বাসস, ঢাকা

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত: সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। অপর দিকে এবারও এক ঘণ্টা পরপর অনুষ্ঠিত হবে এসব জামাত। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মো. ইসহাক।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
সাভারে ঈদ জামাত: ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঈদের দিন সাভারের সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস মাঠ ভাগলপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে জামাত: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় সাজানো হচ্ছে সব আয়োজন। মাঠে যেতে মুসল্লিদের জন্য থাকছে বিশেষ দুটি ট্রেন। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদ সূত্র জানায়, শোলাকিয়ায় এবার ১৯৭তম ঈদের জামাত হবে। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়। মাওলানা মো. ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইমামতি করবেন। নারীদের জন্য সূর্যবালা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেওয়াজ অনুযায়ী, বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে ঈদ জামাত শুরুর সংকেত দেওয়া হয়। জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে তিনটি, ১০ মিনিট আগে দুটি এবং পাঁচ মিনিট আগে একটি শটগানের গুলি ফোটানো হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসবে। মুসল্লিদের অজু ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মেডিকেল টিম, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সব আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদের জামাতে কেবল জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ছাতা, ব্যাগ, লাঠি কিংবা লাইটার জাতীয় কিছু নিয়ে মাঠে না আসায় ভালো। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ জামাত আয়োজনে সবার সহযোগিতা চাই আমরা। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করবে। এর একটি ভৈরব থেকে, আরেকটি ময়মনসিংহ থেকে শোলাকিয়ার উদ্দেশে ছাড়বে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে আসবে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে। নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় এসব ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ফিরে যাবে। বাসে করেও ঈদগাহে পৌঁছে দিতে বিশেষ সার্ভিস চালু করছে বিভিন্ন বাস কোম্পানি।
দিনাজপুরে গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাত: জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া যদি বৈরী আবহাওয়া হয় তাহলে বড় মাঠের পাশে মসজিদসহ আশপাশের এলাকার মসজিদগুলোতে একযোগে নামাজ আদায় করা হবে। ঈদগাহে প্রবেশের জন্য তৈরি হচ্ছে ১৯টি তোরণ। অন্যান্য উপজেলা থেকে বাস সার্ভিস ছাড়াও যেসব উপজেলার সঙ্গে শহরের ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে সেসব উপজেলা থেকে মুসল্লিদের জন্য স্টেশনগুলো থেকে দু’টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
দেশের অন্যতম বড় এই ঈদের নামাজের ইমামতি করবেন দিনাজপুর সদর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে ঈদের জামাতকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহের চার পাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সক্রিয় থাকবেন সাদাপোশাকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সিলেটে শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাত: শাহী ঈদগাহ ৭০০ বছরেরও পুরোনো ঐতিহ্যের এক প্রতীক। শাহী ঈদগাহের মুতাওয়াল্লি মো. শফিক বখত জানান, এবারের ঈদের একমাত্র জামাত সকাল ৮টায় শুরু হবে। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আশপাশের মসজিদে নামাজ হবে। শাহী ঈদগাহেও নামাজ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
বাগেরহাটে ষাটগম্বুজ মসজিদে ৩টি জামাত: ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে তিনটি জামাতে হবে ঈদের নামাজ। এর মধ্যে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টায় এবং সর্বশেষ জামাত হবে সাড়ে ৮টায়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন। ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বাগেরহাট আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন এবং তৃতীয় ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন সিঙ্গাইড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম। ঈদে মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
গোপালগঞ্জে ঈদের প্রধান জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় পাচুড়িয়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এ ছাড়া দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় থানাপাড়া জামে মসজিদে,তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় এস কে আলিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে।
আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল ৮টায় স্থানীয় লঞ্চঘাটে অবস্থিত জেলা মডেল মসজিদে এবং একই সময়ে স্থানীয় কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লায় ঈদের জামাত: জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া বৈরী থাকলে ঈদগাহের পাশের জিমনেসিয়ামে একই সময়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জায়গা না হলে একাধিক বার জামাতের ব্যবস্থা করা হবে। কুমিল্লা তথ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ছাড়াও শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের ঈদের জামাত পৃথকভাবে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মৌলভীপাড়া ঈদগাহ, ভাটপাড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, ভাটপাড়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, রেসকোর্স নূর মসজিদ, মোগলটুলী শাহসুজা মসজিদ, শুভপুর শাহী ঈদগাহ ময়দান, অশোকতলা জামে মসজিদ, উত্তর আশরাফপুর (হালুয়াপাড়া) জামে মসজিদ, উত্তর চর্থা মিরসাঈদুর জামে মসজিদ, দক্ষিণ চর্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, দক্ষিণ চর্থা কবরস্থান মসজিদ, টিক্কারচর কারবালা মাঠ, নূরপুর গুধীরপুকুরপাড় জামে মসজিদ ঈদগাহ, দিশাবন্দ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, সদরগাজী জামে মসজিদ, পুরাতন পদুয়ার বাজার ঈদগাহ, কোটবাড়ী গন্ধমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এবং চৌয়ারা বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টায় ঈদের জামাত হবে। দেখা গেছে, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি শতভাগ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রয়েছে ছয়টি গেট। সবগুলোকে সাজানো হয়ে বিভিন্ন রঙের কাপড় দিয়ে। ঈদগাহ মাঠের চারপাশে রয়েছে দেয়াল। চার দেয়ালে এখন লাগানো হচ্ছে নতুন রং এবং আঁকা হচ্ছে ইসলামিক কারুকার্য। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগার ইমাম মুফতি মো. ইব্রাহীম ক্বাদেরী জানান, এবার ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হবে। যদি মুসল্লি সংখ্যা বেশি হয়, তবে পরপর আর দু’টি জামাত করার প্রস্তুতি রয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে।
ফেনীতে প্রধান ঈদ জামাত: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ জানান, জেলার প্রধান ঈদ জামাত মিজান ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, অন্যান্য জামাতের মধ্যে ফেনী জামে মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, জহিরিয়া মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, পুলিশ লাইনস মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, সার্কিট হাউস মসজিদে ৮টায়, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে ৮টায়, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদে ৮টায়, শান্তি কোম্পানি মসজিদে ৮টায়, ফেনী রেলস্টেশন মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জামে মসজিদে ৮টায়, উত্তর চাড়িপুর মুক্তারবাড়ি জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বদরুন্নেছা জামে মসজিদে ৮টায়, জিএ একাডেমি হাই স্কুল মাঠে ৮টা ১৫ মিনিট, সহদেবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৮টায়, লমী হাজারী জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, হাজারীপাড়া জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, তাকিয়া বাড়ি মসজিদে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মাগুরায় ঈদের জামাত: পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেহেরপুরে ঈদের জামাত: মেহেরপুরে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় মেহেরপুর পৌর ঈদগাহে এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পুরাতন ঈদগা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগর উদ্যানে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত সকাল ৭টায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনির।
শেরপুরে ঈদের জামাত: জেলায় প্রধান ঈদ জামাত পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়। জেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এস এম মোহাইমোনুল ইসলাম জানান, এবার জেলার বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের ঈদ জামাত আদায়ের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর পৌরসভার আয়োজনে মাও. হজরত আলীর পরিচালনায় পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাত আদায় সম্ভব না হলে জেলা কালেক্টরেট মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, জামিয়া সিদ্দিকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৯টায়, মাইসাহেবা মসজিদ মাঠে সকাল ১০টায়, চাপাতলি ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, বাটারাঘাট ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়, চান্দেরনগর বড় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, পাকুড়িয়া পূর্বপাড়া মিন্নতিয়া হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ইদ্রিসিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে মহিলাদের জন্য আলাদা স্থানে সকাল ৯টায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, পৌরসভার আয়োজনে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে সকাল ৯টায়। পৌর ঈদগাহ মাঠটি পরিষ্কারকরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
নীলফামারীতে ঈদের জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এর আগে পুলিশ লাইনস ঈদগাহ মাঠে সকাল সোয়া ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় নীলফামারী মডেল মসজিদ, নীলফামারী উপজেলা মডেল মসজিদ, গাছবাড়ি পঞ্চপুকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠ, মুন্সিপাড়া আহলে হাদিস মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল পৌনে ৯টায় সার্কিট হাউস ঈদগাহ ও বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে জোরদরগাহ ঈদগাহ মাঠ ও কলেজ স্টেশন ঈদগাহ মাঠে।

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত: সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। অপর দিকে এবারও এক ঘণ্টা পরপর অনুষ্ঠিত হবে এসব জামাত। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মো. ইসহাক।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
সাভারে ঈদ জামাত: ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঈদের দিন সাভারের সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস মাঠ ভাগলপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে জামাত: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় সাজানো হচ্ছে সব আয়োজন। মাঠে যেতে মুসল্লিদের জন্য থাকছে বিশেষ দুটি ট্রেন। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদ সূত্র জানায়, শোলাকিয়ায় এবার ১৯৭তম ঈদের জামাত হবে। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়। মাওলানা মো. ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইমামতি করবেন। নারীদের জন্য সূর্যবালা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেওয়াজ অনুযায়ী, বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে ঈদ জামাত শুরুর সংকেত দেওয়া হয়। জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে তিনটি, ১০ মিনিট আগে দুটি এবং পাঁচ মিনিট আগে একটি শটগানের গুলি ফোটানো হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসবে। মুসল্লিদের অজু ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মেডিকেল টিম, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সব আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদের জামাতে কেবল জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ছাতা, ব্যাগ, লাঠি কিংবা লাইটার জাতীয় কিছু নিয়ে মাঠে না আসায় ভালো। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ জামাত আয়োজনে সবার সহযোগিতা চাই আমরা। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করবে। এর একটি ভৈরব থেকে, আরেকটি ময়মনসিংহ থেকে শোলাকিয়ার উদ্দেশে ছাড়বে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে আসবে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে। নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় এসব ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ফিরে যাবে। বাসে করেও ঈদগাহে পৌঁছে দিতে বিশেষ সার্ভিস চালু করছে বিভিন্ন বাস কোম্পানি।
দিনাজপুরে গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাত: জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া যদি বৈরী আবহাওয়া হয় তাহলে বড় মাঠের পাশে মসজিদসহ আশপাশের এলাকার মসজিদগুলোতে একযোগে নামাজ আদায় করা হবে। ঈদগাহে প্রবেশের জন্য তৈরি হচ্ছে ১৯টি তোরণ। অন্যান্য উপজেলা থেকে বাস সার্ভিস ছাড়াও যেসব উপজেলার সঙ্গে শহরের ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে সেসব উপজেলা থেকে মুসল্লিদের জন্য স্টেশনগুলো থেকে দু’টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
দেশের অন্যতম বড় এই ঈদের নামাজের ইমামতি করবেন দিনাজপুর সদর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে ঈদের জামাতকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহের চার পাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সক্রিয় থাকবেন সাদাপোশাকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সিলেটে শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাত: শাহী ঈদগাহ ৭০০ বছরেরও পুরোনো ঐতিহ্যের এক প্রতীক। শাহী ঈদগাহের মুতাওয়াল্লি মো. শফিক বখত জানান, এবারের ঈদের একমাত্র জামাত সকাল ৮টায় শুরু হবে। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আশপাশের মসজিদে নামাজ হবে। শাহী ঈদগাহেও নামাজ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
বাগেরহাটে ষাটগম্বুজ মসজিদে ৩টি জামাত: ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে তিনটি জামাতে হবে ঈদের নামাজ। এর মধ্যে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টায় এবং সর্বশেষ জামাত হবে সাড়ে ৮টায়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন। ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বাগেরহাট আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন এবং তৃতীয় ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন সিঙ্গাইড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম। ঈদে মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
গোপালগঞ্জে ঈদের প্রধান জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় পাচুড়িয়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এ ছাড়া দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় থানাপাড়া জামে মসজিদে,তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় এস কে আলিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে।
আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল ৮টায় স্থানীয় লঞ্চঘাটে অবস্থিত জেলা মডেল মসজিদে এবং একই সময়ে স্থানীয় কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লায় ঈদের জামাত: জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া বৈরী থাকলে ঈদগাহের পাশের জিমনেসিয়ামে একই সময়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জায়গা না হলে একাধিক বার জামাতের ব্যবস্থা করা হবে। কুমিল্লা তথ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ছাড়াও শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের ঈদের জামাত পৃথকভাবে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মৌলভীপাড়া ঈদগাহ, ভাটপাড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, ভাটপাড়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, রেসকোর্স নূর মসজিদ, মোগলটুলী শাহসুজা মসজিদ, শুভপুর শাহী ঈদগাহ ময়দান, অশোকতলা জামে মসজিদ, উত্তর আশরাফপুর (হালুয়াপাড়া) জামে মসজিদ, উত্তর চর্থা মিরসাঈদুর জামে মসজিদ, দক্ষিণ চর্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, দক্ষিণ চর্থা কবরস্থান মসজিদ, টিক্কারচর কারবালা মাঠ, নূরপুর গুধীরপুকুরপাড় জামে মসজিদ ঈদগাহ, দিশাবন্দ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, সদরগাজী জামে মসজিদ, পুরাতন পদুয়ার বাজার ঈদগাহ, কোটবাড়ী গন্ধমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এবং চৌয়ারা বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টায় ঈদের জামাত হবে। দেখা গেছে, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি শতভাগ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রয়েছে ছয়টি গেট। সবগুলোকে সাজানো হয়ে বিভিন্ন রঙের কাপড় দিয়ে। ঈদগাহ মাঠের চারপাশে রয়েছে দেয়াল। চার দেয়ালে এখন লাগানো হচ্ছে নতুন রং এবং আঁকা হচ্ছে ইসলামিক কারুকার্য। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগার ইমাম মুফতি মো. ইব্রাহীম ক্বাদেরী জানান, এবার ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হবে। যদি মুসল্লি সংখ্যা বেশি হয়, তবে পরপর আর দু’টি জামাত করার প্রস্তুতি রয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে।
ফেনীতে প্রধান ঈদ জামাত: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ জানান, জেলার প্রধান ঈদ জামাত মিজান ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, অন্যান্য জামাতের মধ্যে ফেনী জামে মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, জহিরিয়া মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, পুলিশ লাইনস মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, সার্কিট হাউস মসজিদে ৮টায়, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে ৮টায়, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদে ৮টায়, শান্তি কোম্পানি মসজিদে ৮টায়, ফেনী রেলস্টেশন মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জামে মসজিদে ৮টায়, উত্তর চাড়িপুর মুক্তারবাড়ি জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বদরুন্নেছা জামে মসজিদে ৮টায়, জিএ একাডেমি হাই স্কুল মাঠে ৮টা ১৫ মিনিট, সহদেবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৮টায়, লমী হাজারী জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, হাজারীপাড়া জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, তাকিয়া বাড়ি মসজিদে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মাগুরায় ঈদের জামাত: পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেহেরপুরে ঈদের জামাত: মেহেরপুরে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় মেহেরপুর পৌর ঈদগাহে এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পুরাতন ঈদগা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগর উদ্যানে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত সকাল ৭টায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনির।
শেরপুরে ঈদের জামাত: জেলায় প্রধান ঈদ জামাত পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়। জেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এস এম মোহাইমোনুল ইসলাম জানান, এবার জেলার বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের ঈদ জামাত আদায়ের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর পৌরসভার আয়োজনে মাও. হজরত আলীর পরিচালনায় পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাত আদায় সম্ভব না হলে জেলা কালেক্টরেট মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, জামিয়া সিদ্দিকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৯টায়, মাইসাহেবা মসজিদ মাঠে সকাল ১০টায়, চাপাতলি ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, বাটারাঘাট ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়, চান্দেরনগর বড় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, পাকুড়িয়া পূর্বপাড়া মিন্নতিয়া হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ইদ্রিসিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে মহিলাদের জন্য আলাদা স্থানে সকাল ৯টায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, পৌরসভার আয়োজনে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে সকাল ৯টায়। পৌর ঈদগাহ মাঠটি পরিষ্কারকরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
নীলফামারীতে ঈদের জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এর আগে পুলিশ লাইনস ঈদগাহ মাঠে সকাল সোয়া ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় নীলফামারী মডেল মসজিদ, নীলফামারী উপজেলা মডেল মসজিদ, গাছবাড়ি পঞ্চপুকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠ, মুন্সিপাড়া আহলে হাদিস মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল পৌনে ৯টায় সার্কিট হাউস ঈদগাহ ও বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে জোরদরগাহ ঈদগাহ মাঠ ও কলেজ স্টেশন ঈদগাহ মাঠে।

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
২ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা, যাঁরা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছে, নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা, যাঁরা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছে, নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
১০ এপ্রিল ২০২৪
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
২ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে পুলিশ বাহিনীর ৪৮ হাজার ১৩৪ সদস্য তাঁদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাঁদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশের ৪৮ হাজার ১৩৪ জন সদস্য এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটর করা হচ্ছে।
আইজিপি মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত বোরবার (২ নভেম্বর) রাজশাহী ও বগুড়া সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ এই নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন এবারই প্রথম।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মোট ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য—পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিরপেক্ষ ও দক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগ প্রণীত নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউলের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশের ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিয়োগের লক্ষ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার সশস্ত্র এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ১৩ জন নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বিজিবির ৩৩ হাজার সদস্য (১ হাজার ১০০ প্লাটুন) নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করছেন, যা ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে মাঠে থাকবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নির্বাচনকালীন সমন্বয়ের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাচন কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সারা দেশে প্রস্তুত থাকবে যাতে কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ হাজার ২৬৪ পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ১৪৫ আনসার ও ভিডিপি সদস্য, ৫ হাজার ৫১৩ বিজিবি সদস্য এবং ৬৩৪ কোস্ট গার্ড সদস্য নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে পুলিশ বাহিনীর ৪৮ হাজার ১৩৪ সদস্য তাঁদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাঁদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশের ৪৮ হাজার ১৩৪ জন সদস্য এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটর করা হচ্ছে।
আইজিপি মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত বোরবার (২ নভেম্বর) রাজশাহী ও বগুড়া সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ এই নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন এবারই প্রথম।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মোট ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য—পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিরপেক্ষ ও দক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগ প্রণীত নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউলের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশের ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিয়োগের লক্ষ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার সশস্ত্র এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ১৩ জন নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বিজিবির ৩৩ হাজার সদস্য (১ হাজার ১০০ প্লাটুন) নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করছেন, যা ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে মাঠে থাকবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নির্বাচনকালীন সমন্বয়ের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাচন কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সারা দেশে প্রস্তুত থাকবে যাতে কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ হাজার ২৬৪ পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ১৪৫ আনসার ও ভিডিপি সদস্য, ৫ হাজার ৫১৩ বিজিবি সদস্য এবং ৬৩৪ কোস্ট গার্ড সদস্য নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
১০ এপ্রিল ২০২৪
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সংশোধিত আরপিওতে জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতীক পছন্দের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘অনুচ্ছেদ ১১ এর দফা (১) অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৩ (তিন) দিনের মধ্যে কমিশনের নিকট আবেদন করা হলে, এবং দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যৌথভাবে নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে প্রার্থী মনোনয়নে সম্মত হলে কমিশন সেই যৌথ প্রার্থীকে নিজ রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দিতে পারবে।'
প্রস্তাবিত আরপিওতে জোট প্রার্থীর নিজস্ব দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি তীব্র আপত্তি জানায়। এটি সংশোধনের আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছিল তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামী বিধানটি রাখার পক্ষে।
আরপিওতে এবার ‘না’ ভোটের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই বা পর্যালোচনার পর একটি আসন থেকে সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য মাত্র একজন ব্যক্তি বৈধভাবে মনোনীত থাকেন অথবা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মাত্র একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনটি একক প্রার্থী এবং 'না ভোট' (No Vote) বিকল্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 'না ভোট'-এর সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জনবিজ্ঞপ্তি দ্বারা ওই প্রার্থীকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন।
যদি 'না ভোট'-এর সংখ্যা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তবে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে সেই নির্বাচনী এলাকায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সংশোধিত আরপিওতে জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতীক পছন্দের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘অনুচ্ছেদ ১১ এর দফা (১) অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৩ (তিন) দিনের মধ্যে কমিশনের নিকট আবেদন করা হলে, এবং দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যৌথভাবে নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে প্রার্থী মনোনয়নে সম্মত হলে কমিশন সেই যৌথ প্রার্থীকে নিজ রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দিতে পারবে।'
প্রস্তাবিত আরপিওতে জোট প্রার্থীর নিজস্ব দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি তীব্র আপত্তি জানায়। এটি সংশোধনের আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছিল তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামী বিধানটি রাখার পক্ষে।
আরপিওতে এবার ‘না’ ভোটের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই বা পর্যালোচনার পর একটি আসন থেকে সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য মাত্র একজন ব্যক্তি বৈধভাবে মনোনীত থাকেন অথবা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মাত্র একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনটি একক প্রার্থী এবং 'না ভোট' (No Vote) বিকল্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 'না ভোট'-এর সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জনবিজ্ঞপ্তি দ্বারা ওই প্রার্থীকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন।
যদি 'না ভোট'-এর সংখ্যা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তবে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে সেই নির্বাচনী এলাকায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
১০ এপ্রিল ২০২৪
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
২ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১২ ঘণ্টা আগেএস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য প্যানেল তৈরি করে রাখা হয়। পদ খালি হলে পর্যায়ক্রমে শূন্য পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় ওই প্যানেল থেকে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে আজ ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বেলা ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে এবারের পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
এবারের পদোন্নতির প্যানেলে কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তাঁদের পদোন্নতির বিষয়ে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ফুলকোর্ট সভা। ফুলকোর্ট সভার মতামত অনুযায়ী পদোন্নতির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এবারের মতো এত বেশিসংখ্যক কর্মকর্তার নাম কখনো একসঙ্গে পদোন্নতির প্যানেলে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ১৯১টি জেলা জজের পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করায় নতুন আদালত সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই একসঙ্গে এত বিচারকের পদোন্নতির জন্য প্যানেল করে রাখতে হচ্ছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইনও কিছুটা অনুরূপ জবাব দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের ফুলকোর্টে ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডার ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত কিছু বিষয় অনুমোদনের জন্য রয়েছে। ...আড়াই শর মতো নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাচের একসঙ্গে পদোন্নতির জন্য প্রস্তাব এসেছে। এ কারণে সংখ্যাটা বেশি মনে হচ্ছে। তবে এটি স্বাভাবিক।’
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। এ কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়। তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন দেওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এরপর পদ খালি হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে আদেশ জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সময় এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন বছরের পর বছর।

আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য প্যানেল তৈরি করে রাখা হয়। পদ খালি হলে পর্যায়ক্রমে শূন্য পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় ওই প্যানেল থেকে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে আজ ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বেলা ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে এবারের পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
এবারের পদোন্নতির প্যানেলে কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তাঁদের পদোন্নতির বিষয়ে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ফুলকোর্ট সভা। ফুলকোর্ট সভার মতামত অনুযায়ী পদোন্নতির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এবারের মতো এত বেশিসংখ্যক কর্মকর্তার নাম কখনো একসঙ্গে পদোন্নতির প্যানেলে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ১৯১টি জেলা জজের পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করায় নতুন আদালত সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই একসঙ্গে এত বিচারকের পদোন্নতির জন্য প্যানেল করে রাখতে হচ্ছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইনও কিছুটা অনুরূপ জবাব দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের ফুলকোর্টে ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডার ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত কিছু বিষয় অনুমোদনের জন্য রয়েছে। ...আড়াই শর মতো নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাচের একসঙ্গে পদোন্নতির জন্য প্রস্তাব এসেছে। এ কারণে সংখ্যাটা বেশি মনে হচ্ছে। তবে এটি স্বাভাবিক।’
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। এ কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়। তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন দেওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এরপর পদ খালি হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে আদেশ জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সময় এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন বছরের পর বছর।

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হলো:
১০ এপ্রিল ২০২৪
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
২ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে