কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
এবারের মত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) বা যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনার চাহিদা প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের জেআরপিতে ২০২২ সালের জন্য ৮৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের চাহিদা ধরা হয়েছে। যাতে কক্সবাজারের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা এবং সেখানকার আশপাশের স্থানীয় জনগোষ্ঠী চাহিদা মাথায় রাখা হয়েছে। আর এবারই প্রথমবারের মত ভাসানচরের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে জেআরপিতে। প্রকাশিত ২০২২ সালের জেআরপি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ম জেআরপি প্রস্তাব নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘গতবারের জেআরপি ৯৪ কোটি ডলার চাহিদার মধ্যে ৬৭ কোটি ডলার সংগ্রহ করা গেছে। এ বছরের জেআরপির বাজেট ধরা হয়েছে ৮৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। ভাসানচরের জন্য প্রায় ১০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ভাসানচর নিয়ে এবারের জেআরপিতে বিভ্রান্তি দুর হয়েছে।’
রোহিঙ্গা নিয়ে দুটি মূল বিষয় প্রত্যাবাসন ও মানবিক সহায়তার বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, জেআরপির বৈঠকটি মানবিক সহায়তার হলেও এখানে বক্তারা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়েছেন। বৈঠকে ৯টি দেশের রাষ্ট্রদূতরাসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা কথা বলেছেন। এবারের আবেদনের রাষ্ট্রগুলো কতটুকু অর্থ সহযোগিতা দিতে পারবে, সে বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের বক্তব্যের বিষয়ে মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের তখন বাংলাদেশে আশ্রয় না দেওয়া হলে, সমসাময়িক বিশ্বে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতো। এটি এড়ানো গিয়েছে শুধুমাত্র শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তের করণে।’
প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জেআরপির মূল বৈঠকের আগে জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর, আইওএম ও আমি একটি বৈঠক করেছি। জাতিসংঘ জানিয়েছে প্রত্যাবাসন নিয়ে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে পূর্বের করা চুক্তিটি নবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের যে ধরনের সরকারই থাকুক না কেন, আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রতিশ্রুতি রাখবেন।’
২০২২ এর জেআরপিতেও রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যকার সুসম্পর্কের বিষয়টিতে জোর দিয়েছে জাতিসংঘ। এটি এখনো মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। ২০১৭ সালে বাংলাদেশি স্থানীয়ই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল। আর বর্তমানে মানবিক সংকটের ৫ম বছর চলছে। এখনো উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আশ্রয় দিয়ে আসছে। স্থানীয় অবকাঠামোর ওপর আর্থসামাজিক পরিস্থিতির চাপ সামলাতে মানবিক সহায়তাকারীদের জন্য রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সুসম্পর্ক অন্যতম অগ্রাধিকার। আর এ নিয়ে কাজও করছে মানবিক সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
ক্যাম্প এলাকা ও স্থানীয়দের মধ্যে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ফ্রেমওয়ার্ক নিয়েছে সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। মানবিক সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘাত ঠেকাতে কমিউনিটি সুরক্ষা ফোরাম, কমিউনিটি ভিত্তিক সংলাপ এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মধ্যে যোগাযোগ শক্তিশালী করতে কাজ করছে।
উল্লেখ, ২০১৭ পর থেকেই রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা করে আসছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দ্বারা সেখানে বেশ কিছু অপরাধও সংগঠিত হয়েছে।
এবারের মত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) বা যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনার চাহিদা প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের জেআরপিতে ২০২২ সালের জন্য ৮৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের চাহিদা ধরা হয়েছে। যাতে কক্সবাজারের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা এবং সেখানকার আশপাশের স্থানীয় জনগোষ্ঠী চাহিদা মাথায় রাখা হয়েছে। আর এবারই প্রথমবারের মত ভাসানচরের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে জেআরপিতে। প্রকাশিত ২০২২ সালের জেআরপি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ম জেআরপি প্রস্তাব নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘গতবারের জেআরপি ৯৪ কোটি ডলার চাহিদার মধ্যে ৬৭ কোটি ডলার সংগ্রহ করা গেছে। এ বছরের জেআরপির বাজেট ধরা হয়েছে ৮৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। ভাসানচরের জন্য প্রায় ১০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ভাসানচর নিয়ে এবারের জেআরপিতে বিভ্রান্তি দুর হয়েছে।’
রোহিঙ্গা নিয়ে দুটি মূল বিষয় প্রত্যাবাসন ও মানবিক সহায়তার বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, জেআরপির বৈঠকটি মানবিক সহায়তার হলেও এখানে বক্তারা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়েছেন। বৈঠকে ৯টি দেশের রাষ্ট্রদূতরাসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা কথা বলেছেন। এবারের আবেদনের রাষ্ট্রগুলো কতটুকু অর্থ সহযোগিতা দিতে পারবে, সে বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের বক্তব্যের বিষয়ে মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের তখন বাংলাদেশে আশ্রয় না দেওয়া হলে, সমসাময়িক বিশ্বে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতো। এটি এড়ানো গিয়েছে শুধুমাত্র শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তের করণে।’
প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জেআরপির মূল বৈঠকের আগে জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর, আইওএম ও আমি একটি বৈঠক করেছি। জাতিসংঘ জানিয়েছে প্রত্যাবাসন নিয়ে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে পূর্বের করা চুক্তিটি নবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের যে ধরনের সরকারই থাকুক না কেন, আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রতিশ্রুতি রাখবেন।’
২০২২ এর জেআরপিতেও রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যকার সুসম্পর্কের বিষয়টিতে জোর দিয়েছে জাতিসংঘ। এটি এখনো মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। ২০১৭ সালে বাংলাদেশি স্থানীয়ই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল। আর বর্তমানে মানবিক সংকটের ৫ম বছর চলছে। এখনো উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আশ্রয় দিয়ে আসছে। স্থানীয় অবকাঠামোর ওপর আর্থসামাজিক পরিস্থিতির চাপ সামলাতে মানবিক সহায়তাকারীদের জন্য রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সুসম্পর্ক অন্যতম অগ্রাধিকার। আর এ নিয়ে কাজও করছে মানবিক সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
ক্যাম্প এলাকা ও স্থানীয়দের মধ্যে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ফ্রেমওয়ার্ক নিয়েছে সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। মানবিক সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘাত ঠেকাতে কমিউনিটি সুরক্ষা ফোরাম, কমিউনিটি ভিত্তিক সংলাপ এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মধ্যে যোগাযোগ শক্তিশালী করতে কাজ করছে।
উল্লেখ, ২০১৭ পর থেকেই রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা করে আসছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দ্বারা সেখানে বেশ কিছু অপরাধও সংগঠিত হয়েছে।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভুয়া প্রোফাইল খুলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সতর্ক করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
২০ মিনিট আগেদফায় দফায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে ছয় জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কয়েকটি স্থানে ইতিমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে পানি। এতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও ফসলের খেত। বাধ্য হয়ে অনেকে কাঁচা ধান কেটে ঘরে তুলছে। অনেকেই পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে নিরাপদ স্থানে।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তিতে ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর সাত দিন পর গত মঙ্গলবার বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কার্যকলাপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
২ ঘণ্টা আগেড্রোন শো পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশ থেকে চীনে যাচ্ছেন ১১ তরুণ গণমাধ্যমকর্মী। এক মাসের এ প্রশিক্ষণ চীনের সাংহাই ও গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার চীনা দূতাবাসে ড্রোন প্রশিক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও প্রেস কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান
৩ ঘণ্টা আগে