নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের সংলাপ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন বিটের সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে মোট ৩৩টি সুপারিশ তুলে ধরেন তাঁরা। এর মধ্য দিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় শুরু হলো।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সঙ্গে সংলাপে আরএফইডির পক্ষে সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর।
আরএফইডির সুপারিশগুলো হলো—
১. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের মর্যাদা মন্ত্রীর ওপরে রাখা।
২. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের সংখ্যা পাঁচজন থেকে কমিয়ে তিনজন করা।
৩. প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনার একই পেশা থেকে একাধিক নিয়োগ না দেওয়া।
৪. নির্বাচনে আমলা নির্ভরতা কমাতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব সরকার নয়, এ পদে অবসরপ্রাপ্ত কোনো সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের হাতে রাখা।
৫. জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সহকারী রিটার্নিং অফিসারের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এ দায়িত্ব দেওয়া।
৬. নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনে দায়িত্বপালন করা ইসি কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া।
৭. না ভোটের বিধান পুনরায় চালু করা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে না ভোটের সংখ্যা বেশি হলে এবং ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা।
৮. সব ধরনের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথ বন্ধ করা। একাধিক প্রার্থী না থাকলে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা।
৯. প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি সহজ করা।
১০. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ সহজ করতে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের শর্ত বাতিল করা।
১১. মনোনয়ন বাণিজ্য কমাতে দল থেকে প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া বিধান বাতিল করা, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থেকে একজন মাত্র প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
১২. আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি সহায়ক হবে বলে মনে করি। আর জনগণকে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। তাই এই মুহূর্তে নির্বাচনী পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
১৩. কোনো ভোটার কেন্দ্রে না গেলে তাঁর ভোটটি অন্য কেউ দিতে পারবে না, এটি নিশ্চত করার ব্যবস্থা। অর্থাৎ আমার ভোট আমি দেব, অন্যের ভোট আমি দিতে পারব না।
১৪. নির্বাচনী মাঠে গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষক সংস্থাকে অবাধে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করার সুযোগ দেওয়া, কেন্দ্রে অবাধে তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে পুলিশ একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই নির্বাচনের আগে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়ে অবহিত করার ব্যবস্থা করা। যাতে তাঁরা গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের কাজে বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করেন।
১৫. আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করা।
১৬. অনলাইন ও অফলাইন উভয়ভাবে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা করা।
১৭. রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বাস্তবতার সঙ্গে সংগতি রেখে হালনাগাদ করা।
১৮. রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর আয়-ব্যয়ের মনিটরিং করার ব্যবস্থা করা। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব শুধু জমা নয়। দলের দেওয়া তথ্য সঠিক কিনা তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা।
১৯. স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন থেকে দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে নির্দলীয় প্রতীকে করা।
২০. স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই অন্তত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করার ব্যবস্থা করা।
২১. অতীতে নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মকর্তাকে ক্ষমতাসীন দলের দলীয়-কর্মীর ভূমিকায় দেখা গেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার ব্যবস্থা করা।
২২. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতি নির্বাচন কমিশনের হাতে রাখা। প্রয়োজনে কমিশন এ বিষয়ে সরাসরি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে নেবে।
২৩. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সরকারের কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ না দেওয়া।
২৪. নতুন আইন বাতিল করে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা।
২৫. অনিয়মের কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এবং পরবর্তীতে ভোটগ্রহণ চালু করার পরিস্থিতি না থাকলে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবেন। নির্বাচন কমিশন ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করায় ফলাফল নির্ধারণ করা না গেলে ওই কেন্দ্রে পুনরায় নতুনভাবে ভোটগ্রহণের নির্দেশনা দেবে।
২৬. নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে প্রিসাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করবেন। যদি এমন হয় নির্ধারিত সময়ে পুনরায় ভোট চালু করা যাচ্ছে না, ভোটের সামগ্রী প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বা দুর্ঘটনা বা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে এবং এতে কেন্দ্রের ফলাফল নির্ধারণ করা যাবে না। সেই ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসার অবিলম্বে কমিশনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করবেন।
২৭. কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে অবহেলা, অবজ্ঞা বা অন্য কোনো উপায়ে কমিশনের আদেশ পালনে শৈথিল্য প্রকাশ করলে বা আদেশ পালনে ব্যর্থ হলে বা নির্বাচনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে এইরূপ কোনো আচরণ করলে কমিশন তাঁকে চিঠি দিয়ে তিরস্কার করতে পারবে। তিরস্কার করা ব্যক্তি পরবর্তী পাঁচ বছর পদোন্নতি পাবেন না। প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসন বা মাঠ প্রশাসনের কোনো দপ্তরের প্রধান পদে কর্মরত থাকলে তাকে তাৎক্ষণিক ওই পদ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং তিরস্কার দেওয়ার দিন থেকে পাঁচ বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কোনো দপ্তরের প্রধান পদে পদায়ন করা যাবে না।
২৮. আরপিও সংস্কার করে ৯১ (ক) ভিন্নরূপ কোনো বিধান না থাকলে কমিশন-যদি সন্তুষ্ট হয় যে, নির্বাচনে বল প্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে যুক্তিযুক্ত ন্যায়সংগত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন না, তা হলে যেকোনো ভোটকেন্দ্র [বা ক্ষেত্রমত, সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায়] নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে।
২৯. নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের সব থেকে বেশি ব্যয় হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে। তাই নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুল, কলেজের স্কাউট করা ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচনী কাজে যুক্ত করা।
৩০. দলগুলোর জোটের ক্ষেত্রে নিজের দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করতে হবে।
৩১. ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো।
৩২. সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করা।
৩৩. ভোটের আগে নির্বাচন বন্ধ বা প্রার্থিতা বাতিল ও ফেরতের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দলীয় প্রতীক নিয়ে আমাদের অবস্থান এখনো চূড়ান্ত করিনি। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হোক, সেটা আমরা চাই না। এ জন্য স্থানীয় সরকারের আইন পরিবর্তন করতে হবে।’ তিনি বলেন, কেবল প্রবাসীরা নন, দেশে যাঁরা অক্ষম, নারী, কর্মস্থলের কারণে এলাকার বাইরে থাকা ব্যক্তিদের জন্যও ভোট দেওয়ার সুযোগ তাঁরা রাখতে চান।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ২২টি দল ও জোটের কাছে কমিশন প্রস্তাব চাইছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, এর শরিক, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য নিবন্ধিত দলের মতামত না চাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটা নিয়ে তাঁরা আরেক দিন সংবাদ সম্মেলন করবেন। তিনি এ বিষয়ে সরকারের কাছে জানতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকের মতামত নিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি সব দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে একটা সুপারিশ করতে। সরকার কমিশনগুলো গঠন করেছে। সরকার একটি কার্যপরিধি ও করণীয় নির্ধারণ করে দিয়েছে। অবশ্যই সরকারের অভিপ্রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এ সময় সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ছাত্র প্রতিনিধি সাদিক আল আরমান বলেন, ‘যারা আমাদের এত ভাইকে হত্যা করল, এত মানুষকে আহত করল, সে জন্য তারা এখনো জাতির কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। আমাদের সেই ভাইদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কী আমাদের আওয়ামী লীগের মতামত নেওয়া উচিত?’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তাঁদের কোনো রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নেই। তাঁরা কেবল আগামী নির্বাচনের কথা চিন্তা করছেন না। অতীতে অনেক অন্যায়, অপকর্ম হয়েছে। এগুলো যাতে ভবিষ্যতে বন্ধ হয়, নির্বাচনী ব্যবস্থা যাতে কার্যকর হয়, তার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যাতে দীর্ঘ মেয়াদে শক্ত হয়, সেই ব্যবস্থা তাঁরা করবেন। ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ, দুর্বল যন্ত্র ছিল। এগুলো অকেজো হয়ে গেছে বোধ হয়। এটার জন্য রাজনৈতিক ঐক্য এবং আস্থাশীলতা দরকার। রাজনীতিবিদদেরই এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আরএফইডির সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু হলো জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষের সাড়া পেয়ে তাঁরা উৎসাহিত হচ্ছেন। সবার মতামত নিয়ে তাঁরা সুচিন্তিত সুপারিশ করবেন।
সভায় আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমসহ অন্যরাও বক্তব্য রাখেন।

‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন বিটের সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে মোট ৩৩টি সুপারিশ তুলে ধরেন তাঁরা। এর মধ্য দিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় শুরু হলো।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সঙ্গে সংলাপে আরএফইডির পক্ষে সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর।
আরএফইডির সুপারিশগুলো হলো—
১. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের মর্যাদা মন্ত্রীর ওপরে রাখা।
২. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের সংখ্যা পাঁচজন থেকে কমিয়ে তিনজন করা।
৩. প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনার একই পেশা থেকে একাধিক নিয়োগ না দেওয়া।
৪. নির্বাচনে আমলা নির্ভরতা কমাতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব সরকার নয়, এ পদে অবসরপ্রাপ্ত কোনো সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের হাতে রাখা।
৫. জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সহকারী রিটার্নিং অফিসারের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এ দায়িত্ব দেওয়া।
৬. নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনে দায়িত্বপালন করা ইসি কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া।
৭. না ভোটের বিধান পুনরায় চালু করা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে না ভোটের সংখ্যা বেশি হলে এবং ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা।
৮. সব ধরনের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথ বন্ধ করা। একাধিক প্রার্থী না থাকলে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা।
৯. প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি সহজ করা।
১০. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ সহজ করতে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের শর্ত বাতিল করা।
১১. মনোনয়ন বাণিজ্য কমাতে দল থেকে প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া বিধান বাতিল করা, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থেকে একজন মাত্র প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
১২. আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি সহায়ক হবে বলে মনে করি। আর জনগণকে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। তাই এই মুহূর্তে নির্বাচনী পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
১৩. কোনো ভোটার কেন্দ্রে না গেলে তাঁর ভোটটি অন্য কেউ দিতে পারবে না, এটি নিশ্চত করার ব্যবস্থা। অর্থাৎ আমার ভোট আমি দেব, অন্যের ভোট আমি দিতে পারব না।
১৪. নির্বাচনী মাঠে গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষক সংস্থাকে অবাধে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করার সুযোগ দেওয়া, কেন্দ্রে অবাধে তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে পুলিশ একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই নির্বাচনের আগে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়ে অবহিত করার ব্যবস্থা করা। যাতে তাঁরা গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের কাজে বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করেন।
১৫. আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করা।
১৬. অনলাইন ও অফলাইন উভয়ভাবে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা করা।
১৭. রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বাস্তবতার সঙ্গে সংগতি রেখে হালনাগাদ করা।
১৮. রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর আয়-ব্যয়ের মনিটরিং করার ব্যবস্থা করা। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব শুধু জমা নয়। দলের দেওয়া তথ্য সঠিক কিনা তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা।
১৯. স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন থেকে দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে নির্দলীয় প্রতীকে করা।
২০. স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই অন্তত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করার ব্যবস্থা করা।
২১. অতীতে নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মকর্তাকে ক্ষমতাসীন দলের দলীয়-কর্মীর ভূমিকায় দেখা গেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার ব্যবস্থা করা।
২২. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতি নির্বাচন কমিশনের হাতে রাখা। প্রয়োজনে কমিশন এ বিষয়ে সরাসরি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে নেবে।
২৩. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সরকারের কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ না দেওয়া।
২৪. নতুন আইন বাতিল করে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা।
২৫. অনিয়মের কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এবং পরবর্তীতে ভোটগ্রহণ চালু করার পরিস্থিতি না থাকলে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবেন। নির্বাচন কমিশন ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করায় ফলাফল নির্ধারণ করা না গেলে ওই কেন্দ্রে পুনরায় নতুনভাবে ভোটগ্রহণের নির্দেশনা দেবে।
২৬. নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে প্রিসাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করবেন। যদি এমন হয় নির্ধারিত সময়ে পুনরায় ভোট চালু করা যাচ্ছে না, ভোটের সামগ্রী প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বা দুর্ঘটনা বা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে এবং এতে কেন্দ্রের ফলাফল নির্ধারণ করা যাবে না। সেই ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসার অবিলম্বে কমিশনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করবেন।
২৭. কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে অবহেলা, অবজ্ঞা বা অন্য কোনো উপায়ে কমিশনের আদেশ পালনে শৈথিল্য প্রকাশ করলে বা আদেশ পালনে ব্যর্থ হলে বা নির্বাচনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে এইরূপ কোনো আচরণ করলে কমিশন তাঁকে চিঠি দিয়ে তিরস্কার করতে পারবে। তিরস্কার করা ব্যক্তি পরবর্তী পাঁচ বছর পদোন্নতি পাবেন না। প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসন বা মাঠ প্রশাসনের কোনো দপ্তরের প্রধান পদে কর্মরত থাকলে তাকে তাৎক্ষণিক ওই পদ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং তিরস্কার দেওয়ার দিন থেকে পাঁচ বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কোনো দপ্তরের প্রধান পদে পদায়ন করা যাবে না।
২৮. আরপিও সংস্কার করে ৯১ (ক) ভিন্নরূপ কোনো বিধান না থাকলে কমিশন-যদি সন্তুষ্ট হয় যে, নির্বাচনে বল প্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে যুক্তিযুক্ত ন্যায়সংগত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন না, তা হলে যেকোনো ভোটকেন্দ্র [বা ক্ষেত্রমত, সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায়] নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে।
২৯. নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের সব থেকে বেশি ব্যয় হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে। তাই নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুল, কলেজের স্কাউট করা ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচনী কাজে যুক্ত করা।
৩০. দলগুলোর জোটের ক্ষেত্রে নিজের দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করতে হবে।
৩১. ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো।
৩২. সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করা।
৩৩. ভোটের আগে নির্বাচন বন্ধ বা প্রার্থিতা বাতিল ও ফেরতের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দলীয় প্রতীক নিয়ে আমাদের অবস্থান এখনো চূড়ান্ত করিনি। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হোক, সেটা আমরা চাই না। এ জন্য স্থানীয় সরকারের আইন পরিবর্তন করতে হবে।’ তিনি বলেন, কেবল প্রবাসীরা নন, দেশে যাঁরা অক্ষম, নারী, কর্মস্থলের কারণে এলাকার বাইরে থাকা ব্যক্তিদের জন্যও ভোট দেওয়ার সুযোগ তাঁরা রাখতে চান।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ২২টি দল ও জোটের কাছে কমিশন প্রস্তাব চাইছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, এর শরিক, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য নিবন্ধিত দলের মতামত না চাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটা নিয়ে তাঁরা আরেক দিন সংবাদ সম্মেলন করবেন। তিনি এ বিষয়ে সরকারের কাছে জানতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকের মতামত নিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি সব দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে একটা সুপারিশ করতে। সরকার কমিশনগুলো গঠন করেছে। সরকার একটি কার্যপরিধি ও করণীয় নির্ধারণ করে দিয়েছে। অবশ্যই সরকারের অভিপ্রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এ সময় সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ছাত্র প্রতিনিধি সাদিক আল আরমান বলেন, ‘যারা আমাদের এত ভাইকে হত্যা করল, এত মানুষকে আহত করল, সে জন্য তারা এখনো জাতির কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। আমাদের সেই ভাইদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কী আমাদের আওয়ামী লীগের মতামত নেওয়া উচিত?’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তাঁদের কোনো রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নেই। তাঁরা কেবল আগামী নির্বাচনের কথা চিন্তা করছেন না। অতীতে অনেক অন্যায়, অপকর্ম হয়েছে। এগুলো যাতে ভবিষ্যতে বন্ধ হয়, নির্বাচনী ব্যবস্থা যাতে কার্যকর হয়, তার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যাতে দীর্ঘ মেয়াদে শক্ত হয়, সেই ব্যবস্থা তাঁরা করবেন। ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ, দুর্বল যন্ত্র ছিল। এগুলো অকেজো হয়ে গেছে বোধ হয়। এটার জন্য রাজনৈতিক ঐক্য এবং আস্থাশীলতা দরকার। রাজনীতিবিদদেরই এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আরএফইডির সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু হলো জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষের সাড়া পেয়ে তাঁরা উৎসাহিত হচ্ছেন। সবার মতামত নিয়ে তাঁরা সুচিন্তিত সুপারিশ করবেন।
সভায় আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমসহ অন্যরাও বক্তব্য রাখেন।
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের সংলাপ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন বিটের সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে মোট ৩৩টি সুপারিশ তুলে ধরেন তাঁরা। এর মধ্য দিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় শুরু হলো।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সঙ্গে সংলাপে আরএফইডির পক্ষে সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর।
আরএফইডির সুপারিশগুলো হলো—
১. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের মর্যাদা মন্ত্রীর ওপরে রাখা।
২. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের সংখ্যা পাঁচজন থেকে কমিয়ে তিনজন করা।
৩. প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনার একই পেশা থেকে একাধিক নিয়োগ না দেওয়া।
৪. নির্বাচনে আমলা নির্ভরতা কমাতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব সরকার নয়, এ পদে অবসরপ্রাপ্ত কোনো সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের হাতে রাখা।
৫. জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সহকারী রিটার্নিং অফিসারের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এ দায়িত্ব দেওয়া।
৬. নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনে দায়িত্বপালন করা ইসি কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া।
৭. না ভোটের বিধান পুনরায় চালু করা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে না ভোটের সংখ্যা বেশি হলে এবং ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা।
৮. সব ধরনের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথ বন্ধ করা। একাধিক প্রার্থী না থাকলে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা।
৯. প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি সহজ করা।
১০. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ সহজ করতে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের শর্ত বাতিল করা।
১১. মনোনয়ন বাণিজ্য কমাতে দল থেকে প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া বিধান বাতিল করা, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থেকে একজন মাত্র প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
১২. আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি সহায়ক হবে বলে মনে করি। আর জনগণকে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। তাই এই মুহূর্তে নির্বাচনী পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
১৩. কোনো ভোটার কেন্দ্রে না গেলে তাঁর ভোটটি অন্য কেউ দিতে পারবে না, এটি নিশ্চত করার ব্যবস্থা। অর্থাৎ আমার ভোট আমি দেব, অন্যের ভোট আমি দিতে পারব না।
১৪. নির্বাচনী মাঠে গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষক সংস্থাকে অবাধে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করার সুযোগ দেওয়া, কেন্দ্রে অবাধে তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে পুলিশ একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই নির্বাচনের আগে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়ে অবহিত করার ব্যবস্থা করা। যাতে তাঁরা গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের কাজে বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করেন।
১৫. আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করা।
১৬. অনলাইন ও অফলাইন উভয়ভাবে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা করা।
১৭. রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বাস্তবতার সঙ্গে সংগতি রেখে হালনাগাদ করা।
১৮. রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর আয়-ব্যয়ের মনিটরিং করার ব্যবস্থা করা। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব শুধু জমা নয়। দলের দেওয়া তথ্য সঠিক কিনা তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা।
১৯. স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন থেকে দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে নির্দলীয় প্রতীকে করা।
২০. স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই অন্তত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করার ব্যবস্থা করা।
২১. অতীতে নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মকর্তাকে ক্ষমতাসীন দলের দলীয়-কর্মীর ভূমিকায় দেখা গেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার ব্যবস্থা করা।
২২. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতি নির্বাচন কমিশনের হাতে রাখা। প্রয়োজনে কমিশন এ বিষয়ে সরাসরি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে নেবে।
২৩. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সরকারের কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ না দেওয়া।
২৪. নতুন আইন বাতিল করে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা।
২৫. অনিয়মের কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এবং পরবর্তীতে ভোটগ্রহণ চালু করার পরিস্থিতি না থাকলে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবেন। নির্বাচন কমিশন ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করায় ফলাফল নির্ধারণ করা না গেলে ওই কেন্দ্রে পুনরায় নতুনভাবে ভোটগ্রহণের নির্দেশনা দেবে।
২৬. নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে প্রিসাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করবেন। যদি এমন হয় নির্ধারিত সময়ে পুনরায় ভোট চালু করা যাচ্ছে না, ভোটের সামগ্রী প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বা দুর্ঘটনা বা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে এবং এতে কেন্দ্রের ফলাফল নির্ধারণ করা যাবে না। সেই ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসার অবিলম্বে কমিশনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করবেন।
২৭. কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে অবহেলা, অবজ্ঞা বা অন্য কোনো উপায়ে কমিশনের আদেশ পালনে শৈথিল্য প্রকাশ করলে বা আদেশ পালনে ব্যর্থ হলে বা নির্বাচনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে এইরূপ কোনো আচরণ করলে কমিশন তাঁকে চিঠি দিয়ে তিরস্কার করতে পারবে। তিরস্কার করা ব্যক্তি পরবর্তী পাঁচ বছর পদোন্নতি পাবেন না। প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসন বা মাঠ প্রশাসনের কোনো দপ্তরের প্রধান পদে কর্মরত থাকলে তাকে তাৎক্ষণিক ওই পদ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং তিরস্কার দেওয়ার দিন থেকে পাঁচ বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কোনো দপ্তরের প্রধান পদে পদায়ন করা যাবে না।
২৮. আরপিও সংস্কার করে ৯১ (ক) ভিন্নরূপ কোনো বিধান না থাকলে কমিশন-যদি সন্তুষ্ট হয় যে, নির্বাচনে বল প্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে যুক্তিযুক্ত ন্যায়সংগত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন না, তা হলে যেকোনো ভোটকেন্দ্র [বা ক্ষেত্রমত, সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায়] নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে।
২৯. নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের সব থেকে বেশি ব্যয় হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে। তাই নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুল, কলেজের স্কাউট করা ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচনী কাজে যুক্ত করা।
৩০. দলগুলোর জোটের ক্ষেত্রে নিজের দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করতে হবে।
৩১. ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো।
৩২. সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করা।
৩৩. ভোটের আগে নির্বাচন বন্ধ বা প্রার্থিতা বাতিল ও ফেরতের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দলীয় প্রতীক নিয়ে আমাদের অবস্থান এখনো চূড়ান্ত করিনি। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হোক, সেটা আমরা চাই না। এ জন্য স্থানীয় সরকারের আইন পরিবর্তন করতে হবে।’ তিনি বলেন, কেবল প্রবাসীরা নন, দেশে যাঁরা অক্ষম, নারী, কর্মস্থলের কারণে এলাকার বাইরে থাকা ব্যক্তিদের জন্যও ভোট দেওয়ার সুযোগ তাঁরা রাখতে চান।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ২২টি দল ও জোটের কাছে কমিশন প্রস্তাব চাইছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, এর শরিক, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য নিবন্ধিত দলের মতামত না চাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটা নিয়ে তাঁরা আরেক দিন সংবাদ সম্মেলন করবেন। তিনি এ বিষয়ে সরকারের কাছে জানতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকের মতামত নিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি সব দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে একটা সুপারিশ করতে। সরকার কমিশনগুলো গঠন করেছে। সরকার একটি কার্যপরিধি ও করণীয় নির্ধারণ করে দিয়েছে। অবশ্যই সরকারের অভিপ্রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এ সময় সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ছাত্র প্রতিনিধি সাদিক আল আরমান বলেন, ‘যারা আমাদের এত ভাইকে হত্যা করল, এত মানুষকে আহত করল, সে জন্য তারা এখনো জাতির কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। আমাদের সেই ভাইদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কী আমাদের আওয়ামী লীগের মতামত নেওয়া উচিত?’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তাঁদের কোনো রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নেই। তাঁরা কেবল আগামী নির্বাচনের কথা চিন্তা করছেন না। অতীতে অনেক অন্যায়, অপকর্ম হয়েছে। এগুলো যাতে ভবিষ্যতে বন্ধ হয়, নির্বাচনী ব্যবস্থা যাতে কার্যকর হয়, তার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যাতে দীর্ঘ মেয়াদে শক্ত হয়, সেই ব্যবস্থা তাঁরা করবেন। ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ, দুর্বল যন্ত্র ছিল। এগুলো অকেজো হয়ে গেছে বোধ হয়। এটার জন্য রাজনৈতিক ঐক্য এবং আস্থাশীলতা দরকার। রাজনীতিবিদদেরই এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আরএফইডির সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু হলো জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষের সাড়া পেয়ে তাঁরা উৎসাহিত হচ্ছেন। সবার মতামত নিয়ে তাঁরা সুচিন্তিত সুপারিশ করবেন।
সভায় আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমসহ অন্যরাও বক্তব্য রাখেন।

‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন বিটের সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে মোট ৩৩টি সুপারিশ তুলে ধরেন তাঁরা। এর মধ্য দিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় শুরু হলো।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সঙ্গে সংলাপে আরএফইডির পক্ষে সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর।
আরএফইডির সুপারিশগুলো হলো—
১. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের মর্যাদা মন্ত্রীর ওপরে রাখা।
২. প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের সংখ্যা পাঁচজন থেকে কমিয়ে তিনজন করা।
৩. প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনার একই পেশা থেকে একাধিক নিয়োগ না দেওয়া।
৪. নির্বাচনে আমলা নির্ভরতা কমাতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব সরকার নয়, এ পদে অবসরপ্রাপ্ত কোনো সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের হাতে রাখা।
৫. জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সহকারী রিটার্নিং অফিসারের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এ দায়িত্ব দেওয়া।
৬. নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনে দায়িত্বপালন করা ইসি কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া।
৭. না ভোটের বিধান পুনরায় চালু করা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে না ভোটের সংখ্যা বেশি হলে এবং ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা।
৮. সব ধরনের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথ বন্ধ করা। একাধিক প্রার্থী না থাকলে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা।
৯. প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি সহজ করা।
১০. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ সহজ করতে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের শর্ত বাতিল করা।
১১. মনোনয়ন বাণিজ্য কমাতে দল থেকে প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া বিধান বাতিল করা, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থেকে একজন মাত্র প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
১২. আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি সহায়ক হবে বলে মনে করি। আর জনগণকে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। তাই এই মুহূর্তে নির্বাচনী পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
১৩. কোনো ভোটার কেন্দ্রে না গেলে তাঁর ভোটটি অন্য কেউ দিতে পারবে না, এটি নিশ্চত করার ব্যবস্থা। অর্থাৎ আমার ভোট আমি দেব, অন্যের ভোট আমি দিতে পারব না।
১৪. নির্বাচনী মাঠে গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষক সংস্থাকে অবাধে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করার সুযোগ দেওয়া, কেন্দ্রে অবাধে তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে পুলিশ একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই নির্বাচনের আগে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়ে অবহিত করার ব্যবস্থা করা। যাতে তাঁরা গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের কাজে বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করেন।
১৫. আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করা।
১৬. অনলাইন ও অফলাইন উভয়ভাবে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা করা।
১৭. রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বাস্তবতার সঙ্গে সংগতি রেখে হালনাগাদ করা।
১৮. রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর আয়-ব্যয়ের মনিটরিং করার ব্যবস্থা করা। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব শুধু জমা নয়। দলের দেওয়া তথ্য সঠিক কিনা তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা।
১৯. স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন থেকে দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে নির্দলীয় প্রতীকে করা।
২০. স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই অন্তত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করার ব্যবস্থা করা।
২১. অতীতে নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মকর্তাকে ক্ষমতাসীন দলের দলীয়-কর্মীর ভূমিকায় দেখা গেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার ব্যবস্থা করা।
২২. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতি নির্বাচন কমিশনের হাতে রাখা। প্রয়োজনে কমিশন এ বিষয়ে সরাসরি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে নেবে।
২৩. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সরকারের কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ না দেওয়া।
২৪. নতুন আইন বাতিল করে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা।
২৫. অনিয়মের কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এবং পরবর্তীতে ভোটগ্রহণ চালু করার পরিস্থিতি না থাকলে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবেন। নির্বাচন কমিশন ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করায় ফলাফল নির্ধারণ করা না গেলে ওই কেন্দ্রে পুনরায় নতুনভাবে ভোটগ্রহণের নির্দেশনা দেবে।
২৬. নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে প্রিসাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করবেন। যদি এমন হয় নির্ধারিত সময়ে পুনরায় ভোট চালু করা যাচ্ছে না, ভোটের সামগ্রী প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বা দুর্ঘটনা বা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে এবং এতে কেন্দ্রের ফলাফল নির্ধারণ করা যাবে না। সেই ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসার অবিলম্বে কমিশনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করবেন।
২৭. কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে অবহেলা, অবজ্ঞা বা অন্য কোনো উপায়ে কমিশনের আদেশ পালনে শৈথিল্য প্রকাশ করলে বা আদেশ পালনে ব্যর্থ হলে বা নির্বাচনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে এইরূপ কোনো আচরণ করলে কমিশন তাঁকে চিঠি দিয়ে তিরস্কার করতে পারবে। তিরস্কার করা ব্যক্তি পরবর্তী পাঁচ বছর পদোন্নতি পাবেন না। প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসন বা মাঠ প্রশাসনের কোনো দপ্তরের প্রধান পদে কর্মরত থাকলে তাকে তাৎক্ষণিক ওই পদ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং তিরস্কার দেওয়ার দিন থেকে পাঁচ বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কোনো দপ্তরের প্রধান পদে পদায়ন করা যাবে না।
২৮. আরপিও সংস্কার করে ৯১ (ক) ভিন্নরূপ কোনো বিধান না থাকলে কমিশন-যদি সন্তুষ্ট হয় যে, নির্বাচনে বল প্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে যুক্তিযুক্ত ন্যায়সংগত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন না, তা হলে যেকোনো ভোটকেন্দ্র [বা ক্ষেত্রমত, সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায়] নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে।
২৯. নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের সব থেকে বেশি ব্যয় হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে। তাই নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুল, কলেজের স্কাউট করা ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচনী কাজে যুক্ত করা।
৩০. দলগুলোর জোটের ক্ষেত্রে নিজের দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করতে হবে।
৩১. ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো।
৩২. সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করা।
৩৩. ভোটের আগে নির্বাচন বন্ধ বা প্রার্থিতা বাতিল ও ফেরতের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দলীয় প্রতীক নিয়ে আমাদের অবস্থান এখনো চূড়ান্ত করিনি। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হোক, সেটা আমরা চাই না। এ জন্য স্থানীয় সরকারের আইন পরিবর্তন করতে হবে।’ তিনি বলেন, কেবল প্রবাসীরা নন, দেশে যাঁরা অক্ষম, নারী, কর্মস্থলের কারণে এলাকার বাইরে থাকা ব্যক্তিদের জন্যও ভোট দেওয়ার সুযোগ তাঁরা রাখতে চান।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ২২টি দল ও জোটের কাছে কমিশন প্রস্তাব চাইছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, এর শরিক, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য নিবন্ধিত দলের মতামত না চাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটা নিয়ে তাঁরা আরেক দিন সংবাদ সম্মেলন করবেন। তিনি এ বিষয়ে সরকারের কাছে জানতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকের মতামত নিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি সব দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে একটা সুপারিশ করতে। সরকার কমিশনগুলো গঠন করেছে। সরকার একটি কার্যপরিধি ও করণীয় নির্ধারণ করে দিয়েছে। অবশ্যই সরকারের অভিপ্রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এ সময় সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ছাত্র প্রতিনিধি সাদিক আল আরমান বলেন, ‘যারা আমাদের এত ভাইকে হত্যা করল, এত মানুষকে আহত করল, সে জন্য তারা এখনো জাতির কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। আমাদের সেই ভাইদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কী আমাদের আওয়ামী লীগের মতামত নেওয়া উচিত?’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তাঁদের কোনো রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নেই। তাঁরা কেবল আগামী নির্বাচনের কথা চিন্তা করছেন না। অতীতে অনেক অন্যায়, অপকর্ম হয়েছে। এগুলো যাতে ভবিষ্যতে বন্ধ হয়, নির্বাচনী ব্যবস্থা যাতে কার্যকর হয়, তার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যাতে দীর্ঘ মেয়াদে শক্ত হয়, সেই ব্যবস্থা তাঁরা করবেন। ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ, দুর্বল যন্ত্র ছিল। এগুলো অকেজো হয়ে গেছে বোধ হয়। এটার জন্য রাজনৈতিক ঐক্য এবং আস্থাশীলতা দরকার। রাজনীতিবিদদেরই এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আরএফইডির সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু হলো জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষের সাড়া পেয়ে তাঁরা উৎসাহিত হচ্ছেন। সবার মতামত নিয়ে তাঁরা সুচিন্তিত সুপারিশ করবেন।
সভায় আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমসহ অন্যরাও বক্তব্য রাখেন।

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১২ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেরেজা করিম, ঢাকা

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সূত্র বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলা হচ্ছিল। সংশয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয় নির্বাচন নিয়ে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা কয়েকটি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই দলগুলো মতবিরোধ পাশে রেখে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সংসদ নির্বাচন।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা করেছে। শিগগির তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগও শুরু করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের নাম বলেছে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো আগে থেকে প্রার্থী বাছাই, দল গোছানোসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু করে। বিএনপি গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। দলটির নেতারা বলছেন, এটি সম্ভাব্য তালিকা। তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজনে এই তালিকায় অদলবদল হতে পারে। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম মঙ্গলবার স্থগিত করেছে দলটি।
বিএনপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এনসিপিও প্রাথমিকভাবে কয়েকজন প্রার্থীর নাম বলেছে। দলটি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শিগগির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে এই তিন দলের বাইরেও ৫০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। ১৩৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ৬ দল। গণসংহতি আন্দোলন গতকাল বুধবার ৯১টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এবি পার্টি ১০৯, খেলাফত মজলিস ২৫৬, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২৬৮ এবং ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর বাইরেও অধিকাংশ দল সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। নির্বাচনমুখী এসব দলের প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গণসংযোগে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন ভোটের আমেজ।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগের বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে দেশের মানুষ পুরোপুরি নির্বাচনী ট্রেনে উঠে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে এই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাবে। এখানে আর কোনো সংশয় নেই।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করার সুযোগ এখন আর নেই। অনেক আলোচনা হয়েছে, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ বছর পর জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে উন্মুখ হয়ে আছে।’
নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে এখনো অনড় থাকলেও পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি এখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছে। গতকাল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সবাইকে নিয়েই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব। এটা দেরি হলেই বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা ও বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার দাবি বাস্তবায়ন হতে হবে এমনটি নয়। আমি বলব, আমার দাবিটাই মনে করি শ্রেষ্ঠ দাবি, জনগণ এইটা বিবেচনায় নেবে। আমরা যা করি, জনগণকে নিয়ে করব। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করব না।’
এনসিপিও নড়েচড়ে বসেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে গতকাল সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের।’
ঘোষিত সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। কমিশন ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন দেড় লাখ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৫ লাখ আনসার সদস্য।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে সেনাবাহিনীও। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকারঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। এই অবস্থায় নির্বাচনের প্রশ্নে সবার এক জায়গায় আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাওয়া খুব জরুরি। দায়বদ্ধতার জায়গা শক্তিশালী করতে হলে দরকার নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার। এই বিবেচনায় নির্বাচনেই স্বস্তি।

দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সূত্র বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলা হচ্ছিল। সংশয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয় নির্বাচন নিয়ে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা কয়েকটি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই দলগুলো মতবিরোধ পাশে রেখে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সংসদ নির্বাচন।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা করেছে। শিগগির তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগও শুরু করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের নাম বলেছে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো আগে থেকে প্রার্থী বাছাই, দল গোছানোসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু করে। বিএনপি গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। দলটির নেতারা বলছেন, এটি সম্ভাব্য তালিকা। তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজনে এই তালিকায় অদলবদল হতে পারে। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম মঙ্গলবার স্থগিত করেছে দলটি।
বিএনপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এনসিপিও প্রাথমিকভাবে কয়েকজন প্রার্থীর নাম বলেছে। দলটি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শিগগির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে এই তিন দলের বাইরেও ৫০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। ১৩৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ৬ দল। গণসংহতি আন্দোলন গতকাল বুধবার ৯১টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এবি পার্টি ১০৯, খেলাফত মজলিস ২৫৬, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২৬৮ এবং ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর বাইরেও অধিকাংশ দল সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। নির্বাচনমুখী এসব দলের প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গণসংযোগে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন ভোটের আমেজ।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগের বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে দেশের মানুষ পুরোপুরি নির্বাচনী ট্রেনে উঠে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে এই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাবে। এখানে আর কোনো সংশয় নেই।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করার সুযোগ এখন আর নেই। অনেক আলোচনা হয়েছে, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ বছর পর জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে উন্মুখ হয়ে আছে।’
নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে এখনো অনড় থাকলেও পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি এখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছে। গতকাল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সবাইকে নিয়েই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব। এটা দেরি হলেই বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা ও বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার দাবি বাস্তবায়ন হতে হবে এমনটি নয়। আমি বলব, আমার দাবিটাই মনে করি শ্রেষ্ঠ দাবি, জনগণ এইটা বিবেচনায় নেবে। আমরা যা করি, জনগণকে নিয়ে করব। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করব না।’
এনসিপিও নড়েচড়ে বসেছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে গতকাল সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের।’
ঘোষিত সময়ে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। কমিশন ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন দেড় লাখ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৫ লাখ আনসার সদস্য।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে সেনাবাহিনীও। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকারঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। এই অবস্থায় নির্বাচনের প্রশ্নে সবার এক জায়গায় আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাওয়া খুব জরুরি। দায়বদ্ধতার জায়গা শক্তিশালী করতে হলে দরকার নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার। এই বিবেচনায় নির্বাচনেই স্বস্তি।

‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন বিটের সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তাঁদের সংগঠন আরএফইডির পক্ষ থেকে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে মোট ৩৩টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গতকাল এই খসড়া প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত নেওয়ার জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ধারা ৭০-এ টেলিফোনে বিরক্ত করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে যদি এমনভাবে বারবার ফোন করেন যে তা ওই ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহলে বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অধ্যাদেশে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের জেল, দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৬৯-এ বলা হয়েছে অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা পাঠানোর অপরাধ ও এর সাজা বিষয়ে। এতে বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোনো বার্তা, ছবি বা ছায়াছবি পাঠালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট যন্ত্র পরিচালনাকারী ব্যক্তির কাছে এ কাজের প্রস্তাবকারী বা প্রেরণকারী কিংবা ক্ষেত্রমতো, উভয়েই অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আইনের দফা (গ)-এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে আড়ি পাতলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা জরিমানা কিংবা উভয় সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা—যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবই সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দেওয়া যাবে।

ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গতকাল এই খসড়া প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত নেওয়ার জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ধারা ৭০-এ টেলিফোনে বিরক্ত করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে যদি এমনভাবে বারবার ফোন করেন যে তা ওই ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহলে বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অধ্যাদেশে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের জেল, দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৬৯-এ বলা হয়েছে অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা পাঠানোর অপরাধ ও এর সাজা বিষয়ে। এতে বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোনো বার্তা, ছবি বা ছায়াছবি পাঠালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট যন্ত্র পরিচালনাকারী ব্যক্তির কাছে এ কাজের প্রস্তাবকারী বা প্রেরণকারী কিংবা ক্ষেত্রমতো, উভয়েই অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আইনের দফা (গ)-এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে আড়ি পাতলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দেড় কোটি টাকা জরিমানা কিংবা উভয় সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা—যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবই সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দেওয়া যাবে।

‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন বিটের সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তাঁদের সংগঠন আরএফইডির পক্ষ থেকে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে মোট ৩৩টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।
সরকার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী এবং নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়—‘আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন যেন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ ছাড়া সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।
সরকার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী এবং নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়—‘আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন যেন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ ছাড়া সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন বিটের সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তাঁদের সংগঠন আরএফইডির পক্ষ থেকে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে মোট ৩৩টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১২ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সুপারিশ করেছেন নির্বাচন বিটের সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তাঁদের সংগঠন আরএফইডির পক্ষ থেকে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে মোট ৩৩টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
১৬ নভেম্বর ২০২৪
দেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী সুর। রাজনৈতিক দলগুলো হঠাৎ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেও দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ।
১২ ঘণ্টা আগে
ফোনে কাউকে অশ্লীল, অশোভন বার্তা পাঠালে হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা। আর কাউকে টেলিফোনে বিরক্ত করার সাজা হতে পারে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব...
১৩ ঘণ্টা আগে