
‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢল এবং ভারতের ত্রিপুরা থেকে আসা পানিতে ভুগছে বাংলাদেশের ১২ জেলা। কোথাও ভেঙেছে সড়ক, কোথাও বাঁধ। আবার কোথাও তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, কোথাও কোথাও পানিয়ে ছুঁয়েছে টিনের চাল। তবে গতকাল বৃষ্টি কমে আসায় মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে ভারতের যে অঞ্চল থেকে পানি ঢুকেছে বাংলাদেশে, সেই ত্রিপুরাতেও মানুষ ভালো নেই। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় রাজ্যে ২২ জন মারা গেছে। ১৭ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। জেলা জেলায় জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। আর বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশের ৭৭ উপজেলার ৪৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যায়। এতে শিশু, নারীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী, পুলিশ, প্রশাসনের বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: 
লক্ষ্মীপুরে গতকাল বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এখনো পানিবন্দী ৭ লাখ মানুষ। জেলায় বিশুদ্ধ পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। গতকাল সকাল থেকে সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় পানিবন্দী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা গেছে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গুণবতী, আলকরা, জগন্নাথ, চিওড়া, বাতিসা, শুভপুর, মুন্সিরহাট, কাশিনগর ও চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকাগুলোতে এখনো বন্যার পানি স্থিতিশীল। এদিকে বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আসা পানিতে কুমিল্লার হোমনা ও তিতাস উপজেলার ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। প্রবল বর্ষণের ফলে এই উপজেলার ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এতে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলে পানি বেড়েছে কুমিল্লার গোমতী নদী ও খালগুলোতে। সর্বশেষ গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পুরো কুমিল্লার চিত্র তুলে ধরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে শুকনো খাবারের।
নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ৮টি উপজেলায় পানিবন্দী প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে প্রায় ৭৬ হাজার জন। জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, বন্যার শুরুতে জেলায় ৩৮৮টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হলেও পরে বন্যা ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭৬ হাজার ২০০ জন আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে ফেনী জেলা বিদ্যুৎবিহীন। একই সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জেলার বাসিন্দারা। এদিকে ফেনীতে বন্যার্তদের উদ্ধারকাজে গিয়ে পানিতে ডুবে লক্ষ্মীপুরের সাইফুল ইসলাম সাগর নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জেলার ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী।
চট্টগ্রামে বন্যার সঙ্গে হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে ১৬ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলায়। সেখানে হাজারো মানুষ পানিবন্দী। তবে গতকাল বিকেল থেকে পানি কমা শুরু হয়েছে। পানি কমেছে চট্টগ্রাম শহরের নিম্নাঞ্চলেও। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধসের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৪৮টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে বিদ্যুতায়িত হয়ে একজন মারা গেছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বন্যার পানিতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় প্লাবিত হয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা। এরই মধ্যে চেঙ্গি, মাইনি ও কাসালং নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ২ থেকে ৬ ফুট অতিক্রম করায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সেখানে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিতরণে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
বাসস জানায়, কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কয়েকটি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতিসহ জেলার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কয়েক জায়গায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। জেলার বাঘাইছড়ি, কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে লংগদু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটির অন্যতম ঝুলন্ত সেতুটি প্রায় এক ফুট পানিতে ডুবে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ও আগের দিন বুধবার বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ভয়াবহ রূপ নেয় হবিগঞ্জের খোয়াই নদ। তবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভারতের ত্রিপুরায় চাকমা গেট নামে খোয়াই নদের ব্যারাজ বন্ধ করা হয়। এরপর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। হবিগঞ্জের খোয়াই নদের পানি কমলেও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৫৭ হাজার ৫৬০ জন।
মৌলভীবাজারে এক সপ্তাহ পর শুক্রবার দুপুরে রোদের দেখা মিলেছে। জেলার মনু ও ধলাই নদের পানি কমতে শুরু করলেও রাজনগর, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও সদর উপজেলায় এখনো ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
সিলেটে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনো কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলার কোথাও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢল না এলে বন্যারও আশঙ্কা নেই।
মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদের পানি কমতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকার পানি ধীরগতিতে নামা শুরু করেছে। তবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখনো প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী। আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে ৭ হাজার ১৪৫ জন।

‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢল এবং ভারতের ত্রিপুরা থেকে আসা পানিতে ভুগছে বাংলাদেশের ১২ জেলা। কোথাও ভেঙেছে সড়ক, কোথাও বাঁধ। আবার কোথাও তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, কোথাও কোথাও পানিয়ে ছুঁয়েছে টিনের চাল। তবে গতকাল বৃষ্টি কমে আসায় মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে ভারতের যে অঞ্চল থেকে পানি ঢুকেছে বাংলাদেশে, সেই ত্রিপুরাতেও মানুষ ভালো নেই। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় রাজ্যে ২২ জন মারা গেছে। ১৭ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। জেলা জেলায় জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। আর বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশের ৭৭ উপজেলার ৪৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যায়। এতে শিশু, নারীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী, পুলিশ, প্রশাসনের বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: 
লক্ষ্মীপুরে গতকাল বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এখনো পানিবন্দী ৭ লাখ মানুষ। জেলায় বিশুদ্ধ পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। গতকাল সকাল থেকে সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় পানিবন্দী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা গেছে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গুণবতী, আলকরা, জগন্নাথ, চিওড়া, বাতিসা, শুভপুর, মুন্সিরহাট, কাশিনগর ও চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকাগুলোতে এখনো বন্যার পানি স্থিতিশীল। এদিকে বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আসা পানিতে কুমিল্লার হোমনা ও তিতাস উপজেলার ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। প্রবল বর্ষণের ফলে এই উপজেলার ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এতে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলে পানি বেড়েছে কুমিল্লার গোমতী নদী ও খালগুলোতে। সর্বশেষ গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পুরো কুমিল্লার চিত্র তুলে ধরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে শুকনো খাবারের।
নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ৮টি উপজেলায় পানিবন্দী প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে প্রায় ৭৬ হাজার জন। জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, বন্যার শুরুতে জেলায় ৩৮৮টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হলেও পরে বন্যা ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭৬ হাজার ২০০ জন আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে ফেনী জেলা বিদ্যুৎবিহীন। একই সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জেলার বাসিন্দারা। এদিকে ফেনীতে বন্যার্তদের উদ্ধারকাজে গিয়ে পানিতে ডুবে লক্ষ্মীপুরের সাইফুল ইসলাম সাগর নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জেলার ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী।
চট্টগ্রামে বন্যার সঙ্গে হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে ১৬ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলায়। সেখানে হাজারো মানুষ পানিবন্দী। তবে গতকাল বিকেল থেকে পানি কমা শুরু হয়েছে। পানি কমেছে চট্টগ্রাম শহরের নিম্নাঞ্চলেও। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধসের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৪৮টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে বিদ্যুতায়িত হয়ে একজন মারা গেছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বন্যার পানিতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় প্লাবিত হয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা। এরই মধ্যে চেঙ্গি, মাইনি ও কাসালং নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ২ থেকে ৬ ফুট অতিক্রম করায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সেখানে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিতরণে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
বাসস জানায়, কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কয়েকটি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতিসহ জেলার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কয়েক জায়গায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। জেলার বাঘাইছড়ি, কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে লংগদু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটির অন্যতম ঝুলন্ত সেতুটি প্রায় এক ফুট পানিতে ডুবে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ও আগের দিন বুধবার বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ভয়াবহ রূপ নেয় হবিগঞ্জের খোয়াই নদ। তবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভারতের ত্রিপুরায় চাকমা গেট নামে খোয়াই নদের ব্যারাজ বন্ধ করা হয়। এরপর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। হবিগঞ্জের খোয়াই নদের পানি কমলেও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৫৭ হাজার ৫৬০ জন।
মৌলভীবাজারে এক সপ্তাহ পর শুক্রবার দুপুরে রোদের দেখা মিলেছে। জেলার মনু ও ধলাই নদের পানি কমতে শুরু করলেও রাজনগর, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও সদর উপজেলায় এখনো ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
সিলেটে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনো কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলার কোথাও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢল না এলে বন্যারও আশঙ্কা নেই।
মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদের পানি কমতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকার পানি ধীরগতিতে নামা শুরু করেছে। তবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখনো প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী। আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে ৭ হাজার ১৪৫ জন।

বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
৩১ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা 

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।
তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।
আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।
রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।
তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।
আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।
রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
২৪ আগস্ট ২০২৪
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।
পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।
পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
২৪ আগস্ট ২০২৪
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
৩১ মিনিট আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
২৪ আগস্ট ২০২৪
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
৩১ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
২৪ আগস্ট ২০২৪
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
৩১ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগে