মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বিদেশে কোনো জনসভা, পথসভা, সভা-সমাবেশ বা কোনো প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন না। নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর সংশোধিত আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর চূড়ান্ত খসড়ায় এসব বিধান যুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, সংশোধিত আচরণ বিধিমালার চূড়ান্ত খসড়া ভেটিংয়ের জন্য গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
একই দিন সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) চূড়ান্ত খসড়াও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ইসি। এই খসড়ায় আদালত ঘোষিত পলাতক (ফেরারি) আসামিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
ইসির সূত্র জানায়, সংশোধিত আচরণ বিধিমালার চূড়ান্ত বিধিমালায় একগুচ্ছ সংশোধন আনা হয়েছে। চূড়ান্ত খসড়ায় নির্বাচনী প্রচার এবং ভোট গ্রহণের সময় কোনো প্রকার ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না, এই বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নারীদের সাইবার বুলিং রোধ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিথ্যাচার বা অপপ্রচার চালালে শাস্তি ও প্রার্থিতা বাতিলের বিধানও রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আচরণ বিধিমালায়।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আচরণ বিধিমালায় যেসব প্রস্তাব আছে, তা আরপিওতে রাখা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থীর ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। দলের ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আচরণবিধিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও এআই ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সংশোধিত আচরণ বিধিমালার চূড়ান্ত খসড়ায় সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অংশে অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যসহ সমপর্যায়ের ব্যক্তি, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের যুক্ত করা হয়েছে। খসড়ায় আরও যেসব বিধান রাখা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কোনো প্রার্থী কোনো প্রতিষ্ঠান বা সমিতি বা সংগঠন থেকে কোনো প্রকার সংবর্ধনা নিতে পারবেন না; প্রচারে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। অপচনশীল যেমন রেক্সিন, পলিথিন, প্লাস্টিক তথা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো উপাদানে তৈরি কোনো প্রচারপত্র, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল, ফেস্টুন ও ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারে হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযান ব্যবহার করা যাবে না। তবে দলীয় প্রধান বা সমপর্যায়ের পদধারী এবং সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদধারী ব্যক্তি যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। এমন যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার থেকে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোনো প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন, বিতরণ বা নিক্ষেপ করা যাবে না।
চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারে বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে। তবে কোনো প্রার্থী কোনো নির্বাচনী এলাকায় ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন না। বিলবোর্ডের আয়তন ১৬ ফুট বাই ৯ ফুটের বেশি হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারে মানহানিকর কিছু প্রচার করলে ডিজিটাল বা সাইবার সুরক্ষা আইনের আওতায় শাস্তি হবে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী আচরণবিধির সব বিধান মেনে চলবেন, এমন আলাদা আলাদা অঙ্গীকারনামা ইসিতে জমা দিতে হবে, এমন বিধানও চূড়ান্ত খসড়ায় রাখা হয়েছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বিদেশে কোনো জনসভা, পথসভা, সভা-সমাবেশ বা কোনো প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন না। নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর সংশোধিত আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর চূড়ান্ত খসড়ায় এসব বিধান যুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, সংশোধিত আচরণ বিধিমালার চূড়ান্ত খসড়া ভেটিংয়ের জন্য গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
একই দিন সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) চূড়ান্ত খসড়াও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ইসি। এই খসড়ায় আদালত ঘোষিত পলাতক (ফেরারি) আসামিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
ইসির সূত্র জানায়, সংশোধিত আচরণ বিধিমালার চূড়ান্ত বিধিমালায় একগুচ্ছ সংশোধন আনা হয়েছে। চূড়ান্ত খসড়ায় নির্বাচনী প্রচার এবং ভোট গ্রহণের সময় কোনো প্রকার ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না, এই বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নারীদের সাইবার বুলিং রোধ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিথ্যাচার বা অপপ্রচার চালালে শাস্তি ও প্রার্থিতা বাতিলের বিধানও রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আচরণ বিধিমালায়।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আচরণ বিধিমালায় যেসব প্রস্তাব আছে, তা আরপিওতে রাখা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থীর ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। দলের ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আচরণবিধিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও এআই ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সংশোধিত আচরণ বিধিমালার চূড়ান্ত খসড়ায় সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অংশে অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যসহ সমপর্যায়ের ব্যক্তি, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের যুক্ত করা হয়েছে। খসড়ায় আরও যেসব বিধান রাখা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কোনো প্রার্থী কোনো প্রতিষ্ঠান বা সমিতি বা সংগঠন থেকে কোনো প্রকার সংবর্ধনা নিতে পারবেন না; প্রচারে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। অপচনশীল যেমন রেক্সিন, পলিথিন, প্লাস্টিক তথা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো উপাদানে তৈরি কোনো প্রচারপত্র, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল, ফেস্টুন ও ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারে হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযান ব্যবহার করা যাবে না। তবে দলীয় প্রধান বা সমপর্যায়ের পদধারী এবং সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদধারী ব্যক্তি যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। এমন যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার থেকে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোনো প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন, বিতরণ বা নিক্ষেপ করা যাবে না।
চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারে বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে। তবে কোনো প্রার্থী কোনো নির্বাচনী এলাকায় ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন না। বিলবোর্ডের আয়তন ১৬ ফুট বাই ৯ ফুটের বেশি হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারে মানহানিকর কিছু প্রচার করলে ডিজিটাল বা সাইবার সুরক্ষা আইনের আওতায় শাস্তি হবে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী আচরণবিধির সব বিধান মেনে চলবেন, এমন আলাদা আলাদা অঙ্গীকারনামা ইসিতে জমা দিতে হবে, এমন বিধানও চূড়ান্ত খসড়ায় রাখা হয়েছে।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলা ও সহিংসতার ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়েছে সরকার।
৪ ঘণ্টা আগেগণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং তার গুরুতর আঘাতের ঘটনা তদন্তের জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে নদী থেকে উদ্ধার করা লাশের বড় একটি অংশেরই পরিচয় মিলছে না। নৌ পুলিশের তথ্য বলছে, গত বছরের শুরু থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত নৌ পুলিশ যত লাশ উদ্ধার করেছে, তার ৩০ শতাংশেরই পরিচয় পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেচাকরির মেয়াদ শেষে দ্বিতীয়বারের মতো পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হতে অনাগ্রহ দেখিয়েছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এই অনাগ্রহের কথা তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকেও জানিয়েছিলেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠক হতো চেইন অব কমান্ড ভেঙে। দায়িত্বে অবহেলা করার কারণেই তিনি দোষ স্বীকার করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে