Ajker Patrika

জেল পালানো ৮৭ ফাঁসির আসামির হদিস নেই

শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯: ৫৬
জেল পালানো ৮৭ ফাঁসির আসামির হদিস নেই

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশের চারটি কারাগার ভেঙে পালিয়ে যান দুই হাজারের বেশি আসামি। তাঁদের মধ্যে বড় একটা অংশ অবশ্য আবার ফিরেও আসেন। কিন্তু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৮৯ বন্দীর মধ্যে ৮৪ জনই এখনো লাপাত্তা।

খোঁজ না পাওয়া এসব বন্দীর অধিকাংশই ছিলেন গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। পলাতক আসামি ও ফাঁসির আসামিদের ধরতে ইতিমধ্যে তালিকা ধরে অভিযানে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

অপরাধ নিয়ে কাজ করা কেউ কেউ বলছেন, যেকোনো মূল্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ এসব বন্দী বাইরের সবার জন্যই হুমকির।

কারা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে ও পরে নরসিংদী, গাজীপুর হাই সিকিউরিটি, সাতক্ষীরা ও শেরপুর কারাগার ভেঙে পালিয়ে যান ২ হাজার ১৪৯ জন বন্দী। তাঁদের মধ্যে নরসিংদী কারাগারের ৯ জন জঙ্গিসহ ৮২৬ জন, শেরপুর কারাগারের ৫১৮ জন, সাতক্ষীরার ৫৯৬ জন আর গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান ২০৯ বন্দী। মোট পালিয়ে যাওয়া আসামির মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন পরে আত্মসমর্পণ করেছেন।

কারা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে পালিয়ে যান ৮৯ জন। তাঁদের মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার ও একজন আত্মসমর্পণ করেছেন। বাকি ৮৪ জনের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা নিজে থেকে ফিরবেন না। পালিয়ে থাকা এসব বন্দীর প্রায় সবাই গাজীপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন। তবে বাকি কারাগারগুলোতেও দু-একজন করে ছিলেন।

জানতে চাইলে সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথি জানান, তাঁদের কারাগারে দুজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে যান। দুজনের মধ্যে একজন ফিরেছেন।

সার্বিক বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, পালিয়ে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী নিজেরা ফিরে এসেছেন। যাঁরা আসেননি, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন।

এদিকে গতকাল বুধবার ভোরে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হৃদয় ওরফে মানিককে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তিনি জেলার সাটুরিয়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর আরিফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।

র‍্যাব জানায়, গত ৬ আগস্ট হৃদয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

এরপর গতকাল রাতেও পলাতক তিনজন ফাঁসির আসামিকে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ হতে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। তাঁরাও গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পালিয়েছিলেন।

জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ধর্ষ এসব বন্দীর যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। অন্যরা আত্মসমর্পণ করলেও তাঁদের না করার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁরা বাইরে থাকলে সেটা নিরাপত্তার জন্য হুমকি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত