Ajker Patrika

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ছয় মাসে ৮ বিভাগে হবে আধুনিক ল্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ছয় মাসে ৮ বিভাগে হবে আধুনিক ল্যাব

দেশের সব জেলায় এখন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অফিস স্থাপন করা হয়েছে। অফিসগুলোতে জনবলের চেয়েও প্রযুক্তিগত সংকট বেশি। আগামী ছয় মাসে আটটি বিভাগে নিরাপদ খাবারের জন্য আধুনিক ল্যাবরেটরি তৈরি হবে। এতে অর্থায়ন করবে জাপান সরকারের সহায়তা সংস্থা জাইকা। দেশে নিরাপদ খাবারের জন্য ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার তৈরির চিন্তাও আছে সরকারের। 

আজ মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘ খাদ্যবিষয়ক সংস্থা এফএও আয়োজিত কর্মশালায় এসব তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। সবার জন্য খাদ্য, সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। তাই স্বল্প খরচে পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। 

দেশে কৃষি পরিসংখ্যানের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র বলেন, দেশে প্রকৃত কৃষি তথ্য বা পরিসংখ্যান নেই। প্রতিদিন ৭৫ হাজার টন চাল লাগে দেশে। কিন্তু মানুষ ছাড়াও চাল আরও বিভিন্ন কাজে ব্যয় হচ্ছে। এসব তথ্যের অভাবে চালের চাহিদা নির্ধারণ করা কঠিন হচ্ছে। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। 

ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য কোম্পানির মালিকেরা নিজেদের তৈরি খাদ্যপণ্য খান না। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চাল সংগ্রহের সময় বঙ্গবন্ধুর আমলে ১ মণ চালে ১২ আনা লাভ করা হতো। কিন্তু বর্তমানে প্রতিকেজি চালে ৫-৭ টাকা লাভ দিলেও মিল মালিকেরা খুশি নন। 

খাদ্য সংরক্ষণের সংকট সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গোডাউনে এক বছরের বেশি চাল রাখা যায় না। বিবর্ণ হয়ে যায়, পোকা ধরে। এ জন্য গবেষণা করা প্রয়োজন। আধুনিক বিশ্বে কোনো কোনো দেশ দুই বছর পর্যন্ত চাল সংগ্রহ করে রাখতে পারে সহজেই। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. সামছুল আলম জানান, এ বছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৫ সালে হতদরিদ্র সংখ্যা হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। দেশে কৃষি তথ্য বাজার গবেষণা প্রয়োজন। করোনাকালে সামাজিক নিরাপত্তার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি দিতে হয়েছে। ফুড সেফটি অ্যাক্ট করা হয়েছে ২০১৩ সালে। করা হয়েছে অথোরিটিও। তবে নিরাপদ খাবার পরীক্ষাগার গড়ে তোলা এখনো চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য। 

সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমা নারা খানম জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য অপচয় অন্তত অর্ধেকে নামিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। 

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা এফএও-এর পুষ্টি উপদেষ্টা ডক্টর লালিতা ব্যানার্জি, ইউএসএইড বাংলাদেশের রেবেকা রবিনসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজমা শাহীন ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত