নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আপনি কী পারেন না; বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে। যা যা করা দরকার সবাইকে নিয়ে উদ্যোগ নিন। একটা ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে আপনি কী বলতে পারেন না- যারা ভয় দেখায় তাদের বলতে ‘সখি আমি কী ডরাই ভিখারি রাঘবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩–২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ও শফিকুর রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে মুজিবুল হক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জি এম কাদেরের বক্তব্য একই হতে পারবে না কেন? জাতীয় পার্টি কি আপনাদের (সরকারি দলের) খেদমতগার।
জি এম কাদের যদি কোনো বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন তার তালিকা প্রকাশেরও দাবি জানান দলটির মহাসচিব। বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের তথ্য ছাড়া কোনো কথা বলেন না বলে সংসদে দাবি করেন মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, তিনি (জিএম কাদের) যদি বলে থাকেন বাংলাদেশ নীরবে শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে, তাহলে আপনারা তথ্য দিয়ে প্রমাণ করুন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয় নাই। গায়ের জোরে কথা বলেন কেন?
সংসদ সদস্য শফিকুর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কি কি সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন? কথা বলার সময় একটু খেয়াল করে বলবেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। দেশের মানুষ গ্রহণ করছে। সরকার প্রধান শুনছেন। আপনারা এটা সহ্য করতে পারছেন না- অবান্তর কথা বলছেন। জিএম কাদের এমপি হিসেবে রাজউক থেকে একটা প্লটও নেননি। আপনাদের প্রমাণ করতে হবে কি সুযোগ-সুবিধা আলাদাভাবে নিয়েছেন।
দিনাজপুর থেকে নির্বাচিত মোস্তাফিজুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আপনার বাড়ির কাছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে পাঁচ লাখ টন কয়লা চুরি হয়ে গেছে। ওইটার খবর রাখতে পারেন না কেন? ৫০০ কোটি টাকা দাম।’
১৯৯৬, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে জাপা মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্বাচন করবেন না। বিএনপিও করবে না। সেদিন নির্বাচন না হলে অগণতান্ত্রিক সরকার আসার সম্ভাবনা তৈরি হত।
সেদিন (২০১৪) এরশাদের কথা না শুনে সেদিন রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার কতিপয় এমপি নির্বাচন করেছিল বলে জানিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাক্ষী। তখন আওয়ামী লীগের কতিপয় সিনিয়র নেতা তাঁকে বলেছিলেন, ‘এই চুন্নু মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে। দেশের অবস্থা দেখ না। নির্বাচন কি সম্ভব? জান থাকবে? প্রাণ থাকবে? নেত্রীর মাথা নষ্ট, তোমাদেরও মাথা নষ্ট। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, নাম বলতে পারব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বললাম তারা কি বলে? তখন তিনি বললেন নির্বাচন হবে। অন্য কাউকে বসতে দেব না। গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে চাই। তোমরা নির্বাচন করো। আমরা নির্বাচন করলাম। আমাদের তিনজনকে মন্ত্রী দেওয়া হল। এক সঙ্গে চললাম।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘২০১৮ সালেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করেছে জাপা। আমরা কি তিনবার, চারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসার জন্য সাহায্য করি নাই। তাহলে এত কথা বলেন কেন? কি সুযোগ-সুবিধা আমরা নিলাম?’
সরকারি দলের সদস্যদের সমালোচনা করে জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই সংসদে বারবার বিএনপির নাম বলে তাদেরকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আপনারা আমাদের সমালোচনা করেন। আমাদের বিরুদ্ধে বলেন সমস্যা নেই। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে বলব, কারণ আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলি। কিন্তু আপনারা চান আমরা আপনাদের খয়ের খা হয়ে থাকব। সাড়ে তিনশতো এমপির মধ্যে তিনশর ওপরে আপনারা। আপনাদের ভালো কাজের কথা আপনারা বলেন। মানা করছে কে? কিন্তু আপনারা কেন আশা করেন আমরা আপনাদের পক্ষে কথা বলব? আমরা তো বিরোধী দল। আমরা সরকারের ত্রুটির কথা বলবো। আমরা সরকারের দুর্নীতি প্রশাসনের অনিয়মের কথা বলব।’
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি একটি আলাদা দল, তাদের একটি প্রতীক আছে। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই মনোনয়ন দিয়ে অংশগ্রহণ করবে। কারও পক্ষে-বিপক্ষে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে মুজিবুল হক বলেন, কিছু আমলার সহায়তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী যে বাজেট দিয়েছেন তাতে বাস্তবতার কোনো প্রতিফলন নেই। অর্থমন্ত্রী দুই ঘণ্টার একটি রেকর্ড বাজিয়ে শুনিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতা দিতে না পারলে তাঁর বিকল্প মন্ত্রী বক্তৃতা দিতে পারতেন। সামনের দিনে অর্থমন্ত্রীরা বাজেট বক্তৃতা দিতে উৎসাহবোধ করবেন না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আপনি কী পারেন না; বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে। যা যা করা দরকার সবাইকে নিয়ে উদ্যোগ নিন। একটা ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে আপনি কী বলতে পারেন না- যারা ভয় দেখায় তাদের বলতে ‘সখি আমি কী ডরাই ভিখারি রাঘবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩–২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ও শফিকুর রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে মুজিবুল হক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জি এম কাদেরের বক্তব্য একই হতে পারবে না কেন? জাতীয় পার্টি কি আপনাদের (সরকারি দলের) খেদমতগার।
জি এম কাদের যদি কোনো বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন তার তালিকা প্রকাশেরও দাবি জানান দলটির মহাসচিব। বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের তথ্য ছাড়া কোনো কথা বলেন না বলে সংসদে দাবি করেন মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, তিনি (জিএম কাদের) যদি বলে থাকেন বাংলাদেশ নীরবে শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে, তাহলে আপনারা তথ্য দিয়ে প্রমাণ করুন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয় নাই। গায়ের জোরে কথা বলেন কেন?
সংসদ সদস্য শফিকুর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কি কি সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন? কথা বলার সময় একটু খেয়াল করে বলবেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। দেশের মানুষ গ্রহণ করছে। সরকার প্রধান শুনছেন। আপনারা এটা সহ্য করতে পারছেন না- অবান্তর কথা বলছেন। জিএম কাদের এমপি হিসেবে রাজউক থেকে একটা প্লটও নেননি। আপনাদের প্রমাণ করতে হবে কি সুযোগ-সুবিধা আলাদাভাবে নিয়েছেন।
দিনাজপুর থেকে নির্বাচিত মোস্তাফিজুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আপনার বাড়ির কাছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে পাঁচ লাখ টন কয়লা চুরি হয়ে গেছে। ওইটার খবর রাখতে পারেন না কেন? ৫০০ কোটি টাকা দাম।’
১৯৯৬, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে জাপা মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্বাচন করবেন না। বিএনপিও করবে না। সেদিন নির্বাচন না হলে অগণতান্ত্রিক সরকার আসার সম্ভাবনা তৈরি হত।
সেদিন (২০১৪) এরশাদের কথা না শুনে সেদিন রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার কতিপয় এমপি নির্বাচন করেছিল বলে জানিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাক্ষী। তখন আওয়ামী লীগের কতিপয় সিনিয়র নেতা তাঁকে বলেছিলেন, ‘এই চুন্নু মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে। দেশের অবস্থা দেখ না। নির্বাচন কি সম্ভব? জান থাকবে? প্রাণ থাকবে? নেত্রীর মাথা নষ্ট, তোমাদেরও মাথা নষ্ট। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, নাম বলতে পারব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বললাম তারা কি বলে? তখন তিনি বললেন নির্বাচন হবে। অন্য কাউকে বসতে দেব না। গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে চাই। তোমরা নির্বাচন করো। আমরা নির্বাচন করলাম। আমাদের তিনজনকে মন্ত্রী দেওয়া হল। এক সঙ্গে চললাম।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘২০১৮ সালেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করেছে জাপা। আমরা কি তিনবার, চারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসার জন্য সাহায্য করি নাই। তাহলে এত কথা বলেন কেন? কি সুযোগ-সুবিধা আমরা নিলাম?’
সরকারি দলের সদস্যদের সমালোচনা করে জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই সংসদে বারবার বিএনপির নাম বলে তাদেরকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আপনারা আমাদের সমালোচনা করেন। আমাদের বিরুদ্ধে বলেন সমস্যা নেই। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে বলব, কারণ আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলি। কিন্তু আপনারা চান আমরা আপনাদের খয়ের খা হয়ে থাকব। সাড়ে তিনশতো এমপির মধ্যে তিনশর ওপরে আপনারা। আপনাদের ভালো কাজের কথা আপনারা বলেন। মানা করছে কে? কিন্তু আপনারা কেন আশা করেন আমরা আপনাদের পক্ষে কথা বলব? আমরা তো বিরোধী দল। আমরা সরকারের ত্রুটির কথা বলবো। আমরা সরকারের দুর্নীতি প্রশাসনের অনিয়মের কথা বলব।’
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি একটি আলাদা দল, তাদের একটি প্রতীক আছে। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই মনোনয়ন দিয়ে অংশগ্রহণ করবে। কারও পক্ষে-বিপক্ষে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে মুজিবুল হক বলেন, কিছু আমলার সহায়তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী যে বাজেট দিয়েছেন তাতে বাস্তবতার কোনো প্রতিফলন নেই। অর্থমন্ত্রী দুই ঘণ্টার একটি রেকর্ড বাজিয়ে শুনিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতা দিতে না পারলে তাঁর বিকল্প মন্ত্রী বক্তৃতা দিতে পারতেন। সামনের দিনে অর্থমন্ত্রীরা বাজেট বক্তৃতা দিতে উৎসাহবোধ করবেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আপনি কী পারেন না; বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে। যা যা করা দরকার সবাইকে নিয়ে উদ্যোগ নিন। একটা ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে আপনি কী বলতে পারেন না- যারা ভয় দেখায় তাদের বলতে ‘সখি আমি কী ডরাই ভিখারি রাঘবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩–২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ও শফিকুর রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে মুজিবুল হক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জি এম কাদেরের বক্তব্য একই হতে পারবে না কেন? জাতীয় পার্টি কি আপনাদের (সরকারি দলের) খেদমতগার।
জি এম কাদের যদি কোনো বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন তার তালিকা প্রকাশেরও দাবি জানান দলটির মহাসচিব। বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের তথ্য ছাড়া কোনো কথা বলেন না বলে সংসদে দাবি করেন মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, তিনি (জিএম কাদের) যদি বলে থাকেন বাংলাদেশ নীরবে শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে, তাহলে আপনারা তথ্য দিয়ে প্রমাণ করুন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয় নাই। গায়ের জোরে কথা বলেন কেন?
সংসদ সদস্য শফিকুর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কি কি সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন? কথা বলার সময় একটু খেয়াল করে বলবেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। দেশের মানুষ গ্রহণ করছে। সরকার প্রধান শুনছেন। আপনারা এটা সহ্য করতে পারছেন না- অবান্তর কথা বলছেন। জিএম কাদের এমপি হিসেবে রাজউক থেকে একটা প্লটও নেননি। আপনাদের প্রমাণ করতে হবে কি সুযোগ-সুবিধা আলাদাভাবে নিয়েছেন।
দিনাজপুর থেকে নির্বাচিত মোস্তাফিজুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আপনার বাড়ির কাছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে পাঁচ লাখ টন কয়লা চুরি হয়ে গেছে। ওইটার খবর রাখতে পারেন না কেন? ৫০০ কোটি টাকা দাম।’
১৯৯৬, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে জাপা মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্বাচন করবেন না। বিএনপিও করবে না। সেদিন নির্বাচন না হলে অগণতান্ত্রিক সরকার আসার সম্ভাবনা তৈরি হত।
সেদিন (২০১৪) এরশাদের কথা না শুনে সেদিন রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার কতিপয় এমপি নির্বাচন করেছিল বলে জানিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাক্ষী। তখন আওয়ামী লীগের কতিপয় সিনিয়র নেতা তাঁকে বলেছিলেন, ‘এই চুন্নু মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে। দেশের অবস্থা দেখ না। নির্বাচন কি সম্ভব? জান থাকবে? প্রাণ থাকবে? নেত্রীর মাথা নষ্ট, তোমাদেরও মাথা নষ্ট। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, নাম বলতে পারব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বললাম তারা কি বলে? তখন তিনি বললেন নির্বাচন হবে। অন্য কাউকে বসতে দেব না। গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে চাই। তোমরা নির্বাচন করো। আমরা নির্বাচন করলাম। আমাদের তিনজনকে মন্ত্রী দেওয়া হল। এক সঙ্গে চললাম।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘২০১৮ সালেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করেছে জাপা। আমরা কি তিনবার, চারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসার জন্য সাহায্য করি নাই। তাহলে এত কথা বলেন কেন? কি সুযোগ-সুবিধা আমরা নিলাম?’
সরকারি দলের সদস্যদের সমালোচনা করে জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই সংসদে বারবার বিএনপির নাম বলে তাদেরকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আপনারা আমাদের সমালোচনা করেন। আমাদের বিরুদ্ধে বলেন সমস্যা নেই। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে বলব, কারণ আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলি। কিন্তু আপনারা চান আমরা আপনাদের খয়ের খা হয়ে থাকব। সাড়ে তিনশতো এমপির মধ্যে তিনশর ওপরে আপনারা। আপনাদের ভালো কাজের কথা আপনারা বলেন। মানা করছে কে? কিন্তু আপনারা কেন আশা করেন আমরা আপনাদের পক্ষে কথা বলব? আমরা তো বিরোধী দল। আমরা সরকারের ত্রুটির কথা বলবো। আমরা সরকারের দুর্নীতি প্রশাসনের অনিয়মের কথা বলব।’
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি একটি আলাদা দল, তাদের একটি প্রতীক আছে। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই মনোনয়ন দিয়ে অংশগ্রহণ করবে। কারও পক্ষে-বিপক্ষে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে মুজিবুল হক বলেন, কিছু আমলার সহায়তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী যে বাজেট দিয়েছেন তাতে বাস্তবতার কোনো প্রতিফলন নেই। অর্থমন্ত্রী দুই ঘণ্টার একটি রেকর্ড বাজিয়ে শুনিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতা দিতে না পারলে তাঁর বিকল্প মন্ত্রী বক্তৃতা দিতে পারতেন। সামনের দিনে অর্থমন্ত্রীরা বাজেট বক্তৃতা দিতে উৎসাহবোধ করবেন না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আপনি কী পারেন না; বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে। যা যা করা দরকার সবাইকে নিয়ে উদ্যোগ নিন। একটা ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে আপনি কী বলতে পারেন না- যারা ভয় দেখায় তাদের বলতে ‘সখি আমি কী ডরাই ভিখারি রাঘবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩–২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ও শফিকুর রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে মুজিবুল হক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জি এম কাদেরের বক্তব্য একই হতে পারবে না কেন? জাতীয় পার্টি কি আপনাদের (সরকারি দলের) খেদমতগার।
জি এম কাদের যদি কোনো বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন তার তালিকা প্রকাশেরও দাবি জানান দলটির মহাসচিব। বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের তথ্য ছাড়া কোনো কথা বলেন না বলে সংসদে দাবি করেন মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, তিনি (জিএম কাদের) যদি বলে থাকেন বাংলাদেশ নীরবে শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে, তাহলে আপনারা তথ্য দিয়ে প্রমাণ করুন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয় নাই। গায়ের জোরে কথা বলেন কেন?
সংসদ সদস্য শফিকুর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কি কি সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন? কথা বলার সময় একটু খেয়াল করে বলবেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। দেশের মানুষ গ্রহণ করছে। সরকার প্রধান শুনছেন। আপনারা এটা সহ্য করতে পারছেন না- অবান্তর কথা বলছেন। জিএম কাদের এমপি হিসেবে রাজউক থেকে একটা প্লটও নেননি। আপনাদের প্রমাণ করতে হবে কি সুযোগ-সুবিধা আলাদাভাবে নিয়েছেন।
দিনাজপুর থেকে নির্বাচিত মোস্তাফিজুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আপনার বাড়ির কাছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে পাঁচ লাখ টন কয়লা চুরি হয়ে গেছে। ওইটার খবর রাখতে পারেন না কেন? ৫০০ কোটি টাকা দাম।’
১৯৯৬, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে জাপা মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্বাচন করবেন না। বিএনপিও করবে না। সেদিন নির্বাচন না হলে অগণতান্ত্রিক সরকার আসার সম্ভাবনা তৈরি হত।
সেদিন (২০১৪) এরশাদের কথা না শুনে সেদিন রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার কতিপয় এমপি নির্বাচন করেছিল বলে জানিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাক্ষী। তখন আওয়ামী লীগের কতিপয় সিনিয়র নেতা তাঁকে বলেছিলেন, ‘এই চুন্নু মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে। দেশের অবস্থা দেখ না। নির্বাচন কি সম্ভব? জান থাকবে? প্রাণ থাকবে? নেত্রীর মাথা নষ্ট, তোমাদেরও মাথা নষ্ট। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, নাম বলতে পারব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বললাম তারা কি বলে? তখন তিনি বললেন নির্বাচন হবে। অন্য কাউকে বসতে দেব না। গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে চাই। তোমরা নির্বাচন করো। আমরা নির্বাচন করলাম। আমাদের তিনজনকে মন্ত্রী দেওয়া হল। এক সঙ্গে চললাম।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘২০১৮ সালেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করেছে জাপা। আমরা কি তিনবার, চারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসার জন্য সাহায্য করি নাই। তাহলে এত কথা বলেন কেন? কি সুযোগ-সুবিধা আমরা নিলাম?’
সরকারি দলের সদস্যদের সমালোচনা করে জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই সংসদে বারবার বিএনপির নাম বলে তাদেরকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আপনারা আমাদের সমালোচনা করেন। আমাদের বিরুদ্ধে বলেন সমস্যা নেই। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে বলব, কারণ আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলি। কিন্তু আপনারা চান আমরা আপনাদের খয়ের খা হয়ে থাকব। সাড়ে তিনশতো এমপির মধ্যে তিনশর ওপরে আপনারা। আপনাদের ভালো কাজের কথা আপনারা বলেন। মানা করছে কে? কিন্তু আপনারা কেন আশা করেন আমরা আপনাদের পক্ষে কথা বলব? আমরা তো বিরোধী দল। আমরা সরকারের ত্রুটির কথা বলবো। আমরা সরকারের দুর্নীতি প্রশাসনের অনিয়মের কথা বলব।’
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি একটি আলাদা দল, তাদের একটি প্রতীক আছে। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই মনোনয়ন দিয়ে অংশগ্রহণ করবে। কারও পক্ষে-বিপক্ষে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে মুজিবুল হক বলেন, কিছু আমলার সহায়তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী যে বাজেট দিয়েছেন তাতে বাস্তবতার কোনো প্রতিফলন নেই। অর্থমন্ত্রী দুই ঘণ্টার একটি রেকর্ড বাজিয়ে শুনিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতা দিতে না পারলে তাঁর বিকল্প মন্ত্রী বক্তৃতা দিতে পারতেন। সামনের দিনে অর্থমন্ত্রীরা বাজেট বক্তৃতা দিতে উৎসাহবোধ করবেন না।

১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বদলি করা জেলা প্রশাসকদের মধ্যে বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালীতে, কুষ্টিয়ার ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জে, ভোলার ডিসি মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরে, বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকায়, সিরাজগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধায় এবং খুলনার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জে, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুরে, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর পাবনার জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মিজ আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরায়, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাটে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়ায় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ডা. শামীম রহমানকে ভোলার ডিসি পদে পদায়ন করা হয়েছে।

১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বদলি করা জেলা প্রশাসকদের মধ্যে বাগেরহাটের ডিসি আহমেদ কামরুল হাসানকে নোয়াখালীতে, কুষ্টিয়ার ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জে, ভোলার ডিসি মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরে, বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকায়, সিরাজগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধায় এবং খুলনার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জে, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুরে, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর পাবনার জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মিজ আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরায়, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাটে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়ায় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ডা. শামীম রহমানকে ভোলার ডিসি পদে পদায়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আপনি কী পারেন না; বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে। যা যা করা দরকার সবাইকে নিয়ে উদ্যোগ নিন। একটা ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে আপনি কী বলতে পারেন না- যারা ভয় দেখায় তাদের বলতে ‘
২২ জুন ২০২৩
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আমরা লক্ষ করছি যে ‘#TMD’ অর্থাৎ ‘Total Maloun Death’ নামীয় হিন্দুবিদ্বেষী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রচার করছে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। এতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারিত হচ্ছে, যা মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এ ট্যাগকে ব্যবহার করে অসংখ্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ, অশ্লীল ও সহিংসতাপ্রবণ পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ছে। যার ফলে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দ্রুত ছড়ানোর কারণে এক সম্প্রদায়ের প্রতি অন্য সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ ক্রমবর্ধমান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রচারণার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের একটি স্বাধীন দেশে এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার কখনো কাম্য হতে পারে না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এবং ধর্মীয় উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ এমন প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আমরা লক্ষ করছি যে ‘#TMD’ অর্থাৎ ‘Total Maloun Death’ নামীয় হিন্দুবিদ্বেষী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রচার করছে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। এতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারিত হচ্ছে, যা মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এ ট্যাগকে ব্যবহার করে অসংখ্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ, অশ্লীল ও সহিংসতাপ্রবণ পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ছে। যার ফলে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দ্রুত ছড়ানোর কারণে এক সম্প্রদায়ের প্রতি অন্য সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ ক্রমবর্ধমান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রচারণার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের একটি স্বাধীন দেশে এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার কখনো কাম্য হতে পারে না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এবং ধর্মীয় উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ এমন প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আপনি কী পারেন না; বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে। যা যা করা দরকার সবাইকে নিয়ে উদ্যোগ নিন। একটা ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে আপনি কী বলতে পারেন না- যারা ভয় দেখায় তাদের বলতে ‘
২২ জুন ২০২৩
১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, ‘যেদিন আমরা প্রতিবেদন জমা দিলাম, সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এই প্রতিবেদন নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হবে, অনেক সমালোচনা হবে। আমরা সবটাকেই স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই অনেক বিষয় নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু দেখলাম, আমাদের গালাগাল করা হচ্ছে। সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
জাতীয় নারীশক্তির উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য; গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
এই নারী অধিকারকর্মী অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের পুরো প্রক্রিয়া ‘নারীবর্জিত’ ছিল। তাই তিনি এবং তাঁর কমিশন এটি গ্রহণ করেন না।
শিরীন হক বলেন, ‘সেদিন (জুলাই সনদ সইয়ের দিন) দক্ষিণ প্লাজায় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখনই আমি পোস্ট করেছি, আজ আবারও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুরুষ শাসন কায়েম হলো। কোনো নারীর কথা নেই, কোনো নারীকে রাখা হয়নি, কোনো নারী সংগঠনকে ডাকা হয়নি। এটি শুধু আমাদের ব্যথিতই করেনি; গভীর উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমার ভয় রয়েছে। তাই আপনারা যতই বাস্তবায়নের কথা ভাবুন, আমি এই সনদ গ্রহণ করি না। এ সনদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাদের ‘বঞ্চিত করা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক। তিনি বলেন, ‘যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রাজাকারের বাচ্চা”, তখন রোকেয়া হলের মেয়েরা রাত ১২টায় গেট ভেঙে বেরিয়েছিল। মেয়েরা বেরোনোতেই কিন্তু আন্দোলন বেগ পেল। তারপর ছেলেরা বেরিয়েছিল। এই যে মেয়েগুলো বের হলো, গুটিকয়েক মেয়ে ছাড়া তাদেরকে পরে আর দেখলাম না। এই যে এত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কোনো টেবিলে তো মেয়েরা নেই। পলিসি টেবিলে মেয়েরা নেই। একটার পর একটা অধ্যাদেশ পাস হচ্ছে—কয়টা মেয়ে সেখানে ইনভলভড? আমাদের দেশে তো অনেক নারী আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমরা না হয় বাদ গেলাম, তাঁরা তো থাকতে পারতেন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমরা তিন পা এগিয়ে, চার পা পিছিয়ে গেলাম।’
আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, রাজনীতির মূল পরিসরে বলা হয়—যোগ্য নারী প্রার্থী কোথায় পাব? যোগ্য নারী জনপ্রতিনিধি নাকি পাওয়া যায় না। ২০২৫ সালে এসেও রাজনীতির মেইনস্ট্রিমে রাজনীতিবিদেরা এ রকম কথা বলছেন।
সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। একটা প্রস্তাব ছিল যে, সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত হবে এবং ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে যাবে। পদ্ধতি দুইটা কমিশনের দুই রকম ছিল। সেটা জুলাই সনদে এভাবে আসেনি। কারণ রাজনীতিবিদেরা এ জায়গায় একমত হতে পারেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিএনপি ২০০১ সালে তাদের ইশতেহারে বলেছিল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের কথা। ২০২৫ সালে এসে তারা বলছে, এটা সম্ভব নয়। ২০০১ সালে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল, তখন যদি সেটার বাস্তবতা থেকে থাকে, ’২৫ সালে তো আরও বেশি বাস্তবতা থাকার কথা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, ‘যেদিন আমরা প্রতিবেদন জমা দিলাম, সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এই প্রতিবেদন নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হবে, অনেক সমালোচনা হবে। আমরা সবটাকেই স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই অনেক বিষয় নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু দেখলাম, আমাদের গালাগাল করা হচ্ছে। সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
জাতীয় নারীশক্তির উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য; গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
এই নারী অধিকারকর্মী অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের পুরো প্রক্রিয়া ‘নারীবর্জিত’ ছিল। তাই তিনি এবং তাঁর কমিশন এটি গ্রহণ করেন না।
শিরীন হক বলেন, ‘সেদিন (জুলাই সনদ সইয়ের দিন) দক্ষিণ প্লাজায় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখনই আমি পোস্ট করেছি, আজ আবারও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুরুষ শাসন কায়েম হলো। কোনো নারীর কথা নেই, কোনো নারীকে রাখা হয়নি, কোনো নারী সংগঠনকে ডাকা হয়নি। এটি শুধু আমাদের ব্যথিতই করেনি; গভীর উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমার ভয় রয়েছে। তাই আপনারা যতই বাস্তবায়নের কথা ভাবুন, আমি এই সনদ গ্রহণ করি না। এ সনদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাদের ‘বঞ্চিত করা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক। তিনি বলেন, ‘যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রাজাকারের বাচ্চা”, তখন রোকেয়া হলের মেয়েরা রাত ১২টায় গেট ভেঙে বেরিয়েছিল। মেয়েরা বেরোনোতেই কিন্তু আন্দোলন বেগ পেল। তারপর ছেলেরা বেরিয়েছিল। এই যে মেয়েগুলো বের হলো, গুটিকয়েক মেয়ে ছাড়া তাদেরকে পরে আর দেখলাম না। এই যে এত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কোনো টেবিলে তো মেয়েরা নেই। পলিসি টেবিলে মেয়েরা নেই। একটার পর একটা অধ্যাদেশ পাস হচ্ছে—কয়টা মেয়ে সেখানে ইনভলভড? আমাদের দেশে তো অনেক নারী আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমরা না হয় বাদ গেলাম, তাঁরা তো থাকতে পারতেন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমরা তিন পা এগিয়ে, চার পা পিছিয়ে গেলাম।’
আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, রাজনীতির মূল পরিসরে বলা হয়—যোগ্য নারী প্রার্থী কোথায় পাব? যোগ্য নারী জনপ্রতিনিধি নাকি পাওয়া যায় না। ২০২৫ সালে এসেও রাজনীতির মেইনস্ট্রিমে রাজনীতিবিদেরা এ রকম কথা বলছেন।
সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। একটা প্রস্তাব ছিল যে, সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত হবে এবং ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে যাবে। পদ্ধতি দুইটা কমিশনের দুই রকম ছিল। সেটা জুলাই সনদে এভাবে আসেনি। কারণ রাজনীতিবিদেরা এ জায়গায় একমত হতে পারেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিএনপি ২০০১ সালে তাদের ইশতেহারে বলেছিল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের কথা। ২০২৫ সালে এসে তারা বলছে, এটা সম্ভব নয়। ২০০১ সালে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল, তখন যদি সেটার বাস্তবতা থেকে থাকে, ’২৫ সালে তো আরও বেশি বাস্তবতা থাকার কথা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আপনি কী পারেন না; বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে। যা যা করা দরকার সবাইকে নিয়ে উদ্যোগ নিন। একটা ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে আপনি কী বলতে পারেন না- যারা ভয় দেখায় তাদের বলতে ‘
২২ জুন ২০২৩
১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আপনি কী পারেন না; বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে। যা যা করা দরকার সবাইকে নিয়ে উদ্যোগ নিন। একটা ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে আপনি কী বলতে পারেন না- যারা ভয় দেখায় তাদের বলতে ‘
২২ জুন ২০২৩
১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। আজ শনিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
৫ ঘণ্টা আগে