নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে কৃষির উৎপাদন ও ফলন অব্যাহত রাখতে হবে। কোনোক্রমেই খাদ্যের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। খাদ্য নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এসব তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনা ও যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম মার্চে রেকর্ড সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। কানাডার মতো উন্নত দেশ যারা খাদ্য রপ্তানি করে, সেখানে মানুষ লাইন ধরে রুটির প্যাকেট কিনছে। একজনকে দুই প্যাকেটের বেশি রুটি ও ৫ লিটারের বেশি ভোজ্যতেল দিচ্ছে না। পরিবারের সবাই ছেলে-মেয়ে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রুটি-তেল কিনছে।’
সুনামগঞ্জে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই প্রণোদনা আছে। ওখানে আমন ওইভাবে হয় না, একটাই ফসল। ইতিমধ্যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে আউশে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য। ক্ষয়ক্ষতি মেটানোর অবশ্যই চাষিদের পাশে থাকবে সরকার।’
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ বছর দেশে সারের ভর্তুকিতে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়েছে। অপরদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারের সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে সারের ভর্তুকিতে এ বছর ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। যা গত বছরের তুলনায় চার গুণের বেশি। বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে ভর্তুকিতে দেওয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বছরে সারে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি সারা বিশ্বের বিরল ঘটনা। পৃথিবীর কোন দেশে এত ভর্তুকি দেওয়ার উদাহরণ নেই। ভর্তুকি কমাতে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপও রয়েছে। কিন্তু কৃষকদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের স্বার্থে ও খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সংস্থার আপত্তি উপেক্ষা করে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সারের দাম তিনগুণ বাড়লেও সরকার কৃষক পর্যায়ে সারের মূল্য বাড়ায়নি। ভর্তুকি দিয়ে সুলভমূল্যে সার সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছে।’
বর্তমানে সারের মজুত ও চাহিদা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে দেশে সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। সারের কোন সংকট নেই। বিএনপির শাসন আমলে সারসহ কৃষি উপকরণের চরম সংকট ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও কৃষকেরা সার পায়নি। সারের জন্য কৃষকদের জীবন পর্যন্ত দিতে হয়েছিল। সারের জন্য বিএনপি সরকার ১৯৯৫ সালে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল। বিপরীতে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সারের উৎপাদন ও আমদানি অব্যাহত রেখেছে। গত ১৩ বছরে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের কোনো সংকট হয়নি।
সভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মোট রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৬৭ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ইউরিয়া ২৬ লাখ টন, টিএসপি ৭ লাখ টন, ডিএপি ১৫ লাখ টন, এমওপি সাড়ে ৭ লাখ টন, জিপসাম সাড়ে ৫ লাখ টন, জিংক সালফেট এক লাখ ৪১ হাজার টন এবং বাকিগুলো জিপসাম, বোরন প্রভৃতি।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, জোয়াহেরুল ইসলাম, কৃষিসচিব সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাইকৃষ্ণ হাজরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশে কৃষির উৎপাদন ও ফলন অব্যাহত রাখতে হবে। কোনোক্রমেই খাদ্যের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। খাদ্য নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এসব তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনা ও যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম মার্চে রেকর্ড সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। কানাডার মতো উন্নত দেশ যারা খাদ্য রপ্তানি করে, সেখানে মানুষ লাইন ধরে রুটির প্যাকেট কিনছে। একজনকে দুই প্যাকেটের বেশি রুটি ও ৫ লিটারের বেশি ভোজ্যতেল দিচ্ছে না। পরিবারের সবাই ছেলে-মেয়ে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রুটি-তেল কিনছে।’
সুনামগঞ্জে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই প্রণোদনা আছে। ওখানে আমন ওইভাবে হয় না, একটাই ফসল। ইতিমধ্যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে আউশে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য। ক্ষয়ক্ষতি মেটানোর অবশ্যই চাষিদের পাশে থাকবে সরকার।’
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ বছর দেশে সারের ভর্তুকিতে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়েছে। অপরদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারের সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে সারের ভর্তুকিতে এ বছর ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। যা গত বছরের তুলনায় চার গুণের বেশি। বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে ভর্তুকিতে দেওয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বছরে সারে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি সারা বিশ্বের বিরল ঘটনা। পৃথিবীর কোন দেশে এত ভর্তুকি দেওয়ার উদাহরণ নেই। ভর্তুকি কমাতে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপও রয়েছে। কিন্তু কৃষকদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের স্বার্থে ও খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সংস্থার আপত্তি উপেক্ষা করে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সারের দাম তিনগুণ বাড়লেও সরকার কৃষক পর্যায়ে সারের মূল্য বাড়ায়নি। ভর্তুকি দিয়ে সুলভমূল্যে সার সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছে।’
বর্তমানে সারের মজুত ও চাহিদা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে দেশে সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। সারের কোন সংকট নেই। বিএনপির শাসন আমলে সারসহ কৃষি উপকরণের চরম সংকট ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও কৃষকেরা সার পায়নি। সারের জন্য কৃষকদের জীবন পর্যন্ত দিতে হয়েছিল। সারের জন্য বিএনপি সরকার ১৯৯৫ সালে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল। বিপরীতে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সারের উৎপাদন ও আমদানি অব্যাহত রেখেছে। গত ১৩ বছরে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের কোনো সংকট হয়নি।
সভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মোট রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৬৭ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ইউরিয়া ২৬ লাখ টন, টিএসপি ৭ লাখ টন, ডিএপি ১৫ লাখ টন, এমওপি সাড়ে ৭ লাখ টন, জিপসাম সাড়ে ৫ লাখ টন, জিংক সালফেট এক লাখ ৪১ হাজার টন এবং বাকিগুলো জিপসাম, বোরন প্রভৃতি।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, জোয়াহেরুল ইসলাম, কৃষিসচিব সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাইকৃষ্ণ হাজরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন; শুধু এই অভিযোগে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। কিন্তু কোনো বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তির, এমন নির্মম নির্যাতন ও অমানবিকভাবে কাউকে হত্যা করার যুক্তি হতে...
৪ ঘণ্টা আগেকলেজছাত্রীকে ইভটিজিং করে ফেসবুকে ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডেমরা থানা-পুলিশ। শনিবার (৩ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় ডেমরা সারুলিয়া বাজার এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোন— মো. রোমান সিকদার (২০) ও শুভ হাওলাদার (২০)।
৬ ঘণ্টা আগেনারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে ডাকা হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে জুলাইয়ের সম্মুখসারির নারীদের নোংরা ভাষায় গালি-গালাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশিদ।
৭ ঘণ্টা আগেনারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল করা হলে অন্য কমিশনগুলোর রিপোর্টও বাতিলযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। শনিবার (৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
৮ ঘণ্টা আগে