শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশের চারটি কারাগার ভেঙে পালিয়ে যান দুই হাজারের বেশি আসামি। তাঁদের মধ্যে বড় একটা অংশ অবশ্য আবার ফিরেও আসেন। কিন্তু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৮৯ বন্দীর মধ্যে ৮৪ জনই এখনো লাপাত্তা।
খোঁজ না পাওয়া এসব বন্দীর অধিকাংশই ছিলেন গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। পলাতক আসামি ও ফাঁসির আসামিদের ধরতে ইতিমধ্যে তালিকা ধরে অভিযানে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
অপরাধ নিয়ে কাজ করা কেউ কেউ বলছেন, যেকোনো মূল্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ এসব বন্দী বাইরের সবার জন্যই হুমকির।
কারা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে ও পরে নরসিংদী, গাজীপুর হাই সিকিউরিটি, সাতক্ষীরা ও শেরপুর কারাগার ভেঙে পালিয়ে যান ২ হাজার ১৪৯ জন বন্দী। তাঁদের মধ্যে নরসিংদী কারাগারের ৯ জন জঙ্গিসহ ৮২৬ জন, শেরপুর কারাগারের ৫১৮ জন, সাতক্ষীরার ৫৯৬ জন আর গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান ২০৯ বন্দী। মোট পালিয়ে যাওয়া আসামির মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন পরে আত্মসমর্পণ করেছেন।
কারা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে পালিয়ে যান ৮৯ জন। তাঁদের মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার ও একজন আত্মসমর্পণ করেছেন। বাকি ৮৪ জনের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা নিজে থেকে ফিরবেন না। পালিয়ে থাকা এসব বন্দীর প্রায় সবাই গাজীপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন। তবে বাকি কারাগারগুলোতেও দু-একজন করে ছিলেন।
জানতে চাইলে সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথি জানান, তাঁদের কারাগারে দুজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে যান। দুজনের মধ্যে একজন ফিরেছেন।
সার্বিক বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, পালিয়ে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী নিজেরা ফিরে এসেছেন। যাঁরা আসেননি, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন।
এদিকে গতকাল বুধবার ভোরে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হৃদয় ওরফে মানিককে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তিনি জেলার সাটুরিয়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর আরিফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
র্যাব জানায়, গত ৬ আগস্ট হৃদয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
এরপর গতকাল রাতেও পলাতক তিনজন ফাঁসির আসামিকে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ হতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। তাঁরাও গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পালিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ধর্ষ এসব বন্দীর যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। অন্যরা আত্মসমর্পণ করলেও তাঁদের না করার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁরা বাইরে থাকলে সেটা নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশের চারটি কারাগার ভেঙে পালিয়ে যান দুই হাজারের বেশি আসামি। তাঁদের মধ্যে বড় একটা অংশ অবশ্য আবার ফিরেও আসেন। কিন্তু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৮৯ বন্দীর মধ্যে ৮৪ জনই এখনো লাপাত্তা।
খোঁজ না পাওয়া এসব বন্দীর অধিকাংশই ছিলেন গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। পলাতক আসামি ও ফাঁসির আসামিদের ধরতে ইতিমধ্যে তালিকা ধরে অভিযানে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
অপরাধ নিয়ে কাজ করা কেউ কেউ বলছেন, যেকোনো মূল্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ এসব বন্দী বাইরের সবার জন্যই হুমকির।
কারা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে ও পরে নরসিংদী, গাজীপুর হাই সিকিউরিটি, সাতক্ষীরা ও শেরপুর কারাগার ভেঙে পালিয়ে যান ২ হাজার ১৪৯ জন বন্দী। তাঁদের মধ্যে নরসিংদী কারাগারের ৯ জন জঙ্গিসহ ৮২৬ জন, শেরপুর কারাগারের ৫১৮ জন, সাতক্ষীরার ৫৯৬ জন আর গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান ২০৯ বন্দী। মোট পালিয়ে যাওয়া আসামির মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন পরে আত্মসমর্পণ করেছেন।
কারা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে পালিয়ে যান ৮৯ জন। তাঁদের মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার ও একজন আত্মসমর্পণ করেছেন। বাকি ৮৪ জনের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা নিজে থেকে ফিরবেন না। পালিয়ে থাকা এসব বন্দীর প্রায় সবাই গাজীপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন। তবে বাকি কারাগারগুলোতেও দু-একজন করে ছিলেন।
জানতে চাইলে সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথি জানান, তাঁদের কারাগারে দুজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে যান। দুজনের মধ্যে একজন ফিরেছেন।
সার্বিক বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, পালিয়ে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী নিজেরা ফিরে এসেছেন। যাঁরা আসেননি, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন।
এদিকে গতকাল বুধবার ভোরে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হৃদয় ওরফে মানিককে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তিনি জেলার সাটুরিয়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর আরিফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
র্যাব জানায়, গত ৬ আগস্ট হৃদয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
এরপর গতকাল রাতেও পলাতক তিনজন ফাঁসির আসামিকে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ হতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। তাঁরাও গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পালিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ধর্ষ এসব বন্দীর যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। অন্যরা আত্মসমর্পণ করলেও তাঁদের না করার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁরা বাইরে থাকলে সেটা নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ জনকে দেশে এনে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাঁরা মূলত শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। সরাসরি জঙ্গিবাদে জড়িত ছিলেন না, বরং দুস্থ ও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে তাঁরা সেখানে গিয়েছিল
৭ মিনিট আগেশ্রম ও বিনিয়োগ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও আজারবাইজান। গতকাল বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে এ বিষয়ে বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং আজারবাইজানের শ্রম ও সামাজিক সুরক্ষামন্ত্রী আনার আলিয়েভের মধ্যে বৈঠক হয়।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য জোট হিসেবে পরিচিত রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে (আরসিইপি) যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। তবে কেবল বাংলাদেশ নয়, এই জোটে যোগ দিতে চায় আরও ৩ দেশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে