নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সম্প্রতি কুমিল্লার চান্দিনায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) দুই কর্মীকে যৌন হয়রানি ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশে কর্মরত তিন শতাধিক এনজিও, যুব ও মানবাধিকার সংগঠন, সামাজিক উদ্যোক্তা ও গবেষকদের ঐক্যজোট সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) অ্যালায়েন্স। আজ বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৮ মার্চ কুমিল্লার চান্দিনায় দুই এনজিওকর্মীকে পথরোধ করে অপহরণের পর তাঁদের নির্জন স্থানে নেওয়া হয়। এরপর পুরুষ কর্মীকে গাছে বেঁধে রেখে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া এবং নারী কর্মীকে নগ্ন করে ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের কথা বলে পরিবার থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
সিএসও অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে বিবৃতিদাতারা হলেন রাশেদা কে চৌধূরী, ড. ইফতেখারুজ্জামান, শাহিন আনাম, মালেকা বেগম, আসিফ সালেহ, ফারাহ্ কবির, মনসুর আহমদ চৌধুরী, নোমান খান, খায়রুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, সালমা মাহবুব, কেএএম মোর্শেদ, সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ওই কর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনার পরেও অপরাধীদের আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এত বড় একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে খাটো করে দেখার বা উপস্থাপনের চেষ্টা ভিকটিমদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ও সুরক্ষাকে শুধু হুমকির মুখেই ফেলবে না, বরং স্বাধীনতার পর পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে এ দেশের কোটি কোটি সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা লাখ লাখ এনজিওকর্মীর অবদানকে অগ্রাহ্য করার শামিল। এ ঘটনায় সারা দেশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা মাঠে–ময়দানে কাজ করা সব এনজিওকর্মীর জন্য নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি হওয়ায় আমরা মর্মাহত, ক্ষুব্ধ।’
সিএসও অ্যালায়েন্স বিশ্বাস করে, এ দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত এনজিও কার্যক্রম ব্যাহত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা মন্থর হবে।
বিবৃতিদাতারা পাঁচটি দাবি তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে রয়েছে—দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কিংবা নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করে পুলিশি অভিযোগ দায়েরে যেকোনো গাফিলতি বা তথ্য গোপন করার চেষ্টার তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করা, গ্রামীণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে কাজ করা উন্নয়নকর্মীদের জন্য যথাযথ আইনি সুরক্ষা ও নিরাপত্তাব্যবস্থা চালু করা এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মামলাগুলো কঠোরভাবে নথিভুক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা।
সম্প্রতি কুমিল্লার চান্দিনায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) দুই কর্মীকে যৌন হয়রানি ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশে কর্মরত তিন শতাধিক এনজিও, যুব ও মানবাধিকার সংগঠন, সামাজিক উদ্যোক্তা ও গবেষকদের ঐক্যজোট সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) অ্যালায়েন্স। আজ বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৮ মার্চ কুমিল্লার চান্দিনায় দুই এনজিওকর্মীকে পথরোধ করে অপহরণের পর তাঁদের নির্জন স্থানে নেওয়া হয়। এরপর পুরুষ কর্মীকে গাছে বেঁধে রেখে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া এবং নারী কর্মীকে নগ্ন করে ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের কথা বলে পরিবার থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
সিএসও অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে বিবৃতিদাতারা হলেন রাশেদা কে চৌধূরী, ড. ইফতেখারুজ্জামান, শাহিন আনাম, মালেকা বেগম, আসিফ সালেহ, ফারাহ্ কবির, মনসুর আহমদ চৌধুরী, নোমান খান, খায়রুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, সালমা মাহবুব, কেএএম মোর্শেদ, সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ওই কর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনার পরেও অপরাধীদের আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এত বড় একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে খাটো করে দেখার বা উপস্থাপনের চেষ্টা ভিকটিমদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ও সুরক্ষাকে শুধু হুমকির মুখেই ফেলবে না, বরং স্বাধীনতার পর পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে এ দেশের কোটি কোটি সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা লাখ লাখ এনজিওকর্মীর অবদানকে অগ্রাহ্য করার শামিল। এ ঘটনায় সারা দেশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা মাঠে–ময়দানে কাজ করা সব এনজিওকর্মীর জন্য নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি হওয়ায় আমরা মর্মাহত, ক্ষুব্ধ।’
সিএসও অ্যালায়েন্স বিশ্বাস করে, এ দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত এনজিও কার্যক্রম ব্যাহত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা মন্থর হবে।
বিবৃতিদাতারা পাঁচটি দাবি তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে রয়েছে—দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কিংবা নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করে পুলিশি অভিযোগ দায়েরে যেকোনো গাফিলতি বা তথ্য গোপন করার চেষ্টার তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করা, গ্রামীণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে কাজ করা উন্নয়নকর্মীদের জন্য যথাযথ আইনি সুরক্ষা ও নিরাপত্তাব্যবস্থা চালু করা এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মামলাগুলো কঠোরভাবে নথিভুক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা।
দেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে।
১১ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
৬ ঘণ্টা আগেইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এই আহ্বান জানান।
১০ ঘণ্টা আগেচীনের কুনমিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিনিয়োগ, অবকাঠামো, প্রযুক্তিসহ পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বলা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে