Ajker Patrika

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ৭ বছর আজ

পথে নিরাপত্তা এখনো দুরাশা

  • আন্দোলনের ৭ বছর পরও সড়কে মৃত্যু বাড়ছেই
  • যে আইন আছে, তারও পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগ নেই।
  • ৯ দফা দাবির আংশিক বাস্তবায়ন মাত্র ২টির।
  • শৃঙ্খলার পথে বড় বাধা পরিবহন খাতের নেতারা
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১১: ২৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই কলেজশিক্ষার্থী। সেই ঘটনার পর শুরু হয়েছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। ধরন ও মাত্রার দিক থেকে তা ছিল দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ঢাকার হাজারো শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে। তারা হাতে তুলে নেয় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব। যানচালকদের নিয়ম মানতে বাধ্য করার পাশাপাশি লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেসসহ অন্যান্য কাগজ পরীক্ষা করতে থাকে তারা। শিক্ষার্থীদের সে আন্দোলনের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন গড়ে উঠেছিল। সরকার বাধ্য হয় নতুন আইন করতে।

আজ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সাত বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কের নিরাপত্তা এখনো অধরাই থেকে গেছে। সড়কে প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে মানুষ। দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। অদক্ষ চালকেরা স্টিয়ারিংয়ে বহাল। পথ ঠিকই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসহীন, লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। পরিবহনমালিকেরা গত রোববারই ঘোষণা দিয়েছেন পুরোনো গাড়ির মেয়াদ বৃদ্ধি, পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে মাঠে নামার। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দায়ে সাজার যে ধারা রয়েছে, তা সংশোধন করা।

অপূর্ণ আন্দোলনের প্রতিশ্রুতিগুলো

২০১৮ সালে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি তুলেছিল। এর মধ্যে ছিল চালকদের বৈধ লাইসেন্স ও যানবাহনের ফিটনেস সনদ নিশ্চিত করা, দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাসের ব্যবস্থা, সড়কে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ করা ইত্যাদি।

আন্দোলন থামাতে সরকারের পক্ষ থেকে তখন পরিবহন আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি আসে। নতুন সড়ক পরিবহন আইন (২০১৮) পাসও হয়। কিন্তু এখনো তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) সভাপতি ও ২০১৮ সালের আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মেহেদি দীপ্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৮ সালের ৯ দফা দাবির মধ্যে কেবল সড়ক পরিবহন আইন ও হাফ ভাড়া আংশিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে আইনটি কাগজে থাকলেও বাস্তবে নেই, আর হাফ ভাড়া শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ। সার্বিকভাবে বলতে গেলে, সড়কের বিশৃঙ্খলার চিত্র এখনো বদলায়নি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে নিরাপদ সড়ক এখনো কেবল স্বপ্নই থেকে গেছে।’

দুর্ঘটনা বেড়েছে আরও সড়ক নিরাপদ হওয়ার বদলে উল্টো

দুর্ঘটনার হার বেড়েছে। বিশেষ করে কেউ দূরের পথে বের হলে নিরাপদে পৌঁছানো আর ফেরা নিয়ে স্বজনদের উৎকণ্ঠার শেষ থাকে না। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২ হাজারের বেশি। আহত হয়েছে প্রায় ৬৬ হাজার, যাদের অনেকে চিরতরে শারীরিকভাবে অক্ষম। প্রতিবছর দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৪ হাজার ৪৩৯ জন। ২০২৪ সালে এসে নিহতের সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৪। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই ৩ হাজার ৬৮৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩ হাজার ৬৬২ জন।

বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিতে পরিস্থিতি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘বিগত সময়ে পরিস্থিতির কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। বরং এমন সব উপাদান যুক্ত হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে যে প্রধান ইস্যুগুলোতে আমাদের কাজ করা উচিত, তার সবগুলোতেই আমরা পিছিয়ে আছি।’

অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ আরও বলেন, চালকদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়নি। লাইসেন্স ব্যবস্থায় রয়েছে বড় ধরনের দুর্বলতা। সড়কের গঠনগত ত্রুটি চিহ্নিত ও সমাধানে কার্যকর কোনো প্রকৌশলগত মনিটরিং ব্যবস্থা নেই। রাজধানীতে এত কথাবার্তা ও চেষ্টার পরও বাস রুট র‍্যাশনালাইজেশন কার্যকর হয়নি। এখনো দেশে সড়ক দুর্ঘটনার একটি নির্ভরযোগ্য ও সমন্বিত ডেটাবেইস পর্যন্ত গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।

বুয়েটের এ বিশেষজ্ঞের মতে, ঘাটতিগুলোর পেছনে সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনার অভাবই বেশি দায়ী।

বাধা পরিবহন ব্যবসায়ীরাও

অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর পথে বরাবরই অন্যতম বাধা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। তাঁরা বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন যে অবস্থায় আছে, তার বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে। পরিবহনমালিকেরা গাড়ির ‘ইকোনমিক লাইফ’ বাড়িয়ে পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ গাড়িও আরও কয়েক বছর বেশি রাস্তায় রাখতে চান। বাস রুট র‍্যাশনালাইজেশন, চালকদের নিয়োগপত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক করাসহ সরকারের প্রতিটি উদ্যোগেই তাঁরা বাধা দিয়ে আসছেন। সরকার কিছু কার্যকর করার উদ্যোগ নিলে তারা ধর্মঘটের হুমকি দেন। সর্বশেষ ৮ দফা দাবি না মানলে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘আমরা আনফিট বা ধোঁয়াচ্ছন্ন বাসের পক্ষে নই। তবে হঠাৎ করে ৭০-৮০ হাজার গাড়ি সরানো সম্ভব না। সরকার সহজ শর্তে ঋণের কথা বলছে, কিন্তু বাস্তবে দিচ্ছে না। আমরা সড়কে শৃঙ্খলার বিপক্ষে নই।’

গত বছরের ২৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠকে পরবর্তী ছয় মাস পর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে যাওয়া যানবাহনের নিবন্ধন বাতিল করে তা সড়ক থেকে সরিয়ে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সব যানের মালিকেরা যাতে নতুন গাড়ি কিনতে পারেন, সে জন্য সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করারও সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গত জানুয়ারি মাসে যানবাহনের মালিকদের বিআরটিএর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ব্যাংকঋণের প্রয়োজন হলে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। জানা গেছে, পরিবহনমালিকেরা সরকারের এ উদ্যোগে তেমন সাড়া দেননি। তাঁরা বলছেন, সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আগে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

ডিজিটাল জাকাত ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৫২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।

বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।

ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

ডিজিটাল জাকাত ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাইড শেয়ারিংয়ের নতুন ভাড়া

তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
রাইড শেয়ারিংয়ের নতুন ভাড়া

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।

রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।

রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’

বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।

চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

ডিজিটাল জাকাত ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ের তথ্য ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ের তথ্য ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।

তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।

এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।

রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।

বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।

এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’

কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।

এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।

কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

ডিজিটাল জাকাত ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লিখলে শাস্তির নীতিমালা প্রস্তাব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করছেন কমিটির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করছেন কমিটির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

ডিজিটাল জাকাত ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত