ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিজ্ঞানসম্মতভাবে ১৪ দিনকেই লকডাউনের প্রাথমিক সময়সীমা ধরা হয়। কোভিড-১৯–বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে আমরা এমন সুপারিশই করেছিলাম। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই।
তবে আমি বলব যে, লকডাউনের প্রথম দু-তিন দিন আমরা একটু কড়াকড়ি লক্ষ করেছিলাম।
এখন মনে হচ্ছে রাস্তায় গাড়ি ও মানুষের চলাচল দুটোই একটু বেড়েছে। এটাকে আবারও কঠোরতার মধ্যে নিয়ে যাওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। লকডাউনের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে হলে এর বিকল্প নেই। আরেকটু ধৈর্য ধরে আমাদের লকডাউন পালন করতে হবে। এর জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। যদি দুটি সপ্তাহ, অর্থাৎ ১৪ জুলাই পর্যন্ত আমরা ঘরে থাকতে পারি, তবে করোনার সংক্রমণ কমে আসবে। আর সংক্রমণ কমলে মৃত্যু এমনিতেই কমবে। ১৪ জুলাই পর্যন্ত আমাদের ঘরে থাকতেই হবে। ১৪ জুলাইয়ের পর লকডাউন আর বর্ধিত না করলেও আসন্ন ঈদুল আজহা বিবেচনায় রেখে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এর আগের ঈদগুলোতে আমরা বলেছি, শহর থেকে গ্রামে মানুষ করোনা নিয়ে যাচ্ছে।
এবার হবে উল্টোটা। এখন আমাদের মফস্বল ও গ্রামগুলোর ভয়াবহ অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে যিনি গ্রামে যাবেন, তিনি গ্রাম থেকে করোনা বয়ে নিয়ে শহরে আসবেন, সেই আশঙ্কাই বেশি। সবার প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, যার যার অবস্থানে থেকেই যেন আমরা ঈদ করি। আর কোরবানির পশুর হাটটা না দিলে ভালো হয়। অনলাইনে এখন সব জায়গায় পশু কেনা সম্ভব। তার পরেও প্রান্তিক চাষিদের কথা বিবেচনা করে সরকার যদি গরুর হাট দেয়ও, আমার পরামর্শ হলো, এর সংখ্যাটা যেন কম হয়।
১৪ জুলাইয়ের পর যত দিন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে না নামে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের প্রত্যেকের কঠোর বিধিনিষেধ মানতে হবে। হোম অফিস, অনলাইন ব্যাংকিং বাড়াতে হবে। গণপরিবহন ও গণজমায়েত এড়াতে হবে। সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে এলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।
অনেকেই ঈদ সামনে রেখে ১৪ জুলাইয়ের পর আবারও লকডাউন বাড়ানোর কথা বলছেন। আমিও মনে করি তিন সপ্তাহের লকডাউন দিতে পারলে বেশি ভালো হতো, কিন্তু এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব না–ও হতে পারে। সরকার চাইলেও হয়তো এটা করতে পারবে না। তাই আমি বলব, ১৪ জুলাইয়ের পরে লকডাউন উঠে গেলে স্বাস্থ্যবিধিগুলো যেন আমরা ঠিকঠাকভাবে মেনে চলি। এর জন্য সরকার ও জনগণ দুই দিক থেকেই উদ্যোগ থাকতে হবে। সরকারের যেমন কঠোর হতে হবে, তেমনি জনগণও যেন একটু সচেতন হয়। আমরা যারা জনগণ, আমাদেরও নিজস্ব বিবেকবোধ থেকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানতে হবে।
লেখক: ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, সভাপতি, কোভিড–১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ও বিএমডিসি।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিজ্ঞানসম্মতভাবে ১৪ দিনকেই লকডাউনের প্রাথমিক সময়সীমা ধরা হয়। কোভিড-১৯–বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে আমরা এমন সুপারিশই করেছিলাম। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই।
তবে আমি বলব যে, লকডাউনের প্রথম দু-তিন দিন আমরা একটু কড়াকড়ি লক্ষ করেছিলাম।
এখন মনে হচ্ছে রাস্তায় গাড়ি ও মানুষের চলাচল দুটোই একটু বেড়েছে। এটাকে আবারও কঠোরতার মধ্যে নিয়ে যাওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। লকডাউনের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে হলে এর বিকল্প নেই। আরেকটু ধৈর্য ধরে আমাদের লকডাউন পালন করতে হবে। এর জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। যদি দুটি সপ্তাহ, অর্থাৎ ১৪ জুলাই পর্যন্ত আমরা ঘরে থাকতে পারি, তবে করোনার সংক্রমণ কমে আসবে। আর সংক্রমণ কমলে মৃত্যু এমনিতেই কমবে। ১৪ জুলাই পর্যন্ত আমাদের ঘরে থাকতেই হবে। ১৪ জুলাইয়ের পর লকডাউন আর বর্ধিত না করলেও আসন্ন ঈদুল আজহা বিবেচনায় রেখে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এর আগের ঈদগুলোতে আমরা বলেছি, শহর থেকে গ্রামে মানুষ করোনা নিয়ে যাচ্ছে।
এবার হবে উল্টোটা। এখন আমাদের মফস্বল ও গ্রামগুলোর ভয়াবহ অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে যিনি গ্রামে যাবেন, তিনি গ্রাম থেকে করোনা বয়ে নিয়ে শহরে আসবেন, সেই আশঙ্কাই বেশি। সবার প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, যার যার অবস্থানে থেকেই যেন আমরা ঈদ করি। আর কোরবানির পশুর হাটটা না দিলে ভালো হয়। অনলাইনে এখন সব জায়গায় পশু কেনা সম্ভব। তার পরেও প্রান্তিক চাষিদের কথা বিবেচনা করে সরকার যদি গরুর হাট দেয়ও, আমার পরামর্শ হলো, এর সংখ্যাটা যেন কম হয়।
১৪ জুলাইয়ের পর যত দিন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে না নামে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের প্রত্যেকের কঠোর বিধিনিষেধ মানতে হবে। হোম অফিস, অনলাইন ব্যাংকিং বাড়াতে হবে। গণপরিবহন ও গণজমায়েত এড়াতে হবে। সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে এলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।
অনেকেই ঈদ সামনে রেখে ১৪ জুলাইয়ের পর আবারও লকডাউন বাড়ানোর কথা বলছেন। আমিও মনে করি তিন সপ্তাহের লকডাউন দিতে পারলে বেশি ভালো হতো, কিন্তু এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব না–ও হতে পারে। সরকার চাইলেও হয়তো এটা করতে পারবে না। তাই আমি বলব, ১৪ জুলাইয়ের পরে লকডাউন উঠে গেলে স্বাস্থ্যবিধিগুলো যেন আমরা ঠিকঠাকভাবে মেনে চলি। এর জন্য সরকার ও জনগণ দুই দিক থেকেই উদ্যোগ থাকতে হবে। সরকারের যেমন কঠোর হতে হবে, তেমনি জনগণও যেন একটু সচেতন হয়। আমরা যারা জনগণ, আমাদেরও নিজস্ব বিবেকবোধ থেকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানতে হবে।
লেখক: ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, সভাপতি, কোভিড–১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ও বিএমডিসি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য, বেক্সিমকো গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট কোম্পানি এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব কোম্পানির শেয়ার, বিও হিসাব ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ আজ ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের ও পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে—এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেভারত থেকে বাংলাদেশে নাগরিকদের জোর করে ঠেলে পাঠানোর (পুশ ইন) ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে এবং তাদের জানানো হবে, প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে হলে তা
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাণীতে তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে বিশ্বকবির অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। এশিয়া মহাদেশে প্রথম নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কবিগুরু রব
৭ ঘণ্টা আগে