অনলাইন ডেস্ক
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে আগুন লাগে। ভবনের দুই জায়গায় আগুনের সূত্রপাত। পুড়ে ছাই হয়েছে পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ সব। ফায়ার সার্ভিসের ২১১ জন কর্মী ও ২০টি ইউনিটের আগুন নেভাতে সময় লেগেছে প্রায় ১০ ঘণ্টা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, তাঁদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। এর মধ্যে সচিবালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে না পারার সমস্যা অন্যতম।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অপারেশনস মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, আগুন নেভানোর সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগুন নেভাতে এত সময় লাগা অযৌক্তিক ও অবিশ্বাস্য। ১০ মিনিটের আগুন নেভাতে ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, সচিবালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে গাড়ি প্রবেশে সমস্যা ছাড়াও টার্নটেবল ল্যাডার (টিটিএল) নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। দুটি টিটিএল ভেতরে নেওয়া গেছে। আরও টিটিএল নিতে পারলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যেত।
বুধবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে। ৬ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জানালার ভাঙা গ্লাস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, ভবনের ছয় থেকে আটতলা পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, সচিবালয়ের পাঁচটি ফটকের মধ্যে মাত্র দুটি দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়ি ঢুকতে পারে। এ দুটি ফটকের সংকীর্ণতা আগুন নেভানোর প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করেছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ফটক পার হওয়ার সময় ভেঙে যায় এবং গাড়ি বের করতেও সমস্যা হয়েছে। ফটক সম্প্রসারণের প্রস্তাব আগেই দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির একটি বড় কারণ ছিল মন্ত্রণালয়গুলোয় কাঠের সৌন্দর্যবর্ধন। ফায়ার সার্ভিসের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষ বন্ধ থাকায় তালা ও জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে।
আগুন দেরিতে নেভার বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাঁদের ২০ ইউনিট ও ২১১ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী কাজ করেছেন। তবে জায়গার সংকটের কারণে ১০ ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে। বাকি ইউনিটগুলো বসে ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির সংকট ছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে পানির কোনো সংকট ছিল না। পাশেই ওসমানী মিলনায়তন থেকে পানি আনা হয়েছে। ওয়াসার গাড়ি এসে পানি দিয়ে যেত। কিন্তু সচিবালয়ের কক্ষগুলো আবদ্ধ ও গ্লাস লাগানো থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। এখানে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই।’
জানা গেছে, ৭ নম্বর ভবনে সড়ক পরিবহন, স্থানীয় সরকার, যুব ও ক্রীড়া এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর।
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে আগুন লাগে। ভবনের দুই জায়গায় আগুনের সূত্রপাত। পুড়ে ছাই হয়েছে পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ সব। ফায়ার সার্ভিসের ২১১ জন কর্মী ও ২০টি ইউনিটের আগুন নেভাতে সময় লেগেছে প্রায় ১০ ঘণ্টা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, তাঁদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। এর মধ্যে সচিবালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে না পারার সমস্যা অন্যতম।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অপারেশনস মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, আগুন নেভানোর সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগুন নেভাতে এত সময় লাগা অযৌক্তিক ও অবিশ্বাস্য। ১০ মিনিটের আগুন নেভাতে ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, সচিবালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে গাড়ি প্রবেশে সমস্যা ছাড়াও টার্নটেবল ল্যাডার (টিটিএল) নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। দুটি টিটিএল ভেতরে নেওয়া গেছে। আরও টিটিএল নিতে পারলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যেত।
বুধবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে। ৬ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জানালার ভাঙা গ্লাস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, ভবনের ছয় থেকে আটতলা পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, সচিবালয়ের পাঁচটি ফটকের মধ্যে মাত্র দুটি দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়ি ঢুকতে পারে। এ দুটি ফটকের সংকীর্ণতা আগুন নেভানোর প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করেছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ফটক পার হওয়ার সময় ভেঙে যায় এবং গাড়ি বের করতেও সমস্যা হয়েছে। ফটক সম্প্রসারণের প্রস্তাব আগেই দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির একটি বড় কারণ ছিল মন্ত্রণালয়গুলোয় কাঠের সৌন্দর্যবর্ধন। ফায়ার সার্ভিসের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষ বন্ধ থাকায় তালা ও জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে।
আগুন দেরিতে নেভার বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাঁদের ২০ ইউনিট ও ২১১ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী কাজ করেছেন। তবে জায়গার সংকটের কারণে ১০ ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে। বাকি ইউনিটগুলো বসে ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির সংকট ছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে পানির কোনো সংকট ছিল না। পাশেই ওসমানী মিলনায়তন থেকে পানি আনা হয়েছে। ওয়াসার গাড়ি এসে পানি দিয়ে যেত। কিন্তু সচিবালয়ের কক্ষগুলো আবদ্ধ ও গ্লাস লাগানো থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। এখানে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই।’
জানা গেছে, ৭ নম্বর ভবনে সড়ক পরিবহন, স্থানীয় সরকার, যুব ও ক্রীড়া এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দপ্তর।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রস্তাবনা প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুবারের প্রস্তাব করেছে। তবে কয়েকটি দল দুবারের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার হতে পারবেন বলে মত দিয়েছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৯ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই দি
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি।’
৪ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিএনপি।
৪ ঘণ্টা আগে