Ajker Patrika

মতভিন্নতা থাকলেও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে আমাদের ঐক্য রয়েছে: আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ০৫
এনডিএম-এর সঙ্গে সংলাপে আলী রীয়াজ। ছবি: আজকের পত্রিকা
এনডিএম-এর সঙ্গে সংলাপে আলী রীয়াজ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা সবাই এক পক্ষ হয়ে চেষ্টা করছি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। আমাদের লক্ষ্য এক, কিন্তু পথের ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্নতা আছে। সেটা দূর করে যে ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনকে দূর করা গেছে, সেই ঐক্যের জায়গায় পৌঁছাতে পারি এবং অগ্রসর হতে পারি। এখনো ঐক্য আছে, মতভিন্নতা আছে। সেই ঐক্য সুদৃঢ় করা এবং সংস্কার কার্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।

জাতীয় সনদ তৈরি প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ আরও বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে যেসব জায়গায় একমত আছে, তার ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে। জাতীয় সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির যে রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, সেই দিকে অগ্রসর হতে পারব।

প্রথম ধাপের সংলাপের মাধ্যমে আলোচনার সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে হয়তো আলোচনা করব। আমরা বিবেচনা করব কীভাবে এক জায়গায় আসতে পারি।

স্প্রেডশিটের কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হবে। তখন কমিশনগুলোর অবস্থান স্পষ্ট করতে পারব, আপনাদের (রাজনৈতিক দল) অবস্থান বুঝতে চেষ্টা করব। তার মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াটা অগ্রসর হবে।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছানো। এই কমিশনের মেয়াদ যেহেতু জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত, তাই আমরা আশা করি, প্রাথমিক আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে শেষ করতে পারব। পরে আমরা পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হব।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও অংশ নেন কমিশনের সদস্য সফররাজ হোসেন।

এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে দলটির আট সদস্য সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের অধিকাংশ ক্ষেত্রে এনডিএম একমত জানিয়ে ববি হাজ্জাজ বলেন, আমরা সংস্কারগুলো বড়ভাবে দেখতে চাই। সংস্কারগুলোর মাধ্যমে জনবান্ধব সরকার-ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিজম যাতে বাংলাদেশে দাঁড়াতে না পারে, সেই আওয়ামী লীগকে বাতিল করা এবং তাদের ফ্যাসিজমকে বাতিল করা বড় সংস্কার।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিল্লি বিস্ফোরণে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ উড়িয়ে দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে, সেগুলো ‘বিশ্বাসের কোনো কারণ’ নেই বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যাই কিছু ঘটুক না কেন, (ভারতীয়) মিডিয়া আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবেই। কিন্তু কোনো কারণ নাই এটা বিশ্বাস করার, কোনো সেন্সিবল লোক তো এটা বিশ্বাস করবে না। কাজেই এটা নিয়ে আমরা বদার্ড না।’

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন। ভারতীয় সরকার একে ‘নাশকতা’ বললেও কে বা কারা এর জন্য দায়ী, তা নিশ্চিত করেনি। এবিষয়ে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ঘটনার তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত হামলার দায়ও কেউ স্বীকার করেনি।

তবে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বাকে দায়ী করা হচ্ছে এই হামলার জন্য। সেই সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে এই গোষ্ঠী ভারতে হামলা চালাচ্ছে।

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের জাতিসংঘে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে কেউ জাতিসংঘে যেকোনো কিছু নিয়ে আবেদন করতে পারে। ‘জাতিসংঘ যদি বাংলাদেশকে কিছু বলে, তখন আমরা দেখব। জাতিসংঘ আমাদের কিছু বলেনি।’

মার্কিন সিনেটে কণ্ঠভোটে পাস হওয়া ‘থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট’ নিয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ভারসাম্যের নীতি বজায় রেখেছে এবং রাখবে। চীন থেকে অস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে, এমন সম্ভাবনা নেই।

বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা খাতে চীনের আধিপত্য রোধ করতে থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট-২০২৫ নামে নতুন একটি আইন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়েছে, কোনো দেশ চীন থেকে সমরাস্ত্র কিনলে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞাসহ অর্থনৈতিক বিধিনিষেধে পড়তে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনসিসি সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বাসস, ঢাকা  
যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক উপস্থাপনার পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কথা বলেন। ছবি : সিএ প্রেস উইং
যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক উপস্থাপনার পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কথা বলেন। ছবি : সিএ প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) কার্যক্রমের গুণগত মান ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক উপস্থাপনার পরে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। উপস্থাপনাটি পেশ করেন বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ।

সভায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ বিএনসিসির বর্তমান কাঠামো, তরুণ কর্মশক্তি উন্নয়ন কাঠামো, জাতীয় যুব কর্মপরিকল্পনা, জনবল নিয়োগ, বাজেট, চ্যালেঞ্জ এবং সুপারিশের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বর্তমানে বিএনসিসির আওতায় ৫৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর শাখা স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আল মসউদ বলেন, ‘বিএনসিসিতে যোগদানের বয়সসীমা ১৭ থেকে ১৮ বছর। ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ লাখ দক্ষ ক্যাডেট প্রশিক্ষণ দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিএনসিসির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে বলেন, গুণগত প্রশিক্ষণ ও ভবিষ্যতমুখী দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বিএনসিসির পক্ষে, কিন্তু আমাদের নজর দিতে হবে গুণগত মানে—বিশ্বাসযোগ্য ও যোগ্য প্রশিক্ষক থাকতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হতে হবে এবং ভবিষ্যতমুখী ভাবনা নিতে হবে।’

অধ্যাপক ইউনুস আত্মমর্যাদা, শৃঙ্খলা ও অন্তর্ভুক্তিকে বিএনসিসির মূল মূল্যবোধ হিসেবে গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনসিসি মানে আত্মমর্যাদা ও শৃঙ্খলা। ক্যাডেটদের জন্য এমন একটি সনদপ্রদান ব্যবস্থা থাকতে হবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। পাশাপাশি, তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও তৈরি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনসিসি শুধু ছেলেদের জন্য নয়; মেয়েদের সমান অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে হবে।’

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনসিসিকে আরও কার্যকর ও কর্মমুখী করে তুলতে হবে। ‘কোন পরিস্থিতিতে আমরা এই স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে লাগাতে পারি, তা বিবেচনা করতে হবে।’ 

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান সাম্প্রতিক জাতীয় ঘটনাগুলোতে বিএনসিসির ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘যোগ্য প্রশিক্ষক নিয়োগকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিএনসিসি ক্যাডেটরা রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছিল—এটি ছিল অত্যন্ত সুন্দর ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ।’

প্রধান উপদেষ্টা বিএনসিসি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও নাগরিক দায়িত্ববোধের মাধ্যমে তরুণদের উন্নয়নকে জাতীয় রূপান্তরের মূলধারায় একীভূত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ২২ বিচারপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

হাইকোর্ট বিভাগে ২২ জন বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ২২ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের ২২ জন অতিরিক্ত বিচারককে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ নেওয়ার তারিখ হতে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন বলেন, আগামীকাল বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ২২ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথ পড়াবেন।

২২ বিচারপতি হলেন—

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন, বিচারপতি মো. মনসুর আলম, বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুর, বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেন, বিচারপতি মুবিনা আসাফ, বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা, বিচারপতি মো. আবদুল মান্নান, বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদী, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ, বিচারপতি মো. হামিদুর রহমান, বিচারপতি নাসরিন আক্তার, বিচারপতি সাথীকা হোসেন, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, বিচারপতি মো. তৌফিক ইনাম, বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী, বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ, বিচারপতি মো. সগীর হোসেন ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর ২৩ জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ২৩ জনের মধ্যে বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী ছিলেন। তাঁর বয়স এখনো ৪৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় তাঁকে এবার স্থায়ী করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৫
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেনিফার মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলম, জয় বাংলা ব্রিগেডের সদস্য কবিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, জাকির হোসেন জিকু, অধ্যাপক তাহেরুজ্জামান, এ কে এম আক্তারুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা সাবিনা ইয়াসমিন, আজিদা পারভীন পাখি, অ্যাডভোকেট এ এফ এম দিদারুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ রুবিনা আক্তার, সাবেক সংসদ সদস্য পংকজ নাথ, লায়লা বানু, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, রিতু আক্তার, নুরুন্নবী নিবির, সাবিনা বেগম ও শরিফুল ইসলাম রমজান।

এ মামলায় গত ১৪ আগস্ট ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করে আসামিদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে জানান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জয় বাংলা ব্রিগেডের জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জন জয় বাংলা ব্রিগেডের জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীদের ভয়েস রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মিটিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে না দেওয়ার আলোচনা হয়। একই সঙ্গে সরকারকে উৎখাত করতে গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের সুস্পষ্ট উপাদান।

এর আগে এ বছরের ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একই আদালতে মামলাটি করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। এরপর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে সিআইডির এই কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ২৮৬ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর জয় বাংলা ব্রিগেডের জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ অনেকে অংশ নেন। এ সময় শেখ হাসিনা তাঁর নেতা-কর্মীদের সামনে দেশবিরোধী বক্তব্য দেন; অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে ২৩ জন এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। শেখ হাসিনাসহ যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল, তাঁদের পরোয়ানাসংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করায় মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত