Ajker Patrika

আগস্টে ৪৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ৫০২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গত আগস্ট মাসে দেশে ৪৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০২ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৩২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৬ জন এবং আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। মোট দুর্ঘটনার এক-তৃতীয়াংশই মোটরসাইকেল সংশ্লিষ্ট।

আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৩২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১২৮ জন এবং আহত ৩৩৩ জন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে—১৫টি দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ জন ও আহত ২২ জন।

দুর্ঘটনায় শনাক্ত হওয়া ৭৮৯টি যানবাহনের মধ্যে ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান, ১৫ দশমিক ০৮ শতাংশ বাস, ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ ইজিবাইক-রিকশা, ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ সিএনজি অটোরিকশা, ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ নছিমন-করিমন প্রভৃতি এবং ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ প্রাইভেটকার-জিপ-মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৪৪ দশমিক ০৬ শতাংশ গাড়ি চাপা, ৩০ দশমিক ৩৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারানো, ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ অন্যান্য, শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ ওড়না চাকায় পেঁচানো এবং ১ দশমিক ২০ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষ থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া দুর্ঘটনার ৪৫ দশমিক ০৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২০ দশমিক ৩২ শতাংশ ফিডার রোডে, আর ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ ঢাকা মহানগরে সংঘটিত হয়েছে।

সংগঠনটির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বর্ষায় সড়কে গর্ত সৃষ্টি, মহাসড়কে অবাধে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও নসিমন-করিমনের চলাচল, রোড সাইন ও আলোর অভাব, মিডিয়ান না থাকা ও অন্ধ বাঁক, মহাসড়ক ও যানবাহনের ত্রুটি, উল্টোপথে গাড়ি চলাচল, চাঁদাবাজি, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং বেপরোয়া ও বিশ্রামহীনভাবে গাড়ি চালানো দুর্ঘটনাগুলোর প্রধান কারণ।

সংগঠনটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কিছু দাবি জানিয়েছে—উন্নত বিশ্বের আদলে আধুনিক সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা প্রয়োজন। পুরোনো ও দীর্ঘদিন ধরে ফিটনেসবিহীন যানবাহন পর্যায়ক্রমে অপসারণের উদ্যোগ নিতে হবে।

এছাড়া ড্রাইভিং প্রশিক্ষণার্থীদের ওপর চাপানো ভ্যাট ও আয়কর মওকুফ এবং মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ করার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত