আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টানা চার দিন ধরে সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ। চিকিৎসা না পেয়ে দুই শতাধিক রোগী ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। তবে গুরুতর অসুস্থ ২৯ জন রোগী এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে। তাদের অনেকের চোখ অপারেশন হয়েছে, আবার কাউকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি করে রাখা হয়েছে। তবে কেউ চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় দুর্দশায় আছে অপারেশন করা রোগীরা। তাদের অপারেশন-পরবর্তী চিকিৎসা হচ্ছে না, এর মধ্যে তারা তিন দিন হাসপাতাল থেকে কোনো খাবার পায়নি। এই অনিশ্চয়তা কবে শেষ হবে তা-ও জানে না রোগীরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সরেজমিন শেরেবাংলা নগরে হাসপাতাল গিয়ে দেখা গেছে, র্যাব, পুলিশ ও আনসারের কড়া পাহারা। প্রধান ফটকে তিনজন আনসার ফটক বন্ধ করে পাহারা দিচ্ছেন, ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। এরপরই হাসপাতালের মূল ভবন, সেই ভবনের ফটকের সামনে আনসার, পুলিশ ও র্যাবের পাহারা। হাসপাতালটির নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন আনসারের প্লাটুন কমান্ডার মো. শাহ আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বুধবার হাসপাতালে কর্মচারী ও জুলাইয়ে আহতদের সংঘর্ষের পর সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ।
হাসপাতালটি গত চার দিনে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি তলার বিভিন্ন জায়গায় ময়লা, আবর্জনার স্তূপ দেখা গেছে। রোগীদের বিছানার কাপড় এদিকে-সেদিকে পড়ে আছে, তাতে মাছি ভনভন করছে। কিছু কিছু তলায় অন্ধকার ও গা ছমছম অবস্থা।
হাসপাতালটিতে একসঙ্গে আড়াই শর বেশি রোগী সব সময় ভর্তি থাকে। তবে এখন আছে মাত্র ২৯ জন। এর মধ্যে চারতলায় পুরুষ ওয়ার্ডে এখনো গুরুতর অসুস্থ ২৫ জন রোগী রয়েছে, যাদের অনেকেই চোখে দেখতে পায় না। তাদের কারও অর্ধেক চিকিৎসা হয়েছে, কাউকে অপারেশন করে রাখা হয়েছে, কারও অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। এসব অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে থাকবে, নাকি চলে যাবে, তাই তারা বুঝতে পারছে না। কারণ, হাসপাতালে কোনো কর্মচারী ও চিকিৎসককে পাচ্ছে না তারা। কয়েকজনকে অপারেশন করে রাখা হয়েছে, তারা পরবর্তী চিকিৎসা পাচ্ছে না, তারা আছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তাঁদেরই একজন কাওসার আহম্মেদ। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তিনি গত মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাঁর চোখের রেটিনা অপারেশন হয়েছে। চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। অপারেশন-পরবর্তী চিকিৎসা হচ্ছে না তাঁর। অপারেশনের পর তিনি এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তিনি সুস্থ হবেন, নাকি আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তিনি বলেন, ‘অপারেশনের পর প্রতিদিন ইনজেকশন দেওয়ার কথা, কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় কী করব বুঝতেছি না।’
হাসপাতালটির পুরুষ ওয়ার্ডে এ রকম আরও কয়েকজন তাদের দুর্ভোগের কথা বলে। চট্টগ্রামের পটিয়ে থেকে সুলতানা আক্তার তাঁর ১৩ বছরের ছেলে মনিরুল ইসলামকে নিয়ে ২২ দিন ধরে ভর্তি। চোখের বায়োপসি পরীক্ষা করতে দিয়েছে, কিন্তু চার দিন ধরে চিকিৎসক না আসায় তিনি পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। এর মধ্যে অন্তত তিন দিন হাসপাতালের খাবার সরবরাহ বন্ধ ছিল। এই মা বলেন, তাঁর বাড়ি এত দূরে, তিনি কী করবেন বুঝতে পারছেন না।
হাসপাতালটিতে বর্তমানে এ রকম ২৯ জন রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ওয়ার্ডে, তিনজন নিচতলায় পোস্ট অপারেটিভে এবং একজন শিশু কেবিন ব্লকে রয়েছে। হাসপাতালে কেবল একজন লিফট ম্যান ও একজন বাবুর্চি আছেন। এ ছাড়া কেউ নেই। তিন দিন খাবার বন্ধ থাকার পর শেরেবাংলা থানা কর্তৃপক্ষ বাবুর্চিকে খবর দিয়ে এনে শুক্রবার বিকেল থেকে খাবার সরবরাহ করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া হাসপাতালে কেউ নেই।
চিকিৎসক-নার্স ছাড়া দিশেহারা পরিবেশে রোগীদের ছিল হাহাকার। হাসপাতালটির বিভিন্ন ওয়ার্ডের নার্সের টেবিলে রোগীদের ফাইলের স্তূপ দেখা গেছে। এসব রোগী চলে গেলেও তাদের ফাইল পড়ে আছে।
অপর দিকে, চতুর্থ তলার পূর্বপাশের স্পেশালাইজড ব্লকে জুলাইয়ে আহত ৬৬ জন এখনো ভর্তি রয়েছেন। যদিও তাঁরা সংঘর্ষের সময় ৫৫ জন ছিলেন। শনিবার গিয়ে তাঁদের ওয়ার্ডে দেখা গেছে। তাঁদেরই একজন কোরবান হোসাইন। ছয় মাস ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর চোখে শটগানের গুলি লাগে, তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ না। তিনি বলেন, ‘গত বুধবার আমাদের ওপর প্রথমে হাসপাতালের কর্মচারীরা হামলা চালায়। এরপর সংঘর্ষ হয়।’ তিনি সংঘর্ষে আহত হন।
জুলাইয়ে আহত আরেকজন আবির আহম্মেদ শরীফ। তিনিও এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাহিরে পাঠানোর ব্যবস্থা কেন করা হচ্ছে না? এখানে চিকিৎসা নেওয়াতে তো আমরা সুস্থ হচ্ছি না। আমাদের বিদেশে রেফার্ড করুক। চিকিৎসকেরা কেন আমাদের বিদেশে পাঠানোর কথা বলছে না?’

অচলাবস্থা কাটাতে শুক্রবার হাসপাতালের কয়েকজন সচিব, হাসপাতাল প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধিসহ বৈঠক হলেও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তাঁরা। রুবেল নামে একজন বলেন, ‘হাসপাতালেই আছি। সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে। আমাদের খাবার ও ওষুধ বাইরে থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
জুলাইয়ে আহতরা গতকাল হাসপাতালটির পরিচালকসহ সাতজনকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. খায়ের আহমেদকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডা. জানে আলমকে।
গতকাল সন্ধ্যায় ডা. খায়ের আহমেদ বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন। আর ফিরবেন না। এ সময় তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, চিকিৎসাসেবা চালু করতে সব ধরনের চেষ্টা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপ চলছে। মন্ত্রণালয়ও চেষ্টা করছে।
২৫ মে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত চার রোগী বিষপান করলে প্রথম উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। বুধবার হাসপাতালে ভর্তি আন্দোলনকারী, কর্মচারী এবং রোগীদের সঙ্গে থাকা স্বজনদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।

রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টানা চার দিন ধরে সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ। চিকিৎসা না পেয়ে দুই শতাধিক রোগী ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। তবে গুরুতর অসুস্থ ২৯ জন রোগী এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে। তাদের অনেকের চোখ অপারেশন হয়েছে, আবার কাউকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি করে রাখা হয়েছে। তবে কেউ চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় দুর্দশায় আছে অপারেশন করা রোগীরা। তাদের অপারেশন-পরবর্তী চিকিৎসা হচ্ছে না, এর মধ্যে তারা তিন দিন হাসপাতাল থেকে কোনো খাবার পায়নি। এই অনিশ্চয়তা কবে শেষ হবে তা-ও জানে না রোগীরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সরেজমিন শেরেবাংলা নগরে হাসপাতাল গিয়ে দেখা গেছে, র্যাব, পুলিশ ও আনসারের কড়া পাহারা। প্রধান ফটকে তিনজন আনসার ফটক বন্ধ করে পাহারা দিচ্ছেন, ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। এরপরই হাসপাতালের মূল ভবন, সেই ভবনের ফটকের সামনে আনসার, পুলিশ ও র্যাবের পাহারা। হাসপাতালটির নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন আনসারের প্লাটুন কমান্ডার মো. শাহ আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বুধবার হাসপাতালে কর্মচারী ও জুলাইয়ে আহতদের সংঘর্ষের পর সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ।
হাসপাতালটি গত চার দিনে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি তলার বিভিন্ন জায়গায় ময়লা, আবর্জনার স্তূপ দেখা গেছে। রোগীদের বিছানার কাপড় এদিকে-সেদিকে পড়ে আছে, তাতে মাছি ভনভন করছে। কিছু কিছু তলায় অন্ধকার ও গা ছমছম অবস্থা।
হাসপাতালটিতে একসঙ্গে আড়াই শর বেশি রোগী সব সময় ভর্তি থাকে। তবে এখন আছে মাত্র ২৯ জন। এর মধ্যে চারতলায় পুরুষ ওয়ার্ডে এখনো গুরুতর অসুস্থ ২৫ জন রোগী রয়েছে, যাদের অনেকেই চোখে দেখতে পায় না। তাদের কারও অর্ধেক চিকিৎসা হয়েছে, কাউকে অপারেশন করে রাখা হয়েছে, কারও অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। এসব অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে থাকবে, নাকি চলে যাবে, তাই তারা বুঝতে পারছে না। কারণ, হাসপাতালে কোনো কর্মচারী ও চিকিৎসককে পাচ্ছে না তারা। কয়েকজনকে অপারেশন করে রাখা হয়েছে, তারা পরবর্তী চিকিৎসা পাচ্ছে না, তারা আছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তাঁদেরই একজন কাওসার আহম্মেদ। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তিনি গত মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাঁর চোখের রেটিনা অপারেশন হয়েছে। চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। অপারেশন-পরবর্তী চিকিৎসা হচ্ছে না তাঁর। অপারেশনের পর তিনি এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তিনি সুস্থ হবেন, নাকি আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তিনি বলেন, ‘অপারেশনের পর প্রতিদিন ইনজেকশন দেওয়ার কথা, কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় কী করব বুঝতেছি না।’
হাসপাতালটির পুরুষ ওয়ার্ডে এ রকম আরও কয়েকজন তাদের দুর্ভোগের কথা বলে। চট্টগ্রামের পটিয়ে থেকে সুলতানা আক্তার তাঁর ১৩ বছরের ছেলে মনিরুল ইসলামকে নিয়ে ২২ দিন ধরে ভর্তি। চোখের বায়োপসি পরীক্ষা করতে দিয়েছে, কিন্তু চার দিন ধরে চিকিৎসক না আসায় তিনি পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। এর মধ্যে অন্তত তিন দিন হাসপাতালের খাবার সরবরাহ বন্ধ ছিল। এই মা বলেন, তাঁর বাড়ি এত দূরে, তিনি কী করবেন বুঝতে পারছেন না।
হাসপাতালটিতে বর্তমানে এ রকম ২৯ জন রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ওয়ার্ডে, তিনজন নিচতলায় পোস্ট অপারেটিভে এবং একজন শিশু কেবিন ব্লকে রয়েছে। হাসপাতালে কেবল একজন লিফট ম্যান ও একজন বাবুর্চি আছেন। এ ছাড়া কেউ নেই। তিন দিন খাবার বন্ধ থাকার পর শেরেবাংলা থানা কর্তৃপক্ষ বাবুর্চিকে খবর দিয়ে এনে শুক্রবার বিকেল থেকে খাবার সরবরাহ করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া হাসপাতালে কেউ নেই।
চিকিৎসক-নার্স ছাড়া দিশেহারা পরিবেশে রোগীদের ছিল হাহাকার। হাসপাতালটির বিভিন্ন ওয়ার্ডের নার্সের টেবিলে রোগীদের ফাইলের স্তূপ দেখা গেছে। এসব রোগী চলে গেলেও তাদের ফাইল পড়ে আছে।
অপর দিকে, চতুর্থ তলার পূর্বপাশের স্পেশালাইজড ব্লকে জুলাইয়ে আহত ৬৬ জন এখনো ভর্তি রয়েছেন। যদিও তাঁরা সংঘর্ষের সময় ৫৫ জন ছিলেন। শনিবার গিয়ে তাঁদের ওয়ার্ডে দেখা গেছে। তাঁদেরই একজন কোরবান হোসাইন। ছয় মাস ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর চোখে শটগানের গুলি লাগে, তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ না। তিনি বলেন, ‘গত বুধবার আমাদের ওপর প্রথমে হাসপাতালের কর্মচারীরা হামলা চালায়। এরপর সংঘর্ষ হয়।’ তিনি সংঘর্ষে আহত হন।
জুলাইয়ে আহত আরেকজন আবির আহম্মেদ শরীফ। তিনিও এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাহিরে পাঠানোর ব্যবস্থা কেন করা হচ্ছে না? এখানে চিকিৎসা নেওয়াতে তো আমরা সুস্থ হচ্ছি না। আমাদের বিদেশে রেফার্ড করুক। চিকিৎসকেরা কেন আমাদের বিদেশে পাঠানোর কথা বলছে না?’

অচলাবস্থা কাটাতে শুক্রবার হাসপাতালের কয়েকজন সচিব, হাসপাতাল প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধিসহ বৈঠক হলেও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তাঁরা। রুবেল নামে একজন বলেন, ‘হাসপাতালেই আছি। সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে। আমাদের খাবার ও ওষুধ বাইরে থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
জুলাইয়ে আহতরা গতকাল হাসপাতালটির পরিচালকসহ সাতজনকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. খায়ের আহমেদকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডা. জানে আলমকে।
গতকাল সন্ধ্যায় ডা. খায়ের আহমেদ বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন। আর ফিরবেন না। এ সময় তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, চিকিৎসাসেবা চালু করতে সব ধরনের চেষ্টা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপ চলছে। মন্ত্রণালয়ও চেষ্টা করছে।
২৫ মে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত চার রোগী বিষপান করলে প্রথম উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। বুধবার হাসপাতালে ভর্তি আন্দোলনকারী, কর্মচারী এবং রোগীদের সঙ্গে থাকা স্বজনদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টানা চার দিন ধরে সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ। চিকিৎসা না পেয়ে দুই শতাধিক রোগী ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। তবে গুরুতর অসুস্থ ২৯ জন রোগী এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে। তাদের অনেকের চোখ অপারেশন হয়েছে, আবার কাউকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি করে রাখা হয়েছে। তবে কেউ চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় দুর্দশায় আছে অপারেশন করা রোগীরা। তাদের অপারেশন-পরবর্তী চিকিৎসা হচ্ছে না, এর মধ্যে তারা তিন দিন হাসপাতাল থেকে কোনো খাবার পায়নি। এই অনিশ্চয়তা কবে শেষ হবে তা-ও জানে না রোগীরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সরেজমিন শেরেবাংলা নগরে হাসপাতাল গিয়ে দেখা গেছে, র্যাব, পুলিশ ও আনসারের কড়া পাহারা। প্রধান ফটকে তিনজন আনসার ফটক বন্ধ করে পাহারা দিচ্ছেন, ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। এরপরই হাসপাতালের মূল ভবন, সেই ভবনের ফটকের সামনে আনসার, পুলিশ ও র্যাবের পাহারা। হাসপাতালটির নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন আনসারের প্লাটুন কমান্ডার মো. শাহ আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বুধবার হাসপাতালে কর্মচারী ও জুলাইয়ে আহতদের সংঘর্ষের পর সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ।
হাসপাতালটি গত চার দিনে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি তলার বিভিন্ন জায়গায় ময়লা, আবর্জনার স্তূপ দেখা গেছে। রোগীদের বিছানার কাপড় এদিকে-সেদিকে পড়ে আছে, তাতে মাছি ভনভন করছে। কিছু কিছু তলায় অন্ধকার ও গা ছমছম অবস্থা।
হাসপাতালটিতে একসঙ্গে আড়াই শর বেশি রোগী সব সময় ভর্তি থাকে। তবে এখন আছে মাত্র ২৯ জন। এর মধ্যে চারতলায় পুরুষ ওয়ার্ডে এখনো গুরুতর অসুস্থ ২৫ জন রোগী রয়েছে, যাদের অনেকেই চোখে দেখতে পায় না। তাদের কারও অর্ধেক চিকিৎসা হয়েছে, কাউকে অপারেশন করে রাখা হয়েছে, কারও অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। এসব অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে থাকবে, নাকি চলে যাবে, তাই তারা বুঝতে পারছে না। কারণ, হাসপাতালে কোনো কর্মচারী ও চিকিৎসককে পাচ্ছে না তারা। কয়েকজনকে অপারেশন করে রাখা হয়েছে, তারা পরবর্তী চিকিৎসা পাচ্ছে না, তারা আছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তাঁদেরই একজন কাওসার আহম্মেদ। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তিনি গত মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাঁর চোখের রেটিনা অপারেশন হয়েছে। চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। অপারেশন-পরবর্তী চিকিৎসা হচ্ছে না তাঁর। অপারেশনের পর তিনি এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তিনি সুস্থ হবেন, নাকি আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তিনি বলেন, ‘অপারেশনের পর প্রতিদিন ইনজেকশন দেওয়ার কথা, কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় কী করব বুঝতেছি না।’
হাসপাতালটির পুরুষ ওয়ার্ডে এ রকম আরও কয়েকজন তাদের দুর্ভোগের কথা বলে। চট্টগ্রামের পটিয়ে থেকে সুলতানা আক্তার তাঁর ১৩ বছরের ছেলে মনিরুল ইসলামকে নিয়ে ২২ দিন ধরে ভর্তি। চোখের বায়োপসি পরীক্ষা করতে দিয়েছে, কিন্তু চার দিন ধরে চিকিৎসক না আসায় তিনি পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। এর মধ্যে অন্তত তিন দিন হাসপাতালের খাবার সরবরাহ বন্ধ ছিল। এই মা বলেন, তাঁর বাড়ি এত দূরে, তিনি কী করবেন বুঝতে পারছেন না।
হাসপাতালটিতে বর্তমানে এ রকম ২৯ জন রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ওয়ার্ডে, তিনজন নিচতলায় পোস্ট অপারেটিভে এবং একজন শিশু কেবিন ব্লকে রয়েছে। হাসপাতালে কেবল একজন লিফট ম্যান ও একজন বাবুর্চি আছেন। এ ছাড়া কেউ নেই। তিন দিন খাবার বন্ধ থাকার পর শেরেবাংলা থানা কর্তৃপক্ষ বাবুর্চিকে খবর দিয়ে এনে শুক্রবার বিকেল থেকে খাবার সরবরাহ করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া হাসপাতালে কেউ নেই।
চিকিৎসক-নার্স ছাড়া দিশেহারা পরিবেশে রোগীদের ছিল হাহাকার। হাসপাতালটির বিভিন্ন ওয়ার্ডের নার্সের টেবিলে রোগীদের ফাইলের স্তূপ দেখা গেছে। এসব রোগী চলে গেলেও তাদের ফাইল পড়ে আছে।
অপর দিকে, চতুর্থ তলার পূর্বপাশের স্পেশালাইজড ব্লকে জুলাইয়ে আহত ৬৬ জন এখনো ভর্তি রয়েছেন। যদিও তাঁরা সংঘর্ষের সময় ৫৫ জন ছিলেন। শনিবার গিয়ে তাঁদের ওয়ার্ডে দেখা গেছে। তাঁদেরই একজন কোরবান হোসাইন। ছয় মাস ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর চোখে শটগানের গুলি লাগে, তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ না। তিনি বলেন, ‘গত বুধবার আমাদের ওপর প্রথমে হাসপাতালের কর্মচারীরা হামলা চালায়। এরপর সংঘর্ষ হয়।’ তিনি সংঘর্ষে আহত হন।
জুলাইয়ে আহত আরেকজন আবির আহম্মেদ শরীফ। তিনিও এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাহিরে পাঠানোর ব্যবস্থা কেন করা হচ্ছে না? এখানে চিকিৎসা নেওয়াতে তো আমরা সুস্থ হচ্ছি না। আমাদের বিদেশে রেফার্ড করুক। চিকিৎসকেরা কেন আমাদের বিদেশে পাঠানোর কথা বলছে না?’

অচলাবস্থা কাটাতে শুক্রবার হাসপাতালের কয়েকজন সচিব, হাসপাতাল প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধিসহ বৈঠক হলেও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তাঁরা। রুবেল নামে একজন বলেন, ‘হাসপাতালেই আছি। সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে। আমাদের খাবার ও ওষুধ বাইরে থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
জুলাইয়ে আহতরা গতকাল হাসপাতালটির পরিচালকসহ সাতজনকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. খায়ের আহমেদকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডা. জানে আলমকে।
গতকাল সন্ধ্যায় ডা. খায়ের আহমেদ বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন। আর ফিরবেন না। এ সময় তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, চিকিৎসাসেবা চালু করতে সব ধরনের চেষ্টা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপ চলছে। মন্ত্রণালয়ও চেষ্টা করছে।
২৫ মে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত চার রোগী বিষপান করলে প্রথম উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। বুধবার হাসপাতালে ভর্তি আন্দোলনকারী, কর্মচারী এবং রোগীদের সঙ্গে থাকা স্বজনদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।

রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টানা চার দিন ধরে সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ। চিকিৎসা না পেয়ে দুই শতাধিক রোগী ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। তবে গুরুতর অসুস্থ ২৯ জন রোগী এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে। তাদের অনেকের চোখ অপারেশন হয়েছে, আবার কাউকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি করে রাখা হয়েছে। তবে কেউ চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় দুর্দশায় আছে অপারেশন করা রোগীরা। তাদের অপারেশন-পরবর্তী চিকিৎসা হচ্ছে না, এর মধ্যে তারা তিন দিন হাসপাতাল থেকে কোনো খাবার পায়নি। এই অনিশ্চয়তা কবে শেষ হবে তা-ও জানে না রোগীরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সরেজমিন শেরেবাংলা নগরে হাসপাতাল গিয়ে দেখা গেছে, র্যাব, পুলিশ ও আনসারের কড়া পাহারা। প্রধান ফটকে তিনজন আনসার ফটক বন্ধ করে পাহারা দিচ্ছেন, ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। এরপরই হাসপাতালের মূল ভবন, সেই ভবনের ফটকের সামনে আনসার, পুলিশ ও র্যাবের পাহারা। হাসপাতালটির নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন আনসারের প্লাটুন কমান্ডার মো. শাহ আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বুধবার হাসপাতালে কর্মচারী ও জুলাইয়ে আহতদের সংঘর্ষের পর সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ।
হাসপাতালটি গত চার দিনে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি তলার বিভিন্ন জায়গায় ময়লা, আবর্জনার স্তূপ দেখা গেছে। রোগীদের বিছানার কাপড় এদিকে-সেদিকে পড়ে আছে, তাতে মাছি ভনভন করছে। কিছু কিছু তলায় অন্ধকার ও গা ছমছম অবস্থা।
হাসপাতালটিতে একসঙ্গে আড়াই শর বেশি রোগী সব সময় ভর্তি থাকে। তবে এখন আছে মাত্র ২৯ জন। এর মধ্যে চারতলায় পুরুষ ওয়ার্ডে এখনো গুরুতর অসুস্থ ২৫ জন রোগী রয়েছে, যাদের অনেকেই চোখে দেখতে পায় না। তাদের কারও অর্ধেক চিকিৎসা হয়েছে, কাউকে অপারেশন করে রাখা হয়েছে, কারও অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। এসব অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে থাকবে, নাকি চলে যাবে, তাই তারা বুঝতে পারছে না। কারণ, হাসপাতালে কোনো কর্মচারী ও চিকিৎসককে পাচ্ছে না তারা। কয়েকজনকে অপারেশন করে রাখা হয়েছে, তারা পরবর্তী চিকিৎসা পাচ্ছে না, তারা আছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তাঁদেরই একজন কাওসার আহম্মেদ। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তিনি গত মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাঁর চোখের রেটিনা অপারেশন হয়েছে। চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। অপারেশন-পরবর্তী চিকিৎসা হচ্ছে না তাঁর। অপারেশনের পর তিনি এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তিনি সুস্থ হবেন, নাকি আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তিনি বলেন, ‘অপারেশনের পর প্রতিদিন ইনজেকশন দেওয়ার কথা, কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় কী করব বুঝতেছি না।’
হাসপাতালটির পুরুষ ওয়ার্ডে এ রকম আরও কয়েকজন তাদের দুর্ভোগের কথা বলে। চট্টগ্রামের পটিয়ে থেকে সুলতানা আক্তার তাঁর ১৩ বছরের ছেলে মনিরুল ইসলামকে নিয়ে ২২ দিন ধরে ভর্তি। চোখের বায়োপসি পরীক্ষা করতে দিয়েছে, কিন্তু চার দিন ধরে চিকিৎসক না আসায় তিনি পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। এর মধ্যে অন্তত তিন দিন হাসপাতালের খাবার সরবরাহ বন্ধ ছিল। এই মা বলেন, তাঁর বাড়ি এত দূরে, তিনি কী করবেন বুঝতে পারছেন না।
হাসপাতালটিতে বর্তমানে এ রকম ২৯ জন রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ওয়ার্ডে, তিনজন নিচতলায় পোস্ট অপারেটিভে এবং একজন শিশু কেবিন ব্লকে রয়েছে। হাসপাতালে কেবল একজন লিফট ম্যান ও একজন বাবুর্চি আছেন। এ ছাড়া কেউ নেই। তিন দিন খাবার বন্ধ থাকার পর শেরেবাংলা থানা কর্তৃপক্ষ বাবুর্চিকে খবর দিয়ে এনে শুক্রবার বিকেল থেকে খাবার সরবরাহ করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া হাসপাতালে কেউ নেই।
চিকিৎসক-নার্স ছাড়া দিশেহারা পরিবেশে রোগীদের ছিল হাহাকার। হাসপাতালটির বিভিন্ন ওয়ার্ডের নার্সের টেবিলে রোগীদের ফাইলের স্তূপ দেখা গেছে। এসব রোগী চলে গেলেও তাদের ফাইল পড়ে আছে।
অপর দিকে, চতুর্থ তলার পূর্বপাশের স্পেশালাইজড ব্লকে জুলাইয়ে আহত ৬৬ জন এখনো ভর্তি রয়েছেন। যদিও তাঁরা সংঘর্ষের সময় ৫৫ জন ছিলেন। শনিবার গিয়ে তাঁদের ওয়ার্ডে দেখা গেছে। তাঁদেরই একজন কোরবান হোসাইন। ছয় মাস ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর চোখে শটগানের গুলি লাগে, তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ না। তিনি বলেন, ‘গত বুধবার আমাদের ওপর প্রথমে হাসপাতালের কর্মচারীরা হামলা চালায়। এরপর সংঘর্ষ হয়।’ তিনি সংঘর্ষে আহত হন।
জুলাইয়ে আহত আরেকজন আবির আহম্মেদ শরীফ। তিনিও এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাহিরে পাঠানোর ব্যবস্থা কেন করা হচ্ছে না? এখানে চিকিৎসা নেওয়াতে তো আমরা সুস্থ হচ্ছি না। আমাদের বিদেশে রেফার্ড করুক। চিকিৎসকেরা কেন আমাদের বিদেশে পাঠানোর কথা বলছে না?’

অচলাবস্থা কাটাতে শুক্রবার হাসপাতালের কয়েকজন সচিব, হাসপাতাল প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধিসহ বৈঠক হলেও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তাঁরা। রুবেল নামে একজন বলেন, ‘হাসপাতালেই আছি। সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে। আমাদের খাবার ও ওষুধ বাইরে থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
জুলাইয়ে আহতরা গতকাল হাসপাতালটির পরিচালকসহ সাতজনকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. খায়ের আহমেদকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডা. জানে আলমকে।
গতকাল সন্ধ্যায় ডা. খায়ের আহমেদ বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন। আর ফিরবেন না। এ সময় তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, চিকিৎসাসেবা চালু করতে সব ধরনের চেষ্টা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপ চলছে। মন্ত্রণালয়ও চেষ্টা করছে।
২৫ মে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত চার রোগী বিষপান করলে প্রথম উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। বুধবার হাসপাতালে ভর্তি আন্দোলনকারী, কর্মচারী এবং রোগীদের সঙ্গে থাকা স্বজনদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টানা চার দিন ধরে সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ। চিকিৎসা না পেয়ে দুই শতাধিক রোগী ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। তবে গুরুতর অসুস্থ ২৯ জন রোগী এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে। তাদের অনেকের চোখ অপারেশন হয়েছে, আবার কাউকে
৩১ মে ২০২৫
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টানা চার দিন ধরে সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ। চিকিৎসা না পেয়ে দুই শতাধিক রোগী ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। তবে গুরুতর অসুস্থ ২৯ জন রোগী এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে। তাদের অনেকের চোখ অপারেশন হয়েছে, আবার কাউকে
৩১ মে ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টানা চার দিন ধরে সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ। চিকিৎসা না পেয়ে দুই শতাধিক রোগী ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। তবে গুরুতর অসুস্থ ২৯ জন রোগী এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে। তাদের অনেকের চোখ অপারেশন হয়েছে, আবার কাউকে
৩১ মে ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টানা চার দিন ধরে সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ। চিকিৎসা না পেয়ে দুই শতাধিক রোগী ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। তবে গুরুতর অসুস্থ ২৯ জন রোগী এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে। তাদের অনেকের চোখ অপারেশন হয়েছে, আবার কাউকে
৩১ মে ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে