নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিমো লার্নিং-এর আয়োজনে ‘সাক্ষরতায় বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো জাতীয় বিষয়কে প্রাইভেট বিষয় করে তুলেছি। এতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লাভ হয়েছে। যদি জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করেন তা কখনোই রক্ষিত হয় না। শ্রমিক যদি শারীরিকভাবে সক্ষম না হয় তাহলে কীভাবে কারখানায় কাজ করবে। শ্রমিক যদি বেসিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তাহলে কীভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কারখানায় নিয়ে আসবে। উপযুক্ত শিক্ষা হচ্ছে না বলেই একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সমাজে। তাই এটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা কখনোই প্রাইভেট বিষয় হতে পারে না, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই জাতি হিসেবে আমরা এগোতে পারব, না হলে একই চক্রে ঘুরপাক খেতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ধীরে ধীরে জাতীয় দায়িত্ব থেকে প্রাইভেট খাতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী লাভবান হলেও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন তৈরি হয়েছে—একদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অন্যদিকে প্রাইভেট ও ইংলিশ মিডিয়াম। এই বিভাজনই শিক্ষার ঐক্য নষ্ট করছে।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মনে করেন, ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আইন করা হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার ভাষায়, ‘যদি প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হয়, তবে এত বিপুলসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন গড়ে উঠল? সরকারি স্কুলগুলো কেন মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারল না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যেই পরিবর্তনগুলো দেখছেন সেই পরিবর্তনগুলো বর্তমান সময়েরই পরিবর্তন। কারণ আমাদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে বলতে পারেন একটি বাজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল। সেটাকে আমরা একটা নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছি এবং সেটা আস্তে আস্তে আপনাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠবে যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আমাদের কার্যক্রমগুলো।
যেই দেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তারাই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দক্ষ জনবল প্রয়োজনের মূলই হলো শিক্ষা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনের কথা কল্পনা করেন। যদিও দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে। কিন্তু আমরা স্বাধীন হয়েছি ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে। চীন স্বাধীন হয়েছে দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে। তারা কোথায় আজকে আর আমরা কোথায়। তাদের পলিসিতে তিনটা বিষয় তারা ঠিক রেখেছে, একটি হলো স্বাস্থ্য, দ্বিতীয়টি শিক্ষা আর তৃতীয়টি সামাজিক শৃঙ্খলা। এই তিনটা মূল মন্ত্রে চীন আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এটা পারছে না, তারা কোনো দিন এগোতে পারবে না। তারা বিশৃঙ্খলা মধ্যেই পড়ে থাকবে। ফলে জাতীয়ভাবে যদি চিন্তা করি, আমাদের প্রয়োজন জনগণকে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুশিক্ষিত গড়ে তোলা। এছাড়া উন্নয়নের কোনো পথ নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, কাগজে কলমে আমাদের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু আমরা প্রকৃত অর্থে ব্রিটিশরা আমাদের যা শিখিয়ে গেছে তার থেকে একচুলও এগোয়নি। আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য কি কেরানি তৈরি করা। এখনো তাই, এর বেশি কিছুই না। বাস্তবিকভাবে বিষয়টি ভাবেন, আমাদের আয়ের বড় উৎস হলো প্রবাসীদের আয়। কিন্তু তারা সবচেয়ে কম আয় করেন কারণ তাদের শিক্ষার স্তরটা খুবই দুর্বল। তাহলে জাতীয়ভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার প্রয়োজন।
নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান জাফর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। পরে আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সোহরাব হাসান, সাবেক শিক্ষিকা ও অভিনেত্রী দিলারা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কুতুবউদ্দিন, বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদুল ইসলাম খান।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষার ভিত তৈরি করে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি অবহেলার চোখে দেখা হয়। এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে কেন বিসিএসে যান। উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে সমাজের অভিভাবক ভাবা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা শিক্ষকদের সেই মর্যাদা দিতে পারিনি।’
বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় বের হয়েই দেখেন শিশুরা কাজ করছে। আমরা তাদের শিক্ষা দিতে পারছি না। তাই হঠাৎ করে কি শিশুশ্রম বন্ধ করে দিতে পারবেন? তাদের খাবারটা দেবে কে? পথশিশুটিকে আনবেন পড়াশোনার জন্য, সে কি আসবে? তাঁকে ইনসেনটিভ দিতে হবে তাহলেই আসবে। যারা শিক্ষাটা দেবে তাদেরও ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাহলেও সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যূনতম শিক্ষা না থাকায় বিদেশেও আমরা শ্রমিক পাঠাতে পারছি না। যদি এটা দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে বিদেশেও লোক পাঠানো যেত।’
এ সময় দেশের নানা পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক বলেন, আমরা নিজেরা যদি সবকিছুর দায় নিয়ে কাজ করি, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে ভালো যত আইন ও ব্যবস্থা রয়েছে সেসব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।’
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘কার্যকর সাক্ষরতা নিয়ে কাজ করছি। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা নানা কারণে ঝরে যায়। তারা স্কুলে আসছে না। তাই আমরাই তাদের কাছে যাচ্ছি। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কাজ শিখাচ্ছি। এতে দ্রুতই তারা চাকরিও পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই শিক্ষার পরিসরটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মানসম্মত শিক্ষাটা বাড়াতে হবে। গ্রাম ও শহরের বৈষম্যটা অবশ্যই কমাতে হবে।’
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘বাচ্চারা শিখবে আনন্দের ভেতর দিয়ে ভালোবাসার ভেতর দিয়ে। প্রচলিত পড়া ও পদ্ধতি আমি সেখান থেকে আলাদা হয়ে ক্লাসে সবাইকে নিয়ে হেসে নেচে গেয়ে বাচ্চাদের ভেতরে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে আসত খালি বাধা আর বাধা। অতঃপর সেই স্থান ত্যাগ করে আমি চলে এলাম জনগণের মাঝে। আমি জানি না সেটা আমার জন্য কতখানি অভিশাপের ব্যাপার হয়েছিল বা কষ্টের ব্যাপার হয়েছিল যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই আজকে এখানে ছুটে আসা।’
তিনি বলেন, ‘যত কমিশন হয়েছে, যা কিছু হয়েছে আমার মনে হয়েছে আমরা বাচ্চাদের কাছে যেতে পারছি না। কী কারণে যেতে পারিনি, তা নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিমো লার্নিং-এর আয়োজনে ‘সাক্ষরতায় বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো জাতীয় বিষয়কে প্রাইভেট বিষয় করে তুলেছি। এতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লাভ হয়েছে। যদি জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করেন তা কখনোই রক্ষিত হয় না। শ্রমিক যদি শারীরিকভাবে সক্ষম না হয় তাহলে কীভাবে কারখানায় কাজ করবে। শ্রমিক যদি বেসিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তাহলে কীভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কারখানায় নিয়ে আসবে। উপযুক্ত শিক্ষা হচ্ছে না বলেই একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সমাজে। তাই এটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা কখনোই প্রাইভেট বিষয় হতে পারে না, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই জাতি হিসেবে আমরা এগোতে পারব, না হলে একই চক্রে ঘুরপাক খেতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ধীরে ধীরে জাতীয় দায়িত্ব থেকে প্রাইভেট খাতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী লাভবান হলেও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন তৈরি হয়েছে—একদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অন্যদিকে প্রাইভেট ও ইংলিশ মিডিয়াম। এই বিভাজনই শিক্ষার ঐক্য নষ্ট করছে।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মনে করেন, ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আইন করা হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার ভাষায়, ‘যদি প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হয়, তবে এত বিপুলসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন গড়ে উঠল? সরকারি স্কুলগুলো কেন মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারল না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যেই পরিবর্তনগুলো দেখছেন সেই পরিবর্তনগুলো বর্তমান সময়েরই পরিবর্তন। কারণ আমাদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে বলতে পারেন একটি বাজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল। সেটাকে আমরা একটা নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছি এবং সেটা আস্তে আস্তে আপনাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠবে যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আমাদের কার্যক্রমগুলো।
যেই দেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তারাই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দক্ষ জনবল প্রয়োজনের মূলই হলো শিক্ষা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনের কথা কল্পনা করেন। যদিও দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে। কিন্তু আমরা স্বাধীন হয়েছি ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে। চীন স্বাধীন হয়েছে দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে। তারা কোথায় আজকে আর আমরা কোথায়। তাদের পলিসিতে তিনটা বিষয় তারা ঠিক রেখেছে, একটি হলো স্বাস্থ্য, দ্বিতীয়টি শিক্ষা আর তৃতীয়টি সামাজিক শৃঙ্খলা। এই তিনটা মূল মন্ত্রে চীন আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এটা পারছে না, তারা কোনো দিন এগোতে পারবে না। তারা বিশৃঙ্খলা মধ্যেই পড়ে থাকবে। ফলে জাতীয়ভাবে যদি চিন্তা করি, আমাদের প্রয়োজন জনগণকে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুশিক্ষিত গড়ে তোলা। এছাড়া উন্নয়নের কোনো পথ নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, কাগজে কলমে আমাদের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু আমরা প্রকৃত অর্থে ব্রিটিশরা আমাদের যা শিখিয়ে গেছে তার থেকে একচুলও এগোয়নি। আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য কি কেরানি তৈরি করা। এখনো তাই, এর বেশি কিছুই না। বাস্তবিকভাবে বিষয়টি ভাবেন, আমাদের আয়ের বড় উৎস হলো প্রবাসীদের আয়। কিন্তু তারা সবচেয়ে কম আয় করেন কারণ তাদের শিক্ষার স্তরটা খুবই দুর্বল। তাহলে জাতীয়ভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার প্রয়োজন।
নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান জাফর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। পরে আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সোহরাব হাসান, সাবেক শিক্ষিকা ও অভিনেত্রী দিলারা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কুতুবউদ্দিন, বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদুল ইসলাম খান।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষার ভিত তৈরি করে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি অবহেলার চোখে দেখা হয়। এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে কেন বিসিএসে যান। উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে সমাজের অভিভাবক ভাবা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা শিক্ষকদের সেই মর্যাদা দিতে পারিনি।’
বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় বের হয়েই দেখেন শিশুরা কাজ করছে। আমরা তাদের শিক্ষা দিতে পারছি না। তাই হঠাৎ করে কি শিশুশ্রম বন্ধ করে দিতে পারবেন? তাদের খাবারটা দেবে কে? পথশিশুটিকে আনবেন পড়াশোনার জন্য, সে কি আসবে? তাঁকে ইনসেনটিভ দিতে হবে তাহলেই আসবে। যারা শিক্ষাটা দেবে তাদেরও ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাহলেও সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যূনতম শিক্ষা না থাকায় বিদেশেও আমরা শ্রমিক পাঠাতে পারছি না। যদি এটা দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে বিদেশেও লোক পাঠানো যেত।’
এ সময় দেশের নানা পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক বলেন, আমরা নিজেরা যদি সবকিছুর দায় নিয়ে কাজ করি, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে ভালো যত আইন ও ব্যবস্থা রয়েছে সেসব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।’
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘কার্যকর সাক্ষরতা নিয়ে কাজ করছি। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা নানা কারণে ঝরে যায়। তারা স্কুলে আসছে না। তাই আমরাই তাদের কাছে যাচ্ছি। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কাজ শিখাচ্ছি। এতে দ্রুতই তারা চাকরিও পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই শিক্ষার পরিসরটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মানসম্মত শিক্ষাটা বাড়াতে হবে। গ্রাম ও শহরের বৈষম্যটা অবশ্যই কমাতে হবে।’
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘বাচ্চারা শিখবে আনন্দের ভেতর দিয়ে ভালোবাসার ভেতর দিয়ে। প্রচলিত পড়া ও পদ্ধতি আমি সেখান থেকে আলাদা হয়ে ক্লাসে সবাইকে নিয়ে হেসে নেচে গেয়ে বাচ্চাদের ভেতরে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে আসত খালি বাধা আর বাধা। অতঃপর সেই স্থান ত্যাগ করে আমি চলে এলাম জনগণের মাঝে। আমি জানি না সেটা আমার জন্য কতখানি অভিশাপের ব্যাপার হয়েছিল বা কষ্টের ব্যাপার হয়েছিল যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই আজকে এখানে ছুটে আসা।’
তিনি বলেন, ‘যত কমিশন হয়েছে, যা কিছু হয়েছে আমার মনে হয়েছে আমরা বাচ্চাদের কাছে যেতে পারছি না। কী কারণে যেতে পারিনি, তা নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিমো লার্নিং-এর আয়োজনে ‘সাক্ষরতায় বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো জাতীয় বিষয়কে প্রাইভেট বিষয় করে তুলেছি। এতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লাভ হয়েছে। যদি জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করেন তা কখনোই রক্ষিত হয় না। শ্রমিক যদি শারীরিকভাবে সক্ষম না হয় তাহলে কীভাবে কারখানায় কাজ করবে। শ্রমিক যদি বেসিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তাহলে কীভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কারখানায় নিয়ে আসবে। উপযুক্ত শিক্ষা হচ্ছে না বলেই একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সমাজে। তাই এটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা কখনোই প্রাইভেট বিষয় হতে পারে না, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই জাতি হিসেবে আমরা এগোতে পারব, না হলে একই চক্রে ঘুরপাক খেতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ধীরে ধীরে জাতীয় দায়িত্ব থেকে প্রাইভেট খাতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী লাভবান হলেও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন তৈরি হয়েছে—একদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অন্যদিকে প্রাইভেট ও ইংলিশ মিডিয়াম। এই বিভাজনই শিক্ষার ঐক্য নষ্ট করছে।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মনে করেন, ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আইন করা হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার ভাষায়, ‘যদি প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হয়, তবে এত বিপুলসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন গড়ে উঠল? সরকারি স্কুলগুলো কেন মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারল না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যেই পরিবর্তনগুলো দেখছেন সেই পরিবর্তনগুলো বর্তমান সময়েরই পরিবর্তন। কারণ আমাদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে বলতে পারেন একটি বাজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল। সেটাকে আমরা একটা নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছি এবং সেটা আস্তে আস্তে আপনাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠবে যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আমাদের কার্যক্রমগুলো।
যেই দেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তারাই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দক্ষ জনবল প্রয়োজনের মূলই হলো শিক্ষা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনের কথা কল্পনা করেন। যদিও দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে। কিন্তু আমরা স্বাধীন হয়েছি ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে। চীন স্বাধীন হয়েছে দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে। তারা কোথায় আজকে আর আমরা কোথায়। তাদের পলিসিতে তিনটা বিষয় তারা ঠিক রেখেছে, একটি হলো স্বাস্থ্য, দ্বিতীয়টি শিক্ষা আর তৃতীয়টি সামাজিক শৃঙ্খলা। এই তিনটা মূল মন্ত্রে চীন আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এটা পারছে না, তারা কোনো দিন এগোতে পারবে না। তারা বিশৃঙ্খলা মধ্যেই পড়ে থাকবে। ফলে জাতীয়ভাবে যদি চিন্তা করি, আমাদের প্রয়োজন জনগণকে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুশিক্ষিত গড়ে তোলা। এছাড়া উন্নয়নের কোনো পথ নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, কাগজে কলমে আমাদের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু আমরা প্রকৃত অর্থে ব্রিটিশরা আমাদের যা শিখিয়ে গেছে তার থেকে একচুলও এগোয়নি। আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য কি কেরানি তৈরি করা। এখনো তাই, এর বেশি কিছুই না। বাস্তবিকভাবে বিষয়টি ভাবেন, আমাদের আয়ের বড় উৎস হলো প্রবাসীদের আয়। কিন্তু তারা সবচেয়ে কম আয় করেন কারণ তাদের শিক্ষার স্তরটা খুবই দুর্বল। তাহলে জাতীয়ভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার প্রয়োজন।
নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান জাফর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। পরে আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সোহরাব হাসান, সাবেক শিক্ষিকা ও অভিনেত্রী দিলারা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কুতুবউদ্দিন, বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদুল ইসলাম খান।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষার ভিত তৈরি করে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি অবহেলার চোখে দেখা হয়। এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে কেন বিসিএসে যান। উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে সমাজের অভিভাবক ভাবা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা শিক্ষকদের সেই মর্যাদা দিতে পারিনি।’
বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় বের হয়েই দেখেন শিশুরা কাজ করছে। আমরা তাদের শিক্ষা দিতে পারছি না। তাই হঠাৎ করে কি শিশুশ্রম বন্ধ করে দিতে পারবেন? তাদের খাবারটা দেবে কে? পথশিশুটিকে আনবেন পড়াশোনার জন্য, সে কি আসবে? তাঁকে ইনসেনটিভ দিতে হবে তাহলেই আসবে। যারা শিক্ষাটা দেবে তাদেরও ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাহলেও সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যূনতম শিক্ষা না থাকায় বিদেশেও আমরা শ্রমিক পাঠাতে পারছি না। যদি এটা দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে বিদেশেও লোক পাঠানো যেত।’
এ সময় দেশের নানা পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক বলেন, আমরা নিজেরা যদি সবকিছুর দায় নিয়ে কাজ করি, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে ভালো যত আইন ও ব্যবস্থা রয়েছে সেসব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।’
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘কার্যকর সাক্ষরতা নিয়ে কাজ করছি। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা নানা কারণে ঝরে যায়। তারা স্কুলে আসছে না। তাই আমরাই তাদের কাছে যাচ্ছি। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কাজ শিখাচ্ছি। এতে দ্রুতই তারা চাকরিও পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই শিক্ষার পরিসরটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মানসম্মত শিক্ষাটা বাড়াতে হবে। গ্রাম ও শহরের বৈষম্যটা অবশ্যই কমাতে হবে।’
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘বাচ্চারা শিখবে আনন্দের ভেতর দিয়ে ভালোবাসার ভেতর দিয়ে। প্রচলিত পড়া ও পদ্ধতি আমি সেখান থেকে আলাদা হয়ে ক্লাসে সবাইকে নিয়ে হেসে নেচে গেয়ে বাচ্চাদের ভেতরে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে আসত খালি বাধা আর বাধা। অতঃপর সেই স্থান ত্যাগ করে আমি চলে এলাম জনগণের মাঝে। আমি জানি না সেটা আমার জন্য কতখানি অভিশাপের ব্যাপার হয়েছিল বা কষ্টের ব্যাপার হয়েছিল যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই আজকে এখানে ছুটে আসা।’
তিনি বলেন, ‘যত কমিশন হয়েছে, যা কিছু হয়েছে আমার মনে হয়েছে আমরা বাচ্চাদের কাছে যেতে পারছি না। কী কারণে যেতে পারিনি, তা নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিমো লার্নিং-এর আয়োজনে ‘সাক্ষরতায় বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো জাতীয় বিষয়কে প্রাইভেট বিষয় করে তুলেছি। এতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লাভ হয়েছে। যদি জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করেন তা কখনোই রক্ষিত হয় না। শ্রমিক যদি শারীরিকভাবে সক্ষম না হয় তাহলে কীভাবে কারখানায় কাজ করবে। শ্রমিক যদি বেসিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তাহলে কীভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কারখানায় নিয়ে আসবে। উপযুক্ত শিক্ষা হচ্ছে না বলেই একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সমাজে। তাই এটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা কখনোই প্রাইভেট বিষয় হতে পারে না, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই জাতি হিসেবে আমরা এগোতে পারব, না হলে একই চক্রে ঘুরপাক খেতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ধীরে ধীরে জাতীয় দায়িত্ব থেকে প্রাইভেট খাতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী লাভবান হলেও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন তৈরি হয়েছে—একদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অন্যদিকে প্রাইভেট ও ইংলিশ মিডিয়াম। এই বিভাজনই শিক্ষার ঐক্য নষ্ট করছে।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মনে করেন, ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আইন করা হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার ভাষায়, ‘যদি প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হয়, তবে এত বিপুলসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন গড়ে উঠল? সরকারি স্কুলগুলো কেন মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারল না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যেই পরিবর্তনগুলো দেখছেন সেই পরিবর্তনগুলো বর্তমান সময়েরই পরিবর্তন। কারণ আমাদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে বলতে পারেন একটি বাজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল। সেটাকে আমরা একটা নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছি এবং সেটা আস্তে আস্তে আপনাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠবে যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আমাদের কার্যক্রমগুলো।
যেই দেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তারাই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দক্ষ জনবল প্রয়োজনের মূলই হলো শিক্ষা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনের কথা কল্পনা করেন। যদিও দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে। কিন্তু আমরা স্বাধীন হয়েছি ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে। চীন স্বাধীন হয়েছে দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে। তারা কোথায় আজকে আর আমরা কোথায়। তাদের পলিসিতে তিনটা বিষয় তারা ঠিক রেখেছে, একটি হলো স্বাস্থ্য, দ্বিতীয়টি শিক্ষা আর তৃতীয়টি সামাজিক শৃঙ্খলা। এই তিনটা মূল মন্ত্রে চীন আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এটা পারছে না, তারা কোনো দিন এগোতে পারবে না। তারা বিশৃঙ্খলা মধ্যেই পড়ে থাকবে। ফলে জাতীয়ভাবে যদি চিন্তা করি, আমাদের প্রয়োজন জনগণকে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুশিক্ষিত গড়ে তোলা। এছাড়া উন্নয়নের কোনো পথ নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, কাগজে কলমে আমাদের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু আমরা প্রকৃত অর্থে ব্রিটিশরা আমাদের যা শিখিয়ে গেছে তার থেকে একচুলও এগোয়নি। আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য কি কেরানি তৈরি করা। এখনো তাই, এর বেশি কিছুই না। বাস্তবিকভাবে বিষয়টি ভাবেন, আমাদের আয়ের বড় উৎস হলো প্রবাসীদের আয়। কিন্তু তারা সবচেয়ে কম আয় করেন কারণ তাদের শিক্ষার স্তরটা খুবই দুর্বল। তাহলে জাতীয়ভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার প্রয়োজন।
নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান জাফর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। পরে আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সোহরাব হাসান, সাবেক শিক্ষিকা ও অভিনেত্রী দিলারা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কুতুবউদ্দিন, বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদুল ইসলাম খান।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষার ভিত তৈরি করে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি অবহেলার চোখে দেখা হয়। এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে কেন বিসিএসে যান। উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে সমাজের অভিভাবক ভাবা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা শিক্ষকদের সেই মর্যাদা দিতে পারিনি।’
বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় বের হয়েই দেখেন শিশুরা কাজ করছে। আমরা তাদের শিক্ষা দিতে পারছি না। তাই হঠাৎ করে কি শিশুশ্রম বন্ধ করে দিতে পারবেন? তাদের খাবারটা দেবে কে? পথশিশুটিকে আনবেন পড়াশোনার জন্য, সে কি আসবে? তাঁকে ইনসেনটিভ দিতে হবে তাহলেই আসবে। যারা শিক্ষাটা দেবে তাদেরও ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাহলেও সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যূনতম শিক্ষা না থাকায় বিদেশেও আমরা শ্রমিক পাঠাতে পারছি না। যদি এটা দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে বিদেশেও লোক পাঠানো যেত।’
এ সময় দেশের নানা পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক বলেন, আমরা নিজেরা যদি সবকিছুর দায় নিয়ে কাজ করি, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে ভালো যত আইন ও ব্যবস্থা রয়েছে সেসব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।’
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘কার্যকর সাক্ষরতা নিয়ে কাজ করছি। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা নানা কারণে ঝরে যায়। তারা স্কুলে আসছে না। তাই আমরাই তাদের কাছে যাচ্ছি। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কাজ শিখাচ্ছি। এতে দ্রুতই তারা চাকরিও পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই শিক্ষার পরিসরটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মানসম্মত শিক্ষাটা বাড়াতে হবে। গ্রাম ও শহরের বৈষম্যটা অবশ্যই কমাতে হবে।’
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘বাচ্চারা শিখবে আনন্দের ভেতর দিয়ে ভালোবাসার ভেতর দিয়ে। প্রচলিত পড়া ও পদ্ধতি আমি সেখান থেকে আলাদা হয়ে ক্লাসে সবাইকে নিয়ে হেসে নেচে গেয়ে বাচ্চাদের ভেতরে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে আসত খালি বাধা আর বাধা। অতঃপর সেই স্থান ত্যাগ করে আমি চলে এলাম জনগণের মাঝে। আমি জানি না সেটা আমার জন্য কতখানি অভিশাপের ব্যাপার হয়েছিল বা কষ্টের ব্যাপার হয়েছিল যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই আজকে এখানে ছুটে আসা।’
তিনি বলেন, ‘যত কমিশন হয়েছে, যা কিছু হয়েছে আমার মনে হয়েছে আমরা বাচ্চাদের কাছে যেতে পারছি না। কী কারণে যেতে পারিনি, তা নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে।’

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৭ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে