কারেন্ট জালের দৌরাত্ম্য চলছেই
সাইফুল মাসুম, ঢাকা
নিষিদ্ধ করার পর এক দশক চলে গেলেও নদীতে মাছ ধরায় কারেন্ট জালের ব্যবহার না কমে বরং বেড়েছে। প্রশাসনের অভিযানে নিষিদ্ধ এই জাল জব্দ করা এবং জেলেদের জরিমানার বহরও বেড়েছে; কিন্তু কারেন্ট জালের উৎপাদন থামেনি। উৎপাদন বন্ধ না করে নদীতে অভিযানে জোর দেওয়ার কারণে এই অবস্থা বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
কারেন্ট জাল ব্যবহারের কারণে মৎস্য সম্পদসহ জলজ জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই সূক্ষ্ম জালে জেলেদের কাছে ‘অপ্রয়োজনীয়’ খুব ছোট মাছ এবং জলজ প্রাণীও আটকা পড়ে মারা যায়। এতে ছোট মাছ বড় হয়ে উৎপাদন বাড়ার সুযোগ কমে যাওয়া ছাড়াও প্রাণপ্রকৃতির ক্ষতি হয়। পরিবেশ আন্দোলনকর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রচার আর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ২০১৩ সালে কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল, মশারি জালসহ ক্ষতিকর বিভিন্ন জাল নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে এর উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি। জেলেসহ দেশের গ্রামাঞ্চলের বিপুলসংখ্যক মানুষের মধ্যে এসব জালের ক্ষতি নিয়ে সচেতনতার অভাবও রয়েছে।
খোদ সরকারি তালিকাতেই কারেন্ট জাল উৎপাদন করা ৫২টি কারখানার নাম এসেছে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কারেন্ট জাল উৎপাদনে যুক্ত কারখানার সংখ্যা মৎস্য অধিদপ্তরের তালিকার চেয়ে অন্তত তিন গুণ বেশি। ২৭ ডিসেম্বর অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ৬ কোটি ৭৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
দেশে কারেন্ট জালের ব্যবহার শুরু হয় আশির দশকে। তখন বিদেশ থেকে এই জাল আমদানি হতো। ২০০০ সালের পর থেকে দেশেই উৎপাদন শুরু হয়। সে সময় কারেন্ট জাল বিক্রির বড় মোকাম ছিল পুরান ঢাকার চকবাজার। এখন কারেন্ট জাল তৈরির মূল কেন্দ্র ঢাকার কাছেই, মুন্সিগঞ্জ জেলায়। আর প্রকাশ্যে-গোপনে তা সারা দেশেই পাওয়া যায়।
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, মুন্সিগঞ্জের ৪৪টি কারখানা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল তৈরি করে। আর জাল আয়রন করে আটটি কারখানা। সাইনবোর্ডবিহীন এসব কারখানার সরকারি কোনো দপ্তরের লাইসেন্স বা অনুমোদন নেই। আয়রন করার কারখানায় ব্যবহৃত বয়লারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির সরকারি অনুমোদন
নেই। মুন্সিগঞ্জে কারেন্ট জাল তৈরির কারখানাগুলোর অধিকাংশই ফিরিঙ্গি বাজার, দয়াল বাজার, গোসাইবাগ, ধোপাবাড়ি ও দুর্গাবাড়ি এলাকায়।
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আট বছরে অবৈধ জাল নির্মূলে ১৩ হাজারের বেশি অভিযান এবং চার হাজারের বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ২২ কোটি ৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পোড়ানো হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ২১ হাজারের বেশি বেহুন্দি জাল। জেলেদের জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা। অভিযানের আওতাও বেড়েছে। ২০১৬ সালে তিনটি জেলায় অভিযান পরিচালনা করা হলেও ২০২৩ সালে তা চালানো হয়েছে উপকূলীয় ১৭টি জেলায়। কারেন্ট জাল ব্যবহারের কারণে আট বছরে ৪৭৮ জনকে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব। শুধু জাল জব্দ আর জরিমানা নয়; যেন উৎপাদন আর বাজারজাতকরণও বন্ধ করতে পারি।’
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এম সাহাবউদ্দিন এ নিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উৎপাদন বন্ধ না করে অভিযানে জোর দিয়ে লাভ নেই। কারখানাগুলোকে পুরোপুরি বন্ধ না করা হলে প্রান্তিক পর্যায়ে জেলেদের কাছে ঠিকই কারেন্ট জাল চলে যাবে। প্রথমে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে হবে। এর জন্য আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় খুব জরুরি।’
নিষিদ্ধ করার পর এক দশক চলে গেলেও নদীতে মাছ ধরায় কারেন্ট জালের ব্যবহার না কমে বরং বেড়েছে। প্রশাসনের অভিযানে নিষিদ্ধ এই জাল জব্দ করা এবং জেলেদের জরিমানার বহরও বেড়েছে; কিন্তু কারেন্ট জালের উৎপাদন থামেনি। উৎপাদন বন্ধ না করে নদীতে অভিযানে জোর দেওয়ার কারণে এই অবস্থা বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
কারেন্ট জাল ব্যবহারের কারণে মৎস্য সম্পদসহ জলজ জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই সূক্ষ্ম জালে জেলেদের কাছে ‘অপ্রয়োজনীয়’ খুব ছোট মাছ এবং জলজ প্রাণীও আটকা পড়ে মারা যায়। এতে ছোট মাছ বড় হয়ে উৎপাদন বাড়ার সুযোগ কমে যাওয়া ছাড়াও প্রাণপ্রকৃতির ক্ষতি হয়। পরিবেশ আন্দোলনকর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রচার আর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ২০১৩ সালে কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল, মশারি জালসহ ক্ষতিকর বিভিন্ন জাল নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে এর উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি। জেলেসহ দেশের গ্রামাঞ্চলের বিপুলসংখ্যক মানুষের মধ্যে এসব জালের ক্ষতি নিয়ে সচেতনতার অভাবও রয়েছে।
খোদ সরকারি তালিকাতেই কারেন্ট জাল উৎপাদন করা ৫২টি কারখানার নাম এসেছে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কারেন্ট জাল উৎপাদনে যুক্ত কারখানার সংখ্যা মৎস্য অধিদপ্তরের তালিকার চেয়ে অন্তত তিন গুণ বেশি। ২৭ ডিসেম্বর অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ৬ কোটি ৭৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
দেশে কারেন্ট জালের ব্যবহার শুরু হয় আশির দশকে। তখন বিদেশ থেকে এই জাল আমদানি হতো। ২০০০ সালের পর থেকে দেশেই উৎপাদন শুরু হয়। সে সময় কারেন্ট জাল বিক্রির বড় মোকাম ছিল পুরান ঢাকার চকবাজার। এখন কারেন্ট জাল তৈরির মূল কেন্দ্র ঢাকার কাছেই, মুন্সিগঞ্জ জেলায়। আর প্রকাশ্যে-গোপনে তা সারা দেশেই পাওয়া যায়।
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, মুন্সিগঞ্জের ৪৪টি কারখানা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল তৈরি করে। আর জাল আয়রন করে আটটি কারখানা। সাইনবোর্ডবিহীন এসব কারখানার সরকারি কোনো দপ্তরের লাইসেন্স বা অনুমোদন নেই। আয়রন করার কারখানায় ব্যবহৃত বয়লারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির সরকারি অনুমোদন
নেই। মুন্সিগঞ্জে কারেন্ট জাল তৈরির কারখানাগুলোর অধিকাংশই ফিরিঙ্গি বাজার, দয়াল বাজার, গোসাইবাগ, ধোপাবাড়ি ও দুর্গাবাড়ি এলাকায়।
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আট বছরে অবৈধ জাল নির্মূলে ১৩ হাজারের বেশি অভিযান এবং চার হাজারের বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ২২ কোটি ৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পোড়ানো হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ২১ হাজারের বেশি বেহুন্দি জাল। জেলেদের জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা। অভিযানের আওতাও বেড়েছে। ২০১৬ সালে তিনটি জেলায় অভিযান পরিচালনা করা হলেও ২০২৩ সালে তা চালানো হয়েছে উপকূলীয় ১৭টি জেলায়। কারেন্ট জাল ব্যবহারের কারণে আট বছরে ৪৭৮ জনকে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব। শুধু জাল জব্দ আর জরিমানা নয়; যেন উৎপাদন আর বাজারজাতকরণও বন্ধ করতে পারি।’
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এম সাহাবউদ্দিন এ নিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উৎপাদন বন্ধ না করে অভিযানে জোর দিয়ে লাভ নেই। কারখানাগুলোকে পুরোপুরি বন্ধ না করা হলে প্রান্তিক পর্যায়ে জেলেদের কাছে ঠিকই কারেন্ট জাল চলে যাবে। প্রথমে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে হবে। এর জন্য আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় খুব জরুরি।’
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল ১০ বছরের বিষয়ে জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল একমত হলেও বিএনপিসহ তিনটি দল দ্বিমত পোষণ করেছ বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের পঞ্চম দিনের মুলতবি শেষে
৫ মিনিট আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৯ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই দি
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি।’
৬ ঘণ্টা আগে