জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু আত্ম বিক্রি হয়ে যাওয়াকে ঘৃণা করতেন। আমাদের রাজনীতিতে আত্ম বিক্রির ইতিহাস বহুদিনের পুরোনো। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়ে নিজেদের বিক্রির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন দেখে হতবাক হতেন শেখ মুজিব।
দেশভাগ হওয়ার আগের একটি ঘটনার সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক। বাংলায় মুসলিম লীগ সরকারের পতনের সময়কার ঘটনা। তখন ভোট হবে। এমএলএরা ভোট দেবেন। তখন ভোট কেনা শুরু হলো। এমএলএদের কেউ কেউ অন্য দলের কাছ থেকে গোপনে টাকাপয়সা নেওয়া শুরু করলেন। সে বিষয়েই বঙ্গবন্ধু লিখলেন, ‘এর পূর্বে আমার ধারণা ছিল না যে এমএলএরা এইভাবে টাকা নিতে পারে। এরাই দেশের ও জনগণের প্রতিনিধি। আমার মনে আছে আমাদের উপর ভার পড়ল কয়েকজন এমএলএকে পাহারা দেবার, যাতে তারা দল ত্যাগ করে অন্য দলে না যেতে পারে। আমি তাদের নাম বলতে চাই না কারণ অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। একজন এমএলএকে মুসলিম লীগ অফিসে আটকানো হলো। তিনি বারবার চেষ্টা করেন বাইরে যেতে কিন্তু আমাদের জন্য পারছেন না।
কিছু সময় পরে বললেন আমাকে বাইরে যেতে দিন কোন ভয় নাই বিরোধীদল টাকা দিতেছে। যদি কিছু টাকা নিয়ে আসতে পারি আপনাদের ক্ষতি কি? ভোট আমি মুসলিম লীগের পক্ষেই দিব।’
আশ্চর্য হয়ে চেয়ে রইলাম তাঁর দিকে। বৃদ্ধ লোক, সুন্দর চেহারা, লেখাপড়া কিছু জানেন। কেমন করে এই কথা বলতে পারলেন আমাদের কাছে, টাকা নেবেন একদল থেকে অন্য দলের সভ্য হয়ে, আবার টাকা এনে ভোটও দেবেন না। কতটা অধঃপতন হতে পারে আমাদের সমাজের। সেই অধঃপতন এখনো অব্যাহত আছে। বঙ্গবন্ধু থাকলে এ নিয়ে কী বলতেন, তা ভাবতে খুব একটা কষ্ট হয় না।
বঙ্গবন্ধু আত্ম বিক্রি হয়ে যাওয়াকে ঘৃণা করতেন। আমাদের রাজনীতিতে আত্ম বিক্রির ইতিহাস বহুদিনের পুরোনো। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়ে নিজেদের বিক্রির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন দেখে হতবাক হতেন শেখ মুজিব।
দেশভাগ হওয়ার আগের একটি ঘটনার সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক। বাংলায় মুসলিম লীগ সরকারের পতনের সময়কার ঘটনা। তখন ভোট হবে। এমএলএরা ভোট দেবেন। তখন ভোট কেনা শুরু হলো। এমএলএদের কেউ কেউ অন্য দলের কাছ থেকে গোপনে টাকাপয়সা নেওয়া শুরু করলেন। সে বিষয়েই বঙ্গবন্ধু লিখলেন, ‘এর পূর্বে আমার ধারণা ছিল না যে এমএলএরা এইভাবে টাকা নিতে পারে। এরাই দেশের ও জনগণের প্রতিনিধি। আমার মনে আছে আমাদের উপর ভার পড়ল কয়েকজন এমএলএকে পাহারা দেবার, যাতে তারা দল ত্যাগ করে অন্য দলে না যেতে পারে। আমি তাদের নাম বলতে চাই না কারণ অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। একজন এমএলএকে মুসলিম লীগ অফিসে আটকানো হলো। তিনি বারবার চেষ্টা করেন বাইরে যেতে কিন্তু আমাদের জন্য পারছেন না।
কিছু সময় পরে বললেন আমাকে বাইরে যেতে দিন কোন ভয় নাই বিরোধীদল টাকা দিতেছে। যদি কিছু টাকা নিয়ে আসতে পারি আপনাদের ক্ষতি কি? ভোট আমি মুসলিম লীগের পক্ষেই দিব।’
আশ্চর্য হয়ে চেয়ে রইলাম তাঁর দিকে। বৃদ্ধ লোক, সুন্দর চেহারা, লেখাপড়া কিছু জানেন। কেমন করে এই কথা বলতে পারলেন আমাদের কাছে, টাকা নেবেন একদল থেকে অন্য দলের সভ্য হয়ে, আবার টাকা এনে ভোটও দেবেন না। কতটা অধঃপতন হতে পারে আমাদের সমাজের। সেই অধঃপতন এখনো অব্যাহত আছে। বঙ্গবন্ধু থাকলে এ নিয়ে কী বলতেন, তা ভাবতে খুব একটা কষ্ট হয় না।
জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধনের পরও বেতন পাচ্ছেন না এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী। এ অবস্থায় অর্থসংকটে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
৭ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার অস্থায়ী মণ্ডপ অপসারণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়।
১১ ঘণ্টা আগেঢাকা ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করতে জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
১১ ঘণ্টা আগেঅভিযান শেষে সাংবাদিকদের সাইদুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশি ও ভারতীয় কর্মচারীদের মধ্যে বেতনবৈষম্য, কর অব্যাহতি, কয়লা কেনায় অনিয়ম, যন্ত্রপাতি লুটপাটসহ অন্য অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।’
১২ ঘণ্টা আগে