নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অনেকে মনে করতে পারে আওয়ামী লীগের সময় প্রশ্নফাঁস শুরু হয়েছে, সেটি সঠিক নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এটা আমাদের সময়ে শুরু হয়নি, শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। খালেদা জিয়ার আমলে আরও এক ধাপ বেশি। তখনতো তালিকা আসত, সবকিছুর তালিকা এবং যে তালিকা ওটা মানতেই হবে, না মানলে কেউ জানে বেঁচে থাকতে পারবে না। এটা ছিল বাংলাদেশের অবস্থা, এটা ভুলে গেলেতো চলবে না।’
আজ রোববার গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থা কী ছিল প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কোনো কথা বলতে পেরেছে? কী অবস্থা ছিল? এই যে অনিয়মগুলো করে রেখে গিয়েছিল, সেটিকে আবার সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছিলাম। ২০১৮ সালের পর থেকে আবার কিছুটা এরা ফাঁক পেয়ে যায়। বহু দিন থেকে পেছনে লেগে থেকে থেকে এখন ধরতে পেরেছি। ধরা পড়েছে, তদন্ত হবে, বিচার হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কঠোর হয়েছি বলেই দুর্নীতিবাজরা ধরা পড়ছে। এটা মাথায় রাখতে হবে। এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না।’
সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর আগে জঙ্গিবাদ ঠিক করার কথা ছিল, সেটা আমরা করেছি। জঙ্গিবাদ যখন আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম এখন দুর্নীতি যেটা আমার জিরো টলারেন্স ঘোষণা আছে, আমরা ধরছি। আমরা খুঁজে বের করছি বলেই কিন্তু আপনারা জানতে পারছেন। খোঁজ না করলেতো জানা যেত না। এভাবেই চলতো। কারণ এভাবেই চলছিল। সেই ৭৫-এর পর থেকেই এভাবে চলছে। এখন আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবেই। এখানে কোনো দ্বিধা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে, এটা ধরলে আমার সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমার দায়িত্বই হচ্ছে যে সকল অনিয়মগুলো আছে সেটা ধরে একটা জায়গায় দেশকে নিয়ে আসা। সুষ্ঠু ধারায় নিয়ে আসা। সেটা করার পদক্ষেপ নিয়েছি। সেটা অব্যাহত থাকবে।’
বিসিএসের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে যারা উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি করছেন, খুঁজে বের করা গেলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নেব না কেন? তাঁদেরতো চাকরি করার কোনো অধিকারই থাকবে না। এখন সেটা খুঁজে দেবে কে? ওরা যদি বলতে পারে যে, অমুকের কাছে বিক্রি করেছে তখন প্রমাণ করতে পারলে সেটি দেখা যাবে।’
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আনা হলেও ওই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে যারা অফিসার হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমিও সেটি বিশ্বাস করি, বেনিফিশিয়ারি যারা তাঁদেরও ধরা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ করবে না। কারণ ঘুষ যে দেবে আর ঘুষ যে নেবে উভয়েই অপরাধী। এটা মাথায় রাখতে হবে। প্রশ্নপত্র যারা ফাঁস করে আর সেই প্রশ্নপত্র যারা ক্রয় করে দুজনেই অপরাধী। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এদের খুঁজে বেরটা করবে কে? সাংবাদিকেরা যদি চেষ্টা করে বের করে দেয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা বলি, ২৪ তম বিসিএস পরীক্ষা হয়েছিল ২০০২ বা ২০০৩ সালে। বিএনপি আমলে যত পরীক্ষা হতো আর যত চাকরি হতো, এটা কোনো পরীক্ষা-টরিক্ষা না। ওই হাওয়া ভবন থেকে তালিকা পাঠানো হতো আর সেই তালিকায়ই হতো।’
‘সে সময় ঢাকা কলেজে পরীক্ষা হয় এবং একটা বিশেষ কামড়া তাঁদের জন্য আলাদা রাখা হয়। যেখানে বসে তাঁরা পরীক্ষা দিয়ে পাস করে চাকরিতে ঢোকে। তখন কোনো উচ্চবাচ্য নাই। এই যে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা এই অনিয়মগুলোতো তখন থেকেই শুরু। আমরা সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে এই জিনিসটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন হওয়ার পর এই গ্রুপটা কী করে যেন আবার এখানে জায়গা করে ফেলে, যেটা এখন ধরা পড়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাসার কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটা বাস্তব কথা। কী করে বানাল এই টাকা। যখন আমি জেনেছি তাঁকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।’
অনেকে মনে করতে পারে আওয়ামী লীগের সময় প্রশ্নফাঁস শুরু হয়েছে, সেটি সঠিক নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এটা আমাদের সময়ে শুরু হয়নি, শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। খালেদা জিয়ার আমলে আরও এক ধাপ বেশি। তখনতো তালিকা আসত, সবকিছুর তালিকা এবং যে তালিকা ওটা মানতেই হবে, না মানলে কেউ জানে বেঁচে থাকতে পারবে না। এটা ছিল বাংলাদেশের অবস্থা, এটা ভুলে গেলেতো চলবে না।’
আজ রোববার গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থা কী ছিল প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কোনো কথা বলতে পেরেছে? কী অবস্থা ছিল? এই যে অনিয়মগুলো করে রেখে গিয়েছিল, সেটিকে আবার সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছিলাম। ২০১৮ সালের পর থেকে আবার কিছুটা এরা ফাঁক পেয়ে যায়। বহু দিন থেকে পেছনে লেগে থেকে থেকে এখন ধরতে পেরেছি। ধরা পড়েছে, তদন্ত হবে, বিচার হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কঠোর হয়েছি বলেই দুর্নীতিবাজরা ধরা পড়ছে। এটা মাথায় রাখতে হবে। এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না।’
সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর আগে জঙ্গিবাদ ঠিক করার কথা ছিল, সেটা আমরা করেছি। জঙ্গিবাদ যখন আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম এখন দুর্নীতি যেটা আমার জিরো টলারেন্স ঘোষণা আছে, আমরা ধরছি। আমরা খুঁজে বের করছি বলেই কিন্তু আপনারা জানতে পারছেন। খোঁজ না করলেতো জানা যেত না। এভাবেই চলতো। কারণ এভাবেই চলছিল। সেই ৭৫-এর পর থেকেই এভাবে চলছে। এখন আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবেই। এখানে কোনো দ্বিধা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে, এটা ধরলে আমার সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমার দায়িত্বই হচ্ছে যে সকল অনিয়মগুলো আছে সেটা ধরে একটা জায়গায় দেশকে নিয়ে আসা। সুষ্ঠু ধারায় নিয়ে আসা। সেটা করার পদক্ষেপ নিয়েছি। সেটা অব্যাহত থাকবে।’
বিসিএসের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে যারা উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি করছেন, খুঁজে বের করা গেলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নেব না কেন? তাঁদেরতো চাকরি করার কোনো অধিকারই থাকবে না। এখন সেটা খুঁজে দেবে কে? ওরা যদি বলতে পারে যে, অমুকের কাছে বিক্রি করেছে তখন প্রমাণ করতে পারলে সেটি দেখা যাবে।’
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আনা হলেও ওই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে যারা অফিসার হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমিও সেটি বিশ্বাস করি, বেনিফিশিয়ারি যারা তাঁদেরও ধরা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ করবে না। কারণ ঘুষ যে দেবে আর ঘুষ যে নেবে উভয়েই অপরাধী। এটা মাথায় রাখতে হবে। প্রশ্নপত্র যারা ফাঁস করে আর সেই প্রশ্নপত্র যারা ক্রয় করে দুজনেই অপরাধী। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এদের খুঁজে বেরটা করবে কে? সাংবাদিকেরা যদি চেষ্টা করে বের করে দেয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা বলি, ২৪ তম বিসিএস পরীক্ষা হয়েছিল ২০০২ বা ২০০৩ সালে। বিএনপি আমলে যত পরীক্ষা হতো আর যত চাকরি হতো, এটা কোনো পরীক্ষা-টরিক্ষা না। ওই হাওয়া ভবন থেকে তালিকা পাঠানো হতো আর সেই তালিকায়ই হতো।’
‘সে সময় ঢাকা কলেজে পরীক্ষা হয় এবং একটা বিশেষ কামড়া তাঁদের জন্য আলাদা রাখা হয়। যেখানে বসে তাঁরা পরীক্ষা দিয়ে পাস করে চাকরিতে ঢোকে। তখন কোনো উচ্চবাচ্য নাই। এই যে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা এই অনিয়মগুলোতো তখন থেকেই শুরু। আমরা সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে এই জিনিসটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন হওয়ার পর এই গ্রুপটা কী করে যেন আবার এখানে জায়গা করে ফেলে, যেটা এখন ধরা পড়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাসার কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটা বাস্তব কথা। কী করে বানাল এই টাকা। যখন আমি জেনেছি তাঁকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুইবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুইবারের পর এক বার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে...
৩৬ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৯ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই দি
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি।’
৩ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিএনপি।
৩ ঘণ্টা আগে