নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পদত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই সংবাদ সম্মেলন থেকেই হাবিবুল আউয়াল কমিশন পদত্যাগ করতে পারে—এ রকম বলাবলি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে পদত্যাগপত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সামনে আসার আগে বেলা ১১টায় ইসি সচিবালয়ের সব কর্মকর্তার সঙ্গে ‘সৌজন্য বিনিময়’ করবে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পদত্যাগের আগে এটিই হয়তো কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাবিবুল আউয়াল কমিশনের শেষ বৈঠক।
জানা গেছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের সময় উপস্থাপনের জন্য নিজের বক্তব্য প্রস্তুত করে রেখেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেখানে নিজেদের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করতে পারেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পদত্যাগের পক্ষে ছিলেন সিইসি। কিন্তু অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এত দিন সায় দেননি। নিজ থেকে পদত্যাগ করা ঠিক হবে না বলে সিইসিকে বোঝান তাঁরা। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল নির্বাচন ভবনে কমিশনাররা নিজেরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
গতকাল বিকেলে নির্বাচন ভবন থেকে বের হওয়ার সময় পদত্যাগ করছেন কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন কিছুই বলব না। আগামীকাল (আজ) ১২টায় আপনাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে; যা বলার সেখানে বলব।’
রাষ্ট্রপতি কিছু বলেছেন কি না, এ প্রশ্নে সিইসি বলেন, রাষ্ট্রপতি দেখা করতে বলেছেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়া বর্তমান কমিশনের বাকি চার সদস্য হচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান। এই কমিশনের পরিচালনায় গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া গত আড়াই বছরে দেড় সহস্রাধিক পদে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন, উপনির্বাচন করেছে তারা।
এই মুহূর্তে কমিশন পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক কোনো সংকট তৈরি হবে কি না—জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন করে নিয়োগ দেবে। তারা তো নিয়োগ দিচ্ছে। তথ্য কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে, এখানেও নিয়োগ দেবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আইন মেনে, সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু এটি তো বিশেষ পরিস্থিতি।’
সর্বশেষ ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে মেয়াদ শেষের আগেই তৎকালীন আলোচিত বিচারপতি এম এ আজিজ নেতৃত্বাধীন পুরো ইসিকে বিদায় নিতে হয়েছিল।
নির্বাচন ভবনের সামনে বিক্ষোভ
এদিকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগসহ ইসি সংস্কারের দাবিতে ইসি সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে গতকাল। বেলা ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে ‘১৭ বছর ধরে ভোটাধিকারবঞ্চিত নাগরিক সমাজের’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ থেকে ইসির সংস্কার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মোট পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে—হাবিবুল আউয়াল কমিশনের পদত্যাগ, ২০১৮ সালের কে এম নূরুল হুদা কমিশনের বিচার, ২০১৪ সালের কাজী রকিব কমিশনের বিচার, ‘বিগত সরকারের দালাল’ কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং দক্ষ, যোগ্য ও সৎ কর্মকর্তাদের পদায়ন।
পদত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই সংবাদ সম্মেলন থেকেই হাবিবুল আউয়াল কমিশন পদত্যাগ করতে পারে—এ রকম বলাবলি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে পদত্যাগপত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সামনে আসার আগে বেলা ১১টায় ইসি সচিবালয়ের সব কর্মকর্তার সঙ্গে ‘সৌজন্য বিনিময়’ করবে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পদত্যাগের আগে এটিই হয়তো কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাবিবুল আউয়াল কমিশনের শেষ বৈঠক।
জানা গেছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের সময় উপস্থাপনের জন্য নিজের বক্তব্য প্রস্তুত করে রেখেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেখানে নিজেদের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করতে পারেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পদত্যাগের পক্ষে ছিলেন সিইসি। কিন্তু অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এত দিন সায় দেননি। নিজ থেকে পদত্যাগ করা ঠিক হবে না বলে সিইসিকে বোঝান তাঁরা। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল নির্বাচন ভবনে কমিশনাররা নিজেরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
গতকাল বিকেলে নির্বাচন ভবন থেকে বের হওয়ার সময় পদত্যাগ করছেন কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন কিছুই বলব না। আগামীকাল (আজ) ১২টায় আপনাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে; যা বলার সেখানে বলব।’
রাষ্ট্রপতি কিছু বলেছেন কি না, এ প্রশ্নে সিইসি বলেন, রাষ্ট্রপতি দেখা করতে বলেছেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়া বর্তমান কমিশনের বাকি চার সদস্য হচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান। এই কমিশনের পরিচালনায় গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া গত আড়াই বছরে দেড় সহস্রাধিক পদে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন, উপনির্বাচন করেছে তারা।
এই মুহূর্তে কমিশন পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক কোনো সংকট তৈরি হবে কি না—জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন করে নিয়োগ দেবে। তারা তো নিয়োগ দিচ্ছে। তথ্য কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে, এখানেও নিয়োগ দেবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আইন মেনে, সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু এটি তো বিশেষ পরিস্থিতি।’
সর্বশেষ ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে মেয়াদ শেষের আগেই তৎকালীন আলোচিত বিচারপতি এম এ আজিজ নেতৃত্বাধীন পুরো ইসিকে বিদায় নিতে হয়েছিল।
নির্বাচন ভবনের সামনে বিক্ষোভ
এদিকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগসহ ইসি সংস্কারের দাবিতে ইসি সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে গতকাল। বেলা ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে ‘১৭ বছর ধরে ভোটাধিকারবঞ্চিত নাগরিক সমাজের’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ থেকে ইসির সংস্কার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মোট পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে—হাবিবুল আউয়াল কমিশনের পদত্যাগ, ২০১৮ সালের কে এম নূরুল হুদা কমিশনের বিচার, ২০১৪ সালের কাজী রকিব কমিশনের বিচার, ‘বিগত সরকারের দালাল’ কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং দক্ষ, যোগ্য ও সৎ কর্মকর্তাদের পদায়ন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৬৬৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৬৮ জন। মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ১৩৭ জনকে।
১২ ঘণ্টা আগেপুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী (৭৮) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১২ ঘণ্টা আগে১৮৬১ সালের পুলিশ আইনেই গন্ডগোল আছে উল্লেখ করে সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেছেন, সংস্কার কমিশন পুলিশের বিষয়ে বলছে অনেক বিষয় পরীক্ষা–নিরীক্ষা দরকার। পরীক্ষা-নিরীক্ষা যদি দরকার হয়, তাহলে এই সংস্কার কমিশনের কী দরকার। অথচ গন্ডগোল ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনে। তা নিয়ে সংস্কার কমিশন কিছু বলছে না।
১৪ ঘণ্টা আগেআজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম। ‘নাগরিক ভাবনায় জনতার পুলিশ: নিরাপত্তা ও আস্থার বন্ধন’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বিশেষ আলোচক হিসেবে এসব বক্তব্য দেন...
১৫ ঘণ্টা আগে