নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে অংশ নেয় সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৪৩ রেজিমেন্টের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেজর মেহেদী বলেন, ‘দুর্ঘটনার দুই-তিন মিনিটের মধ্যেই আমরা পৌঁছে যাই। আর্মি ক্যাম্প থেকে ঘটনাস্থল মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ গজ দূরে ছিল।’
মেজর মেহেদী বলেন, ‘স্পটে প্রবেশ করার পর আমরা প্রথমেই দুটি লাশ দেখতে পাই—সম্ভবত একজন মা ও তাঁর ছেলে। সেটি আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে। সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম আমাদের জন্য গর্বের হলেও, ওই মা ও শিক্ষার্থীর মরদেহের সম্মানের কাছে সেটাও তুচ্ছ মনে হয়েছে। আমি ও আমার সঙ্গে থাকা সৈনিক আশিক—দুজনেই ইউনিফর্ম খুলে লাশ দুটি ঢেকে দিই, সম্মান প্রদর্শন করি।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিধ্বস্ত ভবনের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্ধার অভিযান ও সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
মেজর মেহেদী আরও বলেন, ‘এরপরই আমরা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করি এবং আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখি। সাড়ে ৭টার দিকে উদ্ধারকাজ শেষ করে আমরা ক্যাম্পে ফিরে যাই।’
উদ্ধারের সময় কতজন আহত ও নিহতকে পাওয়া যায়—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে প্রথম রেসপন্ডার হিসেবে কাজ করেছি। কয়জন মরেছে, সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও হাসপাতাল মিলিয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে। আমরা শুধু জীবিতদের উদ্ধারেই মনোযোগ দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তখন আহতদের দ্রুত সরিয়ে নিতে চেষ্টা করেছি। কতজনকে নেওয়া হয়েছে, সেটা গুনে দেখার সুযোগ ছিল না। যাদেরই সামনে পেয়েছি, তাদের নিরাপদ স্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
ঘটনার ভয়াবহতা প্রসঙ্গে মেজর মেহেদী বলেন, ‘বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর যে রুমে আগুন ধরে যায়, তার সামনে পড়েছিল দুটি লাশ। আগুন ভয়াবহ ছিল। ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে অনেককেই উদ্ধার করতে পেরেছি, যারা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। ওদের সাহস এবং সহযোগিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
সেনাসদস্যদের কেউ আহত হয়েছেন কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উদ্ধার শেষ হওয়ার পরে ২৫ জন সৈনিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে কেউ ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নেই। বর্তমানে ১১ জন ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল ভবনের বারান্দা ও ক্লাসরুমের মধ্যকার গ্রিল ভেঙে স্লাইডিং পথ করে দিয়েছিলাম, যাতে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের দ্রুত বের করে আনা যায়। স্কুলের যে কাঠামো ছিল, তাৎক্ষণিক সেটিকেই কাজে লাগিয়ে উদ্ধার চালিয়েছি।’
রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে অংশ নেয় সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৪৩ রেজিমেন্টের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেজর মেহেদী বলেন, ‘দুর্ঘটনার দুই-তিন মিনিটের মধ্যেই আমরা পৌঁছে যাই। আর্মি ক্যাম্প থেকে ঘটনাস্থল মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ গজ দূরে ছিল।’
মেজর মেহেদী বলেন, ‘স্পটে প্রবেশ করার পর আমরা প্রথমেই দুটি লাশ দেখতে পাই—সম্ভবত একজন মা ও তাঁর ছেলে। সেটি আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে। সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম আমাদের জন্য গর্বের হলেও, ওই মা ও শিক্ষার্থীর মরদেহের সম্মানের কাছে সেটাও তুচ্ছ মনে হয়েছে। আমি ও আমার সঙ্গে থাকা সৈনিক আশিক—দুজনেই ইউনিফর্ম খুলে লাশ দুটি ঢেকে দিই, সম্মান প্রদর্শন করি।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিধ্বস্ত ভবনের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্ধার অভিযান ও সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
মেজর মেহেদী আরও বলেন, ‘এরপরই আমরা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করি এবং আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখি। সাড়ে ৭টার দিকে উদ্ধারকাজ শেষ করে আমরা ক্যাম্পে ফিরে যাই।’
উদ্ধারের সময় কতজন আহত ও নিহতকে পাওয়া যায়—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে প্রথম রেসপন্ডার হিসেবে কাজ করেছি। কয়জন মরেছে, সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও হাসপাতাল মিলিয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে। আমরা শুধু জীবিতদের উদ্ধারেই মনোযোগ দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তখন আহতদের দ্রুত সরিয়ে নিতে চেষ্টা করেছি। কতজনকে নেওয়া হয়েছে, সেটা গুনে দেখার সুযোগ ছিল না। যাদেরই সামনে পেয়েছি, তাদের নিরাপদ স্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
ঘটনার ভয়াবহতা প্রসঙ্গে মেজর মেহেদী বলেন, ‘বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর যে রুমে আগুন ধরে যায়, তার সামনে পড়েছিল দুটি লাশ। আগুন ভয়াবহ ছিল। ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে অনেককেই উদ্ধার করতে পেরেছি, যারা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। ওদের সাহস এবং সহযোগিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
সেনাসদস্যদের কেউ আহত হয়েছেন কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উদ্ধার শেষ হওয়ার পরে ২৫ জন সৈনিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে কেউ ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নেই। বর্তমানে ১১ জন ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল ভবনের বারান্দা ও ক্লাসরুমের মধ্যকার গ্রিল ভেঙে স্লাইডিং পথ করে দিয়েছিলাম, যাতে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের দ্রুত বের করে আনা যায়। স্কুলের যে কাঠামো ছিল, তাৎক্ষণিক সেটিকেই কাজে লাগিয়ে উদ্ধার চালিয়েছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে শাহরিয়ার খান আনাসসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ...
১ ঘণ্টা আগেএবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ গন্তব্যের উদ্দেশে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর ফিরে আসতে হয়েছে। বিমান সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেওয়া বিমানের একটি ফ্লাইট ২০ মিনিট উড়ে আবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন যাতে উৎসবমুখর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও তাদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে।’
২ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার দুপুর ২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে