নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সারা দেশে লোডশেডিং, সড়ক দুর্ঘটনা ও ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
আজ রোববার সংসদের বৈঠকে মাগরিবের বিরতির পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব বিষয় উত্থাপন করেন তাঁরা। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু শুরু হয়।
এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে উল্লেখ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এখন দুটো সমস্যায় মানুষ আক্রান্ত—একটি হলো বিদ্যুৎ। এখন গ্রামগঞ্জে লোডশেডিং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা থাকে না। আমার এলাকায় ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়? আমার এলাকার মানুষ বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে। লোডশেডিং হয় কিনা সেটি দেখার জন্য।’ এ সময় আগামী ২-৪ দিনের মধ্যে নিজ এলাকায় যাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তিনি।
সক্ষমতা সত্ত্বেও ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪১ শতাংশ বসে আছে দাবি করে মুজিবুল হক বলেন, ২০২২–২৩ অর্থবছরে বসে থাকার জন্য ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুতের দায়মুক্তি আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ চুক্তিটা দয়া করে প্রত্যাহার করেন। উৎপাদন না করেও বসে বসে ভাড়া নেওয়ার যে চুক্তি তা জনগণের স্বার্থে বাতিল করেন। ওই সমস্ত কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল দেবেন, বসিয়ে বসিয়ে ২৬ হাজার টাকা বিল দেবেন। তারপর লোডশেডিং থাকবে। কী যে অসহনীয় অবস্থা এ দেশের, ঢাকায় থেকে আপনারা বুঝবেন না। সরকারি দলের যে সব এমপিরা গ্রামগঞ্জে আছেন, তারা হয়তো এখন বলতে পারছেন না। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করে, ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা উচিত।
আইএমএফের প্রস্তাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘মন্ত্রী দাম বৃদ্ধিকে বলেন সমন্বয়। দাম বাড়ানো বলতে লজ্জা পান তাই সমন্বয় বলেন তিনি। এ সমন্বয় এক বছর করেছেন। আগামী তিন বছরে ১২ বার করবেন। ভর্তুকি পুরো তুললে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মানুষ কিনতে পারবে কিনা আমি জানি না। দাম বৃদ্ধি না করে এমন পদক্ষেপ নেন, যেটাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে সহনীয় পর্যায়ে আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।’
সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, সড়কের বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয়, কোনো গাড়ির ফিটনেস নাই, ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। মাননীয় মন্ত্রী যদি একটু স্ট্রং হন। পুরোনো গাড়ি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অটো রাস্তায় না চললে তাহলে মানুষ এইভাবে মারা যাবে না।
অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য কিছু ব্যাংককে একীভূত করার জন্য চিহ্নিত করেছে। ১০টি ব্যাংক। এসব ব্যাংকের দায় হচ্ছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ৫৪ হাজার কোটি টাকা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। গত ১০ বছর ধরে এই ব্যাংকগুলোর নাম এসেছে। এই ব্যাংকগুলো ঠিকভাবে কাজ করছে না, যেমন: বেসিক ব্যাংক। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো রকম বড় পদক্ষেপ নেয়নি। আজকে আইএমএফ যখন বলেছে তখন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এর দায় দায়িত্ব কে নেবে? যারা এর জন্য দায়ী তাদের কী হবে সে সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো কথা বলেনি। যারা দায়ী তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাব।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না করে খারাপ ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে নতুন ব্যাংক করা যায় কি না একান্তভাবে দেখা দরকার। ক্রাইসিস উত্তরণ করতে হবে যদি অর্থনীতিতে সচল করতে চাই।
সারা দেশে লোডশেডিং, সড়ক দুর্ঘটনা ও ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
আজ রোববার সংসদের বৈঠকে মাগরিবের বিরতির পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব বিষয় উত্থাপন করেন তাঁরা। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু শুরু হয়।
এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে উল্লেখ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এখন দুটো সমস্যায় মানুষ আক্রান্ত—একটি হলো বিদ্যুৎ। এখন গ্রামগঞ্জে লোডশেডিং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা থাকে না। আমার এলাকায় ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়? আমার এলাকার মানুষ বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে। লোডশেডিং হয় কিনা সেটি দেখার জন্য।’ এ সময় আগামী ২-৪ দিনের মধ্যে নিজ এলাকায় যাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তিনি।
সক্ষমতা সত্ত্বেও ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪১ শতাংশ বসে আছে দাবি করে মুজিবুল হক বলেন, ২০২২–২৩ অর্থবছরে বসে থাকার জন্য ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুতের দায়মুক্তি আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ চুক্তিটা দয়া করে প্রত্যাহার করেন। উৎপাদন না করেও বসে বসে ভাড়া নেওয়ার যে চুক্তি তা জনগণের স্বার্থে বাতিল করেন। ওই সমস্ত কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল দেবেন, বসিয়ে বসিয়ে ২৬ হাজার টাকা বিল দেবেন। তারপর লোডশেডিং থাকবে। কী যে অসহনীয় অবস্থা এ দেশের, ঢাকায় থেকে আপনারা বুঝবেন না। সরকারি দলের যে সব এমপিরা গ্রামগঞ্জে আছেন, তারা হয়তো এখন বলতে পারছেন না। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করে, ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা উচিত।
আইএমএফের প্রস্তাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘মন্ত্রী দাম বৃদ্ধিকে বলেন সমন্বয়। দাম বাড়ানো বলতে লজ্জা পান তাই সমন্বয় বলেন তিনি। এ সমন্বয় এক বছর করেছেন। আগামী তিন বছরে ১২ বার করবেন। ভর্তুকি পুরো তুললে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মানুষ কিনতে পারবে কিনা আমি জানি না। দাম বৃদ্ধি না করে এমন পদক্ষেপ নেন, যেটাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে সহনীয় পর্যায়ে আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।’
সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, সড়কের বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয়, কোনো গাড়ির ফিটনেস নাই, ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। মাননীয় মন্ত্রী যদি একটু স্ট্রং হন। পুরোনো গাড়ি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অটো রাস্তায় না চললে তাহলে মানুষ এইভাবে মারা যাবে না।
অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য কিছু ব্যাংককে একীভূত করার জন্য চিহ্নিত করেছে। ১০টি ব্যাংক। এসব ব্যাংকের দায় হচ্ছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ৫৪ হাজার কোটি টাকা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। গত ১০ বছর ধরে এই ব্যাংকগুলোর নাম এসেছে। এই ব্যাংকগুলো ঠিকভাবে কাজ করছে না, যেমন: বেসিক ব্যাংক। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো রকম বড় পদক্ষেপ নেয়নি। আজকে আইএমএফ যখন বলেছে তখন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এর দায় দায়িত্ব কে নেবে? যারা এর জন্য দায়ী তাদের কী হবে সে সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো কথা বলেনি। যারা দায়ী তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাব।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না করে খারাপ ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে নতুন ব্যাংক করা যায় কি না একান্তভাবে দেখা দরকার। ক্রাইসিস উত্তরণ করতে হবে যদি অর্থনীতিতে সচল করতে চাই।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারায় বর্ণিত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা আগের ১০ হাজার টাকার জায়গায় এখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি
২ ঘণ্টা আগেনিরপরাধ একজন যুবকের মূল্যবান জীবন ও অন্যদের নির্যাতন থেকে সুরক্ষায় পুলিশ বিভাগ নৈতিকভাবে দায় এড়াতে পারে না। যেখানে জনিসহ চারজনকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। পুলিশ বিভাগ বা সরকার ভুক্তভোগীর পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য এগিয়ে আসতে পারে। জনি হত্যা মামলায় আসামিদের করা আপিল নিষ্পত্তি করে রায়ে এসব পর্যবেক্ষণ
৩ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের বেলাই বিলে ভরাট কার্যক্রমের ওপর ৩ মাসের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে রাজউকের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গাজীপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজীপুর সদর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া এবং কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আরএস জরিপ অনুযায়ী...
৩ ঘণ্টা আগেগত জুলাই মাসে সীমান্ত এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ১৭৪ কোটি ২৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্য, মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
৪ ঘণ্টা আগে