আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ শিশুশ্রমিক নিয়োগ করে। সম্প্রতি এই প্রতিবেদক রেস্তোরাঁ, কারখানাসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাজের জায়গায় গিয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু-কিশোরকে নগণ্য পারিশ্রমিকে দীর্ঘ সময় ধরে কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দেখেছেন।
রাজধানীতে কায়িক শ্রমনির্ভর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত শিশুশ্রমিকদের গড় বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। অভাবের তাড়নায় ছোট ছোট হাতগুলো ধরেছে ঝাড়ু, তেলকালিমাখা যন্ত্রপাতি কিংবা লোহা কাটার ভারী যন্ত্র।
মালিটোলার একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতে দেখা যায় মাত্র ১১ বছর বয়সী সুলতানকে। পরনে মলিন জামাকাপড়, অনবরত পানিতে ভিজে ভিজে সিঁটিয়ে যাওয়া হাতের তালু। সকাল ৮টায় কাজ শুরু হয় সুলতানের, শেষ হয় রাত ১১টায়; যার অর্থ দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টার পালা। থালাবাসন ধোয়া, ঝাড়ু দেওয়া, খাবার পরিবেশনসহ সব ধরনের কাজই করতে হয় তাকে। মাসজুড়ে হাড়ভাঙা খাটুনির পর সুলতান বেতন পায় ৬ হাজার টাকা। একজন পূর্ণবয়স্ক কর্মীকে দিতে হতো ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা বেতন। এমনই আরেকজনের সঙ্গে কথা হয় নীলক্ষেত মোড়-সংলগ্ন বাবুপুরার এক রেস্তোরাঁয়। আলভি নামের ১৩ বছরের কিশোরটি দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে মাসে বেতন পায় সাড়ে ৭ হাজার টাকা। বয়সে নবীন আলভির কাছে অবশ্য তা মোটেই খারাপ নয়। এই প্রতিবেদককে সে বলল, ‘আমাকে ভালোই বেতন দেয় তারা। থাকা-খাওয়াসহ সাড়ে সাত হাজার টাকা পাই মাসে।’
ওয়ারী এলাকার বনগ্রাম রোডের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে কাজ করে ১২ বছরের কিশোর দিদার হোসেন। কথা বলার সময় আপাদমস্তক ধুলো আর তেলকালিমাখা চেহারায় ছিল সে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা যন্ত্রাংশ তৈরি আর মেরামত করে মাসে তার আয় মাত্র ৬ হাজার টাকা। দিদার জানাল, মাত্র ৮ বছর বয়সে তার মা এখানে কাজ করতে পাঠান। কারখানার মালিক সম্পর্কে তার মামা হলেও দুই বছর ধরে পারিশ্রমিক বাড়েনি।
ধোলাইখাল এলাকায় জাহাজের পুরোনো ও পরিত্যক্ত মালপত্রের কারখানায় কাজ করে অনেক শিশু-কিশোর। তাদের একজনের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। নাম জানাতে আপত্তি তার, বয়স জিজ্ঞেস করে জানা যায় ১৪ বছর। হাতের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া বা কাটাছেঁড়ার ক্ষতচিহ্ন। ছেলেটির কাজ হলো ভারী যন্ত্র দিয়ে জাহাজের লোহা কেটে টুকরো বা সমান করা। বড় লোহার খণ্ড হাত ফসকে পড়ে গেলেই ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। খুব ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজের জন্য বড়দের মাসিক মজুরি যেখানে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা, সেখানে এই কিশোরকে দেওয়া হয় মাত্র ৮ হাজার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, দেশে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭ জন শিশুশ্রমিক আছে। ২০১৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯। বর্তমান শিশুশ্রমিকদের মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। পরিসংখ্যান বলছে, ১০ বছরের ব্যবধানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দুই লাখের মতো কমেছে।
বিদ্যমান আইনে (শ্রম আইন, ২০০৬) বলা হয়েছে, কোনো পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোনো শিশুকে নিয়োগ করা বা কাজ করতে দেওয়া যাবে না। তবে সক্ষমতা থাকা সাপেক্ষে কোনো কিশোরকে তার পিতা-মাতার অনুমতিতে কাজে নিযুক্ত করা যাবে। এই আইনে ১৪ বছর পূর্ণ হওয়া কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সীরা কিশোর হিসেবে বিবেচিত। কিশোরদের অনুমোদিত কর্মঘণ্টার ব্যাপারে বলা হয়েছে, অধিকালসহ কারখানার ক্ষেত্রে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা। অর্থাৎ দিনে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাবে না একজন কিশোরকে দিয়ে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে শিশু-কিশোরদের শ্রমিক হিসেবে কাজের সুযোগ কোনোভাবেই থাকতে দেওয়া উচিত নয়। আমরা কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, সব খাতেই শিশুশ্রম সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা। প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো শিশুশ্রমমুক্ত হলেও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো এখনো মুক্ত হতে পারেনি। নতুনভাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান অধিদপ্তর গঠন করা হচ্ছে। আশা করি, এটি কার্যকর হলে ধীরে ধীরে আমরা শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব।’
এ বিষয়ে শিশু অধিকার কর্মী লায়লা খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারিদ্র্যের দোহাই দিয়ে শিশুশ্রমকে বৈধতা দেওয়ার প্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও শিশুশ্রম পুরোপুরি নির্মূল হয়নি, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। আমাদের এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে একটি শিশুকে এক মিনিটও যেন শ্রমিকের কাজ করতে না হয়।’

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ শিশুশ্রমিক নিয়োগ করে। সম্প্রতি এই প্রতিবেদক রেস্তোরাঁ, কারখানাসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাজের জায়গায় গিয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু-কিশোরকে নগণ্য পারিশ্রমিকে দীর্ঘ সময় ধরে কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দেখেছেন।
রাজধানীতে কায়িক শ্রমনির্ভর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত শিশুশ্রমিকদের গড় বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। অভাবের তাড়নায় ছোট ছোট হাতগুলো ধরেছে ঝাড়ু, তেলকালিমাখা যন্ত্রপাতি কিংবা লোহা কাটার ভারী যন্ত্র।
মালিটোলার একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতে দেখা যায় মাত্র ১১ বছর বয়সী সুলতানকে। পরনে মলিন জামাকাপড়, অনবরত পানিতে ভিজে ভিজে সিঁটিয়ে যাওয়া হাতের তালু। সকাল ৮টায় কাজ শুরু হয় সুলতানের, শেষ হয় রাত ১১টায়; যার অর্থ দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টার পালা। থালাবাসন ধোয়া, ঝাড়ু দেওয়া, খাবার পরিবেশনসহ সব ধরনের কাজই করতে হয় তাকে। মাসজুড়ে হাড়ভাঙা খাটুনির পর সুলতান বেতন পায় ৬ হাজার টাকা। একজন পূর্ণবয়স্ক কর্মীকে দিতে হতো ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা বেতন। এমনই আরেকজনের সঙ্গে কথা হয় নীলক্ষেত মোড়-সংলগ্ন বাবুপুরার এক রেস্তোরাঁয়। আলভি নামের ১৩ বছরের কিশোরটি দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে মাসে বেতন পায় সাড়ে ৭ হাজার টাকা। বয়সে নবীন আলভির কাছে অবশ্য তা মোটেই খারাপ নয়। এই প্রতিবেদককে সে বলল, ‘আমাকে ভালোই বেতন দেয় তারা। থাকা-খাওয়াসহ সাড়ে সাত হাজার টাকা পাই মাসে।’
ওয়ারী এলাকার বনগ্রাম রোডের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে কাজ করে ১২ বছরের কিশোর দিদার হোসেন। কথা বলার সময় আপাদমস্তক ধুলো আর তেলকালিমাখা চেহারায় ছিল সে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা যন্ত্রাংশ তৈরি আর মেরামত করে মাসে তার আয় মাত্র ৬ হাজার টাকা। দিদার জানাল, মাত্র ৮ বছর বয়সে তার মা এখানে কাজ করতে পাঠান। কারখানার মালিক সম্পর্কে তার মামা হলেও দুই বছর ধরে পারিশ্রমিক বাড়েনি।
ধোলাইখাল এলাকায় জাহাজের পুরোনো ও পরিত্যক্ত মালপত্রের কারখানায় কাজ করে অনেক শিশু-কিশোর। তাদের একজনের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। নাম জানাতে আপত্তি তার, বয়স জিজ্ঞেস করে জানা যায় ১৪ বছর। হাতের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া বা কাটাছেঁড়ার ক্ষতচিহ্ন। ছেলেটির কাজ হলো ভারী যন্ত্র দিয়ে জাহাজের লোহা কেটে টুকরো বা সমান করা। বড় লোহার খণ্ড হাত ফসকে পড়ে গেলেই ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। খুব ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজের জন্য বড়দের মাসিক মজুরি যেখানে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা, সেখানে এই কিশোরকে দেওয়া হয় মাত্র ৮ হাজার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, দেশে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭ জন শিশুশ্রমিক আছে। ২০১৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯। বর্তমান শিশুশ্রমিকদের মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। পরিসংখ্যান বলছে, ১০ বছরের ব্যবধানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দুই লাখের মতো কমেছে।
বিদ্যমান আইনে (শ্রম আইন, ২০০৬) বলা হয়েছে, কোনো পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোনো শিশুকে নিয়োগ করা বা কাজ করতে দেওয়া যাবে না। তবে সক্ষমতা থাকা সাপেক্ষে কোনো কিশোরকে তার পিতা-মাতার অনুমতিতে কাজে নিযুক্ত করা যাবে। এই আইনে ১৪ বছর পূর্ণ হওয়া কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সীরা কিশোর হিসেবে বিবেচিত। কিশোরদের অনুমোদিত কর্মঘণ্টার ব্যাপারে বলা হয়েছে, অধিকালসহ কারখানার ক্ষেত্রে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা। অর্থাৎ দিনে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাবে না একজন কিশোরকে দিয়ে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে শিশু-কিশোরদের শ্রমিক হিসেবে কাজের সুযোগ কোনোভাবেই থাকতে দেওয়া উচিত নয়। আমরা কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, সব খাতেই শিশুশ্রম সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা। প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো শিশুশ্রমমুক্ত হলেও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো এখনো মুক্ত হতে পারেনি। নতুনভাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান অধিদপ্তর গঠন করা হচ্ছে। আশা করি, এটি কার্যকর হলে ধীরে ধীরে আমরা শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব।’
এ বিষয়ে শিশু অধিকার কর্মী লায়লা খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারিদ্র্যের দোহাই দিয়ে শিশুশ্রমকে বৈধতা দেওয়ার প্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও শিশুশ্রম পুরোপুরি নির্মূল হয়নি, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। আমাদের এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে একটি শিশুকে এক মিনিটও যেন শ্রমিকের কাজ করতে না হয়।’
আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ শিশুশ্রমিক নিয়োগ করে। সম্প্রতি এই প্রতিবেদক রেস্তোরাঁ, কারখানাসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাজের জায়গায় গিয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু-কিশোরকে নগণ্য পারিশ্রমিকে দীর্ঘ সময় ধরে কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দেখেছেন।
রাজধানীতে কায়িক শ্রমনির্ভর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত শিশুশ্রমিকদের গড় বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। অভাবের তাড়নায় ছোট ছোট হাতগুলো ধরেছে ঝাড়ু, তেলকালিমাখা যন্ত্রপাতি কিংবা লোহা কাটার ভারী যন্ত্র।
মালিটোলার একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতে দেখা যায় মাত্র ১১ বছর বয়সী সুলতানকে। পরনে মলিন জামাকাপড়, অনবরত পানিতে ভিজে ভিজে সিঁটিয়ে যাওয়া হাতের তালু। সকাল ৮টায় কাজ শুরু হয় সুলতানের, শেষ হয় রাত ১১টায়; যার অর্থ দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টার পালা। থালাবাসন ধোয়া, ঝাড়ু দেওয়া, খাবার পরিবেশনসহ সব ধরনের কাজই করতে হয় তাকে। মাসজুড়ে হাড়ভাঙা খাটুনির পর সুলতান বেতন পায় ৬ হাজার টাকা। একজন পূর্ণবয়স্ক কর্মীকে দিতে হতো ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা বেতন। এমনই আরেকজনের সঙ্গে কথা হয় নীলক্ষেত মোড়-সংলগ্ন বাবুপুরার এক রেস্তোরাঁয়। আলভি নামের ১৩ বছরের কিশোরটি দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে মাসে বেতন পায় সাড়ে ৭ হাজার টাকা। বয়সে নবীন আলভির কাছে অবশ্য তা মোটেই খারাপ নয়। এই প্রতিবেদককে সে বলল, ‘আমাকে ভালোই বেতন দেয় তারা। থাকা-খাওয়াসহ সাড়ে সাত হাজার টাকা পাই মাসে।’
ওয়ারী এলাকার বনগ্রাম রোডের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে কাজ করে ১২ বছরের কিশোর দিদার হোসেন। কথা বলার সময় আপাদমস্তক ধুলো আর তেলকালিমাখা চেহারায় ছিল সে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা যন্ত্রাংশ তৈরি আর মেরামত করে মাসে তার আয় মাত্র ৬ হাজার টাকা। দিদার জানাল, মাত্র ৮ বছর বয়সে তার মা এখানে কাজ করতে পাঠান। কারখানার মালিক সম্পর্কে তার মামা হলেও দুই বছর ধরে পারিশ্রমিক বাড়েনি।
ধোলাইখাল এলাকায় জাহাজের পুরোনো ও পরিত্যক্ত মালপত্রের কারখানায় কাজ করে অনেক শিশু-কিশোর। তাদের একজনের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। নাম জানাতে আপত্তি তার, বয়স জিজ্ঞেস করে জানা যায় ১৪ বছর। হাতের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া বা কাটাছেঁড়ার ক্ষতচিহ্ন। ছেলেটির কাজ হলো ভারী যন্ত্র দিয়ে জাহাজের লোহা কেটে টুকরো বা সমান করা। বড় লোহার খণ্ড হাত ফসকে পড়ে গেলেই ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। খুব ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজের জন্য বড়দের মাসিক মজুরি যেখানে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা, সেখানে এই কিশোরকে দেওয়া হয় মাত্র ৮ হাজার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, দেশে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭ জন শিশুশ্রমিক আছে। ২০১৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯। বর্তমান শিশুশ্রমিকদের মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। পরিসংখ্যান বলছে, ১০ বছরের ব্যবধানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দুই লাখের মতো কমেছে।
বিদ্যমান আইনে (শ্রম আইন, ২০০৬) বলা হয়েছে, কোনো পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোনো শিশুকে নিয়োগ করা বা কাজ করতে দেওয়া যাবে না। তবে সক্ষমতা থাকা সাপেক্ষে কোনো কিশোরকে তার পিতা-মাতার অনুমতিতে কাজে নিযুক্ত করা যাবে। এই আইনে ১৪ বছর পূর্ণ হওয়া কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সীরা কিশোর হিসেবে বিবেচিত। কিশোরদের অনুমোদিত কর্মঘণ্টার ব্যাপারে বলা হয়েছে, অধিকালসহ কারখানার ক্ষেত্রে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা। অর্থাৎ দিনে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাবে না একজন কিশোরকে দিয়ে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে শিশু-কিশোরদের শ্রমিক হিসেবে কাজের সুযোগ কোনোভাবেই থাকতে দেওয়া উচিত নয়। আমরা কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, সব খাতেই শিশুশ্রম সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা। প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো শিশুশ্রমমুক্ত হলেও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো এখনো মুক্ত হতে পারেনি। নতুনভাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান অধিদপ্তর গঠন করা হচ্ছে। আশা করি, এটি কার্যকর হলে ধীরে ধীরে আমরা শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব।’
এ বিষয়ে শিশু অধিকার কর্মী লায়লা খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারিদ্র্যের দোহাই দিয়ে শিশুশ্রমকে বৈধতা দেওয়ার প্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও শিশুশ্রম পুরোপুরি নির্মূল হয়নি, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। আমাদের এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে একটি শিশুকে এক মিনিটও যেন শ্রমিকের কাজ করতে না হয়।’

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ শিশুশ্রমিক নিয়োগ করে। সম্প্রতি এই প্রতিবেদক রেস্তোরাঁ, কারখানাসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাজের জায়গায় গিয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু-কিশোরকে নগণ্য পারিশ্রমিকে দীর্ঘ সময় ধরে কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দেখেছেন।
রাজধানীতে কায়িক শ্রমনির্ভর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত শিশুশ্রমিকদের গড় বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। অভাবের তাড়নায় ছোট ছোট হাতগুলো ধরেছে ঝাড়ু, তেলকালিমাখা যন্ত্রপাতি কিংবা লোহা কাটার ভারী যন্ত্র।
মালিটোলার একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতে দেখা যায় মাত্র ১১ বছর বয়সী সুলতানকে। পরনে মলিন জামাকাপড়, অনবরত পানিতে ভিজে ভিজে সিঁটিয়ে যাওয়া হাতের তালু। সকাল ৮টায় কাজ শুরু হয় সুলতানের, শেষ হয় রাত ১১টায়; যার অর্থ দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টার পালা। থালাবাসন ধোয়া, ঝাড়ু দেওয়া, খাবার পরিবেশনসহ সব ধরনের কাজই করতে হয় তাকে। মাসজুড়ে হাড়ভাঙা খাটুনির পর সুলতান বেতন পায় ৬ হাজার টাকা। একজন পূর্ণবয়স্ক কর্মীকে দিতে হতো ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা বেতন। এমনই আরেকজনের সঙ্গে কথা হয় নীলক্ষেত মোড়-সংলগ্ন বাবুপুরার এক রেস্তোরাঁয়। আলভি নামের ১৩ বছরের কিশোরটি দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে মাসে বেতন পায় সাড়ে ৭ হাজার টাকা। বয়সে নবীন আলভির কাছে অবশ্য তা মোটেই খারাপ নয়। এই প্রতিবেদককে সে বলল, ‘আমাকে ভালোই বেতন দেয় তারা। থাকা-খাওয়াসহ সাড়ে সাত হাজার টাকা পাই মাসে।’
ওয়ারী এলাকার বনগ্রাম রোডের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে কাজ করে ১২ বছরের কিশোর দিদার হোসেন। কথা বলার সময় আপাদমস্তক ধুলো আর তেলকালিমাখা চেহারায় ছিল সে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা যন্ত্রাংশ তৈরি আর মেরামত করে মাসে তার আয় মাত্র ৬ হাজার টাকা। দিদার জানাল, মাত্র ৮ বছর বয়সে তার মা এখানে কাজ করতে পাঠান। কারখানার মালিক সম্পর্কে তার মামা হলেও দুই বছর ধরে পারিশ্রমিক বাড়েনি।
ধোলাইখাল এলাকায় জাহাজের পুরোনো ও পরিত্যক্ত মালপত্রের কারখানায় কাজ করে অনেক শিশু-কিশোর। তাদের একজনের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। নাম জানাতে আপত্তি তার, বয়স জিজ্ঞেস করে জানা যায় ১৪ বছর। হাতের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া বা কাটাছেঁড়ার ক্ষতচিহ্ন। ছেলেটির কাজ হলো ভারী যন্ত্র দিয়ে জাহাজের লোহা কেটে টুকরো বা সমান করা। বড় লোহার খণ্ড হাত ফসকে পড়ে গেলেই ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। খুব ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজের জন্য বড়দের মাসিক মজুরি যেখানে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা, সেখানে এই কিশোরকে দেওয়া হয় মাত্র ৮ হাজার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, দেশে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭ জন শিশুশ্রমিক আছে। ২০১৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯। বর্তমান শিশুশ্রমিকদের মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। পরিসংখ্যান বলছে, ১০ বছরের ব্যবধানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দুই লাখের মতো কমেছে।
বিদ্যমান আইনে (শ্রম আইন, ২০০৬) বলা হয়েছে, কোনো পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোনো শিশুকে নিয়োগ করা বা কাজ করতে দেওয়া যাবে না। তবে সক্ষমতা থাকা সাপেক্ষে কোনো কিশোরকে তার পিতা-মাতার অনুমতিতে কাজে নিযুক্ত করা যাবে। এই আইনে ১৪ বছর পূর্ণ হওয়া কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সীরা কিশোর হিসেবে বিবেচিত। কিশোরদের অনুমোদিত কর্মঘণ্টার ব্যাপারে বলা হয়েছে, অধিকালসহ কারখানার ক্ষেত্রে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা। অর্থাৎ দিনে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাবে না একজন কিশোরকে দিয়ে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে শিশু-কিশোরদের শ্রমিক হিসেবে কাজের সুযোগ কোনোভাবেই থাকতে দেওয়া উচিত নয়। আমরা কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, সব খাতেই শিশুশ্রম সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা। প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো শিশুশ্রমমুক্ত হলেও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো এখনো মুক্ত হতে পারেনি। নতুনভাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান অধিদপ্তর গঠন করা হচ্ছে। আশা করি, এটি কার্যকর হলে ধীরে ধীরে আমরা শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব।’
এ বিষয়ে শিশু অধিকার কর্মী লায়লা খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারিদ্র্যের দোহাই দিয়ে শিশুশ্রমকে বৈধতা দেওয়ার প্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও শিশুশ্রম পুরোপুরি নির্মূল হয়নি, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। আমাদের এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে একটি শিশুকে এক মিনিটও যেন শ্রমিকের কাজ করতে না হয়।’

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৩৯ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৪৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে অভিহিত করেছে ঢাকা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সাধারণ ছুটি থাকছে মোট ১৪ দিন। এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকছে আরও ১৪ দিন। এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, কর্মজীবীরা বাস্তবে মোট ১৯ দিনের কর্মদিবস ছুটি পাবেন, যা সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ অবসর যাপনের সুযোগ এনে দেবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা–সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এই ছুটি পালন করা হবে।
সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য একজন কর্মচারী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এর জন্য বছরের শুরুতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এই ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যাবে।

বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা নিম্নরূপ:
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থ বিবেচনা করে নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী ছুটির ব্যবস্থা করবে।
সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন ও ছুটির তালিকা দেখুন

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সাধারণ ছুটি থাকছে মোট ১৪ দিন। এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকছে আরও ১৪ দিন। এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, কর্মজীবীরা বাস্তবে মোট ১৯ দিনের কর্মদিবস ছুটি পাবেন, যা সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ অবসর যাপনের সুযোগ এনে দেবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা–সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এই ছুটি পালন করা হবে।
সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য একজন কর্মচারী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এর জন্য বছরের শুরুতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এই ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যাবে।

বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা নিম্নরূপ:
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থ বিবেচনা করে নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী ছুটির ব্যবস্থা করবে।
সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন ও ছুটির তালিকা দেখুন

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ..
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৩৯ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৪৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে অভিহিত করেছে ঢাকা।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা এই পদে ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওসমান সরোয়ার মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লাকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নিতে তাঁর চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা এই পদে ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওসমান সরোয়ার মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লাকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নিতে তাঁর চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ..
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৪৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে অভিহিত করেছে ঢাকা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ সোমবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা লেখেন।
স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, ‘বিএএল (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) ও তাদের সহযোগী সমর্থকেরা এবং গণহত্যাকারী নেত্রী মনে করছেন—এটি আবারও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো সময়। তারা মনে করছেন দিনের বেলা এক ডজন মানুষকে হত্যা করার পর রাস্তা দখল করার জন্য হাজার হাজার দুর্বৃত্তকে ঢাকার কেন্দ্রস্থলে পাঠাবেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দুঃখিত—এটি এখন নতুন একটি বাংলাদেশ। জুলাই বিপ্লবীদের ধৈর্য পরীক্ষা করবেন না এবং মনে রাখবেন—এটি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়। এটি জুলাই, চিরদিনের জুলাই।’


কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ সোমবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা লেখেন।
স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, ‘বিএএল (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) ও তাদের সহযোগী সমর্থকেরা এবং গণহত্যাকারী নেত্রী মনে করছেন—এটি আবারও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো সময়। তারা মনে করছেন দিনের বেলা এক ডজন মানুষকে হত্যা করার পর রাস্তা দখল করার জন্য হাজার হাজার দুর্বৃত্তকে ঢাকার কেন্দ্রস্থলে পাঠাবেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দুঃখিত—এটি এখন নতুন একটি বাংলাদেশ। জুলাই বিপ্লবীদের ধৈর্য পরীক্ষা করবেন না এবং মনে রাখবেন—এটি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়। এটি জুলাই, চিরদিনের জুলাই।’


শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ..
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৩৯ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে অভিহিত করেছে ঢাকা।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে অভিহিত করেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা মনে করি রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য সঠিক ও গঠনমূলক নয় এবং তা শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনকও নয়।’
ভারতের নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল জোশির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘নিজের কথাবার্তায় সতর্ক থাকার’ পরামর্শ দেন।
সাক্ষাৎকারে সিং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো টানাপোড়েন চাই না, তবে ইউনূসকে তার বক্তব্যে সতর্ক থাকতে হবে।’ সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশ সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব চায় না।
গত শুক্রবার নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের একটি গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে।
এ প্রসঙ্গে মুখপাত্র মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।’
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ‘সার্বভৌম সমতা, পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার’ ভিত্তিতে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আলম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো গঠনমূলক ও শ্রদ্ধাশীল সংলাপের মাধ্যমেই সবচেয়ে ভালোভাবে সমাধান করা সম্ভব।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে অভিহিত করেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা মনে করি রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য সঠিক ও গঠনমূলক নয় এবং তা শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনকও নয়।’
ভারতের নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল জোশির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘নিজের কথাবার্তায় সতর্ক থাকার’ পরামর্শ দেন।
সাক্ষাৎকারে সিং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো টানাপোড়েন চাই না, তবে ইউনূসকে তার বক্তব্যে সতর্ক থাকতে হবে।’ সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশ সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব চায় না।
গত শুক্রবার নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের একটি গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে।
এ প্রসঙ্গে মুখপাত্র মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।’
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ‘সার্বভৌম সমতা, পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার’ ভিত্তিতে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আলম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো গঠনমূলক ও শ্রদ্ধাশীল সংলাপের মাধ্যমেই সবচেয়ে ভালোভাবে সমাধান করা সম্ভব।’

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ..
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৩৯ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৪৪ মিনিট আগে