নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিমো লার্নিং-এর আয়োজনে ‘সাক্ষরতায় বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো জাতীয় বিষয়কে প্রাইভেট বিষয় করে তুলেছি। এতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লাভ হয়েছে। যদি জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করেন তা কখনোই রক্ষিত হয় না। শ্রমিক যদি শারীরিকভাবে সক্ষম না হয় তাহলে কীভাবে কারখানায় কাজ করবে। শ্রমিক যদি বেসিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তাহলে কীভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কারখানায় নিয়ে আসবে। উপযুক্ত শিক্ষা হচ্ছে না বলেই একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সমাজে। তাই এটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা কখনোই প্রাইভেট বিষয় হতে পারে না, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই জাতি হিসেবে আমরা এগোতে পারব, না হলে একই চক্রে ঘুরপাক খেতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ধীরে ধীরে জাতীয় দায়িত্ব থেকে প্রাইভেট খাতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী লাভবান হলেও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন তৈরি হয়েছে—একদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অন্যদিকে প্রাইভেট ও ইংলিশ মিডিয়াম। এই বিভাজনই শিক্ষার ঐক্য নষ্ট করছে।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মনে করেন, ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আইন করা হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার ভাষায়, ‘যদি প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হয়, তবে এত বিপুলসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন গড়ে উঠল? সরকারি স্কুলগুলো কেন মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারল না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যেই পরিবর্তনগুলো দেখছেন সেই পরিবর্তনগুলো বর্তমান সময়েরই পরিবর্তন। কারণ আমাদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে বলতে পারেন একটি বাজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল। সেটাকে আমরা একটা নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছি এবং সেটা আস্তে আস্তে আপনাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠবে যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আমাদের কার্যক্রমগুলো।
যেই দেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তারাই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দক্ষ জনবল প্রয়োজনের মূলই হলো শিক্ষা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনের কথা কল্পনা করেন। যদিও দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে। কিন্তু আমরা স্বাধীন হয়েছি ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে। চীন স্বাধীন হয়েছে দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে। তারা কোথায় আজকে আর আমরা কোথায়। তাদের পলিসিতে তিনটা বিষয় তারা ঠিক রেখেছে, একটি হলো স্বাস্থ্য, দ্বিতীয়টি শিক্ষা আর তৃতীয়টি সামাজিক শৃঙ্খলা। এই তিনটা মূল মন্ত্রে চীন আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এটা পারছে না, তারা কোনো দিন এগোতে পারবে না। তারা বিশৃঙ্খলা মধ্যেই পড়ে থাকবে। ফলে জাতীয়ভাবে যদি চিন্তা করি, আমাদের প্রয়োজন জনগণকে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুশিক্ষিত গড়ে তোলা। এছাড়া উন্নয়নের কোনো পথ নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, কাগজে কলমে আমাদের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু আমরা প্রকৃত অর্থে ব্রিটিশরা আমাদের যা শিখিয়ে গেছে তার থেকে একচুলও এগোয়নি। আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য কি কেরানি তৈরি করা। এখনো তাই, এর বেশি কিছুই না। বাস্তবিকভাবে বিষয়টি ভাবেন, আমাদের আয়ের বড় উৎস হলো প্রবাসীদের আয়। কিন্তু তারা সবচেয়ে কম আয় করেন কারণ তাদের শিক্ষার স্তরটা খুবই দুর্বল। তাহলে জাতীয়ভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার প্রয়োজন।
নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান জাফর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। পরে আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সোহরাব হাসান, সাবেক শিক্ষিকা ও অভিনেত্রী দিলারা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কুতুবউদ্দিন, বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদুল ইসলাম খান।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষার ভিত তৈরি করে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি অবহেলার চোখে দেখা হয়। এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে কেন বিসিএসে যান। উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে সমাজের অভিভাবক ভাবা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা শিক্ষকদের সেই মর্যাদা দিতে পারিনি।’
বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় বের হয়েই দেখেন শিশুরা কাজ করছে। আমরা তাদের শিক্ষা দিতে পারছি না। তাই হঠাৎ করে কি শিশুশ্রম বন্ধ করে দিতে পারবেন? তাদের খাবারটা দেবে কে? পথশিশুটিকে আনবেন পড়াশোনার জন্য, সে কি আসবে? তাঁকে ইনসেনটিভ দিতে হবে তাহলেই আসবে। যারা শিক্ষাটা দেবে তাদেরও ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাহলেও সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যূনতম শিক্ষা না থাকায় বিদেশেও আমরা শ্রমিক পাঠাতে পারছি না। যদি এটা দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে বিদেশেও লোক পাঠানো যেত।’
এ সময় দেশের নানা পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক বলেন, আমরা নিজেরা যদি সবকিছুর দায় নিয়ে কাজ করি, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে ভালো যত আইন ও ব্যবস্থা রয়েছে সেসব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।’
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘কার্যকর সাক্ষরতা নিয়ে কাজ করছি। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা নানা কারণে ঝরে যায়। তারা স্কুলে আসছে না। তাই আমরাই তাদের কাছে যাচ্ছি। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কাজ শিখাচ্ছি। এতে দ্রুতই তারা চাকরিও পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই শিক্ষার পরিসরটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মানসম্মত শিক্ষাটা বাড়াতে হবে। গ্রাম ও শহরের বৈষম্যটা অবশ্যই কমাতে হবে।’
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘বাচ্চারা শিখবে আনন্দের ভেতর দিয়ে ভালোবাসার ভেতর দিয়ে। প্রচলিত পড়া ও পদ্ধতি আমি সেখান থেকে আলাদা হয়ে ক্লাসে সবাইকে নিয়ে হেসে নেচে গেয়ে বাচ্চাদের ভেতরে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে আসত খালি বাধা আর বাধা। অতঃপর সেই স্থান ত্যাগ করে আমি চলে এলাম জনগণের মাঝে। আমি জানি না সেটা আমার জন্য কতখানি অভিশাপের ব্যাপার হয়েছিল বা কষ্টের ব্যাপার হয়েছিল যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই আজকে এখানে ছুটে আসা।’
তিনি বলেন, ‘যত কমিশন হয়েছে, যা কিছু হয়েছে আমার মনে হয়েছে আমরা বাচ্চাদের কাছে যেতে পারছি না। কী কারণে যেতে পারিনি, তা নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিমো লার্নিং-এর আয়োজনে ‘সাক্ষরতায় বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রমেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো জাতীয় বিষয়কে প্রাইভেট বিষয় করে তুলেছি। এতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লাভ হয়েছে। যদি জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করেন তা কখনোই রক্ষিত হয় না। শ্রমিক যদি শারীরিকভাবে সক্ষম না হয় তাহলে কীভাবে কারখানায় কাজ করবে। শ্রমিক যদি বেসিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তাহলে কীভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কারখানায় নিয়ে আসবে। উপযুক্ত শিক্ষা হচ্ছে না বলেই একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সমাজে। তাই এটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা কখনোই প্রাইভেট বিষয় হতে পারে না, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই জাতি হিসেবে আমরা এগোতে পারব, না হলে একই চক্রে ঘুরপাক খেতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ধীরে ধীরে জাতীয় দায়িত্ব থেকে প্রাইভেট খাতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী লাভবান হলেও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন তৈরি হয়েছে—একদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অন্যদিকে প্রাইভেট ও ইংলিশ মিডিয়াম। এই বিভাজনই শিক্ষার ঐক্য নষ্ট করছে।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মনে করেন, ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আইন করা হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। তার ভাষায়, ‘যদি প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হয়, তবে এত বিপুলসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন গড়ে উঠল? সরকারি স্কুলগুলো কেন মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারল না? এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর যেই পরিবর্তনগুলো দেখছেন সেই পরিবর্তনগুলো বর্তমান সময়েরই পরিবর্তন। কারণ আমাদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে বলতে পারেন একটি বাজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল। সেটাকে আমরা একটা নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছি এবং সেটা আস্তে আস্তে আপনাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়ে উঠবে যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আমাদের কার্যক্রমগুলো।
যেই দেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তারাই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দক্ষ জনবল প্রয়োজনের মূলই হলো শিক্ষা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনের কথা কল্পনা করেন। যদিও দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে। কিন্তু আমরা স্বাধীন হয়েছি ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে। চীন স্বাধীন হয়েছে দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে। তারা কোথায় আজকে আর আমরা কোথায়। তাদের পলিসিতে তিনটা বিষয় তারা ঠিক রেখেছে, একটি হলো স্বাস্থ্য, দ্বিতীয়টি শিক্ষা আর তৃতীয়টি সামাজিক শৃঙ্খলা। এই তিনটা মূল মন্ত্রে চীন আজ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা এটা পারছে না, তারা কোনো দিন এগোতে পারবে না। তারা বিশৃঙ্খলা মধ্যেই পড়ে থাকবে। ফলে জাতীয়ভাবে যদি চিন্তা করি, আমাদের প্রয়োজন জনগণকে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুশিক্ষিত গড়ে তোলা। এছাড়া উন্নয়নের কোনো পথ নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, কাগজে কলমে আমাদের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু আমরা প্রকৃত অর্থে ব্রিটিশরা আমাদের যা শিখিয়ে গেছে তার থেকে একচুলও এগোয়নি। আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য কি কেরানি তৈরি করা। এখনো তাই, এর বেশি কিছুই না। বাস্তবিকভাবে বিষয়টি ভাবেন, আমাদের আয়ের বড় উৎস হলো প্রবাসীদের আয়। কিন্তু তারা সবচেয়ে কম আয় করেন কারণ তাদের শিক্ষার স্তরটা খুবই দুর্বল। তাহলে জাতীয়ভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার প্রয়োজন।
নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান জাফর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। পরে আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সোহরাব হাসান, সাবেক শিক্ষিকা ও অভিনেত্রী দিলারা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কুতুবউদ্দিন, বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদুল ইসলাম খান।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষার ভিত তৈরি করে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি অবহেলার চোখে দেখা হয়। এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যাচ্ছে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে কেন বিসিএসে যান। উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে সমাজের অভিভাবক ভাবা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা শিক্ষকদের সেই মর্যাদা দিতে পারিনি।’
বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় বের হয়েই দেখেন শিশুরা কাজ করছে। আমরা তাদের শিক্ষা দিতে পারছি না। তাই হঠাৎ করে কি শিশুশ্রম বন্ধ করে দিতে পারবেন? তাদের খাবারটা দেবে কে? পথশিশুটিকে আনবেন পড়াশোনার জন্য, সে কি আসবে? তাঁকে ইনসেনটিভ দিতে হবে তাহলেই আসবে। যারা শিক্ষাটা দেবে তাদেরও ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাহলেও সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যূনতম শিক্ষা না থাকায় বিদেশেও আমরা শ্রমিক পাঠাতে পারছি না। যদি এটা দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে বিদেশেও লোক পাঠানো যেত।’
এ সময় দেশের নানা পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক বলেন, আমরা নিজেরা যদি সবকিছুর দায় নিয়ে কাজ করি, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে ভালো যত আইন ও ব্যবস্থা রয়েছে সেসব যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার।’
উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘কার্যকর সাক্ষরতা নিয়ে কাজ করছি। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা নানা কারণে ঝরে যায়। তারা স্কুলে আসছে না। তাই আমরাই তাদের কাছে যাচ্ছি। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কাজ শিখাচ্ছি। এতে দ্রুতই তারা চাকরিও পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই শিক্ষার পরিসরটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মানসম্মত শিক্ষাটা বাড়াতে হবে। গ্রাম ও শহরের বৈষম্যটা অবশ্যই কমাতে হবে।’
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘বাচ্চারা শিখবে আনন্দের ভেতর দিয়ে ভালোবাসার ভেতর দিয়ে। প্রচলিত পড়া ও পদ্ধতি আমি সেখান থেকে আলাদা হয়ে ক্লাসে সবাইকে নিয়ে হেসে নেচে গেয়ে বাচ্চাদের ভেতরে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে আসত খালি বাধা আর বাধা। অতঃপর সেই স্থান ত্যাগ করে আমি চলে এলাম জনগণের মাঝে। আমি জানি না সেটা আমার জন্য কতখানি অভিশাপের ব্যাপার হয়েছিল বা কষ্টের ব্যাপার হয়েছিল যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই আজকে এখানে ছুটে আসা।’
তিনি বলেন, ‘যত কমিশন হয়েছে, যা কিছু হয়েছে আমার মনে হয়েছে আমরা বাচ্চাদের কাছে যেতে পারছি না। কী কারণে যেতে পারিনি, তা নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে আদালত থেকে কারাগারে ফেরত নেওয়ার সময় অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের এক এসআই ও ১০ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পুলিশের এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়।
৩৮ মিনিট আগেধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী জ্ঞান প্রচার, সত্যের পক্ষে অবস্থান এবং মিথ্যা ও অশ্লীলতা পরিহার করা অপরিহার্য। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা অনুসারে যদি সততা, নৈতিকতা ও কল্যাণকে সামনে রেখে সামাজিক যো
৪ ঘণ্টা আগেরূপপুর গ্রিনসিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ২০ ও ১৬তলা ভবনের আসবাব ও অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে ওঠানোর কাজে ‘অস্বাভাবিক ব্যয়ের’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এ কারণে অভিযুক্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দুই উপসহকারী প্রকৌশলীকে গুরুদণ্ড দিয়েছে সরকার...
৬ ঘণ্টা আগেগত দুই দশকে দেশে ৭০টির বেশি সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে এসব কলেজের অধিকাংশই শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মান পুরোপুরি বজায় রাখতে পারছে না। এ নিয়ে শিক্ষাবিদসহ বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। এমন প্রেক্ষাপটে চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়গুলোর যথাযথ মান নিশ্চিত করতে সরকার
১২ ঘণ্টা আগে