আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
দেশে নদী থেকে উদ্ধার করা লাশের বড় একটি অংশেরই পরিচয় মিলছে না। নৌ পুলিশের তথ্য বলছে, গত বছরের শুরু থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত নৌ পুলিশ যত লাশ উদ্ধার করেছে, তার ৩০ শতাংশেরই পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গত ২৩ আগস্ট ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ কোল্ডস্টোরেজ ঘাট এলাকা থেকে এক নারী ও এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। নারীর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর ও শিশুটির বয়স ৩-৪ বছর। নারীর গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল এবং শিশুর গলায় ওড়না বাঁধা অবস্থায় লাশ ভেসে ওঠে। একই দিন সন্ধ্যায় কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারীপুর ঘাট এলাকা থেকে তরুণ-তরুণীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তাদের মধ্যে চারজনের লাশ এক সপ্তাহ অপেক্ষার পর বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। বাকি দুজনের মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে সংরক্ষিত আছে এখনো।
নৌ পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোক্তার হোসেন জানান, উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় শনাক্তে দেশের সব থানায় বার্তা ও ছবি পাঠানো হয়েছে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ লাশের খোঁজে আসেনি।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে ৪৪০টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৯৯টি লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়। পরিচয় শনাক্ত হওয়া লাশের মধ্যে পুরুষ ২৩০ জন, নারী ২৮ জন এবং শিশু ৪১ জন। তবে ১৪১ জনের মরদেহ শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এর মধ্যে পুরুষ ১০৫ জন, নারী ২২ জন এবং শিশু ১৪ জন। অর্থাৎ উদ্ধার মোট লাশের ৩১ শতাংশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অপর দিকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশের নদী থেকে ৩০১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এর মধ্যে ২০৯ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেলেও ৯২ জনের পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬১ জন, নারী ২৪ জন এবং শিশু ৭ জন। অর্থাৎ ৩০ শতাংশ লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল বা নমুনা সংরক্ষণ করে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।
নৌ পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নদী থেকে উদ্ধার লাশ দুভাবে শনাক্তের কাজ করা হয়; একটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে, আরেকটি ম্যানুয়াল পদ্ধতি। তবে বেশির ভাগ লাশ অর্ধগলিত বা গলিত থাকে, তাই তাদের হাতের আঙুলের রেখা দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া সম্ভব হয় না, তখন তাদের পরিচয় শনাক্তে ম্যানুয়াল পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। বিভিন্ন থানার জিডির খোঁজখবর নেওয়া হয়। স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, কেউ যদি কোনোভাবে লাশ দাবি করে, তখন তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ম্যাচিং করা হয়। ম্যাচ হলে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধার চার লাশের মধ্যে এক নারী ও শিশুর লাশ অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালের মর্গে জায়গা না থাকায় কর্তৃপক্ষ লাশ দাফনের জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছিল, তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দাফনের জন্য দেওয়া হয়, তারা দাফন করেছে।
দেশে নদী থেকে উদ্ধার করা লাশের বড় একটি অংশেরই পরিচয় মিলছে না। নৌ পুলিশের তথ্য বলছে, গত বছরের শুরু থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত নৌ পুলিশ যত লাশ উদ্ধার করেছে, তার ৩০ শতাংশেরই পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গত ২৩ আগস্ট ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ কোল্ডস্টোরেজ ঘাট এলাকা থেকে এক নারী ও এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। নারীর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর ও শিশুটির বয়স ৩-৪ বছর। নারীর গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল এবং শিশুর গলায় ওড়না বাঁধা অবস্থায় লাশ ভেসে ওঠে। একই দিন সন্ধ্যায় কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারীপুর ঘাট এলাকা থেকে তরুণ-তরুণীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তাদের মধ্যে চারজনের লাশ এক সপ্তাহ অপেক্ষার পর বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। বাকি দুজনের মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে সংরক্ষিত আছে এখনো।
নৌ পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোক্তার হোসেন জানান, উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় শনাক্তে দেশের সব থানায় বার্তা ও ছবি পাঠানো হয়েছে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ লাশের খোঁজে আসেনি।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে ৪৪০টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৯৯টি লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়। পরিচয় শনাক্ত হওয়া লাশের মধ্যে পুরুষ ২৩০ জন, নারী ২৮ জন এবং শিশু ৪১ জন। তবে ১৪১ জনের মরদেহ শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এর মধ্যে পুরুষ ১০৫ জন, নারী ২২ জন এবং শিশু ১৪ জন। অর্থাৎ উদ্ধার মোট লাশের ৩১ শতাংশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অপর দিকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশের নদী থেকে ৩০১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এর মধ্যে ২০৯ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেলেও ৯২ জনের পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬১ জন, নারী ২৪ জন এবং শিশু ৭ জন। অর্থাৎ ৩০ শতাংশ লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল বা নমুনা সংরক্ষণ করে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।
নৌ পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নদী থেকে উদ্ধার লাশ দুভাবে শনাক্তের কাজ করা হয়; একটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে, আরেকটি ম্যানুয়াল পদ্ধতি। তবে বেশির ভাগ লাশ অর্ধগলিত বা গলিত থাকে, তাই তাদের হাতের আঙুলের রেখা দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া সম্ভব হয় না, তখন তাদের পরিচয় শনাক্তে ম্যানুয়াল পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। বিভিন্ন থানার জিডির খোঁজখবর নেওয়া হয়। স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, কেউ যদি কোনোভাবে লাশ দাবি করে, তখন তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ম্যাচিং করা হয়। ম্যাচ হলে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধার চার লাশের মধ্যে এক নারী ও শিশুর লাশ অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালের মর্গে জায়গা না থাকায় কর্তৃপক্ষ লাশ দাফনের জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছিল, তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দাফনের জন্য দেওয়া হয়, তারা দাফন করেছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বিদেশে কোনো জনসভা, পথসভা, সভা-সমাবেশ বা কোনো প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন না। নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর সংশোধিত আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর চূড়ান্ত খসড়ায় এসব বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলা ও সহিংসতার ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়েছে সরকার।
৪ ঘণ্টা আগেগণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং তার গুরুতর আঘাতের ঘটনা তদন্তের জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার।
৪ ঘণ্টা আগেচাকরির মেয়াদ শেষে দ্বিতীয়বারের মতো পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হতে অনাগ্রহ দেখিয়েছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এই অনাগ্রহের কথা তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকেও জানিয়েছিলেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠক হতো চেইন অব কমান্ড ভেঙে। দায়িত্বে অবহেলা করার কারণেই তিনি দোষ স্বীকার করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে