ডা. বে-নজির আহমেদ
কোভিড-১৯ আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ক্ষতগুলো সামনে নিয়ে এসেছে। এই ক্ষত আসলে যুগ যুগ ধরেই স্বাস্থ্য খাতে ছিল। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা খুবই কম। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অনেক কাজ হয় না। জবাবদিহির অভাব আছে। আর ঘুষ, দুর্নীতি, কাজে গাফিলতি তো আছেই।
আমি যখন স্বাস্থ্যের ডিজি উপদেষ্টা ছিলাম, তখন এই বিভাগের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি। পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে খুব কাজ হয়েছে, তা নয়। স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ছুটিছাটা, পদোন্নতি পুরো বিষয়টাকে আমি অটোমেশন করার চেষ্টা করেছিলাম, যাতে কোনো কাজে দীর্ঘসূত্রতা না থাকে। কে কবে ছুটি নিল, কে কোন কাজ করছে, কোন ফাইল কোথায় আটকে আছে—সবকিছু যেন নজরদারিতে থাকে, সেই ব্যবস্থাটা থাকা খুব দরকার। এটা করতে ৯৯ শতাংশ কাজ এগিয়েও ছিল। কিন্তু অটোমেশনব্যবস্থাটা চালু করা যায়নি। কারণ, এটা চালু করলে অনেক ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যেত। অনেকেই এতে আপত্তি জানিয়েছিল। একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে সেটা আটকে যায়।
স্বাস্থ্য খাতে জনবলও একেবারেই কম। করোনা সেটা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কোনো পদ সৃষ্টি করা বা কোনো পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়াটা অত্যন্ত জটিল। স্বাস্থ্যে নিয়োগ দিতে হলে প্রথম একটা ফাইল তৈরি করা হয়। সেটা প্রথমে অধিদপ্তরের আট–দশটা টেবিল ঘোরে। তারপর সেটা যায় মন্ত্রণালয়ে। সেখানে গিয়ে আবার ষোলো–সতেরোটা টেবিল ঘোরে। তারপর এটা যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। তারপর যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। তারপর আবার ফিরে আসে। যদি এটা প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির কোনো পদের নিয়োগ হয়, তাহলে এটা আবার পিএসসিতে যায়। সেখানে আবার টেবিলে ঘোরাঘুরি চলে। এ ছাড়া বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমেও অনেক নিয়োগ হয়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেসব কমিটিতে দেখা যায় দুটো দল থাকে। একটা দল চিন্তা করে নিয়োগটা কীভাবে ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায়। দক্ষ–যোগ্য লোক নেওয়া যায়।
আরেকটা দল ভাবে কীভাবে পকেট ভারী করা যায়। কীভাবে নিজেদের আত্মীয়স্বজন নিয়োগ দেওয়া যায়। আর রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগে দেনদরবার তো থাকেই।
সবকিছুর শেষে এর বলি হয় সাধারণ জনগণ। আর বেহাল থেকে বেহালতর হয় আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। তবু স্বপ্ন দেখি, এ অবস্থার হয়তো পরিবর্তন হবে। ৫০ বা ১০০ বছর যত সময়ই লাগুক না কেন, ঘুরে দাঁড়াবে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
ডা. বে-নজির আহমেদ
সাবেক পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ
কোভিড-১৯ আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ক্ষতগুলো সামনে নিয়ে এসেছে। এই ক্ষত আসলে যুগ যুগ ধরেই স্বাস্থ্য খাতে ছিল। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা খুবই কম। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অনেক কাজ হয় না। জবাবদিহির অভাব আছে। আর ঘুষ, দুর্নীতি, কাজে গাফিলতি তো আছেই।
আমি যখন স্বাস্থ্যের ডিজি উপদেষ্টা ছিলাম, তখন এই বিভাগের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি। পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে খুব কাজ হয়েছে, তা নয়। স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ছুটিছাটা, পদোন্নতি পুরো বিষয়টাকে আমি অটোমেশন করার চেষ্টা করেছিলাম, যাতে কোনো কাজে দীর্ঘসূত্রতা না থাকে। কে কবে ছুটি নিল, কে কোন কাজ করছে, কোন ফাইল কোথায় আটকে আছে—সবকিছু যেন নজরদারিতে থাকে, সেই ব্যবস্থাটা থাকা খুব দরকার। এটা করতে ৯৯ শতাংশ কাজ এগিয়েও ছিল। কিন্তু অটোমেশনব্যবস্থাটা চালু করা যায়নি। কারণ, এটা চালু করলে অনেক ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যেত। অনেকেই এতে আপত্তি জানিয়েছিল। একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে সেটা আটকে যায়।
স্বাস্থ্য খাতে জনবলও একেবারেই কম। করোনা সেটা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কোনো পদ সৃষ্টি করা বা কোনো পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়াটা অত্যন্ত জটিল। স্বাস্থ্যে নিয়োগ দিতে হলে প্রথম একটা ফাইল তৈরি করা হয়। সেটা প্রথমে অধিদপ্তরের আট–দশটা টেবিল ঘোরে। তারপর সেটা যায় মন্ত্রণালয়ে। সেখানে গিয়ে আবার ষোলো–সতেরোটা টেবিল ঘোরে। তারপর এটা যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। তারপর যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। তারপর আবার ফিরে আসে। যদি এটা প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির কোনো পদের নিয়োগ হয়, তাহলে এটা আবার পিএসসিতে যায়। সেখানে আবার টেবিলে ঘোরাঘুরি চলে। এ ছাড়া বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমেও অনেক নিয়োগ হয়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেসব কমিটিতে দেখা যায় দুটো দল থাকে। একটা দল চিন্তা করে নিয়োগটা কীভাবে ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায়। দক্ষ–যোগ্য লোক নেওয়া যায়।
আরেকটা দল ভাবে কীভাবে পকেট ভারী করা যায়। কীভাবে নিজেদের আত্মীয়স্বজন নিয়োগ দেওয়া যায়। আর রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগে দেনদরবার তো থাকেই।
সবকিছুর শেষে এর বলি হয় সাধারণ জনগণ। আর বেহাল থেকে বেহালতর হয় আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। তবু স্বপ্ন দেখি, এ অবস্থার হয়তো পরিবর্তন হবে। ৫০ বা ১০০ বছর যত সময়ই লাগুক না কেন, ঘুরে দাঁড়াবে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
ডা. বে-নজির আহমেদ
সাবেক পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ
বালুমহাল নিয়ে ১০টি নির্দেশনা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে আজ বুধবার সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বালুমহাল নিয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতির মামলা চলমান থাকায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তাঁর স্ত্রী শাহীন সিদ্দিক ও তাঁর মেয়ে নুরিন সিদ্দিকের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ১৩টি হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭১ টাকা জমা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়ে আগামী ১ জুন রায় দেবেন আপিল বিভাগ। চতুর্থ দিনের মতো শুনানি শেষে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেবেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ভেতরে নতুন বাহিনী গঠনের প্রস্তাব নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কর্মকর্তারা মনে করছেন, নতুন বাহিনী গঠন বেবিচকের এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) বিভাগের অস্তিত্বের ওপর হুমকি তৈরি করবে। এ নিয়ে বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে