ডা. লেলিন চৌধুরী
ঢাকা: ডেলটা ভ্যারিয়েবল করোনাভাইরাস বাংলাদেশের প্রায় ৫৭ থেকে ৫৯টি জেলাকে আক্রান্ত করেছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে এই ভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরবর্তী সময়ে অন্য এলাকাসহ রাজধানীর দিকে ধেয়ে আসে। অতিসংক্রমণশীল এই ভাইরাস ইতিমধ্যে বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু এবং সংক্রমণ অনেক বাড়িয়েছে। এ ভাইরাসটি আগ্রাসী গতিতে মানুষকে আক্রান্ত করে, আক্রান্ত ব্যক্তিরা অক্সিজেনের অভাবে ভুগতে থাকে। এর আগে আমরা দেখেছি করোনায় আক্রান্তদের যাঁরা মারা গেছেন, তাঁরা সংক্রমণের ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে মারা যান। কিন্তু এই ভ্যারিয়েবলের মধ্যে দেখেছি, আক্রান্ত হওয়ার প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যে ৪৮ থেকে ৫০ শতাংশ এবং পরের পাঁচ দিনে ৫০ থেকে ৫২ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়।
ডেলটা ভ্যারিয়েবল এই ভাইরাসকে যদি আমরা থামাতে না পারি, তাহলে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে যার বীভৎস রূপ ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি। তাই এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার বৃদ্ধিতে রাশ টানতে কতগুলো পদক্ষেপ নিতে হয়। সেগুলো কিছু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে, কিছু ব্যক্তিগত পর্যায়ে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে
প্রথম পদক্ষেপ নিতে হয় লকডাউন।
লকডাউন হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে জন-চলাচলকে নিয়ন্ত্রিত করে একজন মানুষের শরীর থেকে আরেকজন মানুষের শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করার ধারাবাহিকতা থামিয়ে দেওয়া হয়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ১৪ দিনের মধ্যে ভাইরাসটি নির্মূল হয়ে যায়। লকডাউন দিয়ে বসে থাকলে হবে না। এর মাধ্যমে একদিকে মানুষের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, অন্যদিকে লকডাউনের স্থানে ব্যাপক করোনা পরীক্ষা চালু রাখতে হবে। এই টেস্টের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা যাবে। তাদের আইসোলেশনে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
এমন মহামারি দুর্যোগে রাষ্ট্রের শুধু প্রজ্ঞাপন জারি করেই দায়দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। করোনা থেকে বাঁচতে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে হবে। করোনা প্রতিরোধের লড়াইয়ে জনসম্পৃক্ততা হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র বা কৌশল।
সমাজের কিছু মানুষ লকডাউনের সময়ে খাদ্যের অভাবে কষ্ট পায়। তাদের তালিকা করে লকডাউনের সময় বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মানুষকে ক্ষুধার্ত রেখে লকডাউন সফল করা সম্ভব নয়। ক্ষুধার্ত মানুষ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেপরোয়া। তবে রাষ্ট্র সামগ্রিক কল্যাণে যে উদ্যোগ নেবে, নাগরিকের দায়িত্ব তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করা। মনে রাখতে হবে, লকডাউনে কিছু কারখানা ও প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, আবার কিছু কারখানা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। লকডাউনে এমন বৈষম্য হলে অন্যায্যতার জন্ম দেবে। এই অন্যায্য বৈষম্য মানুষকে বিক্ষুব্ধ করবে। এতে লকডাউন অনেকাংশে ব্যাহত হবে। লকডাউন সফল করতে সব প্রতিষ্ঠান ৭–১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাখতে হবে।
ডা. লেলিন চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
ঢাকা: ডেলটা ভ্যারিয়েবল করোনাভাইরাস বাংলাদেশের প্রায় ৫৭ থেকে ৫৯টি জেলাকে আক্রান্ত করেছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে এই ভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরবর্তী সময়ে অন্য এলাকাসহ রাজধানীর দিকে ধেয়ে আসে। অতিসংক্রমণশীল এই ভাইরাস ইতিমধ্যে বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু এবং সংক্রমণ অনেক বাড়িয়েছে। এ ভাইরাসটি আগ্রাসী গতিতে মানুষকে আক্রান্ত করে, আক্রান্ত ব্যক্তিরা অক্সিজেনের অভাবে ভুগতে থাকে। এর আগে আমরা দেখেছি করোনায় আক্রান্তদের যাঁরা মারা গেছেন, তাঁরা সংক্রমণের ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে মারা যান। কিন্তু এই ভ্যারিয়েবলের মধ্যে দেখেছি, আক্রান্ত হওয়ার প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যে ৪৮ থেকে ৫০ শতাংশ এবং পরের পাঁচ দিনে ৫০ থেকে ৫২ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়।
ডেলটা ভ্যারিয়েবল এই ভাইরাসকে যদি আমরা থামাতে না পারি, তাহলে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে যার বীভৎস রূপ ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি। তাই এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার বৃদ্ধিতে রাশ টানতে কতগুলো পদক্ষেপ নিতে হয়। সেগুলো কিছু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে, কিছু ব্যক্তিগত পর্যায়ে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে
প্রথম পদক্ষেপ নিতে হয় লকডাউন।
লকডাউন হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে জন-চলাচলকে নিয়ন্ত্রিত করে একজন মানুষের শরীর থেকে আরেকজন মানুষের শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করার ধারাবাহিকতা থামিয়ে দেওয়া হয়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ১৪ দিনের মধ্যে ভাইরাসটি নির্মূল হয়ে যায়। লকডাউন দিয়ে বসে থাকলে হবে না। এর মাধ্যমে একদিকে মানুষের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, অন্যদিকে লকডাউনের স্থানে ব্যাপক করোনা পরীক্ষা চালু রাখতে হবে। এই টেস্টের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা যাবে। তাদের আইসোলেশনে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
এমন মহামারি দুর্যোগে রাষ্ট্রের শুধু প্রজ্ঞাপন জারি করেই দায়দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। করোনা থেকে বাঁচতে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে হবে। করোনা প্রতিরোধের লড়াইয়ে জনসম্পৃক্ততা হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র বা কৌশল।
সমাজের কিছু মানুষ লকডাউনের সময়ে খাদ্যের অভাবে কষ্ট পায়। তাদের তালিকা করে লকডাউনের সময় বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মানুষকে ক্ষুধার্ত রেখে লকডাউন সফল করা সম্ভব নয়। ক্ষুধার্ত মানুষ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেপরোয়া। তবে রাষ্ট্র সামগ্রিক কল্যাণে যে উদ্যোগ নেবে, নাগরিকের দায়িত্ব তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করা। মনে রাখতে হবে, লকডাউনে কিছু কারখানা ও প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, আবার কিছু কারখানা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। লকডাউনে এমন বৈষম্য হলে অন্যায্যতার জন্ম দেবে। এই অন্যায্য বৈষম্য মানুষকে বিক্ষুব্ধ করবে। এতে লকডাউন অনেকাংশে ব্যাহত হবে। লকডাউন সফল করতে সব প্রতিষ্ঠান ৭–১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাখতে হবে।
ডা. লেলিন চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, নৌকাবাইচের মতো অনুমোদিত খেলায় আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হলে সেগুলোকে জুয়া হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য দুই বছর কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। জুয়া নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করলেও দেওয়া হবে জেল-জরিমানা। অফলাইন ও অনলাইনে জুয়া খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ রোববার (২২ জুন) একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ সময় ‘মব’ কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এবং অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা সরকারের নজরে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগেভারতীয় টিভি চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং বাংলাদেশে তাদের সম্প্রচার নিষিদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
৬ ঘণ্টা আগেপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই হামলার পরিণতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই নাজুক একটি অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা
৮ ঘণ্টা আগে