নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গুমসংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্রসফায়ারের’ পরই কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের অর্থ দেওয়া হতো। যাতে ক্রসফায়ারে অংশ নিতে আগ্রহী হন কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
গুমসংক্রান্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রসফায়ার ও গুমের অভিযানের পর ওই অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে নিয়মিত অর্থ বিতরণ করা হতো।
এই অর্থ বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে কমিশন। তাদের কাছে এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী থেকে র্যাবে প্রেষণে আসা এক জুনিয়র কর্মকর্তার কাছে তাঁর সিনিয়র কর্মকর্তা জানতে চেয়েছিলেন, ‘ক্রসফায়ার’ করে তিনি অর্থ পেয়েছেন কি–না? জবাবে ওই জুনিয়র কর্মকর্তা অর্থ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং সেই টাকা তিনি মসজিদে দান করে দিয়েছেন বলেও জানান।
এই জুনিয়র কর্মকর্তা আরও স্বীকার করেন, তিনি নিজে দুটি ক্রসফায়ার করেছেন এবং চারটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড তিনি দেখেছেন।
এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দুই কর্মকর্তার মধ্যে হয়েছে একটি সেনা ব্রিফিংয়ে। জুনিয়র কর্মকর্তা এমন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার পর নিজেকে ধার্মিক সাজানোর চেষ্টা করেন।
এদিকে গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের অপরাধকে সব সময় প্রশংসা করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রতিবেদন তৈরি করত। সেই প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হতো। যাঁরা রাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলো নিয়মিত পান।
গুমসংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাঁরা গুমের বিরোধিতা করতেন, তাঁদের বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরি করত গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁদের পেশাগত ও ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি করা হতো। তাঁদের রাজনৈতিক ভিন্নমতের ট্যাগ দেওয়া হতো, তাঁদের পরিবারের রাজনৈতিক আদর্শ খোঁজা হতো। অপরদিকে যাঁরা গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের প্রশংসা করে প্রতিবেদন দিত গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের প্রতিবেদনে গুম ও খুনের কিছুই লেখা থাকত না।
গুমসংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ র্যাবের মহাপরিচালক থাকাকালে চট্টগ্রামে র্যাবের জঙ্গি, মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানের প্রশংসা করা হয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে। তিনি আইজিপি হওয়ার আগে যে প্রতিবেদন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়, সেই প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক তথ্য পাওয়া যায়নি। তাঁকে অত্যন্ত দক্ষ, ভদ্র ও সৎ স্বভাবের কর্মকর্তা হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
এ ছাড়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল জিয়াউল আহসানেরও প্রশংসা করা হয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি গুমসংক্রান্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গুমের অন্তর্বর্তী দ্বিতীয় প্রতিবেদন জমা দেন। ওই প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গুমসংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্রসফায়ারের’ পরই কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের অর্থ দেওয়া হতো। যাতে ক্রসফায়ারে অংশ নিতে আগ্রহী হন কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
গুমসংক্রান্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রসফায়ার ও গুমের অভিযানের পর ওই অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে নিয়মিত অর্থ বিতরণ করা হতো।
এই অর্থ বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে কমিশন। তাদের কাছে এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী থেকে র্যাবে প্রেষণে আসা এক জুনিয়র কর্মকর্তার কাছে তাঁর সিনিয়র কর্মকর্তা জানতে চেয়েছিলেন, ‘ক্রসফায়ার’ করে তিনি অর্থ পেয়েছেন কি–না? জবাবে ওই জুনিয়র কর্মকর্তা অর্থ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং সেই টাকা তিনি মসজিদে দান করে দিয়েছেন বলেও জানান।
এই জুনিয়র কর্মকর্তা আরও স্বীকার করেন, তিনি নিজে দুটি ক্রসফায়ার করেছেন এবং চারটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড তিনি দেখেছেন।
এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দুই কর্মকর্তার মধ্যে হয়েছে একটি সেনা ব্রিফিংয়ে। জুনিয়র কর্মকর্তা এমন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার পর নিজেকে ধার্মিক সাজানোর চেষ্টা করেন।
এদিকে গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের অপরাধকে সব সময় প্রশংসা করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রতিবেদন তৈরি করত। সেই প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হতো। যাঁরা রাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলো নিয়মিত পান।
গুমসংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাঁরা গুমের বিরোধিতা করতেন, তাঁদের বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরি করত গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁদের পেশাগত ও ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি করা হতো। তাঁদের রাজনৈতিক ভিন্নমতের ট্যাগ দেওয়া হতো, তাঁদের পরিবারের রাজনৈতিক আদর্শ খোঁজা হতো। অপরদিকে যাঁরা গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের প্রশংসা করে প্রতিবেদন দিত গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের প্রতিবেদনে গুম ও খুনের কিছুই লেখা থাকত না।
গুমসংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ র্যাবের মহাপরিচালক থাকাকালে চট্টগ্রামে র্যাবের জঙ্গি, মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানের প্রশংসা করা হয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে। তিনি আইজিপি হওয়ার আগে যে প্রতিবেদন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়, সেই প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক তথ্য পাওয়া যায়নি। তাঁকে অত্যন্ত দক্ষ, ভদ্র ও সৎ স্বভাবের কর্মকর্তা হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
এ ছাড়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল জিয়াউল আহসানেরও প্রশংসা করা হয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি গুমসংক্রান্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গুমের অন্তর্বর্তী দ্বিতীয় প্রতিবেদন জমা দেন। ওই প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মালয়েশিয়ায় স্থানীয় সময় আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি কুয়ালালামপুরে পৌঁছান।
২০ মিনিট আগেরংপুরে তারাগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুজনকে ভ্যান চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটি তাদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে ১১১ জন।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে শাহরিয়ার খান আনাসসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ...
২ ঘণ্টা আগেএবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ গন্তব্যের উদ্দেশে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর ফিরে আসতে হয়েছে। বিমান সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেওয়া বিমানের একটি ফ্লাইট ২০ মিনিট উড়ে আবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে