিবহন খাতকে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে দিচ্ছে। সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া সরকারের পক্ষে কার্যকর নীতি প্রণয়ন সম্ভব নয়। তাই জরুরি ভিত্তিতে নৌশুমারি করা, অনিবন্ধিত নৌযান নিয়ন্ত্রণ, ড্রেজিং বাড়ানো এবং আধুনিকায়নে জোর দেওয়া এখন সময়ের দাবি। এ ছাড়া নৌপরিবহন খাতে সরকারের বাজেট নিতান্তই অপ্রতুল। বাজেট বাড়িয়ে সঠিক পরিকল্পনা করে সড়কপথের ওপর চাপ কমিয়ে নৌপথে টেকসই উপায়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করা করা সম্ভব।’

দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে ঠিক কতগুলো এবং কত ধরনের নৌযান চলাচল করে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। শুধু যেসব নৌযান নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে, সেগুলোই নথিভুক্ত। এর বাইরে ছোট-বড় নানা ধরনের নৌযান প্রতিদিন নদীতে চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই অধিদপ্তরের কাছে। ফলে নিবন্ধনের বাইরে অবৈধভাবে চলা এসব নৌযান থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পায় না।
নৌপরিবহন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নৌযানের সঠিক সংখ্যা জানতে হলে নৌযান জরিপ বা নৌশুমারি করা প্রয়োজন। অথচ স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে কোনো নৌযান জরিপ হয়নি। ফলে দেশের নৌপথে কত ধরনের কতসংখ্যক নৌযান চলাচল করছে, তার সঠিক চিত্র জানা সম্ভব নয়।
অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার (চলতি দায়িত্ব) মো. গিয়াসউদ্দীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ নৌযানের কোনো হিসাব নেই। তবে যেগুলো বিদেশগামী, সেগুলোর হিসাব আমাদের কাছে আছে। অভ্যন্তরীণ নৌযানের ডেটাবেইস তৈরির কাজ চলছে, খুব শিগগিরই তা হয়ে যাবে।’
তবে বৈধ উপায়ে নৌযান চালাতে হলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নিবন্ধনের সনদ থাকা বাধ্যতামূলক। অধিদপ্তর নৌযান সার্ভে করে সবকিছু ঠিক আছে কি না যাচাই করার পর নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেয়। অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ধরনের নৌযান নিবন্ধিত রয়েছে। কিন্তু এর বাইরে দেশের বিভিন্ন নৌপথে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের অসংখ্য নৌযান নিয়মিত চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
অনিবন্ধিত নৌযান বন্ধে কার্যকর নজরদারি বা মনিটরিং কম। ফলে ফিটনেসবিহীন ও জোড়াতালির নৌযান অবাধে চলাচল করছে। এতে নৌযান ও নৌপথের নিরাপত্তা যে ঘাটতির মধ্যে রয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এমন বাস্তবতায় আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নৌ দিবস পালন করছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২০ হাজার ৫৫২টি নৌযান নিবন্ধন করা হয়েছে। নিবন্ধিত ২২ প্রকার নৌযানের মধ্যে রয়েছে—যাত্রীবাহী লঞ্চ ৮৫৩টি, যাত্রীবাহী বোট ৭০০টি, মালবাহী ৩ হাজার ৮৩৮টি, তেলবাহী ৪২৫টি, বালুবাহী ৭ হাজার ৯৩৩টি, ড্রেজার ২ হাজার ২০২টি, কাটার সাকসন ড্রেজার ৬৯টি, পণ্যবাহী ১ হাজার ৯০৯টি, ট্যাগ বোট ২১৮টি, স্পিড বোট ১ হাজার ২৮১টি, ফেরি ৫০টি, ওয়ার্ক বোট ১৭১টি, পরিদর্শন বোট ৩৩টি, ট্যুরিস্ট লঞ্চ ৩২টি, বার্জ ৬৪৬টি, হাউস বোট ২০টি, ওয়াটার ট্যাক্সি ১৬টি, ফ্লোটিং পাম্প ৩১টি, পন্টুন ১৫টি, ক্রেন বোট ৩২টি, ট্যুরিস্ট বোট ৭টি, ফ্লোটিং হাসপাতাল ৭টি এবং অন্যান্য ৬৪টি নৌযান।
নৌশুমারির জট খুলছে
দেশে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে মোট নৌযানের সংখ্যা নির্ধারণে ২০১৬ সালে নৌযান শুমারি প্রকল্প নেওয়া হলেও দীর্ঘদিনেও তার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন পায়নি। প্রায় আট বছর ঝুলে থাকার পর প্রকল্পটি ২০২৫ সালের এপ্রিলে একনেকে অনুমোদন পায়।
প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এবং ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। এর আওতায় একটি জাতীয় নৌযান ডেটাবেইস তৈরি হবে, যেখানে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত নৌযান আলাদা করা যাবে। অনিবন্ধিত নৌযানগুলো নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করা হবে।
জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. শফিউল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌযানের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে ডেটাবেইস তৈরির প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সঙ্গে এমওইউ সই হয়েছে। বিবিএস কাজও শুরু করেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রতিটি নৌযানের তথ্য ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্ত হবে। সেখানে নৌযানের নাম, নিবন্ধন, ইঞ্জিনের বৈশিষ্ট্য, কার্বন নিঃসরণ ও পরিবেশদূষণের মাত্রা—সবকিছুই থাকবে। ধারণা করা হয়, বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ হাজার নৌযান নিবন্ধনবিহীনভাবে চলাচল করছে। ডেটাবেইস তৈরি হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে এবং অবৈধ নৌযান চলাচল বন্ধ হবে।’
নৌ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ
নৌ-সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাত সম্ভাবনাময় হলেও নানা ঘাটতি রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা নদীর নাব্যতা সংকট। পর্যাপ্ত ড্রেজিং (পুনঃখনন) না হওয়ায় অনেক জায়গায় নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়। অবকাঠামোগত দুর্বলতা, আধুনিক ঘাট ও টার্মিনালের অভাব, পুরোনো যাত্রীবাহী ও মালবাহী নৌযান, নিরাপত্তা সরঞ্জামের ঘাটতি—সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
এ ছাড়া নীতি প্রণয়নে সমন্বয়ের অভাব, দক্ষ জনবলের ঘাটতি ও প্রযুক্তি ব্যবহারে ধীরগতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা কমে যাওয়া, নদী দখল ও দূষণও নৌপথ সংকুচিত করছে। যাত্রীসেবার সীমাবদ্ধতা ও আধুনিকায়নে ধীরগতি নৌপরিবহন খাতকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে নৌপরিবহন খাতে অপার সম্ভাবনা থাকলেও নানা ঘাটতি রয়েছে। নানা সমস্যা আমাদের নৌপরিবহন খাতকে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে দিচ্ছে। সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া সরকারের পক্ষে কার্যকর নীতি প্রণয়ন সম্ভব নয়। তাই জরুরি ভিত্তিতে নৌশুমারি করা, অনিবন্ধিত নৌযান নিয়ন্ত্রণ, ড্রেজিং বাড়ানো এবং আধুনিকায়নে জোর দেওয়া এখন সময়ের দাবি। এ ছাড়া নৌপরিবহন খাতে সরকারের বাজেট নিতান্তই অপ্রতুল। বাজেট বাড়িয়ে সঠিক পরিকল্পনা করে সড়কপথের ওপর চাপ কমিয়ে নৌপথে টেকসই উপায়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করা করা সম্ভব।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের...
২ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তবে কী বিষয় নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তবে কী বিষয় নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে ঠিক কতগুলো এবং কত ধরনের নৌযান চলাচল করে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। শুধু যেসব নৌযান নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে, সেগুলোই নথিভুক্ত। এর বাইরে ছোট-বড় নানা ধরনের নৌযান প্রতিদিন নদীতে চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই অধিদপ্তরের কাছে। ফলে নিবন্ধনের বাইরে অবৈধভাবে চলা...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের...
২ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমএলআর দুই দেশ বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক আইনি সহায়তার আবেদন। দুদক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সম্ভাব্য সম্পদ সম্পর্কে জানতে এই এমএলআর পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এদিকে দুদকে করা এক মামলায় বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন। শিগগির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায়, কমিশনের নোটিশে সম্পদ বিবরণী দাখিলকালে বেনজীর আহমেদ ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জমা দেন। তবে তদন্তে তাঁর নামে ৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৭ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৮ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার ২৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকার প্রমাণ মেলে। তিনি ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৬২২ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ২ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ২৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।
এ ছাড়া অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস ও মালিকানা গোপনের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর নাবালিকা কন্যা যাহরা যারীন বিনতে বেনজীরের নামে অর্জিত সম্পদ এর বিবরণীতে প্রদর্শন করেননি।
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এর বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ মাত্র ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৮ টাকা। নির্ধারিত সময়ে তিনি ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৩ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে তাঁর অবৈধ সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।
দুদক জানায়, বেনজীর আহমেদ তাঁর অপরাধলব্ধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করে তা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যৌথ মূলধনি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এ কার্যক্রম দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমএলআর দুই দেশ বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক আইনি সহায়তার আবেদন। দুদক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সম্ভাব্য সম্পদ সম্পর্কে জানতে এই এমএলআর পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এদিকে দুদকে করা এক মামলায় বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন। শিগগির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায়, কমিশনের নোটিশে সম্পদ বিবরণী দাখিলকালে বেনজীর আহমেদ ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জমা দেন। তবে তদন্তে তাঁর নামে ৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৭ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৮ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার ২৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকার প্রমাণ মেলে। তিনি ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৬২২ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ২ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ২৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।
এ ছাড়া অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস ও মালিকানা গোপনের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর নাবালিকা কন্যা যাহরা যারীন বিনতে বেনজীরের নামে অর্জিত সম্পদ এর বিবরণীতে প্রদর্শন করেননি।
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এর বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ মাত্র ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৮ টাকা। নির্ধারিত সময়ে তিনি ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৩ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে তাঁর অবৈধ সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।
দুদক জানায়, বেনজীর আহমেদ তাঁর অপরাধলব্ধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করে তা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যৌথ মূলধনি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এ কার্যক্রম দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে ঠিক কতগুলো এবং কত ধরনের নৌযান চলাচল করে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। শুধু যেসব নৌযান নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে, সেগুলোই নথিভুক্ত। এর বাইরে ছোট-বড় নানা ধরনের নৌযান প্রতিদিন নদীতে চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই অধিদপ্তরের কাছে। ফলে নিবন্ধনের বাইরে অবৈধভাবে চলা...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী নিহত হন। উবায়দুল মোকতাদিরের বিরুদ্ধে মিসকেস হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
অন্য একটি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার রয়েছেন। তাই আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী নিহত হন। উবায়দুল মোকতাদিরের বিরুদ্ধে মিসকেস হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
অন্য একটি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার রয়েছেন। তাই আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে ঠিক কতগুলো এবং কত ধরনের নৌযান চলাচল করে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। শুধু যেসব নৌযান নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে, সেগুলোই নথিভুক্ত। এর বাইরে ছোট-বড় নানা ধরনের নৌযান প্রতিদিন নদীতে চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই অধিদপ্তরের কাছে। ফলে নিবন্ধনের বাইরে অবৈধভাবে চলা...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের...
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। পরে নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়।
এদিকে বাগেরহাটে আসন কমানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে আজ সোমবার রায় দেন আদালত।
রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে ইসির নতুন গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। এতে বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসন বহাল থাকছে।

বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফ এ রায় দেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। পরে নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়।
এদিকে বাগেরহাটে আসন কমানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে আজ সোমবার রায় দেন আদালত।
রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে ইসির নতুন গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। এতে বাগেরহাটে চারটি ও গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসন বহাল থাকছে।

দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে ঠিক কতগুলো এবং কত ধরনের নৌযান চলাচল করে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। শুধু যেসব নৌযান নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে, সেগুলোই নথিভুক্ত। এর বাইরে ছোট-বড় নানা ধরনের নৌযান প্রতিদিন নদীতে চলাচল করলেও তার কোনো তথ্য নেই অধিদপ্তরের কাছে। ফলে নিবন্ধনের বাইরে অবৈধভাবে চলা...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের...
২ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির করতে আজ সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগে