Ajker Patrika

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ কারাগারে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ওবায়েদ উল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
ওবায়েদ উল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

নিয়মবহির্ভূতভাবে ৫১ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বুধবার দুপুরের পর তাঁকে আদালতে হাজির করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ জালাল তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।

একই সঙ্গে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গ্রেপ্তার আসামির গ্রেপ্তারসংক্রান্ত নথি চট্টগ্রাম সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বুধবার ভোরে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও দুদকের যৌথ টিম ধানমন্ডির জিগাতলার নাজিমুদ্দিন রোডের বাসা থেকে আটক করে ওবায়েদ উল্লাহকে।

ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে তিনি রূপালী ব্যাংকের এমডি ও অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ছিলেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদক মামলা দায়ের করে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ আব্দুল হামিদ, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন। এ ছাড়া মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান, জাসমীর ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের নামে ছোলা ও গম আমদানির জন্য ঋণ মঞ্জুর করা হয় ৫১ কোটি টাকা। কিন্তু মিজান ট্রেডার্স নামে কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না।

কিন্তু ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিল নুরজাহান গ্রুপ ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড। বেতনভোগী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে তাঁর নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে ঋণ অনুমোদন ও উত্তোলন করা হয়। বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুরি এবং পরে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তাবলি যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত না করে সুপরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের ৫১ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদে-আসলে ১৮৯.৮০ কোটি টাকা) পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন আসামিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...